hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া

লেখকঃ শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-‘উসাইমীন, শাইখ আবদুল্লাহ ইবন আবদির রহমান আল-জিবরীন এবং স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের ফতোয়া

৫০
মাহরাম নন এমন নারীদের সাথে বসার বিধান
প্রশ্ন: আমি বর্তমানে রিয়াদ শহরে বাস করি এবং সেখানে আমার নিকটাত্মীয়রাও অবস্থান করেন, আমার এবং তাদের মধ্যে আত্মীয়তার দিক থেকে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তাদের মাঝে আছেন আমার খালাতো বোন, চাচীসব ও চাচাতো বোনেরা, আর যখনই আমি তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাই, তখন আমি তাদেরকে সালাম জানাই এবং চুম্বন করি, আর তারাও আমার সাথে খোলামেলাভাবে বসে, অথচ আমি এ প্রথায় অস্বস্তি বোধ করি; আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি যে, এ প্রথা দক্ষিণাঞ্চেলের অধিকাংশ জেলায় ব্যাপকভাবে প্রচলিত। সুতরাং এ প্রথার ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কী এবং আমি কী করব? অনুগ্রহ করে আমাকে এ ব্যাপারে অবহিত করবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম পুরষ্কার দান করুন।

উত্তর: এ প্রথাটি অত্যন্ত খারাপ একটি প্রথা বা রীতিনীতি, যা পবিত্র শরী‘য়ত বিরোধী। আর আপনার জন্য তাদেরকে চুম্বন করা এবং তাদের সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করা বৈধ নয়। কারণ, আপনার চাচীগণ, চাচাতো বোন, মামাতো বোন, খালাতো বোন প্রমুখ আপনার জন্য ‘মাহরাম’ নন। সুতরাং তাদের জন্য আবশ্যক হলো আপনার থেকে পর্দা করা এবং আপনার উদ্দেশ্যে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَإِذَا سَأَلۡتُمُوهُنَّ مَتَٰعٗا فَسۡ‍َٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٖۚ ذَٰلِكُمۡ أَطۡهَرُ لِقُلُوبِكُمۡ وَقُلُوبِهِنَّۚ﴾ [ الاحزاب : ٥٣ ]

“তোমরা তার পত্নীদের কাছ থেকে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য বেশি পবিত্র”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]

আর এ আয়াতটি ব্যাপক অর্থবোধক, যার বিধান আলেমগণের বিশুদ্ধ মতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানিত স্ত্রীগণ ও তাঁরা ভিন্ন অন্য সকল (মাহরাম নন এমন) নারীদের জন্য সামানভাবে প্রযোজ্য, আর যে ব্যক্তি বলে যে, এ আয়াতের বিধান শুধু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানিত স্ত্রীগণের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য, তার কথা বাতিল অগ্রহণযোগ্য, যার কোনো গ্রহণযোগ্য ভিত্তি ও দলিল নেই। আর আল্লাহ তা‘আলা সূরা আন-নূরে বলেন:

﴿وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ .....﴾ [ النور : ٣١ ]

“আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর....ছাড়া কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

আর পর্দার এ আয়াতের বিধান থেকে যাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, আপনি তো তাদের অন্তর্ভুক্ত কেউ নন; বরং আপনার চাচী, চাচাতো বোন, মামাতো বোন, খালাতো বোন প্রমুখের মাঝে আপনি হলেন সম্পূর্ণ এক অপরিচিত পর পুরুষ, অর্থাৎ আপনি তাদের মাহরাম কেউ নন, এমতাবস্থায় আপনার আবশ্যকীয় কর্তব্য হলো আমরা যা আলোচনা করলাম, তা তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া এবং তাদের নিকট এ ফতোয়া পাঠ করে শুনানো, যাতে তারা আপনাকে ক্ষমা করে বা অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং এ ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে জানতে পারে। আর কোনো প্রকার চুম্বন অথবা মুসাফাহা ছাড়া তাদেরকে সালাম দেওয়াটাই আপনার জন্য যথেষ্ট, যার কারণটি আমরা আয়াত থেকে উল্লেখ করেছি।

তাছাড়া কোনো এক নারী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মুসাফাহা করতে চাইলে তিনি বলেন:

«إِنِّي لَا أُصَافِحُ النِّسَاءَ» .

“আমি নারীদের সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করি না।” [ইবনু মাজাহ, হাদীস নং- ২৮৭৪; আহমাদ, মুসনাদ, হাদীস নং- ২৭০০৮]

আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহ ‘আনহা বলেন:

«مَا مَسَّتْ يَدُ رسول اللّه صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ، مَا كَانَ يُبَايِعُهُنَّ إلاَّ بِالْكَلاَمِ» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত কখনও কোনো নারীর হাত স্পর্শ করে নি। তিনি শুধু কথা বলার মাধ্যমেই তাদেরকে ‘বায়‘আত’ করাতেন।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]

আর সহীহ মুসলিমে আয়েশা রাদিয়াল্লাহ ‘আনহা থেকে ইফকের কাহিনী প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:

« لما سمعت صوت صفوان بن المعطل، خمَّرتُ وجهي وكان قد رآني قبل الحجاب»

“যখন আমি সাফওয়ান ইবন মু‘য়াত্তালের কণ্ঠ শুনতে পেলাম, তখন আমি আমার চেহারা ঢেকে ফেললাম, আর সে আমাকে পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে দেখেছিল”।

সুতরাং এটা প্রমাণ করে যে, পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পর নারীগণ তাদের চেহারা ঢেকে রাখতেন। আল্লাহ মুসলিম সমাজের অবস্থার সংস্কার ও সংশোধন করে দিন এবং তাদেরকে দীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আর তাওফীক দানের মালিক তো আল্লাহই।

শাইখ আবদুল ‘আযীয ইবন আবদিল্লাহ ইবন বায

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন