hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ধূমপান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ফাতাওয়া

লেখকঃ আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী

১৮
১৫- ধূমপায়ীর আযান ও ইমামতির হুকুম
প্রশ্ন/ এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল ফাতাওয়ার স্থায়ী কমিটিকে: মুসল্লিদের মধ্যে কোনো ধূমপায়ীর ক্বেরাত যদি ভাল হয় তাহলে সে নামাযে ইমামতি করতে পারে কি?

উত্তর: ফাসেকরা ব্যতীত অন্য কেউ যদি ক্বেরাত এবং নামাযের আহকাম ভালো না জানে তবে সে অবস্থায় ফাসেকরা ইমামতি করতে পারবে। কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যদি নিয়োগপ্রাপ্ত ইমাম হয় তাহলে ধূমপান না ছাড়লে তাকে পরিবর্তন করা উচিৎ।

ফাতাওয়ার স্থায়ী কমিটি থেকে একটি ফাতাওয়া বের হয়েছে যার সিদ্ধান্ত এই: ‘যে ব্যক্তি জুম‘আ এবং জামা‘আতের ইমাম হবে অথচ সে ধূমপান করে বা দাড়ি মুণ্ডন করে অথবা বিভিন্ন ধরনের পাপ কাজ করে তাহলে তাকে নসিহত করা এবং তার অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করা ওয়াজিব। যদি সে নসিহত গ্রহণ না করে তবে তাকে অপসারণ করা ওয়াজিব যদি সম্ভব হয় এবং ফেৎনা সৃষ্টি না হয়, অন্যথা তাকে ভয় দেখানো এবং তার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের জন্য তাকে বাদ দিয়ে দ্বীনদার অন্য যে কারো পিছনে নামায পড়া যাবে যদি এতে ফেৎনার ভয় না থাকে। আর যদি তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো পিছনে নামায পড়া সম্ভব না হয় তাহলে জামা‘আত ঠিক রাখতে তার পিছনেই নামায পড়া যাবে। তদ্রুপ যদি অন্যের পিছনে নামায পড়লে ফেৎনা বয়ে আনে তবে তা দূর করা এবং সামান্য ক্ষতি হলেও তার পিছনেই নামায পড়তে হবে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবন উমর এবং অন্যান্য সালাফগণ ঐক্যবদ্ধতা ঠিক রাখতে এবং ফেৎনা ও মতভেদ থেকে বাঁচার জন্য হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের পিছনে নামায পড়েছেন অথচ সে বড় জালেম ছিল।

আর আল্লাহর কাছেই তাওফীক কামনা করছি। হে আল্লাহ, আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ও তাঁর পরিবার পরিজন এবং সাহাবীগণের উপর সালাত ও সালাম পেশ করুন। [ফাতাওয়া ইসলামিয়া ১/৩৯১-৩৯২।]

এ ব্যাপারে শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালেহ আল উসাইমীন রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন: মোটকথা হচ্ছে দাড়ি মুণ্ডনকারী ও ধূমপায়ী এবং এদের মত অন্যান্যগণ যারা বিভিন্ন অপরাধ করেই চলেছে তাদের আযান সহীহ হবে যদি সঠিকভাবে দিতে পারে এবং অর্থের কোনো পরিবর্তন না হয়। [মাজমুয়া ফাতাওয়া ও প্রবন্ধ ১২/১৬৭।]

প্রশ্ন/ ধূমপায়ীর ইমামতি করা জায়েয আছে কি?

উত্তর: ধূমপায়ীর পিছনে নামায পড়া ঠিক নয়; যদি তার চেয়ে ভালো অন্য কাউকে পাওয়া যায়, যদি তার চেয়ে ভালো কাউকে না পাওয়া যায় অথবা আপনি এসে ধূমপায়ীর পিছনে নামায পড়ে ফেলেছেন তবে আপনার নামায সঠিক হবে ইন-শাআল্লাহ। অধিকাংশ আলেম বলেছেন: ফাসেকের পিছনে নামায পড়লে সহীহ হবে, যারা তার পিছনে নামায পড়েছে তাদেরকে ঐ নামায পুনরায় পড়তে হবে না, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তার পিছনে তোমরা নামায পড়।’ [হাদিসটি তাবরানী তাঁর মু‘জামুল কাবীরে বর্ণনা করেছেন, অনুরূপ আবু নুয়াইম তাঁর হিলিয়া গ্রন্থে। তবে তা দ্বয়ীফুল জামেতে রয়েছে, নং ৩৪৮৩।] আর আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন। [ফাতাওয়া ইবনে হুমাইদ পৃ : ১২।]

প্রশ্ন/ আমরা ছয় ঘন্টা কাজ করে যোহরের নামায পড়ি, নামাযে একজন ধূমপায়ী ও হুক্কা পানকারী ইমামতি করে এবং তাদের কারো কারো চুল লম্বা করে রাখা (মুখানফিস) তার ইমামতির হুকুম কি? তার পিছনে কি নামায হবে? অনুগ্রহ করে এ সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন।

উত্তর: হ্যাঁ, তার পিছনে নামায হয়ে যাবে, কিন্তু উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভাল ক্বেরাত পাঠ করতে পারে ও দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তার ইমামতি করা। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللهِ»

“কোন জনগোষ্ঠীর ইমাম হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে কুরআন ভাল পাঠ করতে পারে”।

এখানে ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী’র অর্থ: ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী এবং তার অর্থ অনুযায়ী আমলকারী’, কিন্তু যদি ভালোভাবে কুরআন পড়ে কিন্তু আমল করে না তাহলে তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।

আর যদি তাদের মধ্যে ভাল ক্বারী থাকা সত্ত্বেও অন্য কেউ ইমামতি করে তবে তা উচিত কাজ হবে না, যেমনটি পূর্বের হাদীসে বলা হয়েছে। আর ইমাম আহমদ ‘রিসালা সুন্নিয়া’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন: ‘যে ব্যক্তি এমন জনগোষ্ঠীর ইমামতি করবে যাদের মধ্যে তার চেয়ে ভাল লোক আছে; তবে তারা সবসময় অধঃগামী হবে।’ অর্থাৎ ধীরে ধীরে তাদের অধঃপতন হবে। কাজেই উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরহেজগার, জ্ঞানী এবং ক্বারী তার ইমামতি করা। যদি মেনে নেয়া যায় যে, ধূমপায়ী, দাড়ি মুণ্ডনকারী বা হুক্কা পানকারী বা যার মাথার চুল অযাচিতভাবে ছেড়ে দিয়েছে সে যদি সামনে গিয়ে ইমামতি করে তবে নামায সহীহ হয়ে যাবে, পূনরায় তা আদায় করতে হবে না, কারণ সে মুসলিম, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ হবে। আল্লাহই ভাল জানেন। [ফাতাওয়া ইবনে হুমাইদ পৃ : ১২৭-১২৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন