hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বেনামাযীর পরিণতি

লেখকঃ মোঃ আবদুর রহমান

বেনামাযী ফাসিক হওয়ার দলীল
যারা মনে করেন যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার কথা স্বীকার করা সত্ত্বেও নিজেদের অলসতা অথবা অবহেলার কারণে যারা নামায পরিত্যাগ করে থাকে, তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না, তাদের দলীল হচ্ছে-

দলীল নং- ১

﴿اِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَن يَّشَآءُ﴾

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক স্থাপন করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এটা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।

(সূরা নিসা- ৪৮)

অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কেবল শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আর নামায পরিত্যাগ করা শিরক নয়। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।

দলীল নং- ২

অনেক প্রসিদ্ধ হাদীসে এসেছে যে, যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ এর সাক্ষ্য দেবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। যেমন-

حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ وَمُعاذٌ رَدِيْفُهٗ عَلَى الرَّحْلِ قَالَ يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ قَالَ يَا مُعَاذُ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ ثَلَاثًا قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ صِدْقًا مِنْ قَلْبِه إِلَّا حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَلَا أُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ فَيَسْتَبْشِرُوْا قَالَ إِذًا يَتَّكِلُوْا وَأَخْبَرَ بِهَا مُعَاذٌ عِنْدَ مَوْتِه تَأَثُّمًا

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা নবী ﷺ উটের উপর সওয়ারীতে ছিলেন এবং মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) তাঁর পিছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, হে মুয়ায ইবনে জাবাল! মুয়ায (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত এবং আপনার আনুগত্যের জন্য প্রস্তুত। তারপরও রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে মুয়ায! মুয়ায (রাঃ)-ও অনুরূপ উত্তর দিলেন। তিনি তিন বার এভাবে তাকে সম্বোধন করেন। মুয়ায (রাঃ)-ও প্রত্যেক বার একই উত্তর দেন। তারপর তিনি বললেন, কোন বান্দা যদি আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেয় যে, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর রাসূল’’, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন। মুয়ায (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকদেরকে এ কথা বলে দেব? যাতে তারা শুভ সংবাদ পেতে পারে। তিনি বললেন, যদি তুমি তাদেরকে এ কথা বলে দাও, তাহলে তারা এর উপরই ভরসা করবে (অর্থাৎ আমল ছেড়ে দেবে)। অতঃপর মুয়ায (রাঃ) ইন্তিকালের সময় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, যাতে ইলম গোপন রাখার গুনাহ না হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১২৮; সহীহ মুসলিম, হা/৩২; শু‘আবুল ঈমান, হা/১২৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫২২; মিশকাত, হা/২৫।]

عن عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ ....... قَالَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ فَإِنَّ اللهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ يَبْتَغِىْ بِذٰلِكَ وَجْهَ اللهِ

ইতবান ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ বলবে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। [সহীহ বুখারী, হা/৪২৬; সহীহ মুসলিম, হা/৩৩; বায়হাকী, হা/২০৮৯৩।]

তারা বলে থাকেন যে, উপরোক্ত হাদীসসমূহে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা এবং জান্নাতে প্রবেশের জন্য নামাযকে শর্তারোপ করা হয়নি। বরং কেবল ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’-কে শর্তারোপ করা হয়েছে। সুতরাং যারা কেবল এর সাক্ষ্য দিবে তাদেরকে কাফির বলা যাবে না।

তবে এরূপ হাদীসগুলোর মধ্যে রয়েছে-

يَبْتَغِىْ بِذٰلِكَ وَجْهَ اللهِ

তথা ‘‘এর দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করবে’’

অথবা صِدْقًا مِنْ قَلْبِه

তথা ‘‘অন্তরে ঈমানের সত্যতা নিয়ে’’ ইত্যাদি।

সুতরাং সাক্ষ্যদ্বয়কে নিয়তের একনিষ্ঠতা ও অন্তরের সত্যতার সাথে শর্তযুক্ত করা হয়েছে, যা নামায ত্যাগের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হয়। কেননা নিয়তের একনিষ্ঠতা ও অন্তরের সততা আবশ্যকীয়ভাবে নামায আদায়ের উপর নির্ভর করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন