hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মহা নাবীর সর্ব শেষ ওসিয়ত আস-সালাত, আস-সালাত

লেখকঃ নূর মুহাম্মদ বদীউর রহমান

১৭
সালাত ত্যাগ করা অন্ধকার ও দুনিয়া-আখেরাতে ধ্বংস :
সালাত ত্যাগ করা অন্তরকে অন্ধকার ও মুখকে কালো করে দেয়। কেননা ইবাদাত আনুগত্য হচ্ছে নূর ও স্বর্গীয় জ্যোতি আর অবাধ্যতা ও পাপ হল অন্ধকার।

সুতরাং এ অন্ধকার যত গাঢ় ও শক্তিশালী হবে পেরেশানীও বৃদ্ধি পাবে সে হারে। এক পর্যায়ে উক্ত অন্ধকার সে পাপী-সালাত ত্যাগকারীকে অজান্তেই পথভ্রষ্টতায় ফেলে দিবে। আর তখন থেকে তার ও অন্যান্য মানুষ বিশেষ করে নেককার লোকদের সাথে একটা দূরত্ব ও শীতল সম্পর্কের সৃষ্টি হবে। যখন সে এটি বুঝতে পারবে এবং উক্ত দূরত্ব আরো গাঢ় হবে তখন তাদের সংশ্রব থেকে দূরে সরে যাবে। এবং তাদের কাছ থেকে