hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ ঝগড়া-বিবাদ

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

১২
মন্দ বা খারাপ বিতর্ক:
এমন বিতর্ক যা পরিষ্কার বাতিল অথবা বাতিলের দিকে নিয়ে যায়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۚ وَيُجَٰدِلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّۖ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَمَآ أُنذِرُواْ هُزُوٗا ﴾ [ الكهف :56]

“আর আমরা তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফুরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৫৬]

অর্থাৎ যাতে তারা হককে প্রতিহত করতে পারে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করতে পারে। আর নিন্দনীয় বিতর্ক হলো, কাফিরদের স্বভাব। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

﴿وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۚ وَيُجَٰدِلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّۖ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَمَآ أُنذِرُواْ هُزُوٗا ﴾ [ الكهف :56]

“আর আমরা তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফুরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে”। [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৫৬]

এ মহান আয়াত দ্বারা এ কথা স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, কাফিররা সর্বদা হককে প্রতিহত ও দূরীভূত করতে ঈমানাদরদের সাথে বিতর্ক করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿كَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوحٖ وَٱلۡأَحۡزَابُ مِنۢ بَعۡدِهِمۡۖ وَهَمَّتۡ كُلُّ أُمَّةِۢ بِرَسُولِهِمۡ لِيَأۡخُذُوهُۖ وَجَٰدَلُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّ فَأَخَذۡتُهُمۡۖ فَكَيۡفَ كَانَ عِقَابِ﴾ [ غافر :05]

“এদের পূর্বে নূহের কাওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব!” [সূরা গাফির, আয়াত: ০৫]

অর্থাৎ তারা ঝগড়া বিবাদ ও বিতর্ক করে যাতে হককে মিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ يُحَآجُّونَ فِي ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا ٱسۡتُجِيبَ لَهُۥ حُجَّتُهُمۡ دَاحِضَةٌ عِندَ رَبِّهِمۡ وَعَلَيۡهِمۡ غَضَبٞ وَلَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٌ﴾ [ الشورى :16]

“আর আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের ওপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি”। [সূরা সুরা: ১৬]

যারা আল্লাহ তা‘আলার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে, তাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে যারা বিতর্ক করে ও ঝগড়া-বিবাদ করে এ আয়াত তাদের জন্য হুমকি ও সতর্কবাণী উচ্চারণ করে। আল্লাহ তা‘আলা যারা মুমিনদের আল্লাহর রাস্তা হতে বিরত রাখতে চায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَا يُجَٰدِلُ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَا يَغۡرُرۡكَ تَقَلُّبُهُمۡ فِي ٱلۡبِلَٰدِ﴾ [ غافر :04]

“কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে।” [সূরা গাফির, আয়াত: ০৪]

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمِنۡهُم مَّن يَسۡتَمِعُ إِلَيۡكَۖ وَجَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۚ وَإِن يَرَوۡاْ كُلَّ ءَايَةٖ لَّا يُؤۡمِنُواْ بِهَاۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوكَ يُجَٰدِلُونَكَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ﴾ [ الأنعام :25]

“আর তাদের কেউ তোমার প্রতি কান পেতে শোনে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরের ওপর রেখে দিয়েছি আবরণ যেন তারা অনুধাবন না করে, আর তাদের কানে রেখেছি ছিপি। আর যদি তারা প্রতিটি আয়াতও দেখে, তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না; এমনকি যখন তারা তোমার কাছে এসে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়, যারা কুফুরী করেছে তারা বলে, ‘এটা পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।’ [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ২৫]

অর্থাৎ তুমি পূর্বেকার লোকদের থেকে গ্রহণ করছ এবং তাদের কিতাবসমূহ ও তাদের মুখ থেকে শুনে শুনে শিখছ। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ﴾ [ الزخرف :57]

“আর তারা বলে, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা? তারা কেবল কুটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়”। [সুরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৫৭]

বাতিলের ওপর তারা ঝগড়া করে এবং তারা ছিল অধিক ঝগড়াটে।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«جاء عبد الله بن الزبعرى إلى النبي فقال : تزعم أن الله أنزل عليك هذه الآية ﴿إِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمۡ لَهَا وَٰرِدُونَ ٩٨ لَوۡ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةٗ مَّا وَرَدُوهَاۖ وَكُلّٞ فِيهَا خَٰلِدُونَ﴾ ] الأنبياء : ٩٨ [ فقال ابن الزبعرى : قد عبدت الشمس والقمر والملائكة وعزير وعيسى بن مريم، كل هؤلاء في النار مع آلهتنا؟ فنزلت ﴿وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ ٥٧ وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ ٥٨﴾ [ الزخرف : ٥٧ ] ثم نزلت ﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتۡ لَهُم مِّنَّا ٱلۡحُسۡنَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ عَنۡهَا مُبۡعَدُونَ﴾ [ الأنبياء : ١٠١

“ইবন যুবারী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞাসা করে তুমি কি ধারণা কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমার ওপর এ আয়াত-

﴿إِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمۡ لَهَا وَٰرِدُونَ ٩٨ لَوۡ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةٗ مَّا وَرَدُوهَاۖ وَكُلّٞ فِيهَا خَٰلِدُونَ﴾ [ الأنبياء : ٩٨ [

“নিশ্চয় তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে”। [সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৯৮]

নাযিল করেন, ইবন যুবারী বলেন, আমরা সূর্য, চন্দ্র, ফিরিশতা উযাইর ও ঈসা ইবন মারইয়ামের ইবাদত করি। তাহলে তাদের সবাই কি আমাদের ইলাহগুলোর সাথে জাহান্নামে যাবে? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন-

﴿وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ ٥٧ وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ ٥٨﴾ [ الزخرف : ٥٧ ]

“আর তারা বলে, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা? তারা কেবল কুটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়”। [সূরা যুখরুফ: ৫৭]

তারপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتۡ لَهُم مِّنَّا ٱلۡحُسۡنَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ عَنۡهَا مُبۡعَدُونَ﴾ [ الأنبياء : ١٠١ ]

“নিশ্চয় আমার পক্ষ থেকে যাদের জন্য পূর্বেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০১]

উযাইর ‘আলাইহিস সালাম ও ঈসা ইবন মারইয়াম জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত থাকবে আর অন্যান্য বাতিল ইলাহগুলো জাহান্নামে যাবে। এমনকি চন্দ্র, সূর্য ও মূর্তিগুলোকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, যাতে তাদের যারা পূজা করত তাদের কষ্ট দেওয়া হয় ও তাদের শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। তাদের বলা হবে, এ সব ইলাহগুলোর তোমরা ইবাদত করতে। এখন তারা তোমাদের জাহান্নামের কারণ হলো। তাদের কারণে তোমরা জাহান্নামের খড়ি। সুতরাং তোমরা জাহান্নামের আযাবের স্বাদ গ্রহণ করতে থাক।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মুশরিকদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের একাধিক বিতর্ক হয়েছে। কাফিররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের সাথে অন্যায়ভাবে ঝগড়া-বিবাদ করত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسۡقٞۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾ [ الأنعام :121]

“আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১]

শরী‘আতের বিধান যা হক ও সত্য তা প্রতিহত করার জন্য শয়তান কাফিরদের যুক্তি দেয়, ফলে তারা মুসলিমদের বলে, তোমরা তোমাদের নিজ হাতে যা জবেহ কর, তা তোমরা বক্ষণ কর, অথচ যে গুলোকে আল্লাহ তা‘আলা নিজে হত্যা করে তা তোমরা খাও না?! দেখুন! জাহিলদের যুক্তি কতইনা অবান্তর! আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথা প্রত্যাখ্যান করেন এবং মুসলিমদের সম্বোধন করে বলেন,

﴿وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسۡقٞۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾ [ الأنعام :121]

“আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১]

সবই আল্লাহ তা‘আলার ফায়সালা হয়ে থাকে। আল্লাহর ফায়সালা ছাড়া কোনো কিছুই হয়নি। যাকে মানুষ জবেহ করে তা যেমন আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী হয়ে থাকে অনুরূপভাবে যে জন্তুটি নিজে নিজে মারা যায় তাও আল্লাহর ফায়সালায় হয়ে থাকে। তবে যে জন্তু আল্লাহর নাম নিয়ে মানুষ জবেহ করে তার বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা হালালের ফায়সালা দেন, আর যে জন্তুটি নিজে নিজে মারা যায় তাকে আল্লাহ তা‘আলা হারামের ফায়সালা দেন।

তাদের এ বিতর্ক সম্পর্কে আরো দেখুন হাদীসের মাধ্যমে।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

«أتى أناس النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا : يا رسول الله، أنأكل ما نقتل، ولا نأكل ما يقتل الله؟

“কিছু লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরাবারে এসে জিজ্ঞাসা করে বলে হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা হত্যা করি তা আমরা খাব আল্লাহ তা‘আলা যা হত্যা করে আমরা তা খাব না? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত ﴿فَكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كُنتُم بِ‍َٔايَٰتِهِۦ مُؤۡمِنِينَ থেকে নিয়ে وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾ পর্যন্ত নাযিল করেন।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৩০৬৯।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গিয়ে যা দেখেন, তা নিয়ে মুশরিকরা বিতর্ক করলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিতর্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন,

﴿مَا كَذَبَ ٱلۡفُؤَادُ مَا رَأَىٰٓ ١١ أَفَتُمَٰرُونَهُۥ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ﴾ [ النجم : 11-12]

“সে যা দেখেছে, অন্তঃকরণ সে সম্পর্কে মিথ্যা বলে নি। সে যা দেখেছে, সে সম্পর্কে তোমরা কি তার সাথে বিতর্ক করবে?” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ১১-১২]

অর্থাৎ হে মুশরিকগণ আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব নিদর্শন দেখিয়েছেন তা তোমরা অস্বীকার করছ! এবং সন্দেহ পোষণ করছ! আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِن جَٰدَلُوكَ فَقُلِ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٦٨ ٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ فِيمَا كُنتُمۡ فِيهِ تَخۡتَلِفُونَ﴾ [ النجم :68-69]

“আর তারা যদি তোমার সাথে বাকবিতণ্ডা করে, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন।” [সূরা আল-হজ, আয়াত: ৬৮-৬৯] কাফিররা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে অনর্থক বিতর্ক তখন আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর এ আয়াত নাযিল করে তাদের প্রতিহত করেন। তিনি বলেন, তোমারা যা কর আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে জানেন। অর্থাৎ তোমরা যে কুফুরী ও হৎকারিতা করছ, সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত আছেন। তাই তিনি তাদের তোমাদের থেকে বিরত থাকতে ও তোমাদের সাথে বিতর্ক করতে না করেন। কারণ হঠকারী লোকদের সাথে বিতর্ক করে কোনো ফায়দা নেই।

মুশরিকরা কুরআন বিষয়ে অনর্থক বিতর্ক করে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَا يُجَٰدِلُ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَا يَغۡرُرۡكَ تَقَلُّبُهُمۡ فِي ٱلۡبِلَٰدِ ﴾ [ غافر :04]

“কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোকায় না ফেলে”। [সূরা গাফির, আয়াত: ০৪]

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لَا تُجَادلِوُا فِي القُرْآنِ؛ فَإنّ جِدَالا فيِهِ كُفْرٌ»

“তোমরা কুরআন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ করো না। কারণ, কুরআন বিষয়ে বিবাদ করা কুফুরী”।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন