hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের অবস্থান ও মর্যাদার বিষয়ে আহলে সুন্নাতের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম

দ্বিতীয়ত: সুন্নাহ থেকে সাহাবীগণের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার প্রমাণ:
প্রথম হাদীস: আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كَانَ بَيْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ شَىْءٌ فَسَبَّهُ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «لاَ تَسُبُّوا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِى، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَوْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ» .

“খালিদ ইবন ওয়ালিদ ও আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মধ্যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছিল। এক পর্যায়ে খালিদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাকে গালি দিলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘তোমরা আমার সাহাবীগণের কাউকে গালি দিবে না। কারণ, তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ স্বর্ণও দান করে, তবে সে তাদের এক মুদ [মুদ পরিমাপ যন্ত্রবিশেষ; তবে এখানে তুলনামূলক সামান্য পরিমাণকে বুঝানো হয়েছে।] বা তার অর্ধেক পরিমাণ দানের সাওয়াবও অর্জন করতে পারবে না।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: আমি যদি অন্তরঙ্গ বন্ধু গ্রহণকারী হতাম, হাদীস নং ৩৪৭০; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: সাহাবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমকে গালি দেওয়া হারাম, হাদীস নং ৬৬৫২]

ইবন তাইমিয়্যা রহ. আস-সারিমুল মাসলুল ( الصارم المسلول ) নামক গ্রন্থে বলেন: অনুরূপভাবে ইমাম আহমদ রহ. ও অন্যান্য আলেমগণও বলেন: “প্রত্যেক এমন ব্যক্তি, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য পেয়েছেন এক বছর অথবা এক মাস অথবা এক দিন অথবা তাঁর প্রতি বিশ্বাসী হয়ে শুধু তাকে দেখেছেন, তবে তিনিই তাঁর সাহাবী বলে গণ্য হবেন। যেহেতু তিনি তাঁর এ পরিমাণ সাহচর্য পেয়েছেন।

অতঃপর যদি বলা হয় কেন তিনি খালিদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে তাঁর সাহাবীগণকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন, যখন সেও তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে একজন ছিল? আর কেনই বা তিনি বললেন,

» لَوْ أن أحدكم أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بلغ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ «

“তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ স্বর্ণও দান করে, তবে তা তাদের এক মুদ বা তার অর্ধেক পরিমাণ দানের সমানও হবে না?” তখন আমরা বলব: যেহেতু আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুসহ তার মতো সাহাবীগণ ছিলেন প্রথম সারির সাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত, যারা এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সঙ্গ দিয়েছেন, যে সময়ের মধ্যে খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুসহ তার মতো সাহাবীগণ তার প্রতি শত্রুতা করতেন। আর অপরদিকে তারা (পূর্ববর্তীগণ) তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করেছেন বিজয়ের পূর্বে এবং যুদ্ধ করেছেন। আর তাদের মর্যাদা অনেক বেশি তাদের চেয়ে, যারা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করেছেন বিজয়ের পরে এবং যুদ্ধ করেছেন। তবে তাদের উভয় গ্রুপের জন্যই আল্লাহ তা‘আলা কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুতরাং সহচর্যের দিক থেকে তারা হলেন স্বতন্ত্র, যেহেতু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুসহ তার মতো সাহাবীগণ পূর্বের যুদ্ধে তাদের সাথে অংশগ্রহণ করেন নি। কারণ, তিনি হলেন এমন সাহাবী, যিনি ইসলাম কবুল করেছেন হুদায়বিয়ার সন্ধির মতো বিজয়ের পরে এবং যুদ্ধ করেছেন। সুতরাং তিনি তাকে ঐসব সাহাবীগণকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন, যারা তার পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচর্য লাভ করেছেন। আর যে ব্যক্তি রাসূলের সাহাবীর সাথে তার সম্পর্ক প্রথম সারির সাহাবীগণের সাথে খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর সম্পর্কের ন্যায় আদৌ তাঁর সহচর্য লাভ করেন নি, এমনকি তার চেয়ে আরও অনেক দূরসম্পর্ক। [আস-সারিমুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫৭৬।]

দ্বিতীয় হাদীস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

« ... إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» .

“...নিশ্চয়ই সে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আর তুমি কি জান, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। যার ফলে তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তোমরা তোমাদের ইচ্ছামত কাজ কর। কারণ, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: যুদ্ধবিগ্রহ, পরিচ্ছেদ: বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীর ফযীলত, হাদীস নং ৩৭৬২; মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের ফযীলত ও হাতেম ইবন আবি বালতা‘আ’র কাহিনী, হাদীস নং ৬৫৫৭]

বলা হয়: তাঁর কথা: اعملوا (তোমরা কর)-এর মধ্যে যে আদেশ বা নির্দেশ রয়েছে, তা সম্মানের জন্য। “আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বদরী সাহাবী যে কাজই করুক, এ সত্য প্রতিশ্রুতির কারণে তিনি তাকে পাকড়াও করবেন না।” আরও বলা হয়: “এর অর্থ হলো: তাদের মন্দ কাজগুলো সংঘটিত হয় ক্ষমা অবস্থায়। সুতরাং মনে হয় যেন তা সংঘটিত হয় নি।” [ইবন হাজার ‘আসকালানী, মা‘আরেফাতুল খিসালিল মুকাফফারা, পৃষ্ঠা ৩১, সম্পাদনা: জাসিম আদ-দাওসারী, প্রথম মুদ্রণ: ১৪০৪ হি.]

আর ইমাম নববী রহ. বলেন, “আলেমগণ বলেন, তার অর্থ হলো পরকালে তাদের জন্য ক্ষমার ব্যবস্থা থাকবে, তবে যদি তাদের কারও ওপর হদ তথা শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি অথবা অন্য কোনো শাস্তি আবশ্যক হয়, তবে তা তার ওপর দুনিয়াতেই প্রয়োগ করা হবে। আর কাযী ‘আইয়াদ্ব রহ. হদ বা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগের ওপর ইজমা হয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন। আর উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের কারও কারও ওপর হদ কায়েম করেছেন। কুদামা ইবন মায‘উন বলেন, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসতাহকে হদের আঘাত করেছেন, অথচ তিনি ছিলেন বদরী সাহাবী।” [ইমাম নববীর ব্যাখ্যাসহ সহীহ মুসলিম: ১৬/৫৬, ৫৭]

আর ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন: “আল্লাহ অধিক ভালো জানেন। নিশ্চয় এ সম্বোধনটিতে এমন এক জাতিকে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা জানেন যে, তারা তাদের দীনকে ছেড়ে যাবে না; বরং তারা ইসলামের ওপর মারা যাবে। আর তাদের কেউ কেউ কখনও কখনও পাপে জড়িয়ে যাবে, যেমনিভাবে অন্যরা পাপে জড়িয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ঐ পাপের ওপর অব্যাহত রাখবেন না; বরং তিনি তাদেরকে খাঁটি তাওবা, ক্ষমা প্রার্থনা ও সৎকর্ম কারার তাওফীক দিবেন, যা এর প্রভাবকে মুছে দিবে। আর তারা ভিন্ন অন্যদেরকে ব্যতীত শুধু তাদেরকে এর দ্বারা বিশেষিত করা হয়েছে। কারণ, তাদের মধ্যে এ বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়েছে আর তাদের জন্য ক্ষমার ব্যবস্থা রয়েছে। আর এটি তাদের দ্বারা সংঘটিত ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষমা অর্জিত হওয়াটাকে বাধাগ্রস্ত করে না, যেমনিভাবে তা দাবি করে না যে, ক্ষমার প্রতিশ্রুতির কারণে তারা ফরযসমূহ পালন করা বন্ধ করে দিবে। সুতরাং যদি নির্দেশসমূহ পালনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা লংঘিত হয়, তবে এর পরে তাদের সালাত, সাওম, হজ, যাকাত ও জিহাদের প্রয়োজন হয় না আর এটা অসম্ভব।” [ইবনুল কায়্যিম, আল-ফাওয়ায়েদ, আল-মাকতাবাতুল কায়্যিমা, প্রথম প্রকাশ, ১৪০৪ হি., পৃষ্ঠা ১৯।]

তৃতীয় হাদীস: ‘ইমরান ইবনুল হোসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«خير أمتي قرني ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم . قال عمران : فلا أدري أذكر بعد قرنه قرنين أو ثلاثا» .

“আমার যুগের উম্মত হলো আমার শ্রেষ্ঠ উম্মত, অতঃপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে তারা শ্রেষ্ঠ, তারপর তাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে তারা শ্রেষ্ঠ। ‘ইমরান বলেন: আমি জানিনা, তিনি তাঁর যুগের পরে দু‘টি যুগের কথা উল্লেখ করেছেন, নাকি তিনটি যুগের উল্লেখ করেছেন।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের ফযীলত, হাদীস নং ৩৪৫০; মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: সাহাবী, তৎপরবর্তী ও তৎপরবর্তীদের ফযীলত, হাদীস নং ৬৬৩৮]

চতুর্থ হাদীস: আবু মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«النُّجُومُ أَمَنَةٌ لِلسَّمَاءِ، فَإِذَا ذَهَبَتِ النُّجُومُ أَتَى السَّمَاءَ مَا تُوعَدُ، وَأَنَا أَمَنَةٌ لأَصْحَابِى، فَإِذَا ذَهَبْتُ أَتَى أَصْحَابِى مَا يُوعَدُونَ، وَأَصْحَابِى أَمَنَةٌ لأُمَّتِى، فَإِذَا ذَهَبَ أَصْحَابِى أَتَى أُمَّتِى مَا يُوعَدُونَ» .

“তারকারাজি হলো আকাশের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ। সুতরাং যখন তারকারাজি চলে যাবে তখন আকাশের ওপর প্রতিশ্রুত বিপর্যয় নেমে আসবে। আর আমি হলাম আমার সাহাবীগণের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ। সুতরাং যখন আমি চলে যাব তখন আমার সাহাবীগণের ওপর প্রতিশ্রুত বিপর্যয় নেমে আসবে। আর আমার সাহাবীগণ হলো আমার উম্মতের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ। সুতরাং যখন আমার সাহাবীগণ চলে যাবে তখন আমার উম্মতের ওপর প্রতিশ্রুত বিপর্যয় নেমে আসবে।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপস্থিতি সাহাবীদের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ এবং তার সাহাবীদের উপস্থিতি উম্মতের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ, হাদীস নং ৬৬২৯]

পঞ্চম হাদীস: উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«أكرموا أصحابي، فإنهم خياركم» .

“তোমরা আমার সাহাবীগণকে সম্মান কর; কারণ, নিশ্চয়ই তারা তোমাদের মধ্যে উত্তম।” [হাদীসখানা ইমাম আহমদ ও নাসায়ী বর্ণনা করেন; আর হাকেম সহীহ সনদে বর্ণনা করেন; দেখুন: মেশকাতুল মাসাবীহ, ৩/১৬৯৫; আর মুসনাদে আহমদ, বিশ্লেষণে আহমদ শাকের: ১/১১২]

অপর এক বর্ণনায় রয়েছে:

«احفظوني في أصحابي» .

“তোমরা আমাকে আমার সাহাবীগণের ব্যাপারে হিফাযত কর।” [ইবন মাজাহ: ২/৬৪; আহমদ: ১/১৮; হাকেম: ১/১১৪; তিনি বলেন: হাদিসটি সহীহ; আর যাহাবীও হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন; আর আল-বুসাইরী বলেন: সনদের সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত; যাওয়ায়েদু ইবন মাজাহ: ৩/৫৩]

ষষ্ঠ হাদীস: ওয়াসেলা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لا تزالون بخير ما دام فيكم من رآني وصاحبني، والله لا تزالون بخير ما دام فيكم من رأى من رآني وصاحب من صاحبني» .

“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো অবস্থায় থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি বিদ্যমান থাকবে, যে আমাকে দেখেছে এবং আমার সহচর্য লাভ করেছে। আল্লাহর কসম! তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো অবস্থায় থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি বিদ্যমান থাকবে, যে ব্যক্তি এমন ব্যক্তিকে দেখেছে, যে আমাকে দেখেছে এবং যে ব্যক্তি এমন ব্যক্তির সহচর্য লাভ করেছে, যে আমার সহচর্য লাভ করেছে।” [হাদীসখানা ইবন আবি শায়বা তার ‘মুসান্নাফে’ বর্ণনা করেছেন: ১২/১৭৮; ইবন আবি ‘আসেম, আস-সুন্নাহ: ৩/৬৩০; তাবারানী, আল-কবীর: ২২/৮৫; আবু না‘য়ীম, মা‘আরেফাতুস সাহাবা: ১/১৩৩; হাফেয ইবন হাজার ‘আসকালানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, আল-ফাতহ: ৭/৫; আর হাইসাম ‘আল-মাজমা‘: (১০/২০) এর মধ্যে বলেন: তাবারানী এই হাদীসখানা অনেকগুলো সনদে বর্ণনা করেছেন, তন্মধ্যে একটি সনদ বিশুদ্ধ।]

সপ্তম হাদীস: আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«آية الإيمان حب الأنصار، وآية النفاق بغض الأنصار» .

“আনসারদেরকে ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ আর আনসারদেরকে ঘৃণা করা নিফাকীর লক্ষণ।” [সহীহ বুখারী: ৭/১১৩; সহীহ মুসলিম: ১/৮৫]

আর অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের ব্যাপারেও বলেন,

«الأنصار لا يحبهم إلا مؤمن، ولا يبغضهم إلا منافق، فمن أحبهم أحبه الله، ومن أبغضهم أبغضه الله » .

“আনসারদেরকে শুধু মুমিনরাই ভালোবাসে আর তাদেরকে শুধু মুনাফিকরাই ঘৃণা করে। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালোবাসবে আল্লাহও তাকে ভালোবাসবেন। আর যে ব্যক্তি তাদেরকে ঘৃণা করবে আল্লাহও তাকে ঘৃণা করবেন।” [সহীহ বুখারী: ৭/১১৩; সহীহ মুসলিম: ১/৮৫ (হাদিসটি বারা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত)।]

আর এ বিষয়ে আরও অনেক হাদীস রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে তাদের মর্যাদার স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। আর বিস্তারিতভাবে তাদের মর্যাদা ও ফযীলতের বিবরণ অনেক বেশি। ইমাম আহমদ রহ. দুই খণ্ডে লিখিত তার ‘ফাযায়েলুস সাহাবা নামক গ্রন্থে প্রায় দুই হাজার হাদীস ও আছার উল্লেখ করেছেন। আর এ বিষয়ে এ গ্রন্থটি সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধশালী গ্রন্থ। [এ গ্রন্থটি ড. অসিউল্ল্যাহ ইবন মুহাম্মদ আব্বাস সম্পাদনা করেছেন; আর তা ১৪০৩ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন