hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া

লেখকঃ শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন, শাইখ আবদুল্লাহ ইবন আবদির রহমান আল-জিবরীন এবং স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের ফতোয়া

৪৯
মাহরাম নন এমন আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্যদের সাথে মুসাফাহা করা এবং তাদেরকে চুম্বন করার বিধান
প্রশ্ন: আমি আমার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর কখনও ছয় মাস পর, আবার কখনও পূর্ণ এক বছর পর তাদের সাথে সক্ষাৎ করি। আর যখনই আমি বাড়িতে পৌঁছাই, তখন মহিলারা (ছোট ও বড়) আমাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং তারা আমাকে এমনভাবে চুম্বন করে যে, আমি তাতে লজ্জাবোধ করি, আর বাস্তব কথা বলতে কি এ প্রথাটি আমাদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে এবং আমার বংশের লোকজন এটাকে কিছুই মনে করে না। কারণ, তাদের ধারণা মতে এটা হারাম কিছু নয়; কিন্তু আমি ইসলামী শিক্ষা অর্জন করেছি আল-হামদুলিল্লাহ; এ ব্যাপারে আমি একটা কিংকর্তব্যবিমুঢ় ও দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থার মধ্যে আছি। আমার প্রশ্ন হলো কীভাবে আমি নারীদের চুম্বন করার বিষয়টি সংশোধন বা প্রতিকার করতে সক্ষম হব? তবে জেনে রাখা দরকার যে, আমি যদি তাদের সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করি, তাহলে তারা আমার প্রতি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন: সে আমাদেরকে সম্মান বা শ্রদ্ধা করে না, আমাদেরকে অপছন্দ করে এবং আমাদেরকে ভালোবাসে না (ভালোবাসা বলতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে উঠা সম্পর্ক। যুবক ও যুবতীর মাঝে গড়ে উঠা সম্পর্কের ভালোবাসা নয়) ইত্যাদি ইত্যাদি, আর এমতাবস্থায় আমি যখন তাদেরকে চুম্বন করব, তখন কি আমি গুনাহের কাজে জড়িয়ে যাব না? জেনে রাখা দরকার যে, এ প্রতিকুল মন্দ অবস্থার ব্যাপারে আমার কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই?

উত্তর: একজন মুসলিম ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রী ও মাহরাম ছাড়া অন্য কারও সাথে মুসাফাহা করা বা কাউকে চুম্বন করা বৈধ নয়; বরং এগুলো হারাম কাজের অন্তর্ভুক্ত এবং ফিতনার অন্যতম কারণ ও অশ্লীলতার বহিঃপ্রকাশ, আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দলীল সাব্যস্ত আছে। তিনি বলেন:

«إِنِّي لَا أُصَافِحُ النِّسَاءَ» .

“আমি নারীদের সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করি না।” [ইবনু মাজাহ, হাদীস নং- ২৮৭৪; আহমাদ, মুসনাদ, হাদীস নং- ২৭০০৮]

আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহ ‘আনহা বলেন:

«مَا مَسَّتْ يَدُ رسول اللّه صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ حِيْنَ الْبَيْعَة، إنَّمَا كَانَ يُبَايِعُهُنَّ بِالْكَلاَمِ» .

“বায়‘আত গ্রহণের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত কখনও কোনো নারীর হাত স্পর্শ করে নি। তিনি শুধু কথা বলার মাধ্যমেই তাদেরকে ‘বায়‘আত’ করাতেন।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]

আর মাহরাম নন এমন নারীদের সাথে মুসাফাহা করা ও তাদেরকে চুম্বন করা খুবই নিকৃষ্ট কাজ, হউক তারা চাচাতো বোন অথবা মামাতো বোন, অথবা প্রতিবেশীদের কেউ অথবা যে কোনো সম্প্রদায়ের কেউ- মুসলিমগণের ইজমা বা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এসব হারাম এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত অশ্লীল কাজে জড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির আবশ্যকীয় কর্তব্য হলো এ ব্যাপরে সতর্ক হওয়া এবং এ অভ্যাসে অভ্যস্ত মহিলা আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্য সকল নারীকে অনুরোধ করে বুঝানো যে, এটা হারাম কাজ, যদিও মানুষ তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, আর কোনো মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য এটা করা বৈধ নয়, যদিও তাদের আত্মীয়স্বজন অথবা তাদের এলাকার অধিবাসীগণ তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে; বরং তাদের জন্য ওয়াজিব হলো এটাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সমাজকে এর থেকে সাবধান ও সতর্ক করা, আর মুসাফাহ ও চুম্বন না করে মৌখিকভাবে সালাম দেওয়াটাই যথেষ্ট।

শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন