hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া

লেখকঃ শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন, শাইখ আবদুল্লাহ ইবন আবদির রহমান আল-জিবরীন এবং স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের ফতোয়া

৩৯
মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ভিন্ন শহরে নারীর অবস্থান করার বিধান
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন, নারীর কাজ করা এবং মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ভিন্ন শহরে তার অবস্থান করার বিধান প্রসঙ্গে, জেনে রাখা দরকার যে, আমি বর্তমানে এমন এক রাজ্যে এমন এক স্থানে কাজ করি যেখানে সবাই নারী এবং আমি কর্মক্ষেত্রের সাথেই সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ বিভাগে বসবাস করি, আর সেখানের সবাইও নারী। ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ আল্লাহর শুকরিয়া যে, এখানে নারী-পুরুষে মেশামেশি বা আল্লাহ তা‘আলার অসন্তুষ্টির কোনো কারণ বিদ্যমান নেই, চাই সেটা কর্মক্ষেত্রে হউক অথবা বসবাসের ক্ষেত্রেই হউক, আর আমি শরী‘আতসম্মত মাহরাম পুরুষ হিসেবে আমার ভাইকে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছি; কিন্তু আমি তাতে সক্ষম হই নি। সুতরাং বর্তমানে আমার এ অবস্থা এবং মাহরাম পুরুষ ব্যতীত এখনে আমার অবস্থানের ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কী? জেনে রাখা দরকার যে, প্রথমত: আমি এখানে হাযির হওয়ার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার নিকট বহুবার ‘ইস্তিখারা’ [‘ইস্তিখারা’ হলো কোনো বিষয়কে কেন্দ্রে করে নির্ধারিত কিছু দো‘য়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার নিকট সে বিষয়ে ভালো ও কল্যাণ কামনা করা। -অনুবাদক।] করেছি এবং অনুভব করেছি যে, আল্লাহ অনেক কাজ আমার জন্য সহজ করে দেবেন। দ্বিতীয়ত: কর্মক্ষেত্রে আমার শহরে নারী-পুরুষে মেশামেশি ও মন্দ চরিত্রের দিক থেকে অবস্থা এমন যে, কোনো সভ্য মুসলিম সেখানে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে উৎসাহবোধ করে না। অতএব, আমি যা বললাম তার আলোকে আপনাদের অভিমত কী?

উত্তর: আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের ও আপনার জন্য তাওফীক ও উত্তম পরিবেশ প্রার্থনা করছি, আর আপনি এই যে অবস্থান করছেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা কোনো শহরে মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীর অবস্থান করাটা শরী‘আতের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো দোষের নয় এবং তাতে কোনো সমস্যাও নেই, বিশেষ করে এটা যখন সমজাতীয়দের ব্যাপার তখন তাতে বিপদ বা ঝুঁকি নেই। তাছাড়া পুরুষদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে নারীদের মাঝে কাজ করাটা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক বৈধ করা পেশার অন্তর্ভুক্ত অথবা নারীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ বিভাগে অবস্থান করাটাও কোনো সমস্যা নয়; কিন্তু আপনার জন্য নিষিদ্ধ হলো একাকি অবস্থায় সফর করা। সুতরাং আপনি মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করবেন না এবং মাহরাম পুরুষ ছাড়া কর্মস্থলে আগমন করবেন না। আর যখন আপনার দেশ বা শহর থেকে মাহরাম পুরুষ ছাড়া আগমন করে ফেলেছেন, তখন আপনার জন্য আবশ্যক হলো আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা, আর যখন সফর করার ইচ্ছা করবেন, তখন আপনার জন্য অপরিহার্য হলো মাহরাম পুরুষ সঙ্গী থাকা। সুতরাং মাহরাম পুরুষ আসা পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করবেন। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لاَ تُسَافِرُ المَرْأةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ» .

“কোনো মাহরাম পুরুষের সাথে ছাড়া কোনো নারী সফর করবে না।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]

আর যদি নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে কোনো মাহরাম পুরুষের পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করাটা সহজ হয় ভালো, নতুবা বিয়ের মাধ্যমে সে অভাব পূরণ করতে হবে, ফলে আপনার জন্য স্বামীই মাহরাম পুরুষের ভূমিকায় সফরের সাথী হতে পারবে। সুতরাং বিষয়টি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন, আর সফরের সময় আপনার দায়িত্ব হলো আপনার সাধ্যানুসারে কাজ করা, দেখবেন শেষ পর্যন্ত মাহরাম পুরুষের অভাব পূরণ হয়ে গেছে। আর নারীদের মাঝে আপনার এখনকার অবস্থান এবং বৈধ কর্মে নিয়োজিত থাকার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই, আল-হামদুলিল্লাহ।

আর কোনো সন্দেহ নেই যে, মাহরাম পুরুষ সাথে ছাড়া নারীর সফর খুবই বিপজ্জনক এবং তাতে ঝুঁকি ও ফিতনার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে, আর এ জন্যই আমরা আমাদের দীনী বোনদেরকে উপদেশ দিচ্ছি এর থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য এবং তারা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সফর না করেন। আমরা তাদেরকে আরও উপদেশ দিচ্ছি পুরুষদের সাথে মেশার অথবা পুরুষের সাথে কাজ করার অথবা পুরুষদের সাথে নির্জনে অবস্থান করার প্রশ্নে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার জন্য -এ সবগুলো ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, চাই তা হাসপাতালেই হউক অথবা অন্য যে কোনো জায়গাতেই হউক। আর সকলের জন্য আমার উপদেশ হলো, তারা যেন কোনো নারীকে তার মাহরাম পুরুষ ছাড়া আসতে না বলেন, নারী যেন মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া সফর না করে, পুরুষের সাথে কাজ না করে এবং তার মাহরাম নন এমন কোনো পুরুষের সাথে একান্ত নির্জনে অবস্থান না করে। কেননা তা ফিতনার মহাসড়ক, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা নিষেধ করেছেন এবং তাকে হারাম ঘোষণা করেছেন, তিনি বলেন:

«لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ ، فَإِنَّ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ» .

“কোনো ব্যক্তি কখনও কোনো মহিলার সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করবে না। কারণ, তাদের সাথে তৃতীয় জন হলো শয়তান।” [ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ. হাদীসটি সহীহ সনদে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।]

আর এ হাদীসের উদ্দেশ্য হলো, আবশ্যকীয়ভাবে নারী ও তার অভিভাবকদেরকে সম্মান রক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করা এবং ফিতনার যাবতীয় কারণ ও উপলক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা, আর নারী কর্তৃক কাজ করার ব্যাপারে কথা হলো, বৈধ কাজে নারী নারীদের মাঝে কাজ করাতে কোনো অসুবিধা নেই, তাতে তার দীনের ক্ষতি হবে না এবং পুরুষদের সাথে ফিতানার কোনো কারণও তৈরি হবে না।

শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন