hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা নাবীর সর্ব শেষ ওসিয়ত আস-সালাত, আস-সালাত

লেখকঃ নূর মুহাম্মদ বদীউর রহমান

জামাআতের গুরুত্ব সম্পর্কিত পূর্ববর্তী ওলামায়ে কিরামের কিছু দৃষ্টান্ত :
তাদের ইবাদাত ছিল দৃষ্টান্তমূলক। তারা মসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার ব্যাপারে ছিলেন খুবই আগ্রহী। যেমন তাবেঈদের সরদার সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব রহ. বলতেন, চল্লিশ বছর যাবৎ আমার জামাআতের সাথে সালাত ছুটেনি।

ইবনে মুসাইয়্যাবের আযাদকৃত গোলাম বুরদা বলেন, চল্লিশ বছর যাবৎ যখনই মসজিদে আযান দেয়া হয় তখনই সাঈদ মসজিদে থাকতেন।

পূর্ববর্তী মনীষীদের অভ্যাস ছিল যদি তাদের তাকবীরে ঊলা ছুটে যেত তাহলে তিনদিন তারা শোক প্রকাশ করতেন। আর যদি জামাআত ছুটে যেত তাহলে সাতদিন শোক প্রকাশ করতেন। [তুহফাতুল আহওয়াযী। ২/৪৫]

মোল্লা আলী কারী রহ. তার সাথে সংযোজন করেছেন যে, যদি জুমু‘আ ছুটে যেত তাহলে সত্তর দিন শোক প্রকাশ করতেন।

হাতেম আল-আসাম রহ. বলেন, দুনিয়ার মুসীবতের চাইতে দ্বীনের মুসীবত বড়। আমার একটি মেয়ে মারা গিয়েছে তখন দশ হাজারের চেয়েও বেশি লোক আমাকে সমবেদনা জানিয়েছে, অথচ আমার জামাআতে সালাত ছুটে গেছে তখন কেউ আমাকে সমবেদনা জানায়নি।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন যারা জামাআতের সাথে তাকবীরে ঊলা ছুটে যাওয়ার কারণে কান্নাকাটি করতেন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন। আবার তাদের মাঝে এমনও কিছু লোক ছিলেন যাদের সংখ্যা প্রায় নববই এর কাছাকাছি ফরয সালাত একাকী দুইবার আদায় করলে বলতেন, মনে হয় যেন আমি সালাতই আদায় করিনি। তাদের মধ্যে একজনের চল্লিশ বছরে মাত্র একবার জামাআতে সালাত ছুটেছে তাও যখন তার মাতা মারা গেছেন। তার কাফন-দাফনের প্রস্ত্ততিতে ব্যস্ত ছিলেন।

সুলাইমান ইবনে মিহরান আল-আ’মাশ, এর ব্যাপারে ওয়াকী’ ইবনে জাররাহ বলেন, আ’মাশের প্রায় সত্তর বছর তকবীরে ঊলা ছুটেনি।

ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে আদায় করার ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ একমত পোষণ করেছেন। এ এক বড় ইবাদাত এবং আল্লাহর নৈকট্যের মাধ্যম। ইসলামের বড় প্রতীক, যার ফযীলতের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পূর্বে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার ফযীলতকে ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা তার উপর নির্জনতা অগ্রাধিকার পাবে। জামাআতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে একাকী হবে। মসজিদে দোয়া ও সালাত পড়ার চাইতে কবরস্থানে দোয়া ও সালাত পড়াকে উত্তম মনে করবে। অবশ্যই ধর্মের ফাঁদ খুলে যাবে। মুমিনদের পথ ছেড়ে অন্য পথের অনুসরণ করবে।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয় সম্পর্কে বলব না যার মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহসমূহ মোচন করে দেন এবং মর্যাদাসমূহ উচ্চ করেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, জি, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেন, তা হচ্ছে, কষ্টের সময় যথাযথভাবে ওযু করা, মসজিদের দিকে বেশি বেশি পদক্ষেপে যাওয়া, এক সালাতের পর আরেক সালাতের জন্য অপেক্ষা করা- এগুলোই হচ্ছে সীমান্ত প্রহরা। কথাগুলো তিনি তিনবার বলেছেন।

ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর বাণী :

وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ ﴿الأنبياء :১০৫﴾

‘‘আমি উপদেশের পর যাবূরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে’’। [সূরা আম্বিয়া: ১০৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

إِنَّ فِي هَذَا لَبَلَاغًا لِقَوْمٍ عَابِدِينَ ﴿الأنبياء :১০৬﴾

‘‘এতে ইবাদাতকারী সম্প্রদায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিষয়বস্ত্ত আছে’’। [সুরা: আম্বিয়া- ১০৬]

উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার ওই সকল লোক জান্নাতের উত্তরাধীকার লাভ করবে যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাআতের সাথে আদায় করে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী-

لِقَوْمٍ عَابِدِينَ ﴿الأنبياء :১০৬﴾

‘‘এরমধ্যে যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাআতের সাথে আদায় করে ও রমজানে রোজা রাখে তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে’’।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন