hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বেনামাযীর পরিণতি

লেখকঃ মোঃ আবদুর রহমান

বেনামাযী কাফির হওয়ার দলীল
যারা মনে করেন যে, নামায পরিত্যাগকারী কাফির হয়ে যায় তাদের দলীল হচ্ছে-

দলীল নং- ১

অনেক হাদীসে ইসলাম ও কুফরের মাঝে নামাযকে পার্থক্যকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন-

عَنْ جَابِرٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىَّ - يَقُوْلُ اِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلَاةِ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্যের মাপকাঠি হলো নামায আদায় না করা। [সহীহ মুসলিম, হা/২৫৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৭৩০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৩।]

عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ اَلْعَهْدُ الَّذِيْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلَاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের ও তাদের মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে তা হলো নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল, সে কুফরী করল। [তিরমিযী, হা/২৬২১; নাসাঈ, হা/৪৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৯৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৫৪; দার কুতনী, হা/১৭৫১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৭৪।]

এ হাদীসগুলোর স্পষ্ট ভাষ্য হচ্ছে, মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী জিনিস হচ্ছে নামায। আবু হাতীম (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ নামায ত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দ প্রয়োগ করেছেন। কেননা নামায ত্যাগ করা কুফরীর প্রথম ধাপ। যখন ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে এবং নামায ত্যাগ করাকে অভ্যাসে পরিণত করে নেয় তখন সে অন্যান্য ফরয ইবাদাতও ত্যাগ করে। আর যখন সে নামায ত্যাগে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন কার্যত সে নামায অস্বীকারকারী হয়ে যায়। এজন্য নবী ﷺ নামায ত্যাগকারীর শেষ পরিণতির দিকে ইঙ্গিত করেই তার উপর কুফর শব্দ প্রয়োগ করেছেন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৩।]

দলীল নং- ২

عَنْ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ بَكِّرُوْا بِالصَّلَاةِ فِيْ يَوْمِ الْغَيْمِ فَاِنَّهٗ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ فَقَدْ كَفَرَ

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, তোমরা বৃষ্টির দিনে নামাযে তৎপর থাকো। কেননা যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল। [ইবনে হিববান, হা/১৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৮।]

দলীল নং- ৩

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ﴾

অতঃপর তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। (সূরা তাওবা- ১১)

অত্র আয়াতে মুসলিম ও মুশরিকদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য তিনটি শর্তারোপ করা হয়েছে। তা হলো-

১. তারা শিরক থেকে তওবা করবে।

২. নামায কায়েম করবে।

৩. যাকাত প্রদান করবে।

যদি উল্লেখিত শর্তসমূহের কোন একটি না থাকে, তাহলে ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকবে না। আর ফাসেকী কাজ ও ছোট-খাটো কুফরী কর্ম দ্বারা ভ্রাতৃত্ব বিনষ্ট হয় না। বরং তা এমন কুফরী দ্বারা বিনষ্ট হয়, যা দ্বীন থেকে বের করে দেয়।

দলীল নং- ৪

﴿فَخَلَفَ مِنْ ۢبَعْدِهِمْ خَلْفٌ اَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا إِلَّا مَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُوْنَ شَيْئًا﴾

তাদের পরে এমন লোকদের আবির্ভাব হয়েছে, যারা নামাযকে নষ্ট করেছে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে। অচিরেই তারা জাহান্নামের ‘গাই’ নামক গর্তে প্রবেশ করবে। কিন্তু যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না। (সূরা মারইয়াম- ৫৯, ৬০)

অত্র আয়াতে বর্ণিত إِلَّا مَنْ تَابَ وَاٰمَنَ তথা ‘‘কিন্তু যে তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে’’ অংশ দ্বারা প্রমাণ করে যে, যখন তারা নামায বরবাদ করেছে (ত্যাগ করেছে) ও নিজের মন প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে তখন তারা মুমিন ছিল না।

দলীল নং- ৫

﴿مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِيْنَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ حَتّٰۤى اَتَانَا الْيَقِيْنُ﴾

কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাল? তারা বলবে আমরা নামায আদায়কারী ছিলাম না এবং অভাবীদেরকে খাদ্য দিতাম না। বরং আমরা অনর্থক আলাপকারীদের সাথে মগ্ন থাকতাম। আর আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম। অবশেষে আমাদের কাছে মৃত্যু আগমন করে। (সূরা মুদ্দাসসির, ৪২-৪৭)

অত্র আয়াত অনুযায়ী বুঝা যায় যে, কিয়ামতের দিন নামায পরিত্যাগকারীকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা হবে এবং তাকে সাকার নামক জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে। নামায পরিত্যাগকারীকে কাফির হিসেবে সাব্যস্ত করার জন্য এটি সুস্পষ্ট দলীল।

