hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ধূমপান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ফাতাওয়া

লেখকঃ আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী

২৮
২৫- ধূমপান ত্যাগের সহায়ক কিছু কারণ
প্রশ্ন/ এ প্রশ্নটি আল্লামা ইবনে বায রহমাতুল্লাহ আলাইহিকে করা হয়েছিল: আমি সর্বদা মাসজিদে জামাতের সাথে নামায আদায় করার চেষ্টা করি, বাড়ী থেকে ভিডিও বের করেছি, ফিল্ম ও ছবিগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছি এবং গানের ক্যাসেটে ইসলামি বক্তব্য রেকর্ড করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতকে অনুসরণ করতে দাড়ী লম্বা করেছি ও জামা খাটো করেছি কিন্তু একটি জিনিস আমার জীবনকে ঘোলাটে করে দিচ্ছে আর তা হলো ধূমপান। অনেক চেষ্টার পরেও তা ত্যাগ করতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমি কি করতে পারি? এ ব্যাপারে আমাকে কি উপদেশ দেন? আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা আপনি আমার জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করবেন তিনি যেন আমাকে এ থেকে বিরত রাখেন। আল্লাহ আপনাকে ভাল বদলা দিন।

উত্তর: প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আপনাকে হক্বের দিকে হেদায়েত করেছেন, তা শক্তভাবে ধরে রাখার সহযোগিতা করেছেন এবং তার অমান্য করা থেকে বিরত রেখেছেন। হক্বের উপর দৃঢ় থাকার সাথে সাথে দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করি। আর ধূমপান ত্যাগ করা এবং এ থেকে দূরে থাকা আপনার উপর ওয়াজিব, কারণ এতে ক্ষতি রয়েছে। যখন আপনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে ধূমপায়ীদের সংস্পর্শ ত্যাগ করবেন তখন আল্লাহ আপনাকে তা ত্যাগ করার জন্য এবং এর ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য সহযোগিতা করবেন। কাজেই আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে সিজদায় এবং অন্যান্য সময়ে আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন, সেই সাথে আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের সংস্পর্শ ত্যাগ করুন। আপনাকে কল্যাণ এবং ভাল প্রতিদানের সুসংবাদ দিচ্ছি। আল্লাহর বাণীকে স্মরণ করুন:

﴿ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ﴾ [ غافر : ٦٠ ]

“তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।” [সূরা গাফির: ৬]

আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন:

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مِنۡ أَمۡرِهِۦ يُسۡرٗا ﴾ [ الطلاق : ٤ ]

“যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে তিনি তার প্রতিটি কাজকে সহজ করে দেন।” [সুরা তালাক: ৪]

আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন, ধূমপান ত্যাগে সহযোগিতা করুন এবং হক্বের উপর দৃঢ় রাখুন। নিশ্চয়ই তিনি নিকটবর্তী শ্রবণশীল। [ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৪/৪৫৭-৪৫৮।]

প্রশ্ন/ এ প্রশ্নটি আল্লামা শাইখ ইবনে উসাইমীন রহমাতুল্লাহ আলাইহিকে করা হয়েছিল: প্রতিটি হারাম কাজে পতিত ব্যক্তির জন্য ইসলামে নির্ধারিত শাস্তি রয়েছে শুধু ধূমপান ব্যতীত। আল্লাহর তাওফীকে রাষ্ট্র সাধ্যানুযায়ী এ থেকে সতর্ক করে যাচ্ছে এবং তা হারামের উপর আলেমগণ একমত পোষণ করেছেন। এ ব্যাপারে কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়ার সাথে সাথে ইহাও বলবেন কি যে, এর কোনো শাস্তি আছে কি না?

উত্তর: ধূমপান শেষ যামানায় বা বহু পরে আবির্ভাব হয়েছে, এর আবির্ভাবের ফলে আলেমদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ দেখা দিয়েছিল কিন্তু বর্তমান যুগে প্রতিটি সুস্থ জ্ঞানের অধিকারী নিঃসন্দেহে বলবে যে, এটি হারাম। কারণ এতে শারীরিক, আত্মিক এবং আর্থিক ক্ষতি রয়েছে।

আত্মিক ক্ষতি হলো: এতে আসক্ত ব্যক্তি যখন তা না পায় তখন সে চিন্তায়, দুর্ভাবনায়, ক্লান্তিতে পড়ে এবং তার বক্ষ সংকীর্ণ হয়ে আসে যতক্ষণ না সে তা গ্রহণ করে। কাজেই তা না পাওয়ায় সে নিজের শাস্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।

শারীরিক ক্ষতি হলো: শরীরে বহু রোগের জন্ম দেয়। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম, আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাধি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। এমনিভাবে দাঁত ও ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায় এবং শারীরিক শক্তি কমে যায়।

আর্থিক ক্ষতি হলো: এতে অর্থ নষ্ট হয়। উল্লেখিত তিনটি কারণের যে কোনো একটি কারণেই বলা যায় যে তা হারাম। অতএব, এতে প্রতিটি আসক্ত ব্যক্তির প্রতি আমার উপদেশ হলো: এ থেকে নিজেকে বিরত রাখার জন্য প্রত্যেকের সাধ্যমত চেষ্টা করা উচিৎ। আর যারা আসক্ত নয় তারা যেন এর উপর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, এর উপর দৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং অধিকাংশ লোককে এতে আসক্ত দেখে যেন ধোঁকায় না পড়ে। কারণ অধিকাংশ লোক কোনো বাতিলকে সত্য বানাতে পারবে না এবং কোনো হারামকে হালাল করতে পারবে না। ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তি যেন একটু যাচাই করে দেখে যে, ধূমপান ত্যাগ করার ফলে তার সুস্থতা, সবলতা এবং উদ্দম ফিরে আসে কি না।

এ থেকে বিরত থাকার কিছু উপায় নিম্নরূপ:

১- বিশ্বাস রাখতে হবে যে তা হারাম। তা শুধু পাপই বয়ে আনবে এবং আল্লাহ ও তার রহমত থেকে দূরে রাখবে।

২- তা ত্যাগের দ্বারা আল্লাহর ইবাদত হয়। কেননা আল্লাহর নিষিদ্ধ কোনো হারাম পরিত্যাগ করাই ইবাদত। কাজেই বিশ্বাস রাখবেন যে, তা ত্যাগে আল্লাহর ইবাদত হচ্ছে।

৩- দিনের পর দিন আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে আনতে একেবারেই ত্যাগ করে ফেলবেন। ধীরে ধীরে অভ্যাস করলে তা ত্যাগ করা সম্ভব হবে।

৪- ধূমপায়ীদের সংস্পর্শ ত্যাগ করবেন, কারণ এদের থেকে দূরে থাকলে অবশ্যই এ থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং তা পান করাও কম হবে। কিন্তু তাদের সংস্পর্শে থাকলে তাদের ধূমপান দেখে ধৈর্য ধরতে পারবেন না। আল্লাহই তাওফীক দাতা। [ফাতাওয়া ও দিকনির্দেশনা পৃ:৮৯-৯০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন