hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বেনামাযীর পরিণতি

লেখকঃ মোঃ আবদুর রহমান

বেনামাযীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ
বেনামাযীর সংখ্যা এত বেশি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন-

১. বেনামাযীর সংজ্ঞা-ই অনেকে জানে না।

২. অনেক মানুষ নামাযের গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝে না।

৩. নামায আদায় করার লাভ ও উপকারিতা যেভাবে উল্লেখ করা হয় তার বিপরীতে বেনামাযীর মারাত্মক ক্ষতি ও ধ্বংসাত্মক পরিণতির কথা তেমনভাবে উল্লেখ করা হয় না। অথচ উপকার অর্জনের চেয়ে অপকার ও ক্ষতি দমনে মানুষ বেশি তৎপর হয়ে থাকে।

৪. নামায পরিত্যাগকারীর কিছু পরকালীন ক্ষতি ও পরিণতি উল্লেখ করা হলেও ইহকালীন তথা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কী কী ক্ষতি ও পরিণতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা উল্লেখ করা হয় না।

৫. হাদীসের পরিপন্থী কিছু নিয়ম-কানুন ঢুকিয়ে নামাযকে কঠিন করা হয়েছে। যেমন- ওযুতে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করার সময় নির্দিষ্ট দু‘আ পড়া, বিভিন্ন নামাযের নিয়ত পড়া ইত্যাদি। এ ধরনের নিয়তগুলো অনেকেরই মুখস্থ নেই বিধায় তারা নামায পড়ে না।

৬. অনেকের নামায আদায়ের ইচ্ছা থাকলেও নিয়ম-কানুন ও সূরা কিরাআত না জানার কারণে তারা নামায আদায় করে না।

৭. নামায ত্যাগ করার যে শাসিত্ম ও পরিণতির কথা এসেছে তা কেবল ফরয নামাযের ব্যাপারেই। কিন্তু আমাদের সমাজের অনেকে ফরয ও সুন্নাতের শব্দগত পার্থক্য করে থাকলেও আমলের ক্ষেত্রে উভয় প্রকার নামাযকে সমানভাবে গুরুত্বারোপ করে উপস্থাপন করে থাকেন। ফলে একজন ব্যক্তি মনে করে যে, সে যত ব্যসত্মই হোক না কেন এবং যত চাপের মধ্যেই থাকুক না কেন, যুহরের নামাযের জন্য মসজিদে ঢুকলে ফরযের পূর্বে ৪ রাকআত, ফরয ৪ রাকআত, ফরযের পর ২ রাকআত- এই মোট ১০ রাকআত নামায না পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। তাই সময় না থাকায় বা এতগুলো রাকআতের ঝামেলায় সে নামাযই আদায় করে না। অথচ শুধু ফরয ৪ রাকআত পড়ে বের হয়ে গেলেই সে নামায পরিত্যাগের শাসিত্ম ও ক্ষতি থেকে মুক্ত হতে পারত।

৮. সূরা আনকাবূত এর ৪৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘‘আর নামায কায়েম করো, নিশ্চয় নামায গর্হিত ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’’ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়ে থাকে, যে ব্যক্তি নামায পড়েও অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকে না তার নামায হয় না। ফলে যারা বিভিন্ন গুনাহের কাজে জড়িত রয়েছে তারা নিরুৎসাহিত হয়ে নামায আদায় করে না। অথচ নামায আদায়কারী ব্যক্তির দ্বারাও গুনাহ হতে পারে। যার কিছু গুনাহ নামাযের মাধ্যমেই মাফ হয়ে যায়।

৯. অনেকেই বালেগ হওয়ার পর বহু বছর নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যখন তাদের ভুল বুঝতে পেরে নিয়মিত নামায পড়ার নিয়ত করে, তখন এক শ্রেণির আলেম তাদেরকে উমরী ক্বাযা তথা বালেগ হওয়ার পর থেকে ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা আদায় করার ফতওয়া দেন। ফলে ঐ ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা হতে নিরাশ হয়ে যায়। অথচ কাযা হলো গ্রহণযোগ্য কারণবশত হঠাৎ ১/২ ওয়াক্ত ছুটে গেলে সেটা তৎক্ষণাৎ পড়ে ফেলতে হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি কোনদিন নামাযই আদায় করেনি অথবা কোন ওয়াক্ত পড়েছে ও কোন ওয়াক্ত বাদ দিয়েছে তার কোন হিসাব নেই, ঐ ব্যক্তি তাওবা করে নিয়মিতভাবে সেদিন থেকে পূর্ণ পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করলেই যথেষ্ট হবে।

মূলত এসব কারণেই আমাদের সমাজে বেনামাযীর সংখ্যা এত বেশি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন