hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের অবস্থান ও মর্যাদার বিষয়ে আহলে সুন্নাতের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: পূর্বে আলোচিত বিষয়ের সারসংক্ষেপ
পূর্ববর্তী আয়াত ও হাদীসসমূহের গভীরতা থেকে সাহাবীগণের গুণাবলীর ব্যাপারে আমরা নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি:

প্রথমত: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দিকসমূহ পরিশুদ্ধ করেছেন।

১. যাদের বাহ্যিক দিকসমূহ পরিশুদ্ধ হয়েছে, তাদেরকে তিনি সর্বোচ্চ প্রশংসিত চারিত্রিক গুণাবলী দ্বারা বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্য থেকে যেমন:

১. ১.

﴿أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ﴾ [ الفتح : ٢٩ ]

“আর তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, তাদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৯]

১. ২.

﴿وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ٨﴾ [ الحشر : ٨ ]

“আর তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যাশ্রয়ী।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮]

১. ৩.

﴿وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ﴾ [ الحشر : ٩ ]

“এবং তাদেরকে (মুহাজিরদেরকে) যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা তাদের অন্তরে কোনো (না পাওয়া জনিত) হিংসা অনুভব করে না। আর তারা নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮]

২. আর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলার সাথেই নির্দিষ্ট। আর তিনিই একমাত্র মনের খবর জানেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাদের অভ্যন্তরীণ সততা ও বিশুদ্ধ নিয়তের সংবাদ দিয়েছেন। অতএব উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন:

২. ১.

﴿فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ فَأَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ عَلَيۡهِمۡ وَأَثَٰبَهُمۡ فَتۡحٗا قَرِيبٗا ١٨﴾ [ الفتح : ١٨ ]

“অতঃপর তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি জেনে নিয়েছেন। ফলে তিনি তাদের ওপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয়ে পুরস্কৃত করলেন।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ১৮]

২. ২.

﴿يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ﴾ [ الحشر : ٩ ]

“তারা তাদের কাছে যারা হিজরত করে এসেছে, তাদেরকে ভালোবাসে।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৯]

২.৩.

﴿يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا﴾ [ الحشر : ٨ ]

“তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮]

২.৪.

﴿لَّقَد تَّابَ ٱللَّهُ عَلَى ٱلنَّبِيِّ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ ٱلۡعُسۡرَةِ مِنۢ بَعۡدِ مَا كَادَ يَزِيغُ قُلُوبُ فَرِيقٖ مِّنۡهُمۡ﴾ [ التوبة : ١١٧ ]

“আল্লাহ অবশ্যই নবী, মুহাজির ও আনসারদের তাওবা কবুল করলেন, যারা তার অনুসরণ করেছিল সংকটময় মুহূর্তে -তাদের এক দলের হৃদয় সত্যচ্যুত হওয়ার উপক্রম হবার পর।” [সুরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৭]

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তাদের তাওবা কবুল করেছেন, যখন তিনি তাদের নিয়ত ও তাওবার সত্যতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। আর তাওবা হলো শুধুমাত্র অন্তরের কাজ, যা সর্বজনবিদিত।

দ্বিতীয়ত: আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাদেরকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ভালো ও শ্রেষ্ঠ সময়কালের তাওফীক দানের কারণেই তিনি আমাদেরকে সংবাদ প্রদান করেছেন যে, তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তাদের তাওবা কবুল করেছেন এবং তাদেরকে কল্যাণ তথা জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তৃতীয়ত: আর পূর্বোক্ত সামষ্টিক কারণে আমাদেরকে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সম্মান, তাদের অধিকার সংরক্ষণ ও তাদেরকে ভালোবাসার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে তাদেরকে গালি দেওয়া এবং ঘৃণা বা শত্রুতা করা থেকে এমনকি তিনি তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ এবং তাদেরকে ঘৃণা বা শত্রুতা করা মুনাফিকীর লক্ষণ বলে মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

চতুর্থত: এসব কিছুর পরেও স্বভাবতই তারা ছিলেন যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং এ জাতির নিরাপদ আশ্রয় আর সেখান থেকেই এ উম্মত কর্তৃক তাদের অনুসরণ করাটা আবশ্যক হয়ে পড়ে; বরং এটাই হলো জন্নাতের একমাত্র পথ। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায়:

«عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي» .

“আমার পরে তোমাদের ওপর আবশ্যক হলো আমার সুন্নাত ও খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ করা।” [আহমদ, ৪/১২৬, ১২৭; তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবন মাজাহ ও দারেমী। আর এক দল মুহাদ্দিস হাদিসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন। দেখুন: ইবন রজব, জামে‘উল ‘উলুম ওয়াল হিকাম, দারুল ফুরকান, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি., হাদীস নং ৩৮, পৃষ্ঠা ৩৮৭; আরও দেখুন: আল-ইরওয়াউ, নং (২৫৪৪) ৮/১০৭]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন