মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
উক্ত দশটি উদাহরণ এবং পূর্বে বর্ণিত আরো কিছু উদাহরণ থেকে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, ইমাম আলবানী (রহ) নিজেই তাঁর নিয়মের উপর স্থিরচিত্ত নন। এ কারণে তিনি অদ্ভুত, বিরল ও স্ববিরোধী অবস্থার স্বীকার হয়েছেন। এমনকি কখনও কখনও এ ধরনের রাবীকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন, আবার কখনও মাজহুলুল হাল বলেছেন। এর কয়েকটি উদাহরণ নিম্নরূপ:
ক) আল-মুহার্রার বিন আবু হুরায়রা: ইমাম আলবানী (রহ) তাঁকে ‘ইরওয়াউল গালিলে’ (৪/৩০১) সিক্বাহ হিসেবে গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে ‘সিলসিলাহ সহীহাহ’-তে (৪/১৫৬) হাফেয ইবনে হাজার (রহ)-এর উক্তি ‘মাক্ববুল’-এর উপর নির্ভর করেছেন। [অর্থাৎ মুতাবাআত ছাড়া তার হাদীস যঈফ গণ্য করেছেন।]
খ) আবু মায়মুনাহ: ‘ইরওয়াউল গালিলে’ ( ৩/২৩৮) সিক্বাহ গণ্য করেছেন। কিন্তু ‘সিলসিলাহ যঈফাহ’-তে (৩/৪৯২) ইমাম দারাকুতনির উক্তি ‘মাজহুল, পরিত্যাজ্য’-এর উপর নির্ভর করেছেন।
গ) আমর বিন মালিক আন-নুকরি: ‘সিলসিলাহ যঈফাহ’-তে (১/১৩১) মাজহুল বলেছেন। পক্ষান্তরে ‘সিলসিলাহ সহীহাহ’-তে (৫/৬০৮) সিক্বাহ গণ্য করেছেন।
ঘ) সালিহ বিন আরিব: ‘ইরওয়াউল গালিলে’ (৩/১৫০) হাসানুল হাদীস বলেছেন। কিন্তু ‘সিলসিলাহ যঈফাহ’-তে (৪/১৪৩) ইবনুল ক্বত্তানের উক্তি ‘তার অবস্থা জানা যায় না’ ও ইবনে হাজার (রহ) ‘মাক্ববুল’ বলার উপর সন্তুষ্ট থেকেছেন। আরো দ্র: তাহক্বীক্ব মিশকাত (১/৫০৬ হা/১৬২১)
ঙ) মুসা বিন জুবায়ের: ‘ইরওয়াউল গালিলে’ (৭/১৫৮) মাজহুলুল হাল গণ্য করেছেন (আরো দ্র: সিলসিলাহ যঈফাহ ১/২০৫)। পক্ষান্তরে ‘সিলসিলাহ সহীহাহ’-তে তাঁকে ‘আদামু মুখালিফাত’ হিসেবে ‘হাসানুল হাদীস’ গণ্য করেছেন।
ইমাম আলবানী (রহ)-এর এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের বুঝের বাইরে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, যদি কোনো মুহাদ্দিস উসূলের বিরোধী কোনো বক্তব্য দিয়ে থাকেন, ইমাম আলবানী (রহ) অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে সে ব্যাপারে আপত্তি করেছেন। যেমন – একজন রাবী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী (রহ) বলেছেন: ما علمت فيه جرحا ‘তার জারাহ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’ –এর জবাবে লিখেছেন:
قلت : فقد يقال فهل علمت فيه توثيقا؟ فإن عدم الجرح لا يستلزم التوثيق كما لا يخفى
“আমি (আলবানী) বলছি: সেক্ষেত্রে (জবাবে) বলা হবে, তোমরা কি তার ব্যাপারে তাওসিক্ব জানো? তার জারাহ না থাকাটা তাওসিক্ব হওয়া বাধ্যতামূলক করে না। (এ নিয়মটি) অস্পষ্ট নয়।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/৩২১ হা/৯২০]
তেমনি ইমাম ইবনুল জাওযি (রহ) যখন সুফিয়ান নামের একজন রাবীর হাদীস সহীহ উল্লেখ করে বলেছেন: ما علمنا احدًا طعن في سفيان بن بشر “আমি জানি না, কেউ সুফিয়ান বিন বিশর সম্পর্কে অভিযোগ করেছে।” তখন ইমাম আলবানী (রহ) এর জবাবে নিম্নোক্ত বাক্য ব্যবহার করেছেন:
فهو تصحيح قائم على حجة لا تساوي سماعها ! فإن كل راومجهول عند المحدثين يصح أن يقال فيه : " ما علمنا أحدا طعن فيه "! فهل يلزم من ذلك تصحيح حديث المجهول ! ؟ اللهم لا، وإنها لزلة من عالم يجب اجتنابها
“এটা (হাদীসে) সহীহ’র এমন ভিত্তি, যা শোনার ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য। কেননা প্রত্যেক মাজহুল রাবীর ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসগণের এভাবে বলাটা সহীহ যে, ‘আমাদের তার সম্পর্কে অভিযোগ জানা নেই।’ এমতাবস্থায় মাজহুল রাবীর বর্ণনাকে কীভাবে সহীহ আখ্যা দেয়া যেতে পারে!? আল্লাহর শপথ! না, এটা আলেমদের জন্য অপমান। তাদের এ থেকে দূরে থাকা ওয়াজিব।” [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/১৩৭ হা/৬৯৬]
অর্থাৎ যখন কোনো মুহাদ্দিসের রাবীর প্রতি জারাহ জানা থাকে না, তখন তিনি তাঁর বর্ণনাকে হাসান প্রভৃতি হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে রাবীর তাওসিক্ব জানতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টি যখন তাঁর নিজের সাথে সম্পর্কিত তখন কেবল সিক্বাহ রাবীদের বর্ণনা দ্বারা (বা শর্তে) আদালত, যবত সবকিছু প্রমাণিত হয়ে যায়। انا لله وانا اليه راجعون
কেবল এটাই নয়, বরং যখন ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) একজন রাবীকে সিক্বাহ বলেছেন ও তাঁর ‘সহীহ ইবনে হিব্বানে’ তার বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, তখন ইমাম আলবানী (রহ) তাঁর নিয়মকে রদ না করে এটা বলেন যে,
فلا تغتر بذلك، فإنه قد شذ في ذلك عن التعريف الذي اتفق عليه جماهير المحدثين في الحديث الصحيح وهو : " ما رواه عدل، ضابط، عن مثله ". فأين العدالة، وأين الضبط في مثل هؤلاء المجهولين .
“এর দ্বারা (ইবনে হিব্বান কর্তৃক তাদেরকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে) ধোঁকায় পড়া যাবে না। কারণ এ বিষয়ে তাঁর মতটি শায। কারণ তিনি সহীহ হাদীসের সংগায়নে জুমহুর মুহাদ্দিসের ঐকমত্যের বিরুদ্ধে গেছেন। আর সেটা হল, ‘আদল ও যবতসম্পন্ন রাবী তারই মতো (আদল ও যবতসম্পন্ন) রাবীদের থেকে বর্ণনা করবে।’ সুতরাং সেক্ষেত্রে মাজহুল রাবীর আদালত কোথায় গেল, আর যবতই বা কোথায় গেল?” [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/৩২৮ হা/৯২৯]
এই উক্তিগুলো কি হায়সাম বিন ইমরানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না? হায়সাম বিন ইমরানের মধ্যে আদল ও যবতের প্রমাণ আছে কি? আহলে ইলমের কাছে এ ব্যাপারে ইনসাফপূর্ণ চিন্তার দাবি থাকল।
তেমনি যখন কোনো হাদীসের রাবীকে মাজহুল হওয়ার কারণে যঈফ গণ্য করা হয় তখন বলা হয়েছে: “ইবনে আবু হাতিম (রহ) তাকে ‘আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিলে’ উল্লেখ করেছেন এবং কোনো জারাহ বা তা‘দিল করেননি। সুতরাং তিনি মাজহুলুল হাল প্রভৃতি।” [গায়াতুল মারাম পৃ. ৩৭, ১৫২; যিলালুল জান্নাহ ফি তাখরিজুল আহাদিসু কিতাবুস সুন্নাহ ১/২৩, ৩৪, ৬২ প্রভৃতি]
উদাহরণ হিসেবে মালিক দারির ঘটনা ‘ইয়া সারিয়াতুল জাবাল’-এর বিষয়টি উল্লেখ করছি। ইমাম আলবানী (রহ) এর জবাব প্রসঙ্গে লিখেছেন:
والجواب من وجوه : الأول : عدم التسليم بصحة هذه القصة، لأن مالك الدار غير معروف العدالة والضبط، وهذان شرطان أساسيان في كل سند صحيح كما تقرر في علم المصطلح، وقد أورده ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " ٤ /١/ ٢١٣ " ولم يذكر راوياً عنه غير أبي صالح هذا، ففيه إشعار بأنه مجهول، ويؤيده أن ابن أبي حاتم نفسه – مع سعة حفظه واطلاعه – لم يحك فيه توثيقاً فبقي على الجهالة،
“এর জবাব হলো: প্রথমত, এই ঘটনাটির শুদ্ধতা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা মালিক দারি আদালত ও যবতের দিক থেকে প্রসিদ্ধ নন। অথচ এ দুটি শর্ত প্রত্যেক সনদ সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে মৌলিক ভিত্তি। যেভাবে ‘হাদীসের পরিভাষা’র ক্ষেত্রে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য। তাকে ইবনে আবু হাতিম ‘আল-জারাহ ও তা‘দিলে’ (৪/১/২১৩) আবু সালেহ ছাড়া কারো থেকে উল্লেখ করেননি। এ থেকে তার মাজহুল হওয়ার ঘোষণা হয়। এ থেকে এ বিষয়টিও জোরালো হয় যে, আবু হাতেমের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি ও পর্যবেক্ষণের শক্তি থাকা সত্ত্বেও কারো থেকে তার তাওসিক্ব উল্লেখ করেননি। আর এ থেকেই জাহালাত অবশিষ্ট রয়েছে।।” [আত-তাওয়াসসুল আনওয়া‘আহু ওয়া আহকামাহু পৃ. ১২০]
আলোচ্য দাগানো বাক্যটির প্রতি গভীর দৃষ্টি রেখে ইমাম আলবানী (রহ)-এর নিম্নোক্ত উদ্ধৃতিটি লক্ষ্য করুন, যা হায়সাম বিন ইমরানের আলোচনাতে উল্লেখ করেছেন:
اورده ابن ابي حاتم ... ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، لكن رواية هؤلاء الثقات الثلاثة عنه ويضم إليهم رابع وهو الهيثم بن خارجة، وخامس وهو يونس بن بكير، مما يجعل النفس تطمئن لحديثه لأنه لوكان في شيء من الضعف لتبين في رواية أحد هؤلاء الثقات عنه، ولعرفه أهل الحديث كابني حبان وأبي حاتم
“ইবনে আবি হাতিম (এটি ‘জারাহ ও তা‘দিলে) উল্লেখ করেছেন … কিন্তু তার প্রতি কোনো জারাহ ও তা‘দিল উল্লেখ করেননি। কিন্তু তার থেকে তিন জন (মুহাম্মাদ বিন ওয়াহহাব, হিশাম বিন ‘আম্মার ও সুলায়মান বিন শারজিল) সিক্বাহ রাবী বর্ণনা করেছেন। আর তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন চতুর্থ জন রাবী‘, তিনি হায়সাম বিন খারিজাহ। আর পঞ্চম জন হলেন ইউনুস বিন বুকায়র। এগুলো থেকে হাদীসটির নিজস্ব নির্ভরতার (সহীহ হওয়ার) প্রতি মন তৃপ্ত হয়। যদি এর মধ্যে কেউ (হায়সাম বিন ইমরান) যঈফ হয়, সেক্ষেত্রে তার থেকে পূর্বের সিক্বাহ রাবীগণ বর্ণনা করে সুস্পষ্ট করেছেন। আর এর যঈফ হওয়া আহলে হাদীস তথা ইবনে হিব্বান ও আবু হাতিমের নিকট গোপন থাকত না। [সিলসিলাহ যঈফাহ ২/৩৯২ হা/৯৬৭]
উদ্ধৃতিদুটির দাগানো অংশগুলো লক্ষ করুন, কীভাবে একজন রাবীর বর্ণনাকে যঈফ বলা হয়েছে, তেমনি একই স্তরের অপর রাবীর বর্ণনাকে সহীহ বা হাসান বলা হয়েছে। অর্থাৎ একস্থানে এটা লিখেছেন যে, ইবনে আবু হাতিম (রহ) ব্যাপক ইলম থাকা সত্ত্বেও মালিক দারির তাওসিক্ব উল্লেখ করেননি। সুতরাং সে মাজহুল। পক্ষান্তরে অন্যস্থানে লিখেছেন, রাবী হায়সাম বিন মালিক ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’। সুতরাং তার হাদীস হাসান। কেননা যদি তার মধ্যে কোনো দুর্বলতা থাকত তা হলে ইবনে হিব্বান, আবু হাতিম (রহ) এবং অন্যান্যরা সেটা উল্লেখ করতেন। আল্লাহ তাআলা এ ধরনের ভুল ও অবহেলা থেকে আমাদেরকে হেফাযত করুন। তাহক্বীক্বের ক্ষেত্রে এটা আহলে ইলমের সম্মানের পরিপূরক হয় না।
জ্ঞাতব্য: যে রাবীর ক্ষেত্রে ইমাম ইবনে আবু হাতিম (রহ) জারাহ বা তা‘দিল উল্লেখ করেননি, সেটার উদ্দেশ্য কখনই এটা নয় যে, সে সিক্বাহ বা সদুক্ব। বরং এর উদ্দেশ্য হলো, এই রাবীর সম্পর্কে ইমাম সাহেবের পক্ষ থেকে জারাহ বা তা‘দিল পাওয়া যায়নি। বরং তার পরিচিতি পর্যন্ত উপস্থাপনা যথেষ্ট মনে করেছেন।
ইমাম যাহাবী (রহ) এ ধরনের রাবী যাদেরকে ইমাম ইবনে আবু হাতিম জারাহ বা তা‘দিল উল্লেখ করেননি, সাধারণভাবে ‘মাজহুল’ বা لا يعرف ‘জানা যায় না’ গণ্য করেছেন। যেমন– আযহার বিন রাশিদ, ইসমাঈল বিন ইয়াহইয়া আল-মাআফিরি, ইসমাঈল বিন ইউসুফ, আনাস, আনাস বিন জানদাল, আউস বিন আবি আউস, আইয়াস বিন খালিফাহ, আইয়াস বিন ইয়াযিদ, …ইবনে সাঈদ প্রমুখ। [মিযানুল ই‘তিদাল ১/ ৬৯৩, ৯৬৭, ৯৭২, ১০৩৬, ১০৩৭, ১০৪৩, ১০৪৯, ১০৫৫, ১১২৬, ১১৪৩ নং]
সুতরাং ইবনে আবু হাতিম (রহ) বা কোনো মুহাদ্দিস কর্তৃক কোনো রাবীর সম্পর্কে জারাহ উল্লেখ না করার দাবি কখনই এটা নয় যে, তিনি অভিযুক্ত নন।
হায়সাম বিন ইমরানের হাদীস হাসান বলার ক্ষেত্রে ইমাম আলবানী (রহ)-এর একটি ভিত্তি হলো, সে ‘হাসান যন্নি’-ও বটে। এই ‘হাসান যন্নি’ সম্পর্কে ইমাম সাখাভি (রহ) সূত্রে তিনি দুটি উক্তি পেশ করেছেন। তা হলো:
ক) لان الاخبار تبنى على حسن الظن بالراوي “রাবীর ক্ষেত্রে ‘হাসান যন্নি’ হওয়াটাই হাদীসের নীতির একটি ভিত্তি।”
খ) وكثرة رواية الثقات عن الشخص تقوي حسن الظن به “সিক্বাহ রাবীদের কারো থেকে অনেক বর্ণনা করা, সেক্ষেত্রে তা ‘হাসান যন্নি’ হাদীসকে মজবুত করে।” [তামামুল মিন্নাহ ২০৬-০৭ পৃ.]
