hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাজদা থেকে (বসার পর) উঠার পদ্ধতি

লেখকঃ মুহাম্মাদ আলী খাসখিলি

১১
মাজহুল ও সদুক্ব রাবী সম্পর্কে আরো আলোচনা
ইলমুল মুসতালাহ’র ক্ষেত্রে এ ধরনের রাবী (যার থেকে একটি জামাআত বর্ণনা করেছেন, কিন্তু কেউই তার ব্যাপারে জারাহ ও তা‘দিল উল্লেখ করেননি) তাকে মাজহুলুল হাল বলা হয়। যেমন হাফেয ইবনে হাজার (রহ) অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘মাসতুর’ বলেছেন। [শরহে নুখফাতুল ফিকার লিইবনে হাজার পৃ. ১০০-০১ (বৈরুত ছাপা), তাইসিরু মুসতালাহুল হাদীস লি ড. মাহমুদ তহহান পৃ. ১২০ প্রভৃতি]

আবার ‘মাসতুর’ রাবী সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) বলেছেন:

وقد قبل روايته جماعة من غير قيد، وردها الجمهور، قال ابن حجر : « والتحقيق أن رواية مستور الحال ونحوه مما فيه احتمال العدالة وضدها لا يطلق القول بردها ولا بقبولها، بل يقال هي موقوفة إلى استبانة حاله

“বর্ণিত বর্ণনার ভিত্তিতে একটি জামাআত কোনো শর্ত ছাড়াই এ ধরনের হাদীস গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু জুমহুর মুহাদ্দিস একে খণ্ডন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে মাসতুর রাবীর হাদীস না গ্রহণ করা যাবে, আর না বাতিল করা যাবে। বরং এক্ষেত্রে চুপ (মওকুফ) [. উল্লেখ্য যে, মওকুফ দ্বারা – মারদুদ উদ্দেশ্য। [শরহে নুখবাতুল ফিকার পৃ. ২০]] থাকতে হবে, যতক্ষণ না তার অবস্থা জানা যায়। [শরহে নুখফাতুল ফিকার লিইবনে হাজার পৃ. ১০০-০১]

সর্বোপরি অধিকাংশ আহলে হাদীস ইমাম (যেমন- ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমাদ প্রমুখ (রহ)) মাজহুলুল হাল ও মাসতুর রাবীর বর্ণনাকে রদ করেছেন। [ক্বওয়ায়িদ ফি উলুমুল হাদীস পৃ. ২০৩, তাইসিরু মুসতালাহুল হাদীস পৃ. ১২, নুযহাতুন নাযার পৃ. ৮৭, তাদরিবুর রাবী পৃ. ৩১৬-১৭]

হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ইসহাক্ব বিন সালিমকে মাজহুলুল হাল বলেছেন। ইমাম আলবানী (রহ) এই উদ্ধৃতি দেয়ার পর বলেছেন: والمجهول لا يحتج بحديثه بحال ‘মাজহুলের হাদীস হুজ্জাত নয়, তার ঐ অবস্থার ভিত্তিতে।’ [তামামুল মিন্নাহ পৃ. ৩৪৭]

সারসংক্ষেপ হলো, উসূলে হাদীসের আলোকে যেসব রাবীকে মাজহুলুল হাল গণ্য করা হয়, সে সব রাবীর তাওসিক্ব মাক্ববুল না হওয়া পর্যন্ত- তার বর্ণনা মারদুদ (প্রত্যাখাত) বলে গণ্য হয়। কেবল সিক্বাহ রাবীদের থেকে বর্ণনা করার জন্য সে সিক্বাহ বা সদুক্ব রাবীতে পরিণত হয় না। কেননা বড় বড় ইমাম যেমন– ইমাম শু‘বাহ (রহ), সুফিয়ান সওরি (রহ) প্রমুখও মাজহুলদের থেকে বর্ণনা করেছেন (দ্র: মা‘রেফাতে উলুমুল হাদীস লিলহাকিম পৃ. ১১৬)। সেক্ষেত্রে কি ঐ সব মাজহুল রাবীদেরকে সিক্বাহ ও সদুক্ব হিসেবে গণ্য করা হবে? আরো দেখুন: ‘তাদরিবুর রাবী লিসসুয়ূতি’ (১/৩১৪)।

হাদীস সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে উসূলে হাদীসের একটা স্বতঃসিদ্ধ নীতি এই যে, রাবী আদালত ও যবত প্রসিদ্ধ হতে হবে। [শরহে নুখবাহ পৃ. ২৯-৩০, তাক্বরিব মাআ তাদরিব লিননওয়াবি ১/৬৩, আল-ফিয়াতুল হাদীস লিলইরাক্বি পৃ. ১৬, মুক্বাদ্দামাহ ইবনুস সালাহ পৃ. ৭-৮ প্রভৃতি]

এই বিষয়টি ইমাম আলবানী (রহ)-ও গ্রহণ করেছেন। [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/৩২৮, আত-তাওয়াসসুল আনওয়ায়ুহু ওয়া আহকামাহু পৃ. ১২০]

এরপরেও এমন রাবী যার আদল ও যবত মাজহুল এবং তার তাদলিস, ইরসাল, ইখতিলাত প্রভৃতি জ্ঞাত। সেক্ষেত্রে তার বর্ণনা কীভাবে সহীহ বা হাসান হতে পারে? আর সেই রাবীকে কীভাবে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ বলা যাবে?

ইমাম আলবানী (রহ) কর্তৃক এমন রাবীকে সদুক্ব [. সদুক্ব : সদুক্ব রাবীর বর্ণনা সম্পর্কে হুকুম হলো : فهو ممن يكتب حديثه وينظر فيه ‘এ ধরনের রাবীর হাদীস লেখা যাবে এবং তার ব্যাপারে নযর থাকবে (গবেষণা করতে হবে)।’ [জারাহ ওয়াত তা‘দিল ২/৩৭]ড. মাহমুদ তাহহান এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন : أي يختبر ضبطهم بعرض حديثهم على أحاديث الثقات الضابطين؛ فإن وافقهم احتج بحديثه وإلا فلا، فظهر من ذلك أن من قيل فيه : " صدوق " من الرواة لا يحتج بحديثه قبل الاختبار، وقد أخطأ من ظن أن من قيل فيه : " صدوق " فحديثه حسن؛ لأن الحسن يحتج به، هذا ما عليه اصطلاح أئمة الجرح والتعديل . أما الحافظ ابن حجر، فقد يكون له اصطلاح خاص في كتاب " تقريب التهذيب " بالنسبة لكلمة " صدوق " والله أعلم “সার-সংক্ষেপ হলো, সদুক্ব রাবীর বর্ণনা যদি সিক্বাহ-যবত রাবীর পরিপূরক হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে অন্যথায় না। অর্থাৎ সদুক্ব রাবীর বর্ণনা প্রকৃতপক্ষে গ্রহণযোগ্য না। যারা সদুক্ব রাবীর বর্ণনাকে হাসান বলেছেন, তারা ভুলের মধ্যে আছেন। তবে ‘তাক্বরিবুত তাহযিবে’ হাফেয ইবনে হাজার (রহ) কর্তৃক রাবীদেরকে ‘সদুক্ব’ বলাটা তাঁর নিজস্ব পরিভাষা। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।” [তাইসিরু মুসতালাহুল হাদীস পৃ. ১৫২]এই ব্যাখ্যা থেকে হায়সাম বিন ইমরানের মর্তবা ও অবস্থান সুস্পষ্ট হয়।] বলাটা উসূলে হাদীসের বিরোধী। কেননা উসূলে হাদীসে ‘সদুক্বের’ যে সঙ্গা দেয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ:

“এই শব্দটি (তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) যে রাবীর তা‘দিলের ব্যাপারে প্রমাণ দেয়, কিন্তু যবতের প্রমাণ দেয় না। যেমন বলা হয় – সদুক্ব, মাহাল্লুহুস সিদক্ব, লা বা’সুন বিহি প্রভৃতি– এমন রাবীকে সদুক্ব বলে।” [তাইসিরু মুসতালাহুল হাদীস পৃ. ১৫১, তাক্বরিব মাআ তাদরিব ১/৩৪৩, মুক্বাদ্দামাহ ইবনুস সিলাহ পৃ. ৫৮]

সুতরাং উসূলে হাদীসের আলোকে ইমাম আলবানী (রহ) কর্তৃক এমন রাবীকে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে যখন জারাহ ও তা‘দিলের ইমামগণ এ ধরনের রাবী সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন