মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সাহাবায়ে কেরামের অবস্থান ও মর্যাদার বিষয়ে আহলে সুন্নাতের আকীদা-বিশ্বাস
লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম
২
ভূমিকা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/65/2
“নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও হিদায়াত প্রার্থনা করি আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই। আর যাকে পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন। আর শান্তি বর্ষিত হউক তাঁর পরিবার-পরিজন ও তাঁর সকল সাহাবীর প্রতি।”
অতঃপর
বস্তুত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের ইতিহাস অধ্যয়নের জন্য তাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা-বিশ্বাস হলো মাটির নিচে রক্ষিত প্রধান মূল্যবান সম্পদের মতো। তাদের ইতিহাস বিকৃত ও কুৎসিত হতে বাধ্য, যখন তা মূল আকীদা থেকে সরে গিয়ে অধ্যয়ন করা হয়।
আর এ বিষয়ের গুরুত্ব আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের সকল আকীদার কিতাবেই পাই, যা তার গুরুত্বের বিষয়টিকে খুব চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের কিতাবসমূহ থেকে একটি কিতাবও আমরা পাবো না, যাতে আকীদার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে অথচ সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের প্রসঙ্গে আলোচনা হয় নি; অর্থাৎ তাদের প্রত্যেকটি আকীদার কিতাবেই সাহাবীগণের সম্পর্কিত আকীদার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, আল-লালকায়ী’র শরহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাত ( شرح أصول اعتقاد أهل السنة ), ইবনু আবি ‘আসেমের ‘আস-সুন্নাহ’ ( السنة ), আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ ইবন হাম্বলের ‘আস-সুন্নাহ’ ( السنة ), ইবন বাত্তার ‘আল-ইবানা’ ( الإبانة ), আস-সাবুনীর ‘আকিদাতু আহলিস সালফ আসহাবিল হাদীস’ ( عقيدة أهل السلف أصحاب الحديث ) ইত্যাদি। বরং আহলে সুন্নাহ’র ইমামদের প্রত্যেকেই যখন তার আকীদা আলোচনা করেন, তখন এক পৃষ্ঠা বা তার চেয়ে কম হলেও সাহাবীগণের বিষয়ে আলোচনা করাটাকে জরুরি মনে করেন। হয় তাদের ফযীলত ও মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে অথবা খোলাফায়ে রাশেদীনের মর্যাদা সম্পর্কে অথবা তাদের আদালত তথা ন্যায়পরায়ণতার বিষয়ে অথবা তাদেরকে গালি ও তাদের প্রতি অপবাদ আরোপ করা থেকে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অথবা তাদের মাঝে সংঘটিত (অনাকাঙ্খিত) ঘটনার আলোচনা ও সমালোচনা থেকে বিরত থাকার প্রতি ইঙ্গিত করে ... ইত্যাদি ইত্যাদি। [উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আল-লালকায়ী, শরহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাত, ১০/১৫১-১৮৬, লেখক সেখানে আহলে সুন্নাহ’র দশজন বড়মাপের ইমামের আকীদার উল্লেখ করেছেন, তারা সকলেই আমরা যা উল্লেখ করেছি, সে দিকে ইঙ্গিত করেছেন; আর তা সম্পাদনা করেছেন ড. আহমদ সা‘দ হামদান আল-গামেদী।]
এ জন্যই আমরা আমাদের এ আলোচনায় পরিকল্পনা নিয়েছি যে, আমরা এ আকীদা-বিশ্বাসের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব উপস্থাপন করব। আর যখন সাহাবীগণের ইতিহাস আলোচনা হবে, তখন আলোচনাটি কেন্দ্রীভূত হবে আকীদার দৃষ্টিকোণ থেকে, আবার কখনও অপরাপর দিকসমূহ আলোচনা হবে সাধারণভাবে, যাতে এ আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায়। উদাহরণস্বরূপ সাহাবীগণকে গালি দেওয়ার বিধানসমূহের প্রতি ইঙ্গিত করা। আরও ইঙ্গিত করা সাহাবীগণের ইতিহাস কেন্দ্রিক বর্ণিত বর্ণনাসমূহের বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার আবশ্যকতার দিকে।
সুতরাং এ আলোচনাটিকে আমরা সাহাবীগণের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য একটি আবশ্যকীয় প্রবেশপথ হিসেবে বিবেচনা করতে পারি, যার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন ইতিহাসবিদ এবং গবেষক, যিনি বিভিন্ন দল-উপদল ও তাদের উক্তিসমূহ নিয়ে গবেষণা করেন। আর অনুরূপভাবে তার জন্যও জরুরি হবে যিনি সাহাবীগণের মধ্য থেকে কারও কারও জীবনী অধ্যয়ন করতে চাইবেন ... ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আমরা আলোচনাটিকে নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয়ে বিভক্ত করেছি:
প্রথমত: সাহাবীগণের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে এবং শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে তাদের স্তর ও শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত: আল-কুরআনুল কারীম ও পবিত্র সুন্নাহ থেকে তাদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার প্রমাণ। অতঃপর আমরা কতিপয় আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীস ইমামদের কারও কারও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ নির্বাচন করেছি, যা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে।
তৃতীয়ত: কোনো কিছুই সাহাবীগণের মর্যাদার সমান নয়। তাতে আমরা তাদের পরবর্তীদের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি আলোচনা করেছি।
চতুর্থত: তাদেরকে প্রদত্ত গালির প্রকার ও প্রত্যেক প্রকারের বিধান; তাতে আমরা যে গালি তাদের ন্যায়পরায়ণতায় আঘাত করে এবং যা তার চেয়ে নিম্নমানের -এ উভয়ের মধ্যকার পার্থক্য স্পষ্ট করেছি। অনুরূপভাবে আমরা ঐ ব্যক্তির বিধান স্পষ্ট করেছি, যে ব্যক্তি এমন সাহাবীকে গালি দেয়, যার মর্যাদা বর্ণনায় মুতাওয়াতির পর্যায়ের শর‘ঈ বক্তব্য রয়েছে এবং যার মর্যাদা বর্ণনায় এর চেয়ে কম মানের বর্ণনা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি তাদের সকলকে গালি দেয় অথবা তাদের কাউকে কাউকে গালি দেয়। আর আমরা এ অধ্যায়ের শেষ অংশে ইঙ্গিত করেছি ঐ ব্যক্তির বিধান সম্পর্কে, যে ব্যক্তি মুমিনদের জননী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে গালি দেয়, যাকে আল্লাহ তার থেকে পাক-পবিত্র বলে ঘোষণা করছেন। আর সেখান থেকে অবশিষ্ট মুমিন জননীদের বিধি-বিধান আলোচনা করেছি।
পঞ্চমত: তার পরে আলোচনা সাজিয়েছি এমন একটি পরিচ্ছেদ দ্বারা, যাতে আছে তাদেরকে গালি দেওয়া ও গালির অপরিহার্য পরিণতি বা ফলাফল সংক্রান্ত মনীষীদের বাণী বা কথার উদ্ধৃতি ( الآثار )।
ষষ্ঠত: তাদের মাঝে সংঘটিত (অনাকাঙ্খিত) ঘটনার ব্যাপারে অবস্থান, তাতে কতগুলো নীতিমালা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করা হয়েছে, যার প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রত্যেক গবেষকের জন্য জরুরি। যখন তিনি তাদের মাঝে সংঘটিত (অনাকাঙ্খিত) ঘটনার ব্যাপারে গবেষণা করেন, যাতে তাদেরকে গালি দেওয়ার মতো অপরাধে জড়িয়ে না যান।
সপ্তমত: তাদের সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহর বক্তব্য এবং প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গের উক্তিসহ তথ্য ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে।
পরিশেষে একটি উপসংহারের মাধ্যমে আলোচনাটি শেষ করা হয়েছে, যাতে সহাবীগণের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা-বিশ্বাসের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে।
অতঃপর, হে আমার পাঠক বন্ধু!
আমি মনে করি না যে, আমি নতুন কিছু নিয়ে আসতে পেরেছি; আমি শুধু ইমামদের নির্বাচিত কথাগুলো একত্রিত করেছি এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোকে ধারাবাহিকভাবে সাজিয়েছি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আর তা হলো এ ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং আকীদা বিনষ্ট করে এমন প্রত্যেক প্রকার নেতিবাচক বিষয়ে সতর্ক করা। সুতরাং তা এমন একটি উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা, যাকে এমন প্রত্যেকটি চেষ্টা-প্রচেষ্টার সাথে সন্নেবেশিত করা হবে, যা পূর্ববর্তী মাযহাবের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ লিপিবদ্ধ করেছেন; চাই সেটা আকীদার ক্ষেত্রে হউক অথবা বিভিন্ন ফিরকা তথা দল বা গোষ্ঠির ক্ষেত্রে হউক অথবা ইতিহাসের ক্ষেত্রে হউক অথবা হাদীসের ক্ষেত্রে হউক।
আল্লাহ তা‘আলার কাছে আমরা প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণকে ভালোবাসার তাওফীক দান করেন এবং তাদের দল বা জোটের সাথে আমাদেরকে হাশরের ব্যবস্থা করেন। আর আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছেই তাওফীক ও সঠিক পথ চাই।
وصلى الله و سلم و بارك على رسوله محمد و آله و صحبه .
ড. মো: আমিনুল ইসলাম,
মার্চ, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ,
দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসা,
লাকসাম, কুমিল্লা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/65/2
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।