hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মাতৃদুগ্ধদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

লেখকঃ ড. হুসাইন আহমাদ

১৯
সমব্যবহারের অধিকার
সন্তান হিসেবে ছেলে মেয়ে উভয় সমব্যবহারের অধিকারী, এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার ব্যবধান সৃষ্টি করা যাবে না। রাসূল (সা) এ ব্যাপারে এরশাদ করেছেন:

«اتقوا الله وإعدلوا فىأولادكم»

তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর এবং সন্তানদের ব্যাপারে ইনসাফ কায়েম কর। [. সহীত মুসলিম, কিতাবুল হিবাহ, খ. ২, পৃ. ২৭।] মেয়েদের প্রতি অবহেলা করে ছেলেদেরকে অধিকতর গুরুত্বদান ইসলামে নিষিদ্ধ। সকল সন্তানের প্রতি সমব্যবহার করা পিতা-মাতার উপর অবশ্য কর্তব্য। হাদীসে বর্ণিত নিম্নোক্ত ঘটনা দ্বারা এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

«وعن أنس : كان رجل عند النيى (ص) فجاء إبن له فقبله وأجلسه على فخذه وجاءت بنت له فأ جلسه بين يديه فقال الرسول (ص) : ألا سويت بينهما؟»

‘আনাস ইবন মালেক (রা) বর্ণনা করেছেন যে, এক ব্যক্তি রাসূল (সা) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন। তার শিশু পুত্র তার নিকট এল। উক্ত সাহাবী তাকে চুম্বন করলেন এবং কোলে বসালেন। একটু পরে তার কন্যা এলো। তাকে তিনি তার সামনে বসালেন। তখন রাসুল (সা.) সাহাবীকে বললেন তোমার কি উচিত ছিল না দুজনের প্রতি সমআচরণ করা? [. ইসলামে শিশু পরিচর্যা, পৃ. ৫৬।] জাগতিক স্বার্থের মোহে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে মানুষ সাধারণত: পুত্র সন্তান হলে আনন্দিত হয়, কন্যা সন্তান হলে অসুন্তুষ্ট হয়। ইসলাম এ হীন ও সংকীর্ণ মনোভাব দূর করতে উপদেশ দিয়েছে। বরং পুত্র সন্তানের তুলনায় কন্যা সন্তানকে পরকালের মুক্তির অন্যতম উপায় হিসেবে ঘোষনা করেছেন। কেননা কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করায়, তাকে সৎ ও সুশিক্ষা দেয়ায়, বয়:প্রাপ্ত হলে সৎ পাত্রে পাত্রস্থ করায় এবং পরবর্তীকালে তার খোঁজ খবর নেয়া ও দেখাশুনা করায় পিতার জাগতিক কোন স্বার্থ থাকে না। উপরন্তু অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে রাসূল (সা) বলেছেন:

«من كانت له أنثى فلم يئدها ولم يهنها ولم يؤثر ولده عليها قال يعنى الذكور أدخله الله الجنة»

‘‘যাহার কন্যা সন্তান হয়েছে, অথচ উহাকে জীবন্ত কবর দেয় নাই, তাকে লাঞ্ছিত করে না কিংবা তার তুলনায় পুত্র সন্তানকে বেশী স্নেহ করে নাই, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের প্রবেশ করাবেন। [. সুনানু আবি দাউদ, ১৩তম খন্ড, হাদীস নং ৪৪৮০, পৃ. ৩৫৭৮; ইসলামিয়াত, পৃ. ৭৬।] এমনকি বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্ত কন্যার যদি দেখা-শুনা বা নিরাপত্তা বিধান করার কেউ না থাকে এবং পিতার গৃহে অসহায় অবস্থায় ফিরে আসে, তা হলে পিতা অম্লানবদনে তাকে গ্রহণ করে তার সকল দায়িত্ব পালন করবে। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে:

‘‘আমি কি তোমাকে সর্বোত্তম সদকার কথা বলন না? তোমার যে কন্যা তোমার কাছে ফিরে আসে অথচ তুমি ব্যতীত তার উপার্জনের কেউ নেই।’’ [. সুনানু ইবনু মাজাহ, কিতাবুল আদাব, পৃ. ২৬৯।] অর্থাৎ এ অবস্থায় তার ভরণপোষণসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা পিতার পক্ষে সর্বোত্তম সদকা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন