মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শয়তান যেসকল ভুল ধারণা ও বিভ্রান্তিতে ফেলে মানুষকে নামায থেকে বিরত রাখে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
অনেকে বলে, শুধু নামাযটা পড়ি না তবে আমার ঈমান ঠিক আছে। দেখুন, এ ধারণাটা কুরআন ও হাদীসের সম্পূর্ণ বিপরীত। কুরআন-হাদীস বলেছে নামায আদায় করাটা ঈমানের পরিচয়, আর না পড়া কুফর ও মুনাফিকীর পরিচয়। এখন নামায ছাড়া ঈমান ঠিক থাকে কী করে?
কেউ কেউ এমন রয়েছে যারা বলে, নামাযের কী দরকার? অন্তর ঠিক থাকলে এবং পরের মাল না খেলেই চলবে। দেখুন, অন্যায়ভাবে পরের মাল খাওয়া একটি অপরাধ, আর নামায না পড়া আরেকটি অপরাধ। এখন আপনি একটি অপরাধ করলেন না, ভালো কথা। কিন্তু নামায না পড়লে যে আপনি অপরাধী হবেন না এ ধারণা সঠিক নয়। নামায পড়লেই আপনি নামায বর্জনের অপরাধ থেকে মুক্তি পাবেন, অন্যভাবে নয়।
অনেকের ধারণা, কোন পীরের কাছে মুরিদ হলেই চলবে। তিনিই জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিবেন। দেখুন! কোন হক্কানী পীর তাঁর মুরিদকে বলবেন না যে, তোমার নামায পড়তে হবে না। কারণ সত্যিকার পীর হলেন তারা, যারা মানুষকে আল্লাহর বিধান পালনে উৎসাহিত করেন। তাছাড়া হাশরের দিন পীর সাহেব নিজেই নিজের মুক্তির জন্য ইয়া নাফসী, ইয়া নাফসী করতে থাকবেন। তিনি আপনাকে বাঁচাবেন কী করে? আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কারও ব্যাপারে কোন কথাই বলতে পারবে না। তাই পীরের উপর ভরসা না করে নেক আমলের মাধ্যমে মুক্তির পথ তৈরি করুন, এটাই সঠিক পন্থা। নামায ছাড়লে কেউই বাঁচতে পারবে না।
কোন নামায আদায়কারী ব্যক্তি যদি গোনাহের কাজ করে, তবে এটা দেখে অনেকে বলে যে, নামায পড়ে কী লাভ হবে? অমুককে দেখি নামায পড়ে; অথচ সে এই এই খারাপ কাজ করছে। দেখুন! একজন যদি নামায পড়েও মন্দ কাজ করে তবে হতে পারে নামাযের বরকতে সে মন্দ কাজ ছেড়ে দিবে অথবা আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু যার নামায নেই তার ক্ষমা পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া একজনের পাপের ফলে আরেকজন দায়ী হবে না। আপনি নামায না পড়লে সে হিসাব আপনাকেই দিতে হবে। আপনার কবরে আপনাকেই শোয়ানো হবে, অন্যকে নয়। তাই একজন ভুল পথে গেলে আমিও ভুল পথে যাব- এটা কি ঠিক হবে?
এমন অনেক লোক আছে যারা কিছু দিন নামায পড়ে, এরপর আবার নামায ছেড়ে দেয়, আর ভাবে কয়েকদিন নামায পড়ে তো কিছুই পেলাম না। দেখুন! এ দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র, বান্দা এখানে যা আমল করবে আখিরাতে এর ফল পাবে। দুনিয়াতে বাঁচতে হলে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, আখিরাতে সুখ পেতে হলে তেমনই ঈমান ও আমলের প্রয়োজন। তাই দুনিয়াতে কিছু পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, আখিরাতের মুক্তির জন্য সর্বদা নামায পড়তে হবে।
অনেকে যৌবনকালে ইবাদাত করতে রাজী নন, তারা বৃদ্ধ বয়সকে ইবাদাতের জন্য বাছাই করেন। লক্ষ্য করুন! আপনি যেদিন থেকে বালেগ হয়েছেন সেদিন থেকেই ইসলামের বিধিবিধান পালন করা আপনার উপর ফরয হয়ে গেছে। আর যৌবনকালের ইবাদাত বেশি মর্যাদাপূর্ণ এবং আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয়। দুনিয়ায় কারো চাকুরী ঠিক হয়ে গেলে সে তো বলে না যে, ‘আমি বৃদ্ধ হলে চাকুরী করব’ তাহলে আপনি আখিরাতের কাজকে কেন পিছিয়ে রাখবেন? তাছাড়া আপনিতো জানেন না, যে কোন মুহূর্তে মৃত্যুর ফেরেশতা এসে উপস্থিত হয়ে যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/83/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।