hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা নাবীর সর্ব শেষ ওসিয়ত আস-সালাত, আস-সালাত

লেখকঃ নূর মুহাম্মদ বদীউর রহমান

১৬
সালাত ত্যাগ করা নিকৃষ্টতম কবিরা গুনাহ:
মুহাম্মদ বিন নসর আল-মারওয়াযী বলেন, আমি ইসহাককে বলতে শুনেছি: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ মর্মে সুস্পষ্ট বক্তব্য এসেছে যে, সালাত ত্যাগকারী কাফের।

অনুরূপভাবে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে একদল শরিয়তবিদ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, যে ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত পরিহার করল এবং এরই মাঝে সে সালাতের সময়ও শেষ হয়ে গেল; সে কাফের।’’ [আল ইহসান ফী তাকরীবি সহীহ ইবনে হিববান ৪০০/৩২৮৭০৫]

ইমাম ইবনে হাযম রহ. বলেন: সময় মত সালাত আদায় না করা এবং অন্যায়ভাবে কোন মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করা; শিরকের পর সব চেয়ে বড় গুনাহ। [কিতাবুল কাবায়ির লিযযাহাবী পৃ.২৬]

ইমাম ইবনু কাউয়ূম আল জাওযি র. বলেন,

এ ব্যাপারে মুসলমানদের মাঝে কোন ভিন্নমত নেই যে, ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ সালাত ত্যাগ করা সব চেয়ে বড় অপরাধ। সব চেয়ে বড় গুনাহ। আল্লাাহর নিকট এ অপরাধ হত্যা ও সম্পদ লুণ্ঠনের অপরাধের চেয়েও গুরুতর। এ পাপ যিনা-ব্যাভিচার, চুরি, মদ্যপানের পাপের চেয়েও বড়। সালাত ত্যাগকারী, আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তির সম্মুখীন হবে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছনার শিকার হবে।

ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী বলেন: সালাতকে তার নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে আদায়কারী-কবীরাগুনাহকারী (অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় না করা কবীরা গুনাহ) আর যে ব্যক্তি একেবারেই ত্যাগ করল অর্থাৎ এক ওয়াক্ত সালাত একেবারেই আদায় করল না। পাপের দিক থেকে সে যিনাকার ও চোরের সমতুল্য। কেননা প্রতিটি সালাত ত্যাগ করা বা ছেড়ে দেয়া কবীরাগুনাহ। যে এ অপরাধ একাধিকবার সঙ্ঘটিত করল সে তওবা করার পূর্ব পর্যন্ত কবীরাগুনাহ সম্পাদন কারীদের অন্তর্ভক্ত। আর যে ব্যক্তি সদা-সার্বক্ষণিকভাবে এ সালাত ত্যাগ করার অপরাধে লিপ্ত সে হতভাগা ও ক্ষতিগ্রস্ত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত। [আল কাবায়ির লিযযাহাবী পৃ. ২৮]

আল্লামা ইবনুল জাওজী রহ. বলেন : সুস্থ শরীর সম্পন্ন সালাত ত্যাগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা জায়েজ নেই। অন্য মুসলমানদের পক্ষে তাকে খাওয়ানো, তার নিকট মেয়ে বিবাহ দেয়া এবং একই ছাদের নিচে তার সাথে বসবাস করা বৈধ নয়। [বাহরুদ্দুমু পৃ. ১৮৯)] সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন : যে সালাত ত্যাগ করল তার কোন দ্বীন নেই।’’ আব্দুল্লাহ বিন শাকীক আল আকলী সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ সালাত ব্যতীত অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরী জ্ঞান করতেন না। [(তিরমিযী-সহীহ )]

সাহাবী আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘‘যার সালাত নেই তার ঈমান নেই। আর যার ওযু নেই তার সালাত নেই। [সহীহ]’’

যে ব্যক্তি সালাতের আবশ্যিকতা স্বীকার করে, তবে অলসতা করে তরক করে-সময় মত আদায় করে না, এ ব্যক্তির এ কাজটি কুফরী বলে ওলামায়ে কেরাম মতামত ব্যক্ত করেছেন। কেউ আবার ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এরূপ ইখতেলাফ-মতবিরোধকে এক পাশে রেখে আমরা সালাত ত্যাগকারীর কানে গোপনে একটি কথা বলতে পারি। আচ্ছা আপনাকে ইসলাম ও তাওহীদপ্রিয় মুসলমান বলা হবে। সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত বলা হবে। এটি কি আপনার নিকট অপছন্দনীয়? তাহলে একটি মাসআলা সম্পর্কে বলুন। যে ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম মতবিরোধ করেছেন মাসআলাটি হল, আপনার সালাত ত্যাগ করা ও সময়মত আদায় না করা প্রসঙ্গে।

একদল আলেমের বক্তব্য হল: আপনি কাফের মুশরিক হয়ে গিয়েছেন। আপনার রক্ত ও সম্পদ বৈধ-এর কোন নিরাপত্তা নেই। আপনি জীবিত থাকার অধিকার হারিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব মুরতাদ হিসেবে আপনার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। কোন মুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা আপনার জন্য বৈধ নয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনি আর আপনার সন্তাদের অভিভাবকত্ব করতে পারবেন না। আপনি ওয়ারিছ বানাতে পারবেন না। না আপনি তাদের উত্তরাধিকার পাবেন। আপনাকে গোসল দেয়া হবে না, আপনার জানাজা পড়া হবে না। মুসলমানদের কবরে আপনাকে দাফন করা হবে না। আপনি ফেরআউন , হামান, আবু জাহেল, আবু লাহাবসহ সকল কাফেরদের সাথে চিরস্থায়ী জাহান্নামের থাকার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছেন।

উলামাদের অন্য দলের মন্তব্য হল: না আপনি কাফের হননি। তবে আপনি ফাসেক, ফাজের। কঠিন গুনাহগার, গুরুতর অপরাধী যদি এরপর আবারও সালাত ত্যাগ করেন তাহলে আপনাকে শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে এবং তা কার্যকরও করা হবে। [(সামান্য পরিবর্তনসহ: নাইলুল আওতার, আল্লামা শাওকানী : ১/২৯৯-২৯৩)]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন