মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইমাম ইবনু আবিল ইজ্জ আল হানাফী شرح العقيدة الطحاوية -গ্রন্থে লিখছেন:
فالحاصل : أن الشفاعة عند الله ليست كالشفاعة عند البشر فإن الشفيع عند البشر كما أنه شافع للطالب شفعه فى الطلب بمعنى أنه صار شفعا فيه بعد أن كان وترا فهو أيضا قد شفع المشفع المشفوع إليه وبشفاعته صار فاعلا للمطلوب فقد شفع الطالب والمطلوب منه والله تعالى وتر لايشفعه أحد فلايشفع عنده أحد إلا بإذنه فالأمر كله إليه فلاشريك له بوجه , فسيد الشفعاء يوم القيامة إذا سجد وحمد الله فقال له الله : ( ارْفَعْ رَأسَكَ وَقُلْ تُسْمَعُ وَسَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ ) فيحد له حدا فيدخلهم الجنة فالأمر كله لله كما قال : ﴿قُلۡ إِنَّ ٱلۡأَمۡرَ كُلَّهُۥ لِلَّهِ﴾ [ ال عمران : ١٥٤ ] وقال تعالى ﴿لَيۡسَ لَكَ مِنَ ٱلۡأَمۡرِ شَيۡءٌ﴾ [ ال عمران : ١٢٨ ] وقال تعالى : ﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُ﴾ [ الاعراف : ٥٤ ]
মোদ্দাকথা: আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার বিষয়টি মানুষের কাছে সুপারিশ করার মত নয়। কেননা মানুষের কাছে যে ব্যক্তি সুপারিশ করে প্রার্থনার ক্ষেত্রে সে যেমন সুপারিশ প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করে তার শরীক ও সহযোগী হয়ে যায় তেমনিভাবে সুপারিশ প্রার্থী ব্যক্তি একাও বেজোড় থাকার পর সে প্রার্থনার ক্ষেত্রে সুপারিশকারীর সহযোগী বা জোড় হয়ে যায়। সুপারিশকারী এবং তার নিকট সুপারিশ প্রার্থনাকারী ব্যক্তি উভয়ে শাফা‘আতের মাধ্যমে উদ্দেশ্য অর্জন করে। অর্থাৎ সুপারিশ প্রার্থী এবং সে যাকে সুপারিশকারী ধরেছে উভয় মিলে প্রার্থনা করে বা সুপারিশ করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বেজোড় যার সহযোগী বা জোড় হওয়ার মত কেউ নেই। কাজেই তাঁর নিকট তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। বরং শাফা‘আতের যাবতীয় ব্যাপার তাঁরই দিকে সমর্পিত। এবং কোনো দিক থেকেই কেউ তাঁর শরীক নয়। তিনি সম্পূর্ণ লা-শরীক। এ কারণেই শাফা‘আতকারীদের সরদার-মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কিয়ামতের দিন যখন সাজদায় লুটিয়ে পড়বেন এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করবেন তখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে বলবেন: “হে মুহাম্মাদ! তুমি মাথা উঠাও এবং বল, শ্রবণ করা হবে, তুমি যাঞ্চা কর দেওয়া হবে, তুমি সুপারিশ কর তোমার সুপারিশ কবুল করা হবে”। অতঃপর তাঁকে একটি সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এবং এ সীমা অনুযায়ী তিনি লোকদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (সে দিনের) যাবতীয় কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর । যেমন, তিনি বলেন,
وأخبر أن الشفاعة كلها له أنه لايشفع عنده أحد إلا لمن أذن الله أن يشفع له فيه ورضي له قوله وعمله وهم أهل التوحيد الذين لم يتخذوا من دون الله شفعاء من دونه فيكون أسعد الناس بشفاعته من يأذن الله تعالى صاحب التوحيد الذي لم يتخذ شفيعا من دون الله والشفاعة التي اثبتها الله تعالى ورسوله صلى الله عليه وسلم هي الشفاعة الصادرة عن إذنه لمن وحده والتي نفاها الله تعالى هي الشفاعة الشركية التي في قلوب المشركين المتخذين من دون الله شفعاء فيعاملون بنقيض مقصودهم من شفاعتهم ويفوز بها الموحدون
“আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দিয়েছেন যে, সমস্ত শাফা‘আত তাঁরই এখতিয়ারভুক্ত। যাদের তিনি অনুমতি দান করবেন এবং যার কথা ও কাজে তিনি সন্তুষ্ট, সে ব্যতীত আর কেউ তাঁর নিকট শাফা‘আত করতে পারবে না। তারা হচ্ছেন নির্ভেজাল-একনিষ্ঠ তাওহীদবাদী, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সুপারিশকারী হিসেবে গ্রহণ করে নি। আর তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে সুপারিশ করার অনুমতি দিবেন। আর তারা যেহেতু তাকে ছাড়া অন্য কাউকে সুপারিশকারী হিসেবে গ্রহণ করে নি, সেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফা‘আত দ্বারা সর্বাপেক্ষা ভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি হবে যার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা অনুমতি দান করবেন। আর সে হচ্ছে একনিষ্ঠ তাওহীদবাদী যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করে নি। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শাফা‘আতের স্বীকৃতি দান করেছেন, তা হচ্ছে ঐ শাফা‘আত যা তাঁর অনুমতিক্রমে একনিষ্ঠ তাওহীদবাদীর জন্য প্রকাশ পাবে এবং আল্লাহ তা‘আলা যে শাফা‘আতের অস্বীকার করেছেন, তা হচ্ছে শির্কী শাফা‘আত যা ঐ সমস্ত শির্কবাদীদের অন্তরে বদ্ধমূল রয়েছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করেছে। অতএব, শির্কবাদীদের ব্যাপারে তাদের শির্কী শাফা‘আতের কারণে তাদের উদ্দশ্যের বিপরীত আচরণ করা হবে এবং একনিষ্ঠ তাওহীদবাদীরা স্বীকৃত শাফা‘আতের দ্বারা সফলকাম হবেন।” [তাইসীরুল আযীযিল হামীদ: ২৪৭।]
فإذا كانت الشفاعة كلها لله ولا تكون إلا بعد إذنه ولايشفع النبي صلى الله عليه وسلم و لاغيره في أحد حتى يأذن الله فيه ولا يأذن إلا لأهل التوحيد تبين لك أن الشفاعة كلها لله واطلبها منه واقول : اللهم لا تحرمنى شفاعته ، اللهم شفعه فيّ، وأمثال هذا ...
“বস্তুতপক্ষে যখন সমস্ত শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহরই জন্য সংরক্ষিত এবং তা আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষ। আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা অন্য কেউ আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারো জন্য শাফা‘আত করতে সক্ষম হবেন না। আল্লাহর অনুমতি একমাত্র একনিষ্ঠ তাওহীদবাদীদের জন্যই নির্দিষ্ট। এখন তোমার কাছে এ কথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, সকল প্রকার শাফা‘আতের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। সুতরাং আমি তাঁরই নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করি এবং বলি: “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফা‘আত থেকে বঞ্চিত করো না। হে আল্লাহ! তুমি তাঁকে আমার জন্য শাফা‘আতকারী বানিয়ে দাও। অনুরূপ অন্যান্য দো‘আও আল্লাহর নিকট করতে হবে।” [কাশফুশ শুবহাত: ১৬।]
শাইখ সালেহ ইবন ফাওযান বলেন,
والشفاعة حق ولكنها ملك لله وحده كما قال تعالى ﴿قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا﴾ فهي تطلب من الله لا من الأموات لأن الله لم يرخص فى طلب الشفاعة من الملائكة ولا من الأنبياء ولا غيرهم لأنها ملكه سبحانه وتطلب منه ليأذن للشافع أن يشفع
“শাফা‘আত অবশ্যই সত্য। কিন্তু এর মালিকানা একমাত্র আল্লাহরই। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (বলে দাও, সমস্ত শাফা‘আত আল্লাহর।) এতএব, শাফা‘আত প্রার্থনা আল্লাহরই নিকট করতে হবে মৃতদের নিকট নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতাগণ, নবীগণ এবং অন্যানের নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করার অনুমতি দেন নি। এজন্য যে, তিনিই শাফা‘আতের একচ্ছত্র মালিক এবং তার নিকট শাফা‘আত প্রার্থনা করবে যেন, তিনি সুপারিশকারীকে তার জন্য শাফা‘আত করার অনুমতি প্রদান করেন।” [আল ইরশাদ ইলা সহীহিল ইতিক্বাদ: ৫১-৫২।]
আল্লামা আবু বকর জাবের আল জাযায়েরী তাঁর সুবিখ্যাত عقيدة المؤمن গ্রন্থে শাফা‘আতের প্রার্থনা প্রসঙ্গে বলেছেন:
فلا يطلب الشفاعة من أحد ولا يسألها من غير الله عز وجل إذ الشفاعات كلها لله تعالى وليس لأحد سواه منها شيء قال تعالى : ( قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗا ) وقال تعالى ﴿مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِ﴾ [ البقرة : ٢٥٥ ] ومن أراد شفاعة النبي صلى الله عليه وسلم فليسألها من الله تعالى وليقل اللهم شفع فيّ نبيك أو اللهم ارزقني شفاعة نبيك أو يارب اجعلني ممن تشفع فيهم نبيك ...
সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে শাফা‘আত চাওয়া কিংবা প্রত্যাশা করা যাবে না। কেননা শাফা‘আতের একচ্ছত্র অধিকার একমাত্র আল্লাহরই এবং তিনি ব্যতীত অন্য কারো এতে বিন্দুমাত্র অধিকার নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “বল, হে রাসূল! শাফা‘আত সম্পূর্ণটাই আল্লাহর হাতে”। তিনি আরও বলেন, “কে আছে, আল্লাহর কাছে তার অনুমতি ব্যতীত শাফা‘আত চাইবে”? যে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফা‘আত প্রত্যাশা করে সে যেন আল্লাহরই কাছে চায় এবং বলে, হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার নবীকে শাফা‘আতকারী করে দিন” অথবা বল, হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার নবীর শাফা‘আত নসীব করুন” অথবা বল, হে আমার রব! আমাকে ঐ সকল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন যাদের জন্য আপনি আপনার নবীকে শাফা‘আতকারী বানাবেন।” [আকীদাতুল মুমিন, পৃ. ১২৯।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/755/18
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।