দলীল নং- ৬

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ صَلّٰى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا وَأَكَلَ ذَبِيْحَتَنَا فَذٰلِكَ الْمُسْلِمُ الَّذِيْ لَهٗ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُوْلِه فَلَا تُخْفِرُوا اللهَ فِيْ ذِمَّتِه

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের মতো নামায পড়বে, আমাদের কিবলার দিকে মুখ ফিরাবে এবং আমাদের যবেহকৃত পশুর গোশ্ত খাবে সে এমন এক মুসলিম, যার জন্য আছে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল এর নিরাপত্তা। সুতরাং আল্লাহর তত্ত্বাবধানে কেউ খিয়ানত করো না। [সহীহ বুখারী, হা/৩৯১; বায়হাকী, হা/২২৮৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৫৬৫; মিশকাত, হা/১৩।]

দলীল নং- ৭

عَنْ مُعَاذٍ قَالَ أَوْصَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ  ..... وَلَا تَتْرُكَنَّ صَلَاةً مَكْتُوْبَةً مُتَعَمِّدًا فَإِنَّ مَنْ تَرَكَ صَلَاةً مَكْتُوْبَةً مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ

মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে অসিয়ত করেছেন যে, তুমি কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামায পরিত্যাগ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ফরয নামায পরিত্যাগ করে তার উপর আল্লাহর যিম্মাদারিত্ব উঠে যায়। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০৭৫; বায়হাকী, হা/১৫১৭৪; মিশকাত, হা/৬১; হাদীসটি যঈফ।]

কোন ব্যক্তি যদি নামায পরিত্যাগ করার পরও ইসলামের উপর অটল থাকত, তাহলে সে ইসলামের যিম্মায় থাকত।

দলীল নং- ৮

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ سَتَكُوْنُ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُوْنَ وَتُنْكِرُوْنَ فَمَنْ عَرَفَ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ سَلِمَ وَلٰكِنْ مَنْ رَضِىَ وَتَابَعَ قَالُوْا أَفَلَا نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لَا مَا صَلَّوْا

উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, অতিসত্তর তোমাদের উপর এমন শাসক নিযুক্ত করা হবে, যাদের কিছু কাজ তোমরা পছন্দ করবে এবং কিছু কাজ অপছন্দ করবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে সে দায়মুক্ত হবে এবং যে তাদের কাজকে ঘৃণা করবে সেও দায়মুক্ত হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে ও তাদের অনুসরণ করবে (সে অন্যায়ের অংশীদার হবে)। তখন সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি এমতাবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, না- যে পর্যন্ত তারা নামায আদায় করবে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫৪; তিরমিযী, হা/২২৬৫; আবু দাউদ, হা/৪৭৬০।]

দলীল নং- ৯

عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِيْنَ تُحِبُّوْنَهُمْ وَيُحِبُّوْنَكُمْ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْكُمْ وَتُصَلُّوْنَ عَلَيْهِمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِيْنَ تُبْغِضُوْنَهُمْ وَيُبْغِضُوْنَكُمْ وَتَلْعَنُوْنَهُمْ وَيَلْعَنُوْنَكُمْ قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَلَا نُنَابِذُهُمْ بِالسَّيْفِ فَقَالَ لَا مَا أَقَامُوْا فِيْكُمُ الصَّلَاةَ

আউফ ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা তারাই যারা তোমাদেরকে ভালোবাসে, আর তোমরাও তাদেরকে ভালোবাস; তারা তোমাদের জন্য দু‘আ করে, আর তোমরাও তাদের জন্য দু‘আ কর। আর তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্ট নেতা তারাই যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে, আর তোমরাও তাদেরকে ঘৃণা কর; তোমাদের প্রতি তারা অভিসম্পাত করে, আর তোমরাও তাদের প্রতি অভিসম্পাত কর। রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদের সাথে যুদ্ধ করব না? তিনি উত্তরে বললেন- না! যতদিন পর্যন্ত তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে ততদিন পর্যন্ত নয়। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৯১০; তিরমিযী, হা/২২৬৪; বায়হাকী, হা/১৭০৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০২৭; মিশকাত, হা/২৬৭০।]

দলীল নং- ১০

কতিপয় সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অধিকাংশ সাহাবীই নামায পরিত্যাগকারীকে কাফির মনে করতেন। যেমন-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيْقٍ الْعُقَيْلِيِّ قَالَ كَانَ أصْحَابُ مُحَمَّدٍ لَايَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأعْمَالِ تَرْكُهٗ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلَاةِ

আবদুল্লাহ ইবনে শাকীক আল-উকাইলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ﷺ এর সাহাবীগণ নামায ছেড়ে দেয়া ব্যতীত অন্য কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না। [তিরমিযী, হা/২৬২২; মুসনাদুল জামে‘, হা/১৫৫২৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৫; মিশকাত, হা/৫৭৯।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ مَنْ لَمْ يُصَلِّ فَلَا دِيْنَ لَهٗ

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না, তার দ্বীন বলতে কিছুই নেই। [বায়হাকী, হা/৬৭৩৪; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৩।]

প্রখ্যাত ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াই (রহ.) বলেন, নবী ﷺ হতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত রয়েছে যে, নামায ত্যাগকারী কাফির। আর নবী ﷺ এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত আলেমগণের এটাই মত যে, কোন ব্যক্তি যদি ওজর ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগ করে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। ইমাম ইবনে হাযম উল্লেখ করেন, নিশ্চয় উমর ইবনে খাত্তাব, আবদুর রহমান ইবনে আউফ, মুয়ায ইবনে জাবাল, আবু হুরায়রা (রাঃ) সহ অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম এটার উপরই মত দিয়েছেন। অতঃপর তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি জানি না যে, সাহাবায়ে কেরাম এ বিষয়ে মতানৈক্য করেছেন কি না। [মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪/১৭০ পৃঃ; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৭৫।]

দলীল নং- ১১

عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ اَلْعَهْدُ الَّذِيْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلَاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের ও তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে তা হলো নামায। সুতরাং যে নামায ত্যাগ করল, সে কুফরী করল। [তিরমিযী, হা/২৬২১; নাসাঈ, হা/৪৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৯৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৫৪; দার কুতনী, হা/১৭৫১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৭৪।]

দলীল নং- ১২

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلّٰى - وَلٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلّٰى﴾

অতঃপর সে (জাহান্নামী) লোকটি বিশ্বাস করেনি এবং নামাযও আদায় করেনি; বরং সে অস্বীকার করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। (সূরা ক্বিয়ামাহ- ৩১, ৩২)

অত্র আয়াতের ভাষ্যটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, কোন ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর তার প্রাথমিক জরুরি কাজ হলো- নামায আদায় করা। আর নামাযের মাধ্যমেই যাচাই হয়ে যায় যে, ব্যক্তির ঈমান আনাটা সত্য কি না? যদি সে নামায আদায় করে তাহলে বুঝা যাবে যে, সত্যিই সে ঈমান এনেছে। আর যদি নামায আদায় না করে তাহলে প্রমাণিত হবে যে, সে কেবল মুখে কালিমা পড়েছে, মনে-প্রাণে পড়েনি এবং পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করেনি। অতএব কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে এবং সে নামাযও পরিত্যাগ করে, তাহলে সে কাফির হিসেবেই গণ্য হবে।

দলীল নং- ১৩

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مُنِيْبِيْنَ اِلَيْهِ وَاتَّقُوْهُ وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ﴾

তোমরা একনিষ্ঠভাবে তাঁর অভিমুখী হও এবং শুধু তাঁকেই ভয় করো। আর তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো এবং কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা রূম- ৩১)

অত্র আয়াতে নামায পরিত্যাগকারীকে মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর মুশরিকরা কাফিরদেরই একটি প্রকার।

দলীল নং- ১৪

আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন,

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

যদি তারা তওবা করে, নামায আদায় করে এবং যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাওবা- ৫)

এ আয়াতে নামায কায়েম এবং যাকাত আদায় করাকে নিরাপত্তার মানদন্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই যে ব্যক্তি নামায কায়েম করে না এবং যাকাত আদায় করে না, সে নিরাপত্তা পাবে না। আর যে ব্যক্তির উপর থেকে মুসলিমদের নিরাপত্তা উঠে যায়, সে কাফির হিসেবেই গণ্য হয়।

দলীল নং- ১৫

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ اَنَّهٗ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهٗ نُوْرًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ يَكُنْ لَهٗ نُوْرٌ وَلَا بُرْهَانٌ وَلَا نَجَاةٌ وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُوْنَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَاُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী ﷺ সালাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, যে ব্যক্তি এটাকে হেফাযত করবে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য জ্যোতি, মুক্তির দলীল ও নাজাতের অসীলা হবে। আর যে ব্যক্তি এটাকে হেফাযত করবে না তার জন্য কিয়ামতের দিন কোন জ্যোতি, মুক্তির দলীল এবং নাজাতের জন্য কোন অসীলা থাকবে না। আর সে কিয়ামতের দিন কারূন, ফিরাউন, হামান এবং উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬, সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪৩১।]

উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, নামায ত্যাগকারীর হাশর হবে কারূন, ফিরাউন, হামান এবং উবাই ইবনে খালফ- এদের সাথে। আর এ কথা স্পষ্ট যে, এসব ব্যক্তি বড় বড় কাফির ছিল। এমনকি এরা কাফির মুশরিকদের নেতা ছিল। সুতরাং বেনামাযীরা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন