hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবায়ে কেরামের অবস্থান ও মর্যাদার বিষয়ে আহলে সুন্নাতের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম

প্রথমত: আল-কুরআন থেকে সাহাবীগণের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার প্রমাণ:
প্রথম আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَّقَدۡ رَضِيَ ٱللَّهُ عَنِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ يُبَايِعُونَكَ تَحۡتَ ٱلشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ فَأَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ عَلَيۡهِمۡ وَأَثَٰبَهُمۡ فَتۡحٗا قَرِيبٗا ١٨﴾ [ الفتح : ١٨ ]

“অবশ্যই আল্লাহ মুমিনগণের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার কাছে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল, অতঃপর তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি জেনে নিয়েছেন। ফলে তিনি তাদের ওপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয়ে পুরস্কৃত করলেন।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ১৮]

জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,

«كنا ألفا وأربعمائة» .

“আমরা (সে শপথ অনুষ্ঠানে) ছিলাম সংখ্যায় এক হাজার চারশত।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: মাগাযী, পরিচ্ছেদ: হুদায়বিয়ার যুদ্ধ, হাদীস নং ২৯২৩; ফতহুল বারী: ৭/৫০৭ (রাইয়ান প্রকাশনা)।]

সুতরাং এ আয়াতটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেছেন আর এ তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধির সংবাদ আল্লাহই পরিবেশন করেছেন। আর আল্লাহ ব্যতীত তা সম্পন্ন করার ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না। আর তা হলো তাদের অভ্যন্তরীণ ও হৃদয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তার পরিশুদ্ধি। আর সেখান থেকেই তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। (আর আল্লাহ তা‘আলা যার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, কুফুরীর ওপর তার মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, তার শিক্ষা হলো ইসলামের ওপর মারা যাওয়া। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও ওপর প্রযোজ্য হবে না, যার ব্যাপারে তিনি জানেন যে, তার মৃত্যু হবে ইসলামের ওপর)। [আস-সাওয়ায়েক আল-মুহরিক্বা, পৃষ্ঠা ৩১৬।]

আর সহীহ মুসলিমে যা বিদ্যমান রয়েছে, তা এ বক্তব্যকে আরও সুদৃঢ় করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لاَ يَدْخُلُ النَّارَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ أَحَدٌ الَّذِينَ بَايَعُوا تَحْتَهَا» .

“আল্লাহ চায় তো গাছের নিচে শপথ গ্রহণকারীদের মধ্য থেকে একজনও জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সাহাবীদের ফযীলত, পরিচ্ছেদ: গাছের অধিকারী বায়‘আতে রিদওয়ানের অনুসারীগণের মর্যাদা, হাদীস নং ৬৫৬০।]

ইবনু তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি একটি প্রাচীন গুণ। সুতরাং তিনি শুধু ঐ বান্দার ওপরই সন্তুষ্ট হন, যার ব্যাপারে তিনি জানেন যে, সে তাকে সন্তুষ্টির আবশ্যকীয় উপাদানগুলো পূর্ণ করে দিবেন। আর যার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন, তার ওপর তিনি কখনও অসন্তুষ্ট হন নি। অতএব, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই জান্নাতের অধিবাসী, যার ব্যাপারে আল্লাহ সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, যদিও তার ওপর তাঁর সন্তুষ্ট হওয়ার বিষয়টি ছিল তার ঈমান আনয়ন ও সৎকর্মের পরে। সুতরাং তিনি এ বিষয়টি উল্লেখ করেন তার গুণগান ও প্রশংসা করার ক্ষেত্রে। অতএব, তিনি যদি জানতেন যে, সে এর পরবর্তীতে এমন কাজ করবে, যাতে প্রতিপালক অসন্তুষ্ট হবেন, তাহলে সে জান্নাতের অধিবাসী হত না।” [ইমাম উবনু তাইমিয়্যাহ, আস-সারিমুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫৭২, ৫৭৩, মুদ্রণ: দারুল কুতুব আল-‘ইলমিয়াহ, সম্পাদনা: মুহাম্মদ মহি উদ্দীন আব্দুল হামীদ।]

ইবনু হাযম রহ. বলেন: “যাঁদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সংবাদ জানিয়েছেন, তিনি তাদের অন্তরে যা আছে, সে সম্পর্কে জানেন এবং তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন; আর তাদের উপর নাযিল করেছেন প্রশান্তি। সুতরাং কারও জন্য বৈধ হবে না তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করা অথবা তাদের ব্যাপারে কখনও সন্দেহ পোষণ করা।” [আল-ফাসলু ফিল মিলালে ওয়ান্নিহাল: ৪/১৪৮।]

দ্বিতীয় আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطۡ‍َٔهُۥ فَ‍َٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا ٢٩﴾ [ الفتح : ٢٩ ]

“মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, আর তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, তাদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু‘ ও সাজদাহয় অবনত দেখবেন। তাদের লক্ষণ তাদের মুখমণ্ডল সাজদাহর প্রভাবে পরিস্ফুট; এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইঞ্জীলে তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন একটি চারাগাছ, যা থেকে নির্গত হয় কচিপাতা, তারপর তা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক। এভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে -আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের।”[সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৯]

ইমাম মালেক রহ. বলেন: “আমার নিকট এ খবর এসেছে যে, খ্রিস্টানগণ যখন ঐসব সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমকে দেখেছিল, যারা শাম (সিরিয়া) জয় করেছেন, তখন তারা বলতে লাগল: আল্লাহর কসম! নিশ্চয় তারা ঐসব হাওয়ারীদের চেয়ে উত্তম, যাদের ব্যাপারে আমরা ইতোপূর্বে জানতে পেরেছি। আর এ প্রসঙ্গে তারা সত্যই বলেছে। কারণ, এ উম্মত (জাতি) পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের মধ্যে সম্মানিত। আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ। আর আল্লাহ তা‘আলা নাযিলকৃত কিতাবসমূহে ও হাদীসের মধ্যে তাদের কথা উল্লেখ করার মাধ্যমে তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। আর এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা সেখানে বলেছেন: ﴿ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ ﴾ “এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত”। অতঃপর তিনি বলেন: ﴿وَمَثَلُهُمۡ فِي ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطۡ‍َٔهُۥ﴾ “আর ইঞ্জীলে তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন একটি চারাগাছ, যা থেকে নির্গত হয় কচিপাতা”। ﴿فَ‍َٔازَرَهُۥ﴾ “তারপর তা শক্ত হয়”। অর্থাৎ মজবুত হয়। ﴿فَٱسۡتَغۡلَظَ﴾ “তারপর তা পুষ্ট হয়” অর্থাৎ তা পুষ্ট ও লম্বা হয়। ﴿فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ﴾ “অতঃপর তা কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক” অর্থাৎ অনুরূপ হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ। তারা তাকে শক্তিশালী করেছেন, সমর্থন করেছেন এবং তাকে সাহায্য করেছেন। সুতরাং তাঁর সাথে তাদের সম্পর্ক গাছের সাথে পাতা বা কচিপাতার সম্পর্কের মতো, (আল্লাহ) তাদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন।” [ইবনু আবদিল বার, আল-ইসতিয়াব, ১/৬, মুদ্রণ, দারুল কিতাব আল-আরাবী -ইবনুল কাসিম থেকে আল-ইসাবা গ্রন্থের প্রান্তটিকা বা হাশিয়াসহ; তাফসীরু ইবন কাছীর: ৪/৩৪০, মুদ্রণ: দারুল মা‘আরেফা, বাইরুত, সনদ ব্যতীত।] ইবনুল জাওযী বলেন, “এ গুণটি অধিকাংশের নিকট সকল সাহাবীর জন্য সাব্যস্ত।” [যাদুল মাসীর, ৪/২০৪।]

তৃতীয় আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأَمۡوَٰلِهِمۡ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ٨ وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفۡسِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٩ وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [ الحشر : ٨، ١٠ ]

“এ সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য, যারা নিজেদের বাড়িঘর ও সম্পত্তি থেকে উৎখাত হয়েছে। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্য করে। এরাই তো সত্যাশ্রয়ী। আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছে ও ঈমান গ্রহণ করেছে, তারা তাদের কাছে যারা হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালোবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা তাদের অন্তরে কোনো (না পাওয়া জনিত) হিংসা অনুভব করে না, আর তারা নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়। বস্তুত যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম। আর যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করুন এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।”[সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮-১০]

আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতসমূহের মধ্যে ‘ফায়’ [‘ফায়’ শব্দের অর্থ: যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অথবা বিনাযুদ্ধে লব্ধ সম্পদ।] তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের হকদারদের অবস্থা ও গুণাবলী বর্ণনা করেছেন। আর তারা হলেন তিন প্রকারের:

প্রথম প্রকার: ﴿ لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ﴾ অর্থাৎ নিঃস্ব মুহাজিরগণ।

দ্বিতীয় প্রকার: ﴿وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ﴾ অর্থাৎ মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছে ও ঈমান গ্রহণ করেছে।

তৃতীয় প্রকার: ﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ﴾ অর্থাৎ যারা তাদের পরে এসেছে।

আর ইমাম মালেক রহ. এ আয়াত থেকে কি সুন্দর ফতোয়া উদ্ভাবন করছেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সাহাবীগণকে গালি দিবে, তার জন্য ‘ফায়’ বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদে কোনো অংশ নেই। কারণ, সে ঐসব সাহাবীগণের গুণে গুণান্বিত হতে পারে নি, আল্লাহ তা‘আলা যাদের প্রশংসা করেছেন। তাদের কথায়:

﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [ الحشر : ١٠ ]

“হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করুন এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ১০]

সা‘আদ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,

«الناس على ثلاث منازل : فمضت منزلتان و بقيت واحدة فأحسن ما أنتم كائنون عليه أن تكونوا بهذه المنزلة التي بقيت قال : ثم قرأ : ﴿لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأَمۡوَٰلِهِمۡ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا﴾ [ الحشر : ٨ ] فهؤلاء المهاجرين وهذه منزلة قد مضيت : ﴿وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ﴾ [ الحشر : ٩ ] قال : هؤلاء الأنصار وهذه منزلة قد مضيت ثم قرأ : ﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [ الحشر : ١٠ ] قد مضيت هاتان وبقيت هذه المنزلة فأحسن ما أنتم كائنون عليه أن تكونوا بهذه المنزلة التي بقيت : أن تستغفروا لهم»

“মান-মর্যাদার দিক থেকে মানুষ তিন শ্রেণী বা স্তরে বিভক্ত। সুতরাং দুই শ্রেণির মানুষ অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর অবশিষ্ট আছে এক শ্রেণির মানুষ। অতএব, সবচেয়ে সুন্দর হয় যখন তোমাদের অবস্থান হবে ঐ স্তরের সাথে যা অবশিষ্ট আছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি পাঠ করেন:

﴿لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأَمۡوَٰلِهِمۡ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا﴾ [ الحشر : ٨ ]

“এ সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য যারা নিজেদের ঘর-বাড়ি ও সম্পত্তি থেকে উৎখাত হয়েছে। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮]

তারা হলেন মুহাজিরগণ এবং এ স্তরটি অতিবাহিত হয়ে গেছে।

﴿وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ﴾ [ الحشر : ٩ ]

“আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছে ও ঈমান এনেছে, তারা তাদের কাছে যারা হিজরত করে এসেছে তাদের ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা তাদের অন্তরে কোনো (না পাওয়া জনিত) হিংসা অনুভব করে না, আর তারা নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৯]

তিনি বলেন, তারা হলেন আনসার। আর এ স্তরটিও অতিবাহিত হয়ে গেছে। অতঃপর তিনি পাঠ করেন:

﴿وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠﴾ [ الحشر : ١٠ ]

“আর যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করুন এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ১০]

ঐ দু’টি স্তর অতিবাহিত হয়ে গেছে; আর বাকি আছে এ স্তরটি। সুতরাং সবচেয়ে সুন্দর হবে যখন তোমাদের অবস্থান হবে ঐ স্তরের সাথে, যা অবশিষ্ট আছে। তিনি বলেন: তোমরা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।” [আস-সারিমুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫৭৪; হাকেম, আল-মুসতাদরাক, তাফসীর অধ্যায়, হাদীস নং ৩৮০০। ইমাম যাহাবী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন,

«أُمِرُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لأَصْحَابِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم، فَسَبُّوهُمْ» .

“তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে। অথচ তারা তাদেরকে গালি দিয়েছে।” [সহীহ মুসলিম, তাফসীর অধ্যায়, বাব নং- ২, হাদীস নং ৭৭২৪]

আবু না‘ঈম বলেন, “সুতরাং তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং তাদেরকে অবাধ্যতার মাধ্যমে অস্বীকার করে। তুমি কি লক্ষ্য করবে না যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর সাহাবীগণকে ক্ষমা করে দিতে, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং তাদের প্রতি পক্ষপুট অবনত করে দিতে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَوۡ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلۡقَلۡبِ لَٱنفَضُّواْ مِنۡ حَوۡلِكَۖ فَٱعۡفُ عَنۡهُمۡ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ وَشَاوِرۡهُمۡ فِي ٱلۡأَمۡرِۖ فَإِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَوَكِّلِينَ ١٥٩﴾ [ ال عمران : ١٥٩ ]

“আর যদি আপনি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। কাজেই আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোনো সংকল্প করলে আল্লাহর ওপর নির্ভর করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ (তাঁর ওপর) নির্ভরকারীদের ভালোবাসেন।”[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥﴾ [ الشعراء : ٢١٥ ]

“এবং যারা আপনার অনুসরণ করে, সেসব মুমিনদের প্রতি আপনার পক্ষপুট অবনত করে দিন।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ২১৫]

সুতরাং যে ব্যক্তি তাদেরকে গালি দিবে, ঘৃণা করবে এবং তাদের মধ্যকার ব্যাখ্যা বা মন্তব্য ও সংঘটিত যুদ্ধসমূহকে অসুন্দর উদ্দেশ্যে বয়ে বেড়াবে, সে ব্যক্তি তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ, শিক্ষা ও অসীয়্যত (উপদেশ) থেকে বিচ্যুত। সে তাদের ব্যাপারে তার জিহ্বাকে প্রসারিত করে শুধুমাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবীগণ, ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি কলুষিত অন্তর ও মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে।” [আবূ না‘ঈম, আল-ইমামা, পৃষ্ঠা ৩৭৫-৩৭৬, পর্যালোচনা: ড. আলী ফকীহী, মাকতাবাতুল ‘উলুম ওয়াল হিকাম, মদীনা, প্রথম মুদ্রণ: ১৪০৭ হি.]

মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«لا تسبوا أصحاب محمد إن الله قد أمر بالاستغفار لهم و قد علم أنهم سيقتتلون» .

“তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহাবীগণকে গালি দিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি জানেন যে, তারা অচিরেই নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে।” [আস-সারিমুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫৭৪; আরও দেখুন: মিনহাজুস সুন্নাহ, ২/১৪; আছার, ইমাম আহমদ, তা ফাযায়েল অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন, হাদীস নং ১৮৭, ১৭৪১।]

চতুর্থ আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلۡأَوَّلُونَ مِنَ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحۡسَٰنٖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُ وَأَعَدَّ لَهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي تَحۡتَهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١٠٠﴾ [ التوبة : ١٠٠ ]

“আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তিনি তাদের জন্য তৈরী করেছেন জান্নাত, যার নিচে নহর প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এ তো মহাসাফল্য।”[সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০০]

আর এ আয়াতের তাৎপর্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, “পূর্ববর্তী সহাবীগণের ব্যাপারে আমার দায়িত্ব হলো নিঃশর্তভাবে তাদের সাথে ইহসান তথা সদাচরণ করা। আর তিনি (আল্লাহ) তাবেঈনদের ওপর সন্তুষ্ট নন যতক্ষণ না তারা তাদেরকে (সাহাবীগণকে) ইহসানের সাথে অনুসরণ করবে।” [আস-সারিমুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫৭২] আর তাদেরকে ইহসানের সাথে অনুসরণ করার অন্যতম দিক হলো তাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকা এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।

পঞ্চম আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَا يَسۡتَوِي مِنكُم مَّنۡ أَنفَقَ مِن قَبۡلِ ٱلۡفَتۡحِ وَقَٰتَلَۚ أُوْلَٰٓئِكَ أَعۡظَمُ دَرَجَةٗ مِّنَ ٱلَّذِينَ أَنفَقُواْ مِنۢ بَعۡدُ وَقَٰتَلُواْۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١٠﴾ [ الحديد : ١٠ ]

“তোমাদের মধ্যে যারা বিজয়ের আগে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে, তারা (এবং পরবর্তীরা) সমান নয়। তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের চেয়ে যারা পরবর্তী কালে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়ের জন্যই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।”[সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ১০]

আর আয়াতে উল্লিখিত الحسنى শব্দের অর্থ হলো ‘জান্নাত’। মুজাহিদ ও কাতাদা রহ. অনুরূপ বলেছেন। [তাফসীরু ইবন জারির: ২৭/১২৮, দারুল মা‘রেফাহ, বাইরুত, ৪র্থ সংস্করণ, ১৪০০ হি.]

আর ইবন হাযম রহ. এ আয়াত থেকে অকাট্যভাবে দলীল গ্রহণ করেন যে, সাহাবীগণ সকলেই জান্নাতের অধিবাসী, যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ﴾ [ الحديد : ١٠ ]

“আর আল্লাহ সকলের জন্যই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”[সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ১০]

ষষ্ঠ আয়াত: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَّقَد تَّابَ ٱللَّهُ عَلَى ٱلنَّبِيِّ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ ٱلۡعُسۡرَةِ مِنۢ بَعۡدِ مَا كَادَ يَزِيغُ قُلُوبُ فَرِيقٖ مِّنۡهُمۡ ثُمَّ تَابَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّهُۥ بِهِمۡ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١١٧﴾ [ التوبة : ١١٧ ]

“আল্লাহ অবশ্যই নবী, মুহাজির ও আনসারদের তাওবা কবুল করলেন, যারা তার অনুসরণ করেছিল সংকটময় মুহূর্তে -তাদের এক দলের হৃদয় সত্যচ্যুত হওয়ার উপক্রম হবার পর। তারপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাদের প্রতি অতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৭]

আর তাবুকের যুদ্ধে বিদ্যমান প্রায় সকল সাহাবীই উপস্থিত হয়েছিলেন; কিন্তু নারী ও অক্ষমদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহর নিকট অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন তারা ব্যতীত। তবে যে তিনজন সাহাবী যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে পিছনে রয়ে গেলেন, যুদ্ধের অব্যবহিত পরে তাদের তাওবার ব্যাপারে আয়াত নাযিল হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন