মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তবে এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, উল্লিখিত সুপারিশকারীগণ আখিরাতের আদালতে স্বেচ্ছায় যার-তার জন্য সুপারিশ করতে পারবে না, বরং তাদের সুপারিশ অস্তিত্ব লাভ করবে দু’টি শর্তে:
প্রথম শর্ত: শাফা‘আতকারীকে শাফা‘আতের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে অনুমতি প্রদান করা। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তাঁর অনুমতি লাভ না করে সুপারিশ করার কেউ নেই।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৩]
এতে স্পষ্ট যে, সুপারিশকারীকে অবশ্যই সুপারিশের অনুমতি প্রাপ্ত হতে হবে। অর্থাৎ বিনা অনুমতিতে সুপারিশ করার কেউ নেই। সুপারিশ স্বেচ্ছামূলক নয়, বরং তা হবে অনুমতিক্রমে।
দ্বিতীয় শর্ত: যার জন্য সুপারিশ করা হবে তার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“এবং যার প্রতি তিনি (আল্লাহ) সন্তুষ্ট, তার জন্য ছাড়া অন্য কারো জন্য তারা শাফা‘আত করে না”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৮]
এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সুপারিশ তারাই পাবেন যারা আল্লাহর প্রিয়জন হবেন।
আল্লাহর নিকট অপ্রিয় এমন কারো জন্য কোনো সুপারিশ চলবে না। এটি আরো পরিস্কার হয়ে যায় কুরআন বর্ণিত নিম্নোক্ত ঘটনাবলীর দ্বারা যে, আল্লাহ তা‘আলা মহাপ্লাবন থেকে কেনানকে রক্ষা করার ব্যাপারে নবী নূহ আলাইহিস সালামের সুপারিশ গ্রহণ করেন নি। পিতা আযরের জন্যে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ক্ষমা করে দেওয়ার সুপারিশ গ্রহণ করেন নি। আর মুনাফিকদের ব্যাপারে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“হে নবী! তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না কর। যদি তুমি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা কর তথাপিও আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৮০]
এ শর্ত দু’টিকে আল্লাহ তা‘আলা অপর এক আয়াতে একত্রে বলেছেন:
“আর আসমানসমূহে অনেক ফিরিশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনোই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার পর। [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ২৬] [শরহুল আক্বিদাতিল ওয়াসিতিয়্যাহ, পৃ. ১৫৯; কাওয়াশিফুল জালিয়্যাহ, পৃ. ৪৯০।]
মোদ্দাকথা: সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর আদালতে যোগ্য সুপারিশকারী নির্বাচনের কারণে সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না, বরং সুপারিশ করার জন্য আল্লাহর অনুমোদন ও সুপারিশ যার জন্য করা হবে তাকে আল্লাহর প্রিয় পাত্র হওয়ার কারণেই মাত্র সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
সুতরাং উল্লিখিত শর্তদ্বয়ের বর্তমানেই শাফা‘আত অস্তিত্ব লাভ করবে এবং সুপারিশকারীরা সুপারিশ করবেন। সুপারিশকারীদের সরদার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন সাজদায় লুটিয়ে পড়বেন এবং আল্লাহ তা‘আলাকে বলবেন:
“হে আমার রব, আপনি আমাকে শাফা‘আত এর ওয়াদা দিয়েছেন। এতএব, আপনার সৃষ্টির জন্য সুপারিশ কবুল করুন।” [শরহু আক্বীদাতিত্ তাহাভীয়া পৃ. ২২৬।]
আল্লামা মাহমূদ আলুসী বাগদাদী রহ. বলেন,
والمعنى أن الله تعالى مالك الشفاعة كلها لا يستطيع أحد شفاعتما إلا أن يكون المشفوع مرتضى والشفيع مأذونا له وكلاهما مفقودان ههنا ... وقوله تعالى ﴿أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ﴾ [ البقرة : ١٠٧ ]
استئناف تعليلي لكون الشفاعة جميعا له عزوجل كأنه قيل : له ذلك لأنه جل وعلا مالك كله فلا يتصرف أحد بشيء منه بدون إذنه ورضاه . فالسماوات والأرض كناية عن كل ماسواه سبحانه )
“আয়াতের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই গোটা শাফা‘আতের একচ্ছত্র মালিক। সুতরাং অন্য কেই শাফা‘আতের সামান্যতম অধিকারও রাখে না। কিন্তু যদি শাফা‘আতপ্রাপ্ত ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রাপ্ত হয় এবং শাফা‘আতকারী ব্যক্তি আল্লাহর অনুমতি প্রাপ্ত হয় (তবে সে শাফা‘আত করবে) আর উভয়টি এখানে (দুনিয়ায়) অনুপস্থিত।...আর আল্লাহর বাণী: (আকাশ এবং পৃথিবীর একক আধিপত্য তাঁরই) শাফা‘আতের একচ্ছত্র মালিকানা আল্লাহর হওয়ার এটিও একটি পৃথক কারণ। এখানে যেন বলা হচ্ছে, সমস্ত শাফা‘আত আল্লাহরই অধিকারে কেননা আল্লাহ জাল্লা শানুহু হলেন সমস্ত রাজত্বের নিয়ন্ত্রণকারী । সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তার অনুমতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত শাফা‘আতের সামন্যতমও অধিকার রাখে না।”
আলোচ্য আয়াতে আকাশ ও পৃথিবীকে উল্লেখ করে আল্লাহ ব্যতীত বাকী সবকিছুকেই বুঝিয়েছেন”। [রূহুল মা‘আনী, ২৪শ পারা, পৃ. ৯-১১।]
আল্লামা তাফতাযানী রহ. বলেন, ইমাম মাকদিসী রহ. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলে যে, কোনো মাখলুক আল্লাহর সমীপে তাঁর অনুমতি ছাড়া শাফা‘আত করবে তবে সে যেন বিশ্ব মুসলিমের ইজমা ও কুরআনের সুস্পষ্ট বর্ণনাসমূহের বিরোধিতা করল।’ [শরহু আকাঈদ আন্নাসাফী।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/755/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।