মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. না, হে ভাই-বোনেরা! নামায কোন বোঝা নয়, এটা আপনার কাছে রাখা আল্লাহ তা‘আলার একটি আমানত। আপনি এই আমানতকে হেফাযত করলে তিনি আপনাকে একটি বিরাট পুরস্কার দেবেন।
দেখুন! যে যাকে ভালোবাসে, সে তাকে সম্মান করে। তাই আল্লাহ তা‘আলাকে যদি কেউ সত্যিই ভালোবাসে, তাহলে সে অবশ্যই আল্লাহর হুকুম পালন করবে। আমরা দেখি, প্রত্যেক ধর্মের লোক তাদের নিজ নিজ ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান মেনে চলে, আল্লাহর সৃষ্ট জিনিসকে তারা পূজা করে। হাতে বানানো মূর্তির ইবাদাত করে; অথচ এগুলো রিযিক দিতে পারে না, জীবন দিতে পারে না। কোন লাভ-ক্ষতির ক্ষমতা রাখে না, দু‘আ কবুল করতে পারে না, অভাব পূরণ করতে পারে না, তারপরও তারা এগুলোর উপাসনা করে। অপরদিকে আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। এখন কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করবে অথচ ইসলামের বিধান মানবে না; এ ধরনের আচরণ মুশরিকদের চেয়েও নিকৃষ্ট নয় কি?
লক্ষ্য করুন! কোন মানুষ যদি আপনাকে খুব ক্ষুধার সময় একটু খাবার দেয় বা পিপাসার সময় এক গ্লাস পানি দেয় অথবা আপনি পথ হারিয়ে গেছেন, কেউ যদি আপনাকে পথ দেখিয়ে দেয়, তাহলে আপনি কি তার শুকরিয়া আদায় করবেন না? অবশ্যই করবেন। তাহলে আল্লাহর চেয়ে বেশি অনুগ্রহকারী আপনার জন্য আর কে আছে? যে আল্লাহ আপনাকে মায়ের পেটে থাকতেই রিযিক দিলেন, এখনো দিচ্ছেন, যার আলো-বাতাস ও পানির উপর আপনার জীবন নির্ভরশীল, যিনি জ্ঞান-বুদ্ধি দিলেন, সুস্বাস্থ্য দিলেন, সঠিক পথের সন্ধান দিলেন, অসুখ হলে বা বিপদে পড়লে আপনি যাকে ডাকেন এবং যিনি বান্দার দু‘আ কবুল করেন, তাঁর শুকরিয়া আদায় করা কি কর্তব্য নয়?
২. নামায সময় নষ্টকারী কোন জিনিস নয়। কোন মানুষ যখন অনবরত কাজ করতে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার ক্লান্তি আসে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময়মতো নামাযটা আদায় করে নিলে, শারীরিক পবিত্রতা ও মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়। পরে নতুন উদ্যমে সতেজভাবে আবার কাজ শুরু করা যায় এবং কাজের মধ্যে বরকত পাওয়া যায়।
দেখুন, আপনি ভালো প্রস্তুতি নিয়ে একটি কাজ শুরু করেছেন এমন সময় হঠাৎ করে আপনার শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে বা কাজের হাতিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিদ্যুতের সাহায্যে কোন কাজ করছেন হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন কাজ বন্ধ থাকে। আপনি যানবাহনে ভ্রমণ করছেন রাস্তায় যানজট লেগে যায়, কখনো গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, আবার কোন সময় দুর্ঘটনায় মানুষের জীবন পর্যন্ত বিনাশ হয়ে যায়- এসব কারণে এমনিতেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে নামাযের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সম্পন্ন করতে সামান্য সময় ব্যয় হলে কোন মুসলিম কী করে বলতে পারে যে, নামায পড়লে সময় নষ্ট হয়ে যাবে?
৩. নামায দুনিয়ার কোন শাসনকর্তার আইন নয়। আপনি যেহেতু কালিমা পড়ে ঈমান এনেছেন এবং ইসলামকে আপনার জীবনবিধান হিসেবে মেনে নিয়েছেন, তখন স্বেচ্ছায় আনন্দের সাথে আপনি ইসলামের বিধান পালন করবেন এটাই স্বাভাবিক। আর নামায হলো ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। এই নামাযই মুমিনকে কাফিরদের থেকে পৃথক করে।
একটু ভাবুন, কেউ যদি দেশীয় আইনে কোন অপরাধ করে এবং তাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে ঐ লোকটির মধ্যে কতইনা ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করে, পুলিশ তাকে ধরে জেলখানায় পাঠাবে এই ভয়ে সে পালিয়ে বেড়ায়। দুনিয়ার অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে নামায না পড়ার কারণে আপনি হাশরের দিন আল্লাহর আদালতে আসামী হবেন এই ভয় কি আপনার মনের মধ্যে একটুও নাড়া দেয় না? আপনি কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাদ পড়ে যাবেন বলে মনে করছেন? আপনি কি আল্লাহর শাস্তিকে হালকা মনে করেন? উত্তর যদি না হয়, তাহলে নামায না পড়ার মতো অপরাধ আপনি কেন করছেন?
৪. নামায কোন সাধারণ কাজ নয় যা আপনি করতেও পারেন, ছাড়তেও পারেন। বরং নামায হলো প্রত্যেক নর-নারীর উপর আল্লাহর দেয়া একটি ফরয বিধান। এটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট নিয়মে আদায় করতেই হবে। নামায নষ্ট করলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর এটা আদায় করলে বিরাট পুরস্কার অর্জিত হবে।
৫. আমাদের নামায দিয়ে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। সারা দুনিয়ার মানুষ যদি কাফির হয়ে যায় তবুও আল্লাহর মর্যাদা একটুও কমবে না। আর সবাই যদি মুত্তাকী ও ভালো মানুষ হয়ে যায় এতেও আল্লাহর মর্যাদা বাড়বে না। বান্দা ইবাদাত করলে সে নিজেই এর উপকার ভোগ করবে। তাছাড়া নামায আমাদের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, আত্মাকে সতেজ রাখার জন্য তেমন নামাযের প্রয়োজন। নামাযের মাধ্যমে যে পরিমাণ আত্মতৃপ্তি লাভ হয়, তা অন্য কোন উপায়ে অর্জিত হয় না। এখনই পরীক্ষা করে দেখুন- আপনি বিপদে আছেন, নানা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, আপনার মনে অশান্তি বিরাজ করছে। উঠুন! সুন্দর করে অযু করে দু’রাক‘আত নামায আদায় করে বসে বসে আল্লাহকে স্মরণ করুন। আর নিজের সমস্যা, দুঃখ-বেদনা আল্লাহর কাছে বলুন! দেখবেন আপনার মনে কত যে প্রশান্তি বিরাজ করবে, তা আপনি ভাবতেও পারবেন না। তাইতো আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহর স্মরণেই তো অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।
(সূরা রা‘দ- ২৮)
হে ভাই-বোনেরা! দয়া করে আর নামায ছাড়বেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/83/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।