মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআন নিয়ে বিবাদ করাকে কুফুরী বলে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু কুরআন বিষয়ে বিবাদ করার অর্থ কি?
কুরআন বিষয়ে বিবাদের অর্থ: কুরআন বিষয়ে বিবাদের অর্থ হলো, কুরআনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করা। আর কুরআনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করা নিঃসন্দেহে কুফর। যদি কোনো ব্যক্তি সন্দেহ করে যে কুরআন কি আল্লাহর বাণী অথবা কেউ বলে যে, ইহা আল্লাহর মাখলুক সে অবশ্যই কাফির। অনুরূপভাবে যদি যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে যা নাযিল করেছেন, তার কোনো বিধান বা কিছু অংশকে অস্বীকার করার অনুসন্ধানে থাকে, সেও নিঃসন্দেহে কাফির। সুতরাং বলা বাহুল্য যে, এখানে মুজাদালা বা মুমারাত অর্থ সন্দেহ সংশয়।
কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা তাফসীর বিষয়ে বিতর্ক করাকে জিদাল বলা হয় না। যেমন কোনো ব্যক্তি বলল, কুরআনের এ আয়াতের অর্থ এটি? নাকি এটি? তারপর একাধিক অর্থ হতে কোনো একটিকে প্রাধান্য দিল। এ ধরনের বিতর্ককে জিদাল বলা হবে না, বরং এ হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণীর মর্মার্থ জানার জন্য পর্যালোচনা করা।
মোটকথা, কুরআন বিষয়ে বিবাদ করাকে কুফুর বলে আখ্যায়িত করা তখন হবে, যখন কুরআনকে সন্দেহ, সংশয় ও অস্বীকার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
জুনদুব ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মনোযোগ থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর। আর যখন তোমাদের অন্তর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তোমরা কুরআন পড়া ছেড়ে দাও। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৬০।]
এ কথাটির কয়েকটি অর্থ হতে পারে:
যখন তোমরা কুরআনের অর্থ বোঝার মধ্যে মতবিরোধ কর, তখন তোমরা কুরআন নিয়ে আলোচনা ছেড়ে দাও। কারণ, হতে পারে তোমাদের ইখতেলাফ তোমাদেরকে কোনো খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
অথবা হতে পারে এখানে যে নিষেধ করা হয়েছে, তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের সাথে খাস।
অথবা এর অর্থ হলো, আল্লাহ তা‘আলার বাণী যে অর্থ বোঝায় বা তোমাদের যে অর্থের দিক নিয়ে যায়, তার ওপর তুমি মনোযোগী হও এবং তাই তুমি গ্রহণ করতে থাক। আর যখন তোমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিবে বা সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি হবে, যা তোমাকে বিবাদের দিকে ঠেলে দেয়, তখন তুমি তা থেকে বিরত থাক। আয়াতের প্রকাশ্য ও স্পষ্ট অর্থই গ্রহণ কর এবং অস্পষ্টতা যা বিবাদের কারণ হয় তা ছেড়ে দাও। বাতিল পন্থীরা কুরআনের অস্পষ্ট বিষয়গুলো নিয়েই টানাটানি করে এবং ফিতনা সৃষ্টি করার জন্য তাতেই তারা বিবাদ করে।
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, এমন কতক লোকের আগমন ঘটবে যারা কুরআনের সংশয়যুক্ত আয়াত নিয়ে তোমাদের সাথে বিবাদ করবে। তোমরা সুন্নাতের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত কর। কারণ, যারা সুন্নাত বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা আল্লাহর কিতাব বিষয়ে অধিক জ্ঞান রাখে। [দারমী, হাদীস নং ১১৯।] এ ছাড়া সুন্নাত আল্লাহর বাণীর মর্মার্থকে তুলে ধরে এবং কুরআনের ব্যাখ্যা করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/718/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।