hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও হাদীসের আলোকে শাফা‘আত

লেখকঃ মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম

১৭
শাফা‘আত সম্পর্কে প্রাজ্ঞ মুফাসসিরগনের অভিমত
ইমাম বায়যাভী তার তাফসীরে বায়যাভীতে লিখেন:

والمعنى أنه مالك الشفاعة كلها لايستطيع أحد شفاعة إلا بإذنه ولا يستقل بها وقوله ﴿أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ﴾ [ البقرة : ١٠٧ ] تقرير لبطلان اتخاذ الشفاعة من دونه بأنه مالك الملك كله لا يملك أحد أن يتكلم في أمره دون إذنه ورضاه . فاندرج في ذلك ملك الشفاعة فإذا كان هو مالكها بطل اتخاذ الشفعاء من دونه كائن من كان

“আয়াতের অর্থ হলো: তিনিই (আল্লাহ) সমস্ত শাফা‘আতের একমত্র মালিক। তাঁর অনুমতি ব্যতীত অন্য কেউ শাফা‘আত করার ক্ষমতা রাখে না এবং (তিনি ব্যতীত অন্য কেউ) শাফা‘আতের ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ নন। ‘আসমান-যমীনের রাজত্ব একমাত্র তাঁরই’ আল্লাহর এ বাণী গাইরুল্লাহকে শাফা‘আতকারী হিসেবে গ্রহণ করাকে বাতিল সাব্যস্ত করেছে। এজন্য যে, তিনিই সমস্ত রাজত্বের একমাত্র মালিক, তাঁর অনুমতি এবং সন্তুষ্টি ব্যতীত কেউ তাঁর কোনো বিষয়ে কথা বলার অধিকার রাখে না। সুতরাং এতে (তাঁর সর্বময় কর্তৃত্বের ভিতরে) শাফা‘আতের মালিকানা অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। অতএব যখন তিনিই শাফা‘আতের একমাত্র মালিক তখন তিনি ছাড়া অন্য কাউকে শাফা‘আতকারী হিসাবে গ্রহণ করা বাতিল হয়ে গেল, তিনি যে-ই হোক না কেন? [বায়যাভী: ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫৪; বায়যাভী কামিল, পৃ. ৬১৩।]

ইমাম আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনে জারীর আত-তাবারী তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে লিখেন:

) قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا ( قل لهم أفردوا الله بألوهية فإن الشفاعة لله وحده لا يشفع عنده إلا من أذن له ورضي قوله .

“তুমি তাদেরকে বলে দাও, তোমরা এককভাবে আল্লাহর ইবাতদ কর। কেননা সমস্ত শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই জন্য। যাকে তিনি অনুমতি দিবেন এবং যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন সে ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ তার নিকট শাফা‘আত করতে পারবে না।” [মুখতাসারু তাফসীরিত তাবারী: ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮১।]

ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমদ আল-কুরতুবী তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ الجامع لأحكام القرآن -এ লিখেন,

قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا نص في أن الشفاعة لله وحده كما قال ﴿مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِ﴾ [ البقرة : ٢٥٥ ] فلا شافع إلا من شفاعته ﴿وَلَا يَشۡفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ٱرۡتَضَىٰ﴾ [ الانبياء : ٢٨ ]

“(বলে দাও, সব শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহর জন্যই) এ আয়াতটি এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল যে, শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই এখতিয়ারে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন (কে আছে এমন, যে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট শাফা‘আত করতে পারবে?) অতএব, তাঁর পক্ষ থেকে শাফা‘আতের অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আতকারী হতে পারবে না। (শাফা‘আতের অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ শুধু তাদের জন্য সুপারিশ করবে যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আায়াত: ২৮]

শাইখ আবু বকর জাবির আল-জাযাইরী তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে লিখেন-

) قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا ) أي أخبرهم أن جميع الشفاعات لله وحده فشفاعة الأنبياء والشهداء والعلماء والأطفال مملوكة لله فلايشفع أحد إلا بإذنه - ( ثم أمر تعالى رسوله أن يعلن عن الحقيقة وإن كانت عند المشركين مرّا ) قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا ) أي جميع أنواع الشفاعات هي ملك لله مختصة به فلا يشفع أحد إلا بإذنه إذا فاطلبوا من مالكها الذي له ملك السموات والأرض لاممن هو مملوك له .

“(বলে দাও, সব শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহর জন্য।) অর্থাৎ তুমি তাদেরকে জানিয়ে দাও, সমস্ত শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই অধিকারে। সুতরাং নবী, শহীদ, ওলামাগণের এবং নাবালক বাচ্চাদের শাফা‘আত আল্লাহরই মালিকানাভুক্ত। অতএব তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আত করতে পারবে না।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাফা‘আতের হাক্বীকত সম্পর্কে পরিষ্কার ঘোষণা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন, যদিও তা অংশীবাদীদের নিকট তিক্ত হয়।

(বলে দাও, সব শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই অধিকারে।) অর্থাৎ সর্ব প্রকার শাফা‘আত আল্লাহরই মালিকানাধীন। তাঁর জন্য সুনির্দিষ্ট। সুতরাং তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আত করতে পারবে না। কাজেই তোমরা শাফা‘আত প্রার্থনা কর শাফা‘আতের মালিকের কাছেই, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর মালিক। তার নিকট প্রার্থনা করো না, যে নিজেই আল্লাহর মামলুক বা মালিকাধীন।” [আয়সারুত তাফাসীর: ৪৯-৫০, ৪র্থ খণ্ড।]

শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসির আসসা’দী, তাঁর বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ-

تيسير الكريم الرحمن فى تفسير كلام المنان -এ লিখেন:

) قل ) لهم : ( قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا ) لأن الأمر كله لله وكل شفيع فهو يخافه ولا يقدر أن يشفع عنده أحد إلا بإذنه فإذا أراد رحمة عبده أذن للشفيع الكريم عنده أن يشفع رحمة بالاثنين ثم قرر أن الشفاعة كلها له بقوله : ﴿لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ﴾ [ البقرة : ١٠٧ ] أي جميع ما فيها من الذوات والأفعال والصفات فالواجب أن تطلب الشفاعة ممن يملكها وتخلص له العبادة .

“তুমি তাদেরকে বলে দাও, ‘সমস্ত শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই এখতিয়ারে’। কেননা সর্বপ্রকার কর্তৃত্ব আল্লাহরই এবং প্রত্যেক শাফা‘আতকারীই তাঁকে ভয় করে, এবং তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আত করার ক্ষমতা রাখে না। অতএব, যখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি দয়ার ইচ্ছা করেন তখন তিনি শাফা‘আতকারী ব্যক্তিকে তাঁর দরবারে শাফা‘আত করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। উভয়ের (শাফা‘আতকারী ও যার জন্য শাফা‘আত করা হবে) প্রতি দয়াদ্র হয়ে। অতঃপর তিনি তাঁর জন্যই সমস্ত শাফা‘আত সাব্যস্ত করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (আসমান-যমীনের মালিকানা একমাত্র তাঁর)... অতঃএব, অবশ্য করণীয় হচ্ছে, শাফা‘আতের মালিকের নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করা এবং ইবাদতকে শুধুমাত্র তাঁর জন্য খালেস করা।” [তাইসীরুল কারীমির রহমান, পৃ. ৬৭২।]

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! এই হচ্ছে শাফা‘আত সংশ্লিষ্ট কুরআনের তাফসীর। আপনারা এ থেকে নিশ্চয়ই ধারণা পেয়েছেন যে, সমস্ত শাফা‘আতের একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তা‘আলা। সর্বপ্রকারের শাফা‘আত তাঁরই অধিকারে। তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আত করতে পারবে না। তাই ঈমানের অনিবার্য দাবী হলো শাফা‘আতের মালিকের নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করা। কেননা বান্দার সকল চাওয়া-পাওয়া তাঁর মালিক ও মা‘বুদ আল্লাহর কাছেই হওয়া চাই। অন্য কোনো বান্দার কাছে নয়। মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ হলেও নবীজীও আল্লাহর একজন বান্দা মাত্র। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নোক্ত কুরআনের তাফসীর গ্রন্থসমূহ দেখতে পারেন:

ক্রমিক নং > তাফসীর গ্রন্থ > গ্রন্থকার > পৃষ্ঠা-খণ্ড

১. তাফসীরে ফতহুল কাদীর, ইমাম শাওকানী, খ. ৪, পৃ. ৪৬৭

২. তাফসীরুল কুরআনিল আজীম, ইবনু কাসীর, খ. ১, পৃ. ৩৩১, খ. ৩ পৃ. ৫৮৯

৩. তাফসীরে জালালাইন, সয়ূতী-মহল্লী, পৃ. ৩৮৮, ৪৮১

৪. তাফসীরে রুহুল মায়ানী,আলূসী বগদাদী, ২৪শ পারা পৃ. ৯-১১

৫. সাফওয়াতুত তাফাসীর,মুহাম্মদআলী সাবূনী, খ. ২, পৃ. ১৫৪

৬. তাফসীর ফী জিলালিল কুরআন, সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ, খ. ৫, পৃ. ৩০৫৫

৭. তাফসীরে কাশশাফ, ইমাম যমখশরী, খ. ৩, পৃ. ৪০০

৮. মুখতাসারু তাফসীরিত তাবারী,সাবূনী, খ. ১, পৃ. ৩৪৬

৯. তাফসীরে হক্কানী, আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী, খ. ৬, পৃ. ১২০-২১-৮৯

১০. ফাতহুল বায়ান, আবু তৈয়্যেব বুখারী, খ. ১২, পৃ. ১২৩

১১. বাহরুল মুহীত,আবু হায়্যান আন্দুলুসী, খ. ৭, পৃ. ৪৩১

১২. তাফসীরে কবীর, ইমাম রাযী , খ. ২৪/২৫, পৃ. ২৮৫

বইয়ের কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় তাফসীর সংক্রান্ত আলোচনা এতটুকুতেই সীমিত রাখালাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন