hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বেনামাযীর পরিণতি

লেখকঃ মোঃ আবদুর রহমান

মুনাফিকদের মতো নামায আদায়কারীরাও বেনামাযীদের অন্তর্ভুক্ত
মুনাফিক বলা হয় ঐসব ব্যক্তিকে, যারা নিজেদের অন্তরের মধ্যে কুফর লুকিয়ে রাখে এবং বাহ্যিকভাবে নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে। এ কারণে তাদের আমল এবং প্রকৃত মুমিনদের আমলের মধ্যে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়- এমনকি নামাযের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমলের ক্ষেত্রেও। নিম্নে মুনাফিকদের নামাযের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হলো :

মুনাফিকরা নামাযে গাফলতি করে :

﴿اِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ يُخَادِعُوْنَ اللهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَاِذَا قَامُوْاۤ اِلَى الصَّلَاةِ قَامُوْا كُسَالٰى يُرَآءُوْنَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُوْنَ اللهَ اِلَّا قَلِيْلًا﴾

নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে প্রতারণা করছে; মূলত আল্লাহই তাদেরকে প্রতারণায় ফেলে দিচ্ছেন। তারা যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়, তারা মানুষকে দেখাতে চায়। মূলত তারা আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। (সূরা নিসা- ১৪২)

তারা লোক দেখানোর জন্য নামায আদায় করে :

﴿فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَ اَلَّذِيْنَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَ اَلَّذِيْنَ هُمْ يُرَآءُوْنَ وَيَمْنَعُوْنَ الْمَاعُوْنَ﴾

ঐ সকল নামায আদায়কারীর জন্য দুর্ভোগ, যারা তাদের নামাযের ব্যাপারে গাফিল, যারা লোক দেখানোর জন্য আমল করে; আর যারা তুচ্ছ জিনিসও কাউকে দিতে চায় না। (সূরা মাউন : ৪-৭)

এশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হতে তাদের কষ্ট হয় :

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ اِنَّ اَثْقَلَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمُنَافِقِيْنَ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَصَلَاةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِيْهِمَا لَاَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় মুনাফিকদের কাছে সবচেয়ে ভারী নামায হচ্ছে এশা ও ফজরের নামায। যদি তারা জানত যে, এ দুটির মধ্যে কী পরিমাণ ফযীলত রয়েছে, তবে তারা অবশ্যই উক্ত নামাযদ্বয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হতো। [ইবনে মাজাহ, হা/৭৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০১০২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৮৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৯৮।]

তারা দেরি করে নামায আদায় করে :

عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ اَنَّهٗ دَخَلَ عَلٰى اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِىْ دَارِهٖ بِالْبَصْرَةِ حِيْنَ انْصَرَفَ مِنَ الظُّهْرِ وَدَارُهٗ بِجَنْبِ الْمَسْجِدِ فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ قَالَ اَصَلَّيْتُمُ الْعَصْرَ فَقُلْنَا لَهٗ اِنَّمَا انْصَرَفْنَا السَّاعَةَ مِنَ الظُّهْرِ قَالَ فَصَلُّوا الْعَصْرَ فَقُمْنَا فَصَلَّيْنَا فَلَمَّا انْصَرَفْنَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ - - يَقُوْلُ تِلْكَ صَلَاةُ الْمُنَافِقِ يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتّٰى اِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَهَا اَرْبَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيْهَا اِلَّا قَلِيْلًا

আলা ইবনে আবদুর রহমান (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি একদিন আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) এর বসরায় অবস্থিত বাড়িতে গেলেন। আর সে বাড়িটি মসজিদের পাশেই অবস্থিত ছিল। তিনি (আলা ইবনে আবদুর রহমান) তখন সবেমাত্র যুহরের নামায আদায় করেছেন। আলা ইবনে আবদুর রহমান বলেন, আমরা তাঁর (আনাস ইবনে মালেকের) কাছে গেলে তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আসরের নামায আদায় করেছ? আমরা জবাবে বললাম, আমরা এইমাত্র যুহরের নামায আদায় করে আসলাম। এ কথা শুনে তিনি বললেন, যাও- আসরের নামায আদায় করে আসো। এরপর আমরা গিয়ে আসরের নামায আদায় করে তার কাছে ফিরে আসলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে- ঐ নামায হলো মুনাফিকের নামায, যে বসে বসে সূর্যের দিকে তাকাতে থাকে। আর যখন তা প্রায় অস্ত হয়ে যায় তখন উঠে গিয়ে ৪ বার ঠোকর মেরে আসে। এভাবে সে আল্লাহকে কমই স্মরণ করতে পারে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৪৪৩, মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫১৪; আবু দাউদ, হা/৪১৩; তিরমিযী, হা/১৬০; নাসাঈ, হা/৫১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২০১৮।]

উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসসমূহে মুনাফিকদের নামাযের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা হলো :

১। তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন অলসভাবে দাঁড়ায়। তাদের ঈমান, নিয়ত কিছুই সঠিক থাকে না এবং তারা আল্লাহকে ভয় করে না।

২। তারা নামাযের মধ্যে আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। নামাযের মধ্যে কী পড়ছে তা কিছুই বুঝে না। তাদের নামাযে মনোযোগ থাকে না।

৩। তারা নামাযের আরকান-আহকাম, রুকূ-সিজদা সঠিকভাবে আদায় করে না; বরং কাকের মতো কয়েকটা ঠোকর মেরে নামাযের দায় থেকে মুক্ত হতে চায়। তাদের নামাযে স্থিরতা থাকে না।

৪। তাদের নামাযে ইখলাস থাকে না, তারা লোক দেখানো নামায আদায় করে। মানুষের সামনে নিজেদেরকে নামায আদায়কারী হিসেবে তুলে ধরাই হলো তাদের নামাযের উদ্দেশ্য।

৫। তারা এশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হতে খুবই কষ্টবোধ করে এবং বিভিন্ন ধরনের তাল-বাহানা করে থাকে।

৬। তারা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে একেবারে ওয়াক্তের শেষ সময়ে নামায আদায় করে।

৭। তারা স্বাভাবিক থেকে সামান্য অথবা অনেক দ্রুত নামায আদায় করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন