hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ ঝগড়া-বিবাদ

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

১৭
মৌখিক জিহাদ কীভাবে করবো?
উত্তম কথা দ্বারা বিতর্ক করার মাধ্যমে। আল্লামা ইবন হাযম বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা যেমন ওয়াজিব অনুরূপভাবে মুনাযারা করাও ওয়াজিব। আল্লামা সুনআনি বলেন, জীবন দিয়ে জিহাদ হলো, কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সশরীরে অংশগ্রহণ করা। মাল দ্বারা জিহাদ হলো, জিহাদের খরচ ও অস্র ক্রয়ের জন্য ব্যয় করা। আর মৌখিক জিহাদ হলো, তাদের বিরুদ্ধে দলীল পেশ করা ও তাদের আল্লাহর দিকে আহ্বান করা।

এ ধরনের মুনাযারা কখনো ওয়াজিব হয়, আবার কখনো মোস্তাহাব হয়।

আর নিন্দনীয় বিতর্ক সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। কারণ, তা হলো, হককে প্রত্যাখ্যান করা অথবা বাতিলকে বিজয়ী করা।

কখনো কখনো বিতর্ক প্রশংসনীয় হয়, ঠিক একই স্থানে তা আবার নিন্দনীয়ও হয়ে থাকে। যেমন হজ: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ ٱلۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي ٱلۡحَجِّۗ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يَعۡلَمۡهُ ٱللَّهُۗ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيۡرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُونِ يَٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ﴾ [ البقرة :197]

“হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ। অতএব এই মাসসমূহে যে নিজের ওপর হজ আরোপ করে নিলো, তার জন্য হজে অশি¬ল ও পাপ কাজ এবং ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। আর তোমরা ভাল কাজের যা কর, আল্লাহ তা জানেন এবং পাথেয় গ্রহণ কর। নিশ্চয় উত্তম পাথেয় তাকওয়া। আর হে বিবেক সম্পন্নগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৭]

হজে যে বিতর্ক করতে নিষেধ করা হয়েছে তা কি?

যে বিতর্ক পরস্পরের মধ্যে বিরোধ, বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে, না জেনে বিতর্ক করা, যে বিতর্ক লক্ষ্য, প্রতিপক্ষের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করা, বিতর্কে কে ভালো করতে পারে থাকে, কে তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ও চুপ করে দিতে পারে, তা দেখা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে; আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য না থাকে।

কখনো হজের বিধান নিয়ে না জেনে বিতর্ক করে থাকে, তাও নিন্দনীয়।

কিন্তু হক্ব, সঠিক ও সুন্নাতকে জানার জন্য বিতর্ক করা, উত্তম বিতর্ক। যেমন, হজ্জে তামাত্তু উত্তম না ইফরাদ? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারেন ছিলেন নাকি তামাত্তু পালন করেন এ ধরনের বিতর্ক যদ্ধারা সত্য উদঘাটন হয়, তা উত্তম। অনুরুপভাবে সাওমের বিধান বিষয়ে বিতর্ক করা তার বিধান নিয়ে আলোচনা করা।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«الصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَلَا يَرْفُثُ وَلَا يَجْهَلُ، وَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ مَرَّتَيْنِ وفي رواية سهيل بن أبي صالح عن أبيه فَلَا يَرْفُثُ وَلَا يُجَادِلُ»

“সাওম হলো, ডাল স্বরূপ রোজা অবস্থা কেউ যেন অশ্লিল কোনো কাজ না করে এবং অজ্ঞতার পরিচয় না দেয়। যদি কোনো লোক তোমার সাথে ঝগড়া করে বা তোমাকে গালি দেয়, তখন তাকে বলে, দিবে যে আমি রোজাদার। এ কথা দুইবার বলবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৪।] আর সুহাইল ইবন আবি সালেহের বর্ণনায় বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে যেন অশ্লিল কোনো কাজ না করে এবং ঝগড়া না করে।” [ওমদাতুল কারী: ২৫৮/১০; ফতহুল বারী: ১০৪/৪।]

এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে মুসলিমদের জন্য উচিৎ হলো, তারা হক্বের পক্ষে হলেও বর্তমানে বিতর্ক পরিহার করবে। কারণ, বিতর্ক ঝগড়া ও বিবাদ মানুষের অন্তকে কঠিন করে দুই মুসলিম ভাইয়ের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ ও রেষারেষি বৃদ্ধি করে। বিতর্কে হককে প্রত্যাখ্যান করা ও বাতিলকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الجَنةَِّ لِمَنْ تَرَكَ المِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقّاً»

“যে ব্যক্তি বিতর্ককে পরিহার করে যদিও সে হকের পক্ষে হয়, আমি তার জন্য জান্নাতের পার্শ্বের একটি প্রাসাদের দায়িত্বশীল।” [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৮০০।] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إلِى الله الأَلَدُّ الخَصِمُ»

“আল্লাহ তায়ালার নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট সে ব্যক্তি যে অধিক ঝগড়া বিবাদ করে।” [সহীহ বুখারী আমর ইবন শুয়াইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত, তিনি বলেন, ২৪৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৬৮।]

এখানে যে ঝগড়া বিবাদ ও বিতর্ক পরিহার করার কথা বলা হয়েছে, তা হলো, হক পন্থীদের সাথে বিবাদ করা কিন্তু যারা আহলে বাতিল ও বিদআতি তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক করাই হলো, জরুরি যাতে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয় অথবা তাদের বাতিলের মূলোৎপাটন হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন