মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-এর প্রদত্ত নীতিমালার ভিত্তিতে হাদীসে عجن (‘আজন) তথা ‘মুষ্টির উপর ভর করার হাদীস’-কে হাসান হিসেবে গণ্য করা সম্পর্কিত এটি একটি তাত্ত্বিক ইলমি পর্যালোচনা। আলোচনার বিভিন্ন স্থানে উসূলে হাদীস ও জারাহ-তা’দিলের নিয়ম-নীতি বারবার উল্লিখিত হয়েছে। এ কারণে এ সম্পর্কিত পরিভাষাগুলোর সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা ও বিবরণ উল্লেখ করা সংগত মনে করি। ফলে সবধরনের পাঠক এ থেকে উপকৃত হবেন।
সহীহ হাদীস: যে হাদীসের (সনদের) সমস্ত রাবী আদল (ন্যায়নিষ্ঠ), কামেল যবত (পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিশক্তি) সম্পন্ন; যার সনদ মুত্তাসিল, যা শায নয় এবং যার মধ্যে কোনো প্রকার ত্রুটি নেই।
আদল রাবী: যিনি মুসলিম, আক্বলসম্পন্ন, ন্যায়পরায়ণ মেজাজসম্পন্ন ও কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকেন।
রাবীর যবত: যিনি দৃঢ় স্মৃতিশক্তির অধিকারী। তিনি যে হাদীস শুনেছেন তা নিজের সিনাতে সংরক্ষণ করেছেন কিংবা কিতাববদ্ধ করেছেন।
শায: একজন সিক্বাহ রাবী কর্তৃক তার থেকে অধিক সিক্বাহসম্পন্ন রাবীর বিরোধী হাদীস বর্ণনা করা। অর্থাৎ যদি সিক্বাহ রাবীর বর্ণনার ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তির বিরোধী বর্ণনা করেন যার যবত (স্মৃতিশক্তি) বা (সমর্থিত বর্ণনার) সংখ্যাধিক্য বা অন্য কারণে প্রাধান্য পায়– সেক্ষেত্রে (কম প্রাধান্যপ্রাপ্ত) হাদীসটি শায গণ্য হয়। পক্ষান্তরে অপেক্ষাকৃত অধিক সিক্বাহ ও যবতের অধিকারী রাবীর হাদীস মাহফুয।
শায বৈশিষ্ট্যটি সনদ ও মতন উভয় ক্ষেত্রে হতে পারে।
সনদ শায হওয়ার উদাহরণ হলো, সিক্বাহ রাবী একটি বর্ণনা মওক্বুফ হিসেবে উল্লেখ করে। কিন্তু তার থেকে অধিক সিক্বাহ রাবী (বা রাবীগণ) বর্ণনাটি মারফু হিসেবে উল্লেখ করে। এক্ষেত্রে যিনি মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তার হাদীসটি শায এবং যিনি (বা যারা) মারফু‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তার (বা তাদের) হাদীসটি মাহফুয গণ্য হবে।
মতন শায হওয়ার উদাহরণ হলো, একজন সিক্বাহ রাবী মতনে এমনভাবে বৃদ্ধি করেছেন, অথচ তার থেকে অধিক সিক্বাহ রাবী (বা রাবীগণ) ঐ বৃদ্ধিসহ বর্ণনা করেননি। এক্ষেত্রে একক সিক্বাহ রাবীর মতনটির মধ্যে ১) এককভাবে বৃদ্ধি ঘটা, ২) নিজের থেকে অধিক সিক্বাহ রাবী (বা রাবীগণের) বিরোধী বর্ণনা হওয়ায়, তার বর্ণনাটি শায ও মারজুহ (প্রত্যাখ্যাত)।
বি: দ্র: শায বর্ণনা যঈফ হাদীস হিসেবে গণ্য হয়।
হাসান হাদীস: যে হাদীসের (সনদের) সমস্ত রাবী আদল, সনদটি মুত্তাসিল; কিন্তু তার স্মৃতিশক্তিতে কিছুটা দুর্বলতা আছে।
যঈফ হাদীস: যে হাদীসে সহীহ ও হাসান হাদীসের শর্তের কোনো একটি বা সবগুলো শর্তই অনুপস্থিত। কিংবা ঐ সমস্ত হাদীস যা হাসান হাদীসের স্তরে পৌঁছাতে অক্ষম, সেটাই যঈফ হাদীস। তা ছাড়া এর অনেক স্তর ও প্রকারভেদ আছে।
মুনকার: যে হাদীসের সনদে যঈফ রাবী আছে, যিনি সিক্বাহ রাবীর বিরোধী বর্ণনা করেন। কিংবা রাবীর ব্যাপক ভুল প্রকাশ পায়। কিংবা ব্যাপক গাফিলতি ও ফিসক্ব প্রকাশ পায়, সেক্ষেত্রেও হাদীসটিকে মুনকার বলে।
গরিব: যে হাদীস কেবল একজন রাবী বর্ণনা করে। কিংবা সনদের ক্ষেত্রে কেবল একজন বর্ণনাকারী থাকে।
বি: দ্র: মুনকার হাদীস যঈফ হাদীসের মধ্যে গণ্য। পক্ষান্তরে গরিব হাদীসের ভিত্তি এর রাবীদের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ যদি সনদটির সমস্ত রাবী সিক্বাহ ও সদুক্ব হয় এবং তাতে অন্য কোনো ত্রুটি পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে বর্ণনাটি মু’তাবার (গ্রহণযোগ্য) হয়।
মাজহুলুল হাল বা মাসতুর: ঐ রাবী যার থেকে দুই বা ততোধিক রাবী বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তার সম্পর্কে তাওসিক্ব (গ্রহণযোগ্যতা) বা তাজরিহ (অভিযোগ) জানা যায় না।
মাজহুলুল হাল বা মাসতুর রাবীর বর্ণনা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মতামত রয়েছে:
ক) জুমহুর মুহাদ্দিস তার বর্ণনা রদ (অগ্রহণযোগ্য) গণ্য করেছেন।
খ) ইমাম বাযযার (রহ) ও ইমাম দারাকুতনি (রহ)-এর সাথে এ কথা সম্পর্কিত করা হয় যে, তাঁরা এ ধরনের রাবীর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন। [এ ছাড়া ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ)-এর মতে মাজহুলুল হাল বা মাসতুর রাবী সিক্বাহ।]
গ) হাফেয ইবনে হাজার (রহ) ও ইমামুল হারামাইন (রহ)-ও এমন রাবীর হাদীস গ্রহণ করেছেন, যদিও-বা হাদীসের রাবীকে জানা না যায়। [যাওয়াবিত জারাহ ওয়াত তা’দিল পৃ. ৬৫-৬৮, শরহে নুখবাহ পৃ. ১০০-১০১]
ইমাম দারাকুতনির যে মত উল্লেখ করা হয়েছে, তা ইমাম সাখাবি (রহ) ইমাম দারাকুতনির সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। [ফাতহুল মুগিস ১/৩৫১-৫২] কিন্তু আমাদের তাহক্বীক্ব মোতাবেক উক্ত সম্পৃক্ততা সঠিক নয়।
ইমাম দারাকুতনির (রহ) যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় তা নিম্নরূপ:
وارتفاع اسم الجهالة عنه أن يروي عنه رجلان فصاعداً، فإذا كان هذه صفته ارتفع عنه اسم الجهالة، وصار حينئذ معروفاً، ...
“রাবীর জাহালাত তখন মোচন হবে যখন তার থেকে দুই জন বা ততোধিক রাবী বর্ণনাটি উল্লেখ করে। যখন তার এমন অবস্থা পাওয়া যায়, তখন তার জাহালাত মোচন হয় এবং সে মা‘রুফ (প্রসিদ্ধ) হয়।” [সুনানে দারাকুতনি – কিতাবুল হুদুদ ওয়া দিয়াত ওয়া গয়রুহ ৩/১৭৪]
আর যে বর্ণনাটি ইমাম সাখাভি (রহ) ‘দারাকুতনি’র সূত্রে বর্ণনা করেছেন সেটি নিম্নরূপ:
من روى عنه ثقتان فقد ارتفعت جهالته وثبتت عدالته .
“যে রাবী দু’জন সিক্বাহ রাবী থেকে বর্ণনা করে, তার জাহালাত মোচন হয় এবং তার আদালত প্রমাণিত হয়।” [ফতহুল মুগিস ১/৩২২]
ইমাম সাখাভি (রহ) ইমাম দারাকুতনির সাথে উক্ত উদ্ধৃতি সম্পৃক্ত করে তাঁর মসলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমরা জানি না, ইমাম দারাকুতনির এই উদ্ধৃতিটি কোথায়? আমরা তাঁর প্রকৃত উদ্ধৃতিটি উল্লেখ করেছি। এ থেকে প্রমাণ হয়, কোনো মাজহুল রাবী থেকে দু’জন বা ততোধিক সিক্বাহ রাবী বর্ণনা করলে তার জাহালাত মোচন হয় এবং ঐ রাবী মা‘রুফ (প্রসিদ্ধ) হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু তার আদালত (বিশ্বস্ততা) প্রমাণিত হয় না। কেননা, রাবী মা‘রুফ হওয়া ও আদল হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। যেমন– ইমাম খতিব বাগদাদী (রহ) বলেন:
أقل ما ترتفع به الجهالة ان يروي عن الرجل اثنان فصاعدا من المشهورين بالعلم الا انه لا يثبت له حكم العدالة بروا يتهما
“প্রাধান্যপ্রাপ্ত উক্তি হলো, দু’জনের বর্ণনার দ্বারা জাহালাত মোচন হয় না, মাশহুর আলেমদের কাছে এটা ত্রুটিযুক্ত। কেননা তাদের দু’জনের বর্ণনা দ্বারা আদালত প্রমাণিত হয় না।” [লিসানুল মিযান ১/১৪, আল-কিফায়াহ ফি ইলমির রিওয়ায়াত লিলখতিব বাগদাদী পৃ. ৮৮]
তা ছাড়া ইমাম দারাকুতনি এ ধরনের কয়েকটি বর্ণনাকে মাজহুল হিসেবে গণ্য করেছেন, যেখানে দুজন বা ততোধিক রাবীর বর্ণনা আছে। যেমন:
৮) আবু গতফান। [সুনানে দারাকুতনি ২/৮৩, মিযান ৪/৫৬১, আত-তাহযিব ১২/১৩৬]
৯) যহির বিন ইবাদ। [মিযানুল ই‘তিদাল ২/৮৩]
উক্ত উদাহরণগুলোতে কেবল ইমাম সাখাভির উপস্থাপনা খণ্ডনই হয় না, বরং ইমাম দারাকুতনির মসলকটিও সুস্পষ্ট হয়।
বাকি থাকল হাফেয ইবনে হাজার (রহ)-এর মসলক যে, মাজহুলুল হাল রাবী সম্পর্কে তাওয়াক্কুফ (চুপ) থাকা। কিন্তু এটা সুস্পষ্ট যে, তাওয়াক্কুফ দ্বারা অর্থ হলো, বর্ণনাটি মারদুদ (প্রত্যাখ্যাত)। কেননা স্বয়ং হাফেয ইবনে হাজার (রহ) তাওয়াক্কুফ সম্পর্কে লিখেছেন:
فإذا توقف عن العمل به صار كالمردود لا لثبوت صفة الرد بل لكونه لم توجد فيه صفة القبول
“বর্ণনাটির উপর আমল করা থেকে তাওয়াক্কুফ (চুপ) করার দাবি হলো সেটি মারদুদ। মারদুদের দাবি এটা নয় যে, তার সিফাত (বৈশিষ্ট্য) রদ, বরং সে এমন যে, তার মধ্যে ক্ববুল (গ্রহণ) করার সিফাত নেই।” [শরহে নুখবাতুল ফিকার পৃ. ২০ (বৈরুত)]
এটাই আব্দুল আযিয বিন মুহাম্মাদ (উস্তাদ, আল-মাসাঈদ বিকুল্লিয়াতিল হাদীসুশ শরীফ ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, আল-জামিআতুল ইসলামিয়্যাহ বিল-মাদিনাহ মুনাওয়াওয়ারাহ) নিজের “কিতাব যওয়াবিতুল জারাহ ওয়াত তা’দিল” ৮৬ পৃষ্ঠার টীকাতে উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং মাজহুল ও মাসতুর রাবী সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের মসলকই গ্রহণযোগ্য দলিল। والله تعالى اعلم
তারজিহ বা প্রাধান্যদানের নীতিসমূহ: যদি দু’টি সহীহ কিন্তু পরস্পর বিরোধী বর্ণনার মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে একটিকে রাজেহ (প্রাধান্যপ্রাপ্ত) ও অন্যটিকে মারজুহ (আপত্তিযুক্ত) হিসেবে গণ্য করতে হয়। মুহাদ্দিসগণ তারজিহ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। এর কয়েকটি নিচে উল্লেখ করছি:
১) উভয় বর্ণনার কোনো একজন রাবী সহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী হওয়া।
২) উভয় বর্ণনার কোনো একটির বর্ণনাকারীর সংখ্যা অধিক হওয়া।
৩) যে বর্ণনাটির মুতাবে‘ (অনুসারী) বেশি সেটি রাজেহ (প্রাধান্যপ্রাপ্ত)।
৪) উভয় বর্ণনার কোনো একটি গায়ের মুখতালাফ ফিহি (বিতর্কমুক্ত), অর্থাৎ যেটির (সনদ ও মতন) বিতর্কিত সেটি মারজুহ (প্রত্যাখ্যাত)।
৫) শক্তিশালী সনদযুক্তটি রাজেহ (প্রাধান্য) পাবে।
৬) কোনো একটি বর্ণনার রাবীগণ অন্যটির (বিরোধী) বর্ণনার রাবীদের থেকে অধিক সিক্বাহ।
এ সম্পর্কে আরো জানার জন্য দেখুন: ইমাম শওকানির ‘ইরশাদুল ফুহুল’ ২/৩৮১, কওয়ায়িদুত তাহদিস লিল-কাসেমি পৃ. ৩১৩-৩১৫, তাওযিহুল ক্বারী ফি ফাতহুল বারি লিলহাফিয সানাউল্লাহ যাহেদি পৃ. ১৩৩-৩৮ প্রভৃতি।
بسم الله الرحمن الرحيم
ان الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور انفسنا وسيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له و أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله أما بعد :
জেনে রাখা জরুরি যে, রসূলুল্লাহ (স) যখন দ্বিতীয় সাজদা শেষ করতেন তখন বসতেন। অতঃপর হাত জমিনের উপর রাখতেন ও হাতের সাহায্য নিয়ে দাঁড়াতেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/87/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।