প্রথমত: জানা দরকার যে, এটি ঐকমত্যের নিয়ম নয় যে, মাজহুলুল আদালত বা মাসতুর রাবীর বর্ণনাকে কেবল ‘হাসান যন্নি’ ভিত্তির উপর ‘সহীহ’ বা ‘হাসান’ গণ্য করতে হবে। স্বয়ং ইমাম আলবানী (রহ) বিভিন্ন স্থানে মাজহুলুল আদালতসম্পন্ন রাবীর বর্ণনাকে রদ করেছেন এবং সেটাকে ‘হাসান যন্নি’ গণ্য করেননি।
দ্বিতীয়ত: ইমাম আব্দুর রহমান বিন মাহদি (রহ) লিখেছেন:
خصلتان لا يستقيم فيهما حسن الظن الحكم والحديث يعني لا يستعمل حسن الظن في قبول الرواية عمن ليس بمرضي
“দুটি বিষয় এমন যে, যেখানে ‘হাসান যন্নি’র ধারণা ভালো না। একটি হলো: বিচারিক কাজ, অপরটি হলো: হাদীসের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ অপছন্দনীয় রাবীদের বর্ণনা ক্ববুল করার ক্ষেত্রে ‘হাসান যন্নি’ ব্যবহার করা যায় না।” [আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল ২/৩৫, এর সনদ সহীহ]
আর এটা সুস্পষ্ট যে, ‘মাজহুলুল হাল’ বা ‘মাসতুর’ অপছন্দ রাবীদের মধ্যে গণ্য। এ কারণেই ইমাম আলবানী (রহ) হায়সাম বিন ইমরানকে ‘হাসান যন্নি’ বলাটা সুবিবেচনার বিরোধী ও নাজায়েয। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
বাকি থাকল, ইমাম আলবানী (রহ) কর্তৃক হায়সাম বিন ইমরানকে ‘সদুক্ব ও দলিলযোগ্য’ বলার নীতি বিষয়ক আলোচনা। এর মাধ্যমে তিনি হাদীসে عجن তথা ‘মুষ্টির উপর ভর করার হাদীস’–কে হাসান বলেছেন। কিন্তু আমরা এটা বিস্তারিতভাবে প্রমাণ করেছি যে, না এই নীতিটি গ্রহণযোগ্য - আর না হায়সাম সদুক্ব রাবী। বরং তার মাজহুল হওয়াটা প্রতিষ্ঠিত।
আলোচ্য বর্ণনাটি মারদুদ হওয়ার জন্য এ পর্যন্ত আলোচনাই যথেষ্ট ছিল। এরপরেও আমরা বর্ণনাটি উসূলে হাদীসের দাবির ভিত্তিতে আলোচনা উপস্থাপন করব। এ পর্যায়ে যে বর্ণনাগুলোর সনদ উল্লিখিত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিবরণ নিম্নরূপ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/87/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।