মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“আর আমরা তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফুরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৫৬]
অর্থাৎ যাতে তারা হককে প্রতিহত করতে পারে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করতে পারে। আর নিন্দনীয় বিতর্ক হলো, কাফিরদের স্বভাব। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“আর আমরা তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফুরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে”। [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৫৬]
এ মহান আয়াত দ্বারা এ কথা স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, কাফিররা সর্বদা হককে প্রতিহত ও দূরীভূত করতে ঈমানাদরদের সাথে বিতর্ক করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
“এদের পূর্বে নূহের কাওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব!” [সূরা গাফির, আয়াত: ০৫]
অর্থাৎ তারা ঝগড়া বিবাদ ও বিতর্ক করে যাতে হককে মিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
“আর আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের ওপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি”। [সূরা সুরা: ১৬]
যারা আল্লাহ তা‘আলার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে, তাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে যারা বিতর্ক করে ও ঝগড়া-বিবাদ করে এ আয়াত তাদের জন্য হুমকি ও সতর্কবাণী উচ্চারণ করে। আল্লাহ তা‘আলা যারা মুমিনদের আল্লাহর রাস্তা হতে বিরত রাখতে চায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তাদের কেউ তোমার প্রতি কান পেতে শোনে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরের ওপর রেখে দিয়েছি আবরণ যেন তারা অনুধাবন না করে, আর তাদের কানে রেখেছি ছিপি। আর যদি তারা প্রতিটি আয়াতও দেখে, তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না; এমনকি যখন তারা তোমার কাছে এসে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়, যারা কুফুরী করেছে তারা বলে, ‘এটা পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।’ [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ২৫]
অর্থাৎ তুমি পূর্বেকার লোকদের থেকে গ্রহণ করছ এবং তাদের কিতাবসমূহ ও তাদের মুখ থেকে শুনে শুনে শিখছ। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
“আর তারা বলে, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা? তারা কেবল কুটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়”। [সুরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৫৭]
বাতিলের ওপর তারা ঝগড়া করে এবং তারা ছিল অধিক ঝগড়াটে।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«جاء عبد الله بن الزبعرى إلى النبي فقال : تزعم أن الله أنزل عليك هذه الآية ﴿إِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمۡ لَهَا وَٰرِدُونَ ٩٨ لَوۡ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةٗ مَّا وَرَدُوهَاۖ وَكُلّٞ فِيهَا خَٰلِدُونَ﴾ ] الأنبياء : ٩٨ [ فقال ابن الزبعرى : قد عبدت الشمس والقمر والملائكة وعزير وعيسى بن مريم، كل هؤلاء في النار مع آلهتنا؟ فنزلت ﴿وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ ٥٧ وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ ٥٨﴾ [ الزخرف : ٥٧ ] ثم نزلت ﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتۡ لَهُم مِّنَّا ٱلۡحُسۡنَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ عَنۡهَا مُبۡعَدُونَ﴾ [ الأنبياء : ١٠١ ]»
“ইবন যুবারী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞাসা করে তুমি কি ধারণা কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমার ওপর এ আয়াত-
“নিশ্চয় তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে”। [সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৯৮]
নাযিল করেন, ইবন যুবারী বলেন, আমরা সূর্য, চন্দ্র, ফিরিশতা উযাইর ও ঈসা ইবন মারইয়ামের ইবাদত করি। তাহলে তাদের সবাই কি আমাদের ইলাহগুলোর সাথে জাহান্নামে যাবে? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন-
“নিশ্চয় আমার পক্ষ থেকে যাদের জন্য পূর্বেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০১]
উযাইর ‘আলাইহিস সালাম ও ঈসা ইবন মারইয়াম জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত থাকবে আর অন্যান্য বাতিল ইলাহগুলো জাহান্নামে যাবে। এমনকি চন্দ্র, সূর্য ও মূর্তিগুলোকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, যাতে তাদের যারা পূজা করত তাদের কষ্ট দেওয়া হয় ও তাদের শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। তাদের বলা হবে, এ সব ইলাহগুলোর তোমরা ইবাদত করতে। এখন তারা তোমাদের জাহান্নামের কারণ হলো। তাদের কারণে তোমরা জাহান্নামের খড়ি। সুতরাং তোমরা জাহান্নামের আযাবের স্বাদ গ্রহণ করতে থাক।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মুশরিকদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের একাধিক বিতর্ক হয়েছে। কাফিররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীদের সাথে অন্যায়ভাবে ঝগড়া-বিবাদ করত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১]
শরী‘আতের বিধান যা হক ও সত্য তা প্রতিহত করার জন্য শয়তান কাফিরদের যুক্তি দেয়, ফলে তারা মুসলিমদের বলে, তোমরা তোমাদের নিজ হাতে যা জবেহ কর, তা তোমরা বক্ষণ কর, অথচ যে গুলোকে আল্লাহ তা‘আলা নিজে হত্যা করে তা তোমরা খাও না?! দেখুন! জাহিলদের যুক্তি কতইনা অবান্তর! আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথা প্রত্যাখ্যান করেন এবং মুসলিমদের সম্বোধন করে বলেন,
“আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১]
সবই আল্লাহ তা‘আলার ফায়সালা হয়ে থাকে। আল্লাহর ফায়সালা ছাড়া কোনো কিছুই হয়নি। যাকে মানুষ জবেহ করে তা যেমন আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী হয়ে থাকে অনুরূপভাবে যে জন্তুটি নিজে নিজে মারা যায় তাও আল্লাহর ফায়সালায় হয়ে থাকে। তবে যে জন্তু আল্লাহর নাম নিয়ে মানুষ জবেহ করে তার বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা হালালের ফায়সালা দেন, আর যে জন্তুটি নিজে নিজে মারা যায় তাকে আল্লাহ তা‘আলা হারামের ফায়সালা দেন।
তাদের এ বিতর্ক সম্পর্কে আরো দেখুন হাদীসের মাধ্যমে।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,
«أتى أناس النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا : يا رسول الله، أنأكل ما نقتل، ولا نأكل ما يقتل الله؟
“কিছু লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরাবারে এসে জিজ্ঞাসা করে বলে হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা হত্যা করি তা আমরা খাব আল্লাহ তা‘আলা যা হত্যা করে আমরা তা খাব না? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত ﴿فَكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كُنتُم بَِٔايَٰتِهِۦ مُؤۡمِنِينَ থেকে নিয়ে وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾ পর্যন্ত নাযিল করেন।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৩০৬৯।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গিয়ে যা দেখেন, তা নিয়ে মুশরিকরা বিতর্ক করলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিতর্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন,
“সে যা দেখেছে, অন্তঃকরণ সে সম্পর্কে মিথ্যা বলে নি। সে যা দেখেছে, সে সম্পর্কে তোমরা কি তার সাথে বিতর্ক করবে?” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ১১-১২]
অর্থাৎ হে মুশরিকগণ আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব নিদর্শন দেখিয়েছেন তা তোমরা অস্বীকার করছ! এবং সন্দেহ পোষণ করছ! আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তারা যদি তোমার সাথে বাকবিতণ্ডা করে, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন।” [সূরা আল-হজ, আয়াত: ৬৮-৬৯] কাফিররা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে অনর্থক বিতর্ক তখন আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর এ আয়াত নাযিল করে তাদের প্রতিহত করেন। তিনি বলেন, তোমারা যা কর আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে জানেন। অর্থাৎ তোমরা যে কুফুরী ও হৎকারিতা করছ, সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত আছেন। তাই তিনি তাদের তোমাদের থেকে বিরত থাকতে ও তোমাদের সাথে বিতর্ক করতে না করেন। কারণ হঠকারী লোকদের সাথে বিতর্ক করে কোনো ফায়দা নেই।
মুশরিকরা কুরআন বিষয়ে অনর্থক বিতর্ক করে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমরা কুরআন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ করো না। কারণ, কুরআন বিষয়ে বিবাদ করা কুফুরী”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/718/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।