hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পকেট সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৯
৫৮. বিতরের সালাত কীভাবে আদায় করতে হয়?
প্রথম পদ্ধতি : প্রথমে দুই রাকআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেবেন। অতঃপর পৃথকভাবে আরেক রাকআত পড়ে রম্নকূর আগে বা পরে দু‘আ কুনূত পড়ে সিজ্দা শেষে আবার বসে সালাম ফিরাবেন।

(মুসলিম : ১২৫২)

দ্বিতীয় পদ্ধতি : প্রথম ও দ্বিতীয় রাকআত পড়বে। তবে দ্বিতীয় রাকাআতের পর তাশাহ্হুদের জন্য না বসে সরাসরি দাঁড়িয়ে যাবে। তৃতীয় রাকাআতে কিরাআত পাঠ শেষে দু‘আ কুনূত পড়ে রম্নকূতে চলে যাবে অথবা কিরাআত পাঠের পর রম্নকূ দিয়ে আবার উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু‘আ কুনূত পড়ে একেবারে সিজদায় চলে যাবে। এর পর আত্তাহিয়্যাতু, দরূদ ইব্রাহীম ও দু‘আ মাসূরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেবে।

আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুলস্নাহ ﷺ তিন রাকাআত বিতরের সালাত আদায় করতেন। এর মাঝে তাশাহহুদের জন্য বসতেন না। একাধারে তিন রাকাআত পড়ে শেষ রাকআতে বসতেন ও তাশাহ্হুদ পড়তেন। এভাবে উমর (রাঃ)-ও বিতর পড়তেন। (হাকেম : ১১৪০)

আমাদের দেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে ২য় রাকাআত শেষে বসে তাশাহ্হুদ পড়া হয়। রাসূলুলস্নাহ ﷺ এ পদ্ধতিতে বিতর পড়তে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, তোমরা বিতরকে মাগরিবের সালাতের মতো আদায় করো না। (দারে কুতনী ১৬৫০, পৃষ্ঠা ২/৩৪৪, সহীহ ইবনু হিববান : ২৪২৯)।

বিতর সালাত সংক্রামত্ম মাসআলা :

১. বিশুদ্ধ মতে বিতরের সালাত ওয়াজিব নয়, এ সালাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।

২. বিতর ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ ও ১৩ রাকাআত পর্যমত্ম পড়া যায়। (আবু দাউদ : ১৪২২, নাসাঈ : ১৭১২)

৩. এ সালাতের ওয়াক্ত হল ইশার পর থেকে ফজর উদয় হওয়ার পূর্ব পর্যমত্ম। শেষ রাতে ফজরের পূর্বে আদায় করা উত্তম। কেননা সে সময় আলস্নাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন। আর সে সময় দু‘আ কবুল হয়ে থাকে। তবে ঘুম থেকে উঠতে না পরার আশঙ্কা থাকলে ইশার সালাতের পরই বিতর পড়ে নেয়া ভালো।

৪. এ সালাতের প্রথম রাকাআতে সূরা আ’লা, দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা কাফিরূন এবং তৃতীয় রাকাআতে সূরা ইখলাছ পড়া সুন্নাত। তবে যে কোন সূরা দিয়ে পড়া বৈধ।

৫. বিতরে দু‘আ কুনূত পড়া ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত। তাই কখনো কুনূত ছুটে গেলে সালাতের কোন ক্ষতি হবে না। দো’আ কুনূত কেউ না জানলে শেখার চেষ্টা করবে। এর বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু পড়ার দরকার নেই।

৬. দু‘আ কুনূত শেষ রাকাআতে পড়তে হয়। কিরাআত শেষ করার পর রম্নকূর আগে বা রম্নকূ থেকে উঠার পর উভয় অবস্থায় দু‘আ কুনূত পড়া জায়েয। (বুখারী : ১০০১, ১০০২)

৮. দু‘আ কুনূত পড়ার শুরম্নতে ‘তাকবীরে তাহরীমা’র মতো পুনরায় দু’হাত উঠানো অর্থাৎ ‘রাফউল ইয়াদাইন করা এবং সে সময় ‘আলস্নাহু আকবার’ বলে তাকবীর দেয়ার পক্ষে কোন সহীহ হাদীস খোঁজে পাওয়া যায় না। কাজেই এটা করা সুন্নাহর পরিপন্থী।

৯. দুআ কুনূত যেহেতু দু‘আ, সেহেতু ঐ সময় হাত উত্তোলন করা মুসত্মাহাব। অনেক সাহাবী দু‘আ কুনূত পড়ার সময় বুক বরাবর দু‘হাত তুলতেন। উমার (রাঃ) জোরে জোরে দু‘আ কুনূত পড়েছেন।

(বায়হাকী : ২/২১২)

১০. দু‘আর পর দু‘হাত মুখে মুছার পক্ষে কোন সহীহ হাদীসের প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই দুআর পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।

১১. বিতরের সালাম ফিরানোর পর অন্য তাসবীহ পড়ার আগে ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ এটি শব্দ করে তিন বার বলা সুন্নাত।

১৩. ভুলে বিতর না পড়ে থাকলে পরবর্তী দিনের বেলায় এটা আদায় করা যেতে পারে।

১৪. এক রাতে দু‘বার বিতর আদায় করতে রাসূলুলস্নাহ ﷺ নিষেধ করেছেন।

১৫. যদি কেউ বিতর পড়ে ঘুমিয়ে যায়। পরে আবার রাতে জেগে তাহাজ্জুদ পড়ে, তাহলে দ্বিতীয় বার বিতর পড়ার দরকার নেই।

১৭. দু‘আ কুনূত এক বা একাধিক পড়া যায়। হাদীসে বর্ণিত যত দু‘আ আছে সেগুলোও পড়া যেতে পারে।

প্রসিদ্ধ দুটি দু‘আ কুনূত নিচে দেয়া হলো :

দু‘আ কুনূত- ১

اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أعْطَيْتَ وَقِنِيْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ إنَّكَ تَقْضِيْ وَلَا يُقْضٰى عَلَيْكَ وَإنَّه لَا يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نَتُوْبُ اِلَيْكَ وَ صَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِىِّ

হে আলস্নাহ! আমাকে হেদায়াত দান করম্নন, যাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে নিরাপত্তা দিন, যাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছেন তাদের অমত্মর্ভুক্ত করে। আর আমাকে সাহায্য করম্নন, যাদেরকে সাহায্য করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে যা কিছু দান করেছেন তার মধ্যে বরকত দিন। আর আমাকে রক্ষা করম্নন আপনার ফায়সালাকৃত অমঙ্গল থেকে। নিশ্চয় আপনার আইনই চূড়ামত্ম, আপনার উপর কারো নির্দেশ জারী হয় না। আপনি যার সহায় সে কখনো অপমানিত হয় না। আর আপনি যাকে ত্যাগ করেন সে কখনো সম্মান পায় না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি বরকতময় আর আপনি মহান, আমরা আপনার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আপনার দিকেই ফিরে আসি, আলস্নাহ নবীর প্রতি রহমত নাযিল করম্নন। (আবু দাউদ : ১৪২৭; নাসাঈ : ১৭৪৫; ইবনে মাজাহ : ১১৭৮; তিরমিযী : ৪৬৪)

দু‘আ কুনূত- ২

اَللّٰهُمَّ إنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَانَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ - اَللّٰهُمَّ إيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَإلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ إنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

হে আলস্নাহ! আমরা আপনার সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার প্রতি ঈমান রাখি, আপনার উপর ভরসা করি, আর আপনার উত্তম গুণগান বর্ণনা করি, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং আপনার অকৃজ্ঞতা প্রকাশ করি না। যে আপনার নাফরমানী করে (গোনাহের কাজ করে) আমরা তাকে ত্যাগ করি ও বর্জন করে চলি। হে আলস্নাহ! আমরা কেবল আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই সালাত পড়ি, আপনাকেই সিজদা করি এবং আপনার সমত্মুষ্টি তালাশের জন্য দ্রম্নত অগ্রসর হই। আর আমরা আপনার রহমতের আশা রাখি, আর আপনার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয় আপনার আযাব কাফিরদের জন্য অবধারিত।

(তাবারানী : ৭৫০; ইবনে খুযাইমা : ১১০০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন