মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“হে নবী! বিচার দিবস সম্বন্ধে তুমি কী জান? আবার বলছি, বিচার দিবস সম্বন্ধে তুমি কী জান?” এটা সেদিন, যেদিন কেউ কারো জন্য কিছু করার সামর্থ্য রাখবে না। সেদিন একক কর্তৃত্ব হবে শুধু আল্লাহর।” [সূরা আল-ইনফিতার, আয়াত: ১৭-১৯]
আল্লাহ তা‘আলা যেমন ইহকাল ও পরকালের একমাত্র মালিক, ঠিক তেমনিভাবে শাফা‘আতের একচ্ছত্র মালিক তিনিই। সর্বপ্রকার শাফা‘আত তাঁরই এখতিয়ার বা কর্তৃত্বাধীন।
“হে নবী! আপনি বলুন, যাবতীয় শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই এখতিয়ারে। আসমান-যমীনের কর্তৃত্ব একমাত্র তাঁরই। অতঃপর তার দিকেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৪৪]
আল্লাহ তা‘আলা শাফা‘আতের কথা বান্দাদের অন্তরে সৃষ্টি করবেন এবং যাকে ইচ্ছা শাফা‘আতের অনুমতি দিবেন।
বস্তুত শাফা‘আতের মালিকানা ও কর্তৃত্ব এককভাবে মহান আল্লাহর জন্যই সংরক্ষিত। যারা সুপারিশ করবেন তারা তো তাঁরই অনুমতি বা নির্দেশক্রমেই করবেন এবং তা তাঁরই রহমতের প্রকাশের কারণেই। এ হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতিফলন। তাই তো মহান আল্লাহ কুরআনুল করীমে স্পষ্ট ঘোষণা করেন:
তাঁর অনুমতি ছাড়া তো কোনো সুপারিশকারীই হতে পারে না।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ০৩]
এজন্য শাফা‘আত প্রার্থনা একমাত্র আল্লাহরই নিকট করতে হবে। কেননা আদালতে আখিরাতের ভয়ঙ্কর দিনে কেউ নিজের ক্ষমতাবলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আকাশ ও পৃথিবীর মালিক রাজাধিরাজ ক্বাহ্হার যুলযালাল মহাপ্রতাপশালী আল্লাহর দরবারে শাফা‘আত করতে পারবে- এমন শক্তি কারো নেই। না আছে কোনো পয়গাম্বরের, না আছে কোনো ওলী-দরবেশের আর না আছে অন্য কারোর। এমন কি, টু শব্দটি করারও সাহস কারো থাকবে না। বরং সেদিন শাফা‘আত অস্তিত্ব লাভ করবে একমাত্র আল্লাহর অনুমতির মাধ্যমে। তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ কারো জন্য শাফা‘আত করতে পারবে না। এবং তার অনুমতি ছাড়া কোনো সুপারিশকারীও থাকবে না।
“হে ঈমানদারগণ! আমরা তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা (আল্লাহর পথে) ব্যয় করো সে দিন আসার পূর্বে যেদিন বেচা-কেনা, বন্ধুত্ব ও শাফা‘আত কিছুই থাকবে না। সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরাই প্রকৃত যালিম বা অপরাধী।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৫৪]
এ আয়াতে ولا شفاعة শাফা‘আত বা সুপারিশ নেই, এ কথার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কেউ কারো জন্য সুপারিশ করতে পারবে না, বরং আল্লাহর অনুমতির মাধ্যমে শাফা‘আত অস্তিত্ব লাভ করবে।
বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন ‘সায়্যিদুশ শুফা‘আ’ বা শাফা‘আতকারীদের সর্দার হবেন। এ সত্ত্বেও তাঁর পক্ষেও আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারো জন্য শাফা‘আত করা সম্ভব হবে না। যতক্ষণ না তাকে বলা হবে, সুপারিশ করার জন্য। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই বলেছেন:
“হে মুহাম্মাদ! তোমার মাথা উঠাও, বল, শোনা হবে। প্রার্থনা কর, তোমাকে দেওয়া হবে। সুপারিশ করো, তোমার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে”।
লক্ষ্যণীয় যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাফা‘আতের অনুমতি দিয়েছেন এবং এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার শাফা‘আত মঞ্জুর করা হবে। অর্থাৎ ক্ষমাকারী বা উদ্ধারকারী হিসেবে আল্লাহই সার্বভৌম কর্তৃত্ববান।
কিয়ামতের দিন মহানবী নিজেই আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে বলবেন:
তখন তাঁকে সুপারিশকারী বানিয়ে দেওয়া হবে। অতএব, বুঝা গেল যে, কিয়ামত দিবসে অনুষ্ঠিত শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই অনুমতি সাপেক্ষ। অর্থাৎ যাকে ইচ্ছা সুপারিশের অনুমতি দেওয়া ও যাকে ইচ্ছা না দেওয়া এবং যার জন্য ইচ্ছা করতে দেওয়া আর যার জন্য ইচ্ছা করতে না দেওয়া এবং কারো শাফা‘আত শোনা বা না শোনা আর তা কবুল করা বা না করা সর্বশক্তিমান আল্লাহর একক এখতিয়ারে। তিনি ছাড়া যে-ই হোক না কেন তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘আত করার সাহস করতে পারবে না। তাই যারা আখিরাতের আদালতে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফা‘আত লাভের উচ্চাকাঙ্খা রাখে তার জন্য উচিৎ, শাফা‘আত ও দো‘আ কবুলের মালিক মহান আল্লাহর দরবারেই শাফা‘আত ও অন্যান্য বিষয়ে দো‘আ করা। যাতে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমাদের জন্য শাফা‘আত করার অনুমতি প্রদান করেন, যেমনিভাবে সমস্ত সৃষ্টিকুল তাঁরই নিকট প্রার্থনা করে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَسَۡٔلُهُۥ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ﴾ [ الرحمن : ٢٩ ]
“তোমাদের প্রত্যেককেই নিজ পালনকর্তা আল্লাহর নিকট যাবতীয় হাজাত ও প্রয়োজনের প্রার্থনা করা কর্তব্য; এমনকি নিজের জুতার ফিতার জন্যেও প্রার্থনা করবে যদি তা ছিড়ে যায়”। [বর্ণনায় তিরমিযী, হাকিম, মিশকাত ও সহীহুল আযকার, পৃ. ৫০।]
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, আখেরাতে অনুষ্ঠেয় শাফা‘আতের প্রার্থনার বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছেই অস্পষ্ট। আবার অনেককে শাফা‘আত প্রার্থনায় অত্যন্ত আন্তরিক দেখা গেলেও যার নিকট প্রার্থনা করা কর্তব্য ও ফরয তারা তাঁর নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করছেন না বরং তারা শির্কী প্রার্থনায় লিপ্ত রয়েছেন। এটা ইসলাম আদৌ অনুমোদন করে না। নিম্নে শাফা‘আতের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/755/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।