মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মাক্ববুল রাবীকে সদুক্ব গণ্য করাতে শায়েখ আলবানীর (রহ) আপত্তি
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/87/13
যদি ইমাম আলবানী (তাঁর নিজস্ব চিন্তা) ইমাম যাহাবী (রহ)-এর উক্তির আলোকে সমস্ত রাবীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন। সেক্ষেত্রে (একই বৈশিষ্ট্যের) ঐ সমস্ত বর্ণনার কী হবে, যা ইমাম আলবানী (রহ) জারাহ করেছেন এবং তাওসিক্ব না থাকার কারণে যঈফ হিসেবে গণ্য করেছেন? এর কয়েকটি উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১) ইবরাহিম বিন আব্দুল্লাহ বিন হারিস আল-জামহা: তিনি ঐ সব রাবীর অন্তর্ভুক্ত, যাদেরকে ইমাম আলবানী (রহ) নিজের নিয়মকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে উদাহরণে হিসেবে পেশ করেছেন। [পূর্বে ‘তামামুল মিন্নাহ’ সূত্রে উল্লিখিত ৪ নং রাবী]
এই রাবী সম্পর্কে ইমাম আলবানী (রহ) লিখেছেন:
قلت : وهو ابن عبد الله بن الحارث بن حاطب الجمحي، ترجمه ابن أبي حاتم (١ / ١١٠ / ١ ) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا
“আমি (আলবানী) বলছি: তিনি ইবনে আব্দুল্লাহ বিন হারিস বিন হাতিব আল-জামহা। ইবনে হাতিম (১/১১০/১) তাঁর ‘তরজমাতে’ তিনি তার সম্পর্কে না জারাহ করেছেন, আর না তা‘দিল করেছেন।”
অতঃপর ইমাম যাহাবী (রহ)-এর উক্তি: ما علمت فيه جرحا ‘তার জারাহ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’ –এর জবাবে লিখেছেন:
قلت : فقد يقال فهل علمت فيه توثيقا؟ فإن عدم الجرح لا يستلزم التوثيق كما لا يخفى
“আমি (আলবানী) বলছি: সেক্ষেত্রে (জবাবে) বলা হবে, তোমরা কি তার ব্যাপারে তাওসিক্ব জানো? তার জারাহ না থাকাটা তাওসিক্ব হওয়াটা বাধ্যতামূলক হয় না। (এ নিয়মটি) অস্পষ্ট নয়।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/৩২১ হা/৯২০]
সুবহানাল্লাহ! আমরাও এটিই বলছি। এ ধরনের রাবী কীভাবে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ হতে পারে, যখন তার তাওসিক্বই নেই।
স্বয়ং আলবানী (রহ) ইবরাহিম বিন আব্দুল্লাহর বর্ণনাকে যঈফ হিসেবে গণ্য করেছেন। [সিলসিলাহ যঈফাহ হা/৯২০, তাহক্বীক্ব তিরমিযী হা/২৭২, যঈফ জামে‘ সগির পৃ. ৯০৪ হা/২৬২৫]
অথচ এক্ষেত্রে ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) ও হাফেয ইবনে হাজার (রহ)-এর ‘তাওসিক্ব’ গ্রহণ করেননি।
২) আবু তালহা আসদা: তার থেকে পাঁচ জন সিক্বাহ রাবী বর্ণনা করেছেন: (তাহযিবুত তাহযিব: ১২/১৫৪)
ক) আব্দুল মালিক বিন উমাইর – সিক্বাহ, ফক্বিহ, পরবর্তী কালে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, সম্ভবত তাদলিসকারী। [তাক্বরিব: ২১৯]
ইমাম আলবানী (রহ)-এর নিয়ম মোতাবেক এই রাবী ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ হয়। কেননা তার থেকে সিক্বাহ রাবীদের একটি জামাআত বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম ইবনে হিব্বান তাঁকে ‘কিতাবুস সিক্বাতে’ (৫/৫৪৩) উল্লেখ করেছেন।
অথচ এক্ষেত্রে ইমাম আলবানী (রহ) নিজের নিয়মটি থেকে মুখ ফিরিয়ে ইমাম ইরাক্বি (রহ)-এর উক্তি ‘এর সনদ জাইয়েদ’-কে খণ্ডন করে বলেছেন:
قلت : كلا ، فإن أبا طلحة الأسدى لم يوثقه أحد . وفى (( التقريب )) للحافظ ابن حجر إنه : (( مقبول )) ، يعنى عند المتابعة ، وإلا فلين الحديث
“আমি (আলবানী) বলছি: এটা কখনোই (জাইয়েদ) নয়। কেননা আবু তালহাহ আসদা’র কোনো তাওসিক্ব নেই। আর ইবনে হাজার (রহ) ‘তাক্বরিবে’ তাঁকে ‘মাক্ববুল’ বলেছেন, তথা মুতাবাআতের শর্তে উল্লেখ করেছেন। অন্যথায় সে লাইয়িন (যঈফ)।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ১/২১২]
তা ছাড়া তিনি তার বর্ণনাকে ‘তাহক্বীক্ব মিশকাত’ (৩/১৪৩২ হা/৫১৮৪) ও ‘যঈফ জামে সগিরে’ (১২৩০) যঈফ গণ্য করেছেন।
৩) সালামাহ বিন বিশর বিন সায়ফি আশ-শামি দামেশকি: ইমাম আলবানী (রহ) তার সম্পর্কে লিখেছেন,
مجهول الحال ولم يوثقه غير بن حبان
“মাজহুলুল হাল, ইবনে হিব্বান ছাড়া কেউ তাঁকে সিক্বাহ গণ্য করেননি।” [গায়াতুল মারাম পৃ. ১৮৭]
অথচ সালামাহ বিন বিশর থেকে পাঁচ জন গ্রহণযোগ্য রাবী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা হলেন:
উক্ত চারজনের বিস্তারিত বিবরণের জন্য দেখুন ‘তাহযিবুত তাহযিব’ (৪/১২৫)।
ঙ) আব্দুর রহমান বিন নাফে‘ …। [জারাহ ওয়াত তা‘দিল ৪/১৫৭]
ইমাম আবু যুরআহ (রহ) আব্দুর রহমান বিন নাফে‘-কে সদুক্ব বলেছেন। [জারাহ ওয়াত তা‘দিল ৫/২৯৪]
আলোচ্য রাবী সালামাহ বিন বাশারকে ইবনে হিব্বান সিক্বাহ গণ্য করেছেন। [তাহযিব ৪/১২৫]
অদ্ভুত মিল: হায়সাম বিন ইমরান থেকেও পাঁচ জন সিক্বাহ সদুক্ব রাবী বর্ণনা করেছেন। আবার সালামাহ বিন বিশর থেকেও পাঁচ জন রাবী বর্ণনা করেছেন। এছাড়া উভয়কেই ইবনে হিব্বান সিক্বাহ বলেছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, শায়েখ আলবানী (রহ) সালামাহ বিন বিশরকে ‘মাজহুলুল হাল’ বলেছেন। পক্ষান্তরে হায়সামকে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ গণ্য করেছেন। এ ধরনের অদ্ভুত নিয়ম সম্পর্কে আমরা জ্ঞাত নই, আল্লাহই সর্বজ্ঞ। যখন কোনো নিয়ম হবে, তখন তো সেটা সবার জন্য একই নিয়ম হবে। বিভিন্ন হবে না (তা হলে তাঁকে নিয়ম বলা যায় না)।
৪) আহমাদ বিন আইয়ুব বিন রাশিদ আল-বসরি: তাঁর থেকে সিক্বাহ রাবীদের একটি জামাআত বর্ণনা করেছেন। আবার ইবনে হিব্বান (রহ)-ও তাঁকে সিক্বাহ গণ্য করেছেন। [বর্ণনা পূর্বে গত হয়েছে]
কিন্তু ইমাম আলবানী (রহ) তাঁকে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ বলার পরিবর্তে বলেছেন:
لم أجد من صرح بتضعيفه من الأئمة المتقدمين ، و لا من وثقه منهم ، نعم أورده ابن حبان في " الثقات " و قال : " ربما أغرب " ، و هذا ليس بجرح كما أن إيراده إياه في " الثقات " ليس بتوثيق معتمد ، كما سبق التنبيه عليه مرارا ، فالحق أن الرجل في عداد مجهولي العدالة ، و لذلك لم يوثقه الحافظ في " التقريب " و لم يضعفه ، بل قال فيه " مقبول " إشارة إلى ما ذكرته . و الله أعلم
“আমি জানি না, পূর্ববর্তী ইমামদের মধ্যে কেউ তাঁকে স্পষ্টভাবে যঈফ বা সিক্বাহ গণ্য করেছেন। অবশ্য ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁকে ‘সিক্বাতে’ উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন: ‘সে কখনও কখনও যঈফ হাদীস বর্ণনা করতো।’ কিন্তু এটা কোনো জারাহ নয়। তেমনি ইবনে হিব্বানের ‘সিক্বাতে’ উল্লেখ করাটাই তাওসিক্বের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। যেভাবে অনেকবার এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। হক্ব সিদ্ধান্ত হলো, এই রাবী ‘মাজহুলুল আদালত’ সম্পন্ন। এ কারণে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ‘তাক্বরিবে’ না তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন, আর না যঈফ বলেছেন। বরং মাক্ববুল বলাটা সেদিকে (মাজহুলুল আদালত) ইশারা করে, যা আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি, আল্লাহই সর্বজ্ঞ।” [সিলসিলাহ সহীহাহ ২/২৭ হা/৫৪৯]
যখন হক্ব এটাই যে, এ ধরনের রাবী যার থেকে ইমাম বুখারী, আবু যুরআহ, আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন হাম্বল (রহ) প্রমুখ হাফিযুল হাদীস ইমামগণ বর্ণনা করেছেন, এরপরেও তারা ‘মাজহুলুল আদালত’ সম্পন্ন। সেক্ষেত্রে হায়সাম বিন ইমরানের অবস্থার আর কী অবশিষ্ট থাকে?!
৫) মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আলী বিন আবু তালিব: তার থেকে রাবীদের একটি জামাআত বর্ণনা করেছেন। যেমন–
ঝ) মুহাম্মাদ বিন মুসা আল-কালমাবি - হাফেয ইবনে হাজার (রহ) তাঁকে সদুক্ব [. কিন্তু আমাদের (মূল লেখকের) তাহক্বীক্ব মোতাবেক সে সিক্বাহ। তাঁকে অনেক সংখ্যক ইমাম সিক্বাহ গণ্য করেছেন। সম্ভবত হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ইমাম আবু হাতিম (রহ)-এর উপর ভিত্তি করে তাঁকে সদুক্ব বলেছেন। [তাহযিব ৯/৪২৩-২৪] তা ছাড়া তার থেকে আব্দুর রহমান বিন মাহদিও বর্ণনা করেছেন। আর এ কথা প্রসিদ্ধ যে, তিনি সিক্বাহ রাবী ছাড়া বর্ণনা করতেন না। [তাহযিব ২/২৫২, তাদরিব ১/৩১৭, ক্বওয়ায়িদ ফি উলুমুল হাদীস লিত-তাহতাভি পৃ. ২০৬, ২১৬, ফতহুল মুগিস লিসসাখাভি ১৩৪ পৃ., লিসানুল মিযান ১/৫১ প্রভৃতি]অর্থাৎ এই রাবী আব্দুর রহমান বিন মাহদির কাছে সিক্বাহ। উল্লেখ্য যে, সাধারণভাবে মুহাদ্দিসগণের অনেকে যেমন : ইমাম আহমাদ, … মালেক, শু‘বাহ, সুলায়মান বিন হারাব প্রমুখ আমাদের জন্য এভাবে বলেছেন যে, لا يروي إلا عن ثقة ‘সে সিক্বাহ ছাড়া বর্ণনা করেনি।’ এর দ্বারা রাবীকে সামগ্রিকভাবে সিক্বাহ গণ্য করা হয় না। বরং সে ঐ মুহাদ্দিসদের নিকট সিক্বাহ। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।] বলেছেন। [তাক্বরিব: ৩২০ পৃ.]
অর্থাৎ মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আলী থেকে ছয়জন গ্রহণযোগ্য রাবী বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া ইমাম যাহাবী (রহ) তাঁকে সিক্বাহ ও হাফেয ইবনে হিব্বান (রহ) ‘সদুক্ব’ বলেছেন। [. ইমাম আলবানী (রহ) যদিও দশ জন রাবীর সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার ও ইমাম যাহাবী (রহ) এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন। আমরাও তেমনি আলোচ্য রাবীর ক্ষেত্রে তাঁদের উদ্ধৃতি উল্লেখ করলাম। কিন্তু উসূলে হাদীস ও জারাহ ও তা‘দিলের নিয়মের ক্ষেত্রে এর গ্রহণযোগ্যতার কী আসে যায়।] [কাশিফ ২/২০৫, তাক্বরিব ৩১২ পৃ.]
তা ছাড়া ইমাম হাকিম (রহ) তাঁর হাদীসকে সহীহ বলেছেন ও যাহাবী (রহ) তাঁর সমর্থন করেছেন। [আল-মুস্তাদরাক ১/৪৩৬]
অথচ ইমাম আলবানী (রহ) সমস্ত কথাতে বাধ্যতামূলকভাবে বলেছেন:
قلت : وفي هذا نظر، لأن محمد بن عمر بن علي ليس بالمشهور، وقد ترجمه ابن أبي حاتم ( ٨١ / ١٨ /١/٤) ولم يذكر فيه جرحاً ولا تعديلاً . وأما ابن حبان فذكره في " الثقات " على قاعدته ...
“আমি (আলবানী) বলছি: এতে নযর (আপত্তি) আছে। কেননা মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আলী প্রসিদ্ধ নন। ইবনে আবু হাতিম (৪/১/১৮/৮১) তার জীবনী আলোচনা করে না জারাহ করেছেন, আর না তা‘দিল করেছেন। আর ইবনে হিব্বান তাঁর নিয়মানুযায়ী ‘সিক্বাতে’ উল্লেখ করেছেন।…”
অতঃপর ইবনুল ক্বত্তানের স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করার পর লিখেছেন: وهذا الذي يميل القلب اليه لجهالة “তার দুর্বল হওয়ার দিকেই হৃদয় ধাবিত হচ্ছে, মাজহুল হওয়ার কারণে।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ৩/২১৯ হা/১০৯৯]
অর্থাৎ ইমাম আলবানী (রহ) এক্ষেত্রে তাঁর আলোচ্য উসূলটি গ্রহণ করেননি।
৬) আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আবু তালিব: এই রাবী সম্পর্কে আলোচ্য পুস্তিকাটিতে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন – আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, ইবনে আবি ফাদিক, আবু উসামাহ প্রমুখ সিক্বাহ সদুক্ব রাবী। ইমাম ইবনে হিব্বান তাঁকে সিক্বাহ এবং ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি (রহ) তাঁকে وسط ‘মধ্যপন্থী’ [. وسط (মধ্যপন্থী) – তাওসিক্বের বাক্য। যেমনটা ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি অধিকাংশ রাবীদের ক্ষেত্রে বলেছেন। বিস্তারিত দেখুন : সুওয়ালাতে মুহাম্মাদ বিন উসমান বিন আবি শায়বাহ লিআলী ইবনুল মাদিনি ফিল জারাহ ওয়াত তা‘দিল (নং : ৩, ১২, ২৬, ৬১, ৮৩, ১০২, ১০৮, ১৭৪, ১৯৮, ২৬০)।হাফেয যাহাবী (রহ) ও অন্যরা ‘ وسط ’-কে তাওসিক্বের ঐ স্তরের গণ্য করেছেন, যার মধ্যে ‘মুহাল্লুহুস সাদিক্ব’, ‘জাইয়েদুল হাদীস’, ‘সালেহুল হাদীস’, ‘হাসানুল হাদীস’ প্রভৃতি উল্লেখ করেছেন। [মুক্বাদ্দামাহ মিযানুল ই‘তিদাল লিযযাহাবী ১/৪, তাদরিবুর রাবী ১/৩৬৫, রাফিউত তাকমিল পৃ. ১৩৮-৩৯, ক্বওয়ায়েদ ফি উলুমুল হাদীস পৃ. ২৪৯ প্রভৃতি]] বলেছেন। [তাহযিব: ৬/১৬]
আর ইমাম যাহাবী (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [কাশিফ ১/৫৯৫]
ইমাম হাকিম তাঁর সনদকে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী তাঁর সমর্থন করেছেন। [মুস্তাদরাক ১/৪৩৬ সূত্রে সিলসিলাহ যঈফাহ ৩/২১৯]
অথচ ইমাম আলবানী (রহ) উক্ত তাওসিক্বগুলো অগ্রাহ্য করে বলেছেন:
وفيه علة أخرى، وهي أن عبد الله بن محمد بن عمر حاله نحو حال أبيه، لم يوثقه غير ابن حبان …
“(হাদীসটির সনদের) অপর একটি ত্রুটি হলো, আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন উমারের অবস্থা তার পিতার অবস্থার মতন (মাজহুল)। ইবনে হিব্বান (রহ) ছাড়া কেউ তাঁকে সিক্বাহ বলেননি।…” [সিলসিলাহ যঈফাহ ৩/২২০ হা/১০৯৯]
এখনও কি নীতিটিকে গ্রহণযোগ্য বলা যাবে?
৭) মুসা বিন আবু উসমান আত-তিবান: তিনি আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ’র রাবী। ইমাম বুখারী (রহ) তাঁর থেকে তা‘লিক্ব হাদীস বর্ণনা করেছেন। [সহীহ বুখারী – কিতাবুন নিকাহ بَاب لَا تَأْذَنِ الْمَرْأَةُ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا لِأَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِهِ (হা/৫১৯৬-এর পূর্বের অনুচ্ছেদের তা‘লিক্ব বর্ণনা), বিস্তারিত: তাহযিব: ১০/৩২১]
মুসা বিন উসমান থেকে বর্ণনা করেছেন – আবু যিনাদ (আব্দুল্লাহ বিন যাকওয়ান), মালিক বিন মুগাওওয়াল, শু‘বাহ, সুফিয়ান সওরি (রহ)। [তাহযিব ১০/৩২১, তারিখুল কাবির ৭/২৯০] উক্ত চার জনই জবরদস্ত সিক্বাহ।[তাক্বরিবুত তাহযিব পৃ. ৭৩, ১৭২, ৩২৭, ১৪৫, ১২৮ (ক্রমানুসারে)]
তা ছাড়া ইমাম যাহাবী (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন এবং ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) ‘কিতাবুস সিক্বাতে’ উল্লেখ করেছেন। [কাশিফ ২/৩০৬, তাহযিব ১০/৩২১]
এরপরেও ইমাম আলবানী (রহ) মুসা বিন উসমানকে মাজহুল বলে সনদকে যঈফ গণ্য করেছেন। [সিলসিলাহ সহীহাহ ৪/৬৩]
৮) মুহাজির বিন আবু মুসলিম শামি: তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন – ইমাম বুখারী (আদাবুল মুফরাদে), আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ। তা ছাড়া চার জন গ্রহণযোগ্য রাবী যেমন– আমর বিন মুহাজির (সিক্বাহ), মুহাম্মাদ বিন মুহাজির (সিক্বাহ), মুআবিয়াহ বিন সালিহ আল-খাযরামি (সদুক, ভুল করতেন) এবং ওয়ালিদ বিন সুলায়মান বিন আবু সাইব (সিক্বাহ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [তাহযিব ১০/২২৮, তাক্বরিব পৃ. ২৬৩, ৩২০, ৩৪১ ক্রমানুসারে]
উক্ত সিক্বাহ রাবীগণের তাঁর থেকে বর্ণনা করা এবং ইবনে হিব্বান (রহ) কর্তৃক সিক্বাহ বলা সত্ত্বেও ইমাম আলবানী (রহ) এই রাবীকে না ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ বলেছেন। আর না তার হাদীসকে হাসান বা সহীহ বলেছেন। বরং এর বিপরীতে তিনি বলেছেন:
قلت : هذا إسناد ضعيف من اجل المهاجر هذا فانه مجهول حال ترجمة ابن ابي حاتم في كتابه ...
“আমি (আলবানী) বলছি: এই সনদটি মুহাজিরের জন্য যঈফ। কেননা সে মাজহুলুল হাল। ইবনে আবু হাতিম (রহ) নিজের কিতাবে (৪/১/২৫৯-৬০) তার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনো জারাহ বা তা‘দিল করেননি। আর ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁর অভ্যাসবশত তাঁকে সিক্বাহ গণ্য করেছেন। একইভাবে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) তাঁকে মাক্ববুল বলেছেন তথা মুতাবাআতের শর্তে। অন্যথায় সে লাইয়িনুল হাদীস। আর আমি তার মুতাবি‘ পায়নি। সুতরাং হাদীসটি যঈফ।” [গায়াতুল মারাম ১৫২ পৃ.]
এ ছাড়া ইমাম আলবানী (রহ) তার হাদীস যঈফ আবু দাউদে পৃ. ৩৮৩-৮৪ হা/৮৩৫, ইবনে মাজাহ পৃ. ১৫৩ হা/৪৩৭-তেও যঈফ বলেছেন।
৯) আমর বিন মালিক নুকরি [. আমর বিন মালিক নুকরি সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ইমাম ইবনে হিব্বান থেকে يخطي ويغرب ‘ভুলকারী ও গরীব বর্ণনাকারী’ শব্দ উল্লেখ করেছেন। (তাহযিব : ৮/৮৫) আর সম্ভবত এ কারণে ‘তাক্বরিবে’ (২৬২ পৃ.) ‘তার ভুল হতো’ বলেছেন। কিন্তু আমি ‘কিতাবুস সিক্বাতে’র প্রকাশিত সংস্করণে উক্ত শব্দ পায়নি। বরং এই শব্দটি আমর বিন মালিক আর-রাসিবি সম্পর্কে উল্লেখ হয়েছে। [কিতাবুস সিক্বাত ৭/২২৮, তাহযিব ৮/৮৪] সুতরাং হাফেয ইবনে হাজারের (রহ) তাঁর সম্পর্কে ‘তার ভুল হতো’ বলাটা সঠিক নয়। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।জ্ঞাতব্য : জনাব হাফেয আব্দুর রউফ ‘হাদীসে ইবনে আব্বাস ’-এর তাখরিজে আমর বিন মালিক আন-নুকরি সম্পর্কে বলেছেন : ইবনে আদি (রহ) তাকে মুনকারুল হাদীস ও হাদীস-চোর বলেছেন। [কামেল লিইবনে আদি ৫/৭৯, ফালাহ দারাইন লিহাকিম বিন মুহাম্মাদ আশরাফ সিন্ধি পৃ. ৪৪] উল্লেখ্য যে, ইবনে আদি (রহ)-এর উক্ত জারাহ হাফেয ইবনে হাজার (রহ) আমর বিন মালিক আর-রাসিবি’র তরজমা (বিবরণ)-এ উল্লেখ করেছেন। আর আমর বিন মালিক নুকরি সম্পর্কে ভুল হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। ইমাম ইবনুল আজমিও উক্ত জারাহ আমর বিন মালিক আর-রাসিবি’র তরজমাতে উল্লেখ করেছেন। [তাহযিব ৮/৮৪, হাশিয়াহ আল-কাশিফ লি… ইবনুল আজমি বিতাহক্বিক্ব মুহাম্মাদ আওয়ামাহ ও আহমাদ মুহাম্মাদ নামারুল খতিব ৬/৮৭, লিসানুল মিযান ৪/৩৭৪ পৃ. নং: ১১০৭]সুতরাং আমর বিন নুকরি উক্ত জারাহ থেকে মুক্ত। আল্লাহই সর্বজ্ঞ]: তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন– তাঁর ছেলে ইয়াহইয়া (যঈফ), নুহ বিন ক্বায়েস (সদুক্ব, … শিয়া), মাহদি বিন মায়মুন (সিক্বাহ), সাঈদ বিন যায়দ (সদুক্ব, ভুল করতেন), হাম্মাদ বিন যায়েদ (সিক্বাহ সাবিত), মুখাল্লাদ বিন হুসাইন [. ‘তাহযিবে’ লেখা হয়েছে মুখাল্লাদ বিন হাসান, তিনি মাক্ববুল। কিন্তু আমর থেকে বর্ণনাকারী মুখাল্লাদ বিন হুসাইন হবেন (তাহযিব ১০/৬৫)। সম্ভবত তারা পৃথক ব্যক্তি। কিংবা এটাও হতে পারে যে, সে মুখাল্লাদ বিন হুসাইন। কিন্তু ভুলক্রমে মুখাল্লাদ বিন হাসান ছাপানো হয়েছে। সর্বোপরি মুখাল্লাদ বিন হুসাইনও আমর থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি সিক্বাহ।] (সিক্বাহ, ফাযিল), ইয়াযিদ বিন কা‘ব (মাজহুল), ইবাদ বিন ইবাদ (সিক্বাহ, ভুল করতেন), জা‘ফার বিন সুলায়মান বসরি (সদুক্ব, যাহিদ, …শিয়া) প্রমুখ। ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [তাহযিব ৮/৮৪-৮৫, তারিখে কাবির লিলবুখারী ৬/৩৭১, আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল ৬/২৫৯, তাক্বরিব পৃ. ৩৭৮, ৩৪৯, ১২২, ৮২, ৩৩১, ৩৮৪, ১৬৩, ৩৬০, ৩৪৯, ১২২, ৮২, ৩৩১, ৩৮৪, ১৬৩, ৫৫-৫৬]
