মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দরসের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধান
লেখকঃ শাইখ আবদুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
৫
দ্বিতীয় দরস: ইসলামের রুকন
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/472/5
ইসলামের পাঁচ ভিত্তি থেকে প্রথম ভিত্তির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। মনে রাখবে, ইসলামের ভিত্তিসমূহ থেকে প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হলো:
شهادة أن لا إ له إلا الله وأنّ محمد رسول الله
এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোনো মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।”
لا اله إلا الله এর শর্তাবলীর বর্ণনাসহ শাহাদাত বাক্যদ্বয়ের মর্মার্থ ব্যাখ্যা করা। ‘লা-ইলাহা’ দ্বারা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদাত করা হয়, তাদের সবাইকে অস্বীকার করা এবং ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্বারা যাবতীয় ইবাদাত একমাত্র আল্লাহুর জন্য প্রতিষ্ঠিত করা, এতে তাঁর কোনো শরীক নেই।
ব্যাখ্যা:
প্রথমত: কালেমার অবস্থান:
এ দু’টি শাহাদাত ইসলামের রুকনসমূহের প্রথম রুকন। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«بُني الإسلام على خمس : شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله، وإقام الصلاة، وإيتاء الزكاة، وصوم رمضان، وحج بيت الله الحرام لمن استطاع إليه سبيلا .»
“ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বস্তুর ওপর প্রতিষ্ঠিত। -এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার রাসূল। সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমযানের সাওম পালন করা ও সামর্থবান ব্যক্তির জন্য বাইতুল্লাহর হজ করা”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬০৯; নাসায়ী, হাদীস নং ৫০০১; মুসনাদে আহমদ ২/৯৩]
তাওহীদের কালেমাকালেমাই হলো দীনের ভিত্তি ও মজবুত দূর্গ। এটাই হলো, একজন বান্দার ওপর সর্বপ্রথম ফরয। যাবতীয় আমল গ্রহণযোগ্য হওয়া এ কালেমাকে মুখে স্বীকার করা ও তদনুযায়ী আমল করার ওপর নির্ভর।
দ্বিতীয়ত: এ কালেমার অর্থ: আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা নেই অথবা আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছুর অস্তিত্ব এবং আল্লাহ ছাড়া কোনো রিযিকদাতা নেই এ কথা বলা জায়েয নেই। এর কারণ একাধিক:
যেমন, মক্কার কাফিররা আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা নেই এ কথাকে তারা অস্বীকার করতো না। তা স্বত্বেও তা তাদের কোনো উপকারে আসে নি। তারা কালেমার অর্থ বুঝতো। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাদের বললেন, ‘তোমরা বলো আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার উপাস্য নেই’ তখন তারা তা বলতে অস্বীকার করছিল।
বর্তমানে আমরা তাদের বিষয়ে আশ্চর্য হই, যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে অথচ তার অর্থ জানে না। তারা আল্লাহর সাথে গাইরুল্লাহ তথা অলী, মৃত ও মাযারকে শরীক করে। আর তারা দাবী করে আমরা তাওহীদপন্থী।
তৃতীয়ত: কালেমার রুকন।
কালিমায়ে শাহাদাতের রুকন দু’টি
এক. নাফী -অস্বীকার করা।
দুই. ইসবাত -প্রতিষ্ঠা করা।
কোনো ইলাহ নেই আল্লাহ ছাড়া, অন্য সব বস্তু থেকে ইলাহ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা। আর এক আল্লাহ যার কোনো শরীক নেই তার জন্য উলুহিয়াত (ইলাহ হওয়া) সাব্যস্ত করা।
চতুর্থত: কালেমার ফযীলত।
আল্লাহর নিকট কালেমার মহা ফযীলত ও উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। যে ব্যক্তি দৃঢ়-বিশ্বাসের সাথে এ কালেমা বলবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি অবিশ্বাসের সাথে বলবে, তার দুনিয়া ও আখিরাতে তার জানা মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তার (গোপন অবিশ্বাসের) হিসাব আল্লাহর ওপরই সোপর্দ। তার বিধান মুনাফিকের বিধান।
এটি একটি সংক্ষিপ্ত কালেমা, যার শব্দ কম, মুখে হালকা, পাল্লায় ভারি। এ মহান কালেমার ফযীলত অনেক। হাফেয ইবন রজব রহ. স্বীয় পুস্তিকা কালেমাতুল ইখলাসে কিছু ফযীলত দলিলসহ উল্লেখ করেছেন।
যেমন,
এটি জান্নাতের মূল্য। যার শেষ কথা হবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এটি জাহান্নাম থেকে মুক্তি, ক্ষমার কারণ, সর্ব উত্তম নেক কাজ, গুনাহকে দূর করে, আল্লাহ পর্যন্ত পৌছুতে যত পর্দা রয়েছে তা জালিয়ে দেয়।
তা এমন একটি বাক্য, যে বলবে তাকে আল্লাহ সত্যায়ন করবে।
তা নবীদের সর্বউত্তম বাণী, সর্বোত্তম যিকির ও আমল।
গোলাম আযাদ করার সমতুল্য।
শয়তান থেকে থেকে হিফাযত এবং কবরের ও হাশর মাঠের ভয়াবহতা থেকে নিরাপত্তা প্রদানকারী।
মুমিনরা যখন কবর থেকে উঠবে তখন তা তাদের নির্দেশন।
এ কালেমার অন্যতম ফযীলত হলো, যে ব্যক্তি এ কালেমা বলবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হবে, যে দরজা দিয়ে চায় সে প্রবেশ করতে পারবে।
গুনাহের কারণে জাহান্নামে যাওয়ার এ কালেমা ওয়ালা একদিন অবশ্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। [দেখুন: সালেহ আল-ফাওযানের রিসালা- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’]
পঞ্চমত: মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল -এ কথার সাক্ষ্য দেওয়ার দাবী, তার প্রতি ঈমান আনা, তার কথার ওপর বিশ্বাস করা, তার নির্দেশের আনুগত্য করা এবং তার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা। তার আদেশ নিষেধকে বড় করে দেখা এবং তার কথার ওপর আর কারও কথাকে প্রাধান্য না দেওয়া -সে যেই হোক না কেন।
ষষ্টত: যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দেয়, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর বান্দা, রাসূল, আল্লাহর এমন কালেমা বা বাণী -যা মারইয়ামের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল ও তাঁর পক্ষ থেকে আসা রূহ বা আত্মা, জান্নাত হক, জাহান্নাম হক, উবাদাহ ইবন সামেতের বর্ণনা মতে তার আমল যা-ই হোক না কেন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
“লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ” এর শর্তাবলী হলো:
১. ইলম (জ্ঞান): যা অজ্ঞতার পরিপন্থী, ২. ইয়াক্বীন (দৃঢ় বিশ্বাস) যা সন্দেহের পরিপন্থী, ৩. ইখলাস (নিষ্ঠা) যা শির্কের পরিপন্থী, ৪. সততা যা মিথ্যার পরিপন্থী, ৫. মহব্বত (ভালোবাসা) যা বিদ্বেষের পরিপন্থী, ৬. আনুগত্য যা অবাধ্যতা বা বর্জনের পরিপন্থী, ৭. কবুল (গ্রহণ) যা প্রত্যাখ্যানের পরিপন্থী এবং ৮. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত যারই ইবাদাত করা হয় তার প্রতি কুফুরী বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা।
এ শর্তগুলো নিম্নোক্ত আরবি কবিতার দু’টি পঙক্তির মধ্যে একত্রে সুন্দরভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে:
علم يقين وإخلاص وصدقك معمحبـة وانقيـاد والقبـول لها
وزيد ثامنها الكفران منك بماسوى الإله من الأشياء قد أُلها
“এই কালেমা সম্পর্কে জ্ঞান, এর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, নিষ্ঠা, সততা, ভালোবাসা, আনুগত্য ও এর মর্মার্থ গ্রহণ করা
এ সাথে আট নম্বরে যা যোগ করা হয়, তাহলো: আল্লাহ ব্যতীত যারা অনেক মানুষের কাছে উপাস্য হয়ে আছে তাদের প্রতি তোমার কুফুরী অর্থাৎ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা।”
এর সাথে محمد رسول الله “মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল” এ শাহাদাত বাক্যের অর্থ বিশ্লেষণ করা, এ বাক্যের দাবী হলো: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব বার্তা বহন করে নিয়ে এসেছেন সে বিষয়ে তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা, তিনি যেসব কাজের নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করা এবং যা নিষেধ করেছেন বা যা থেকে বারণ করেছেন তা পরিহার করে চলা। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যেসব বিষয় প্রবর্তন করেছেন কেবল সেগুলোর মাধ্যমেই যাবতীয় ইবাদাত সম্পাদন করা।
এরপর শিক্ষার্থীর সম্মুখে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অপর বিষয়গুলোর বিশদ বিবরণ তুলে ধরা। সেগুলো হলো ২. সালাত প্রতিষ্ঠা করা, ৩. যাকাত প্রদান, ৪. রমযানের সাওম পালন এবং ৫. সামর্থ্যবান লোকের পক্ষে বায়তুল্লাহর হজ পালন করা।
ব্যাখ্যা:
আলেমগণ বলেন, কালেমাতুল ইখলাসের শর্ত সাতটি। আবার কেউ কেউ বলেন আটটি।
প্রথমত: ইলম। যখন বান্দা জানল আল্লাহ তা‘আলাই একমাত্র একক উপাস্য, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো ইবাদাত করা বাতিল এবং তদনুযায়ী আমল করল, সে অবশ্যই কালেমার অর্থ জানল। আল্লাহ বলেন,
“যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা গেল যে, সে জানে আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদীস নং ২৬; মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৬৯/১।]
দুই: ইয়াকীন: দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি এ কালেমা বলবে, তার ওপর ওয়াজিব হলো, এর মর্মার্থ অন্তর দিয়ে দৃঢ় বিশ্বাস করা। ‘আল্লাহই একমাত্র ইলাহ হওয়ার হকদার এবং তিনি ছাড়া অন্য কোনো কিছুর ইলাহ হওয়া বাতিল’ এ কথার শুদ্ধতাকে বিশ্বাস করা।
“আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা আপনার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৪]
এবং যেমনটি বর্ণিত হয়েছে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« من لقيت خلف هذا الحائط يشهد أن لا إله إلا الله مستيقنا بها من قلبه فبشره بالجنة»
“এ দেওয়ালের পিছনে যার সাথে তোমার সাক্ষাত হয় এবং সে ইয়াকীনের সাথে এ কথার সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তাকে তুমি জান্নাতের সু-সংবাদ দাও”। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদীস নং ৩১।]
তিন: এ কালেমার দাবীগুলোকে মুখে স্বীকার ও অন্তরে কবুল করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৯]
ছয়: ইখলাস। তার থেকে যাবতীয় কথা-বার্তা ও কর্ম কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার উদ্দেশ্যে প্রকাশ পাবে। তার মধ্যে অপর কারও জন্য কোনো কিছু হওয়ার অবকাশ থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তাদেরকে কেবল এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ‘ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে”। [সূরা আল-বায়্যিনাহ, আয়াত: ৫]
আবু হুরাযরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أسعد الناس بشفاعتي من قال : لا إله إلا الله خالصا من قلبه»
“আমার শাফা‘আত লাভে সৌভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যে অন্তর থেকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে। [বুখারী, হাদীস নং ৯৯; মুসনাদে আহমদ ৩৭৩/২।]
সাত: মহব্বত। এ কালেমাকে মহব্বত করা এবং কালেমার মর্মার্থ ও কালেমা দাবীসমূহকে মহব্বত করা। কালেমার দাবী অনুযায়ী আল্লাহ ও তার রাসূলকে মহব্বত করবে। আল্লাহ ও তার রাসূলের মহব্বতকে সব কিছুর মহব্বতের ওপর প্রাধান্য দেবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালোবাসায় দৃঢ়তর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৬৫]
আট: আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব উপাস্যদের ইবাদাত করা হয়, সেগুলোকে অস্বীকার করা। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«من قال لا إله إلا الله وكفر بما يعبد من دون الله حرم ماله ودمه وحسابه على الله»
“যে ব্যক্তি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্যদের অস্বীকার করবে তার জান-মাল নিরাপদ। তার হিসাব আল্লাহর ওপর”। [সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়; হাদীস নং ২৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/472/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।