অর্থাৎ আমর বিন মালিক থেকে সাত জন গ্রহণযোগ্য রাবী বর্ণনা করেছেন। তাঁকে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ‘সদুক্ব ও ভুলকারী’ বলেছেন। [তাক্বরিব: ২৬২]
আর হাফেয যাহাবী وثق [. ...(কোনো একটি বইয়ের নাম রয়েছে, যতটা বুঝা যায় নামটি হবে : التبيين ) –এর প্রথম সংস্করণে ‘সিক্বাহ’ লেখা হয়েছে। কিন্তু সহীহ হলো وثق হবে। ইমাম যাহাবী তাঁর ‘কাশিফে’ وثق শব্দটি সম্ভবত ঐ সমস্ত রাবীর ক্ষেত্রে বলেছেন, যাদেরকে ইমাম ইবনে হিব্বান সিক্বাহ বলেছেন। এ ধরনের রাবী সাধারণত ‘লাইয়িনুল হাদীস’ হয়ে থাকে। আর যদি মুতাবাআত থাকে, তা হলে ‘মাক্ববুল’ হবে।] বলেছেন। [কাশিফ ২/৮৭]
তা ছাড়া ইমাম মুনযিরি (রহ) ও ইমাম হায়সামি (রহ) তার হাদীসকে হাসান বলেছেন। [আত-তারগিব ওয়াত তারহিব ১/৩৮২, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/৪৮]
ইমাম আলবানী (রহ)-এর নিয়ম মোতাবেক এ ধরনের রাবীর মান কমপক্ষে ‘সদুক্ব’। অথচ এরপরেও তিনি (রহ) লিখেছেন:
قلت : و فيما قالاه نظر , فإن عمرا هذا لم يوثقه غير ابن حبان (٧/ ٢٢٨ ، ٨ / ٤٨٧ ) و هو متساهل في التوثيق حتى أنه ليوثق المجهولين عند الأئمة النقاد كما سبق التنبيه على ذلك مرارا , فالقلب لا يطمئن لما تفرد بتوثيقه …
“আমি (আলবানি) বলছি: তাঁরা দু’জন (ইমাম মুনযিরি ও ইমাম হায়সামি) যাকিছু (তথা ‘হাসান’) বলেছেন তাতে নযর (আপত্তি) আছে। কেননা এই আমরকে ইবনে হিব্বান (রহ) ছাড়া আর কেউ সিক্বাহ বলেননি। আর তিনি তাওসিক্ব বলা সম্পর্কে মুতাশাহিল (শিথিল)। এমনকি তিনি এমন রাবীদেরকে তাওসিক্ব করেছেন যারা বিশেষজ্ঞ ইমামদের নিকট মাজহুল। যেভাবে আমি পূর্বে বারবার উল্লেখ করেছি। সুতরাং ইবনে হিব্বানের একক তাওসিক্বে অন্তর শান্ত হয় না।…” [সিলসিলাহ যঈফাহ ১/১৩১, আরো দ্র: ইরওয়াউল গালিল ৩/২৫০, তামামুল মিন্নাহ পৃ. ১৩৮]
সম্মানিত পাঠক! ইনসাফের সাথে ভাবুন, যে রাবী সাত জন গ্রহণযোগ্য রাবী বর্ণনা করেছেন, যাকে ইমাম ইবনে হাজার (রহ) সদুক্ব বলেছেন। আবার ইমাম মুনযিরি (রহ) ও ইমাম হায়সামি (রহ) তার হাদীসকে হাসান বলেছেন। তাঁকে তাওসিক্বের ক্ষেত্রে ইমাম আলবানী (রহ)-এর অন্তর শান্ত হয় না। অথচ (সাজদা থেকে উঠার সময় মুষ্টির উপর ভর করার বর্ণনাকারী) হায়সাম বিন ইমরান – যাকে না হাফেয ইবনে হাজার সদুক্ব বলেছেন, আর না কোনো মুহাদ্দিস তার হাদীস হাসান বলেছেন, বরং তিনি একক বর্ণনাকারী হওয়াটা সুস্পষ্ট। কিন্তু শায়েখ আলবানী (রহ)-এর অন্তর তার তাওসিক্বের ব্যাপারে স্থিরচিত্ত। এমনকি তার হাদীসকে তিনি হাসান হিসেবে গণ্য করেছেন। বলুন এটা কি ইনসাফের!?
১০) আমর বিন আলা-ই আল-ইয়াশকুরি আল-বসরি: তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন – ইমাম ওয়াকি‘ (সিক্বাহ, হাফিয, আবিদ), আবুল ওয়ালিদ হিশাম বিন আব্দুল মালিক আত-তুয়ালিসি (সিক্বাহ সাবিত), আব্দুস সামাদ বিন আব্দুল ওয়ারিস (সদুক্ব সাবিত), মুসা বিন ইসমাঈল (সিক্বাহ সাবিত), আবু দাউদ তায়ালিস (সিক্বাহ, হাফিয, অনেক হাদীসে ভুল করেছেন) প্রমুখ। ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁকে সিক্বাহ বলেছেন। [তারিখুল কাবির ৬/৩৬০, আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল ৬/২৫১, আল-ইকমাল ফি যাকারা মান লাহু রিওয়ায়াত ফি মুসনাদিল ইমাম আহমাদ লিলহুসায়নি পৃ. ৩১৮, আস-সিক্বাত লিইবনে হিব্বান ৮/৪৭৮ প্রভৃতি]
এ ছাড়া তার হাদীসকে ইমাম হায়সামি (রহ) হাসান বলেছেন (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৪/১৯২) এবং ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) তাঁকে নিজের ‘সহীহ’-তে বর্ণনা করেছেন। [সহীহ ইবনে হিব্বান ৮/৫০৩৩]
আবার ইমাম মুনযিরি (রহ) তার থেকে ‘ عن ’ শব্দে বর্ণিত রেওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন এবং কোনো আপত্তি করেননি। অর্থাৎ তাঁর শর্ত মোতাবেক আমর বিন আলা-ই’র বর্ণনা হাসান বা সহীহ। [আত-তারগিব ওয়াত তারহিব ৩.১৫৭]
সারসংক্ষেপ হলো, আমার বিন আলা-ই স্তরের দিক থেকে হায়সাম বিন ইমরানের স্তরের। বরং ক্ষেত্রেবিশেষে তার থেকে উত্তম। কেননা তার হাদীস উক্ত মুহাদ্দিসগণ হাসান বা সহীহ গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে হায়সাম বিন ইমরানকে কোনো মুহাদ্দিসই সহীহ বা হাসান বলেননি।
এ পর্যায়ে প্রকৃত হক্ব হলো, ইমাম আলবানী (রহ)-এর নিজস্ব নিয়ম মোতাবেক আমর বিন আলা-ই ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ হওয়া উচিত ছিল। অথচ তিনি (রহ) এক্ষেত্রে নিজের উসূল থেকে সরে গেছেন। কেননা যে পদ্ধতিতে হায়সামকে ‘হাসান’ গণ্য করেছেন, সেই একই পদ্ধতিতে আমর বিন আলা-ইকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বলেছেন:
والأخرى : عمرو بن العلاء … وذكر في ترجمته أنه روى عنه جماعة من الثقات، ولم يذكر فيه توثيقا فهو مجهول الحال
“দ্বিতীয় সমস্যা হলো, আমর বিন আলা-ই … তার জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার থেকে সিক্বাহ রাবীদের একটি জামাআত বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে কেউ সিক্বাহ হিসেবে উল্লেখ করেননি। সুতরাং তিনি মাজহুলুল হাল।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ৩/২৮ হা/১১৪২]
লক্ষ্য করুন, সিক্বাহ রাবী থেকে বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও যদি আমর বিন আলা-ই ‘মাজহুলুল হাল’ হয়ে থাকে, তা হলে হায়সাম বিন ইমরানকে কিভাবে সদুক্ব বলা যাবে!?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/87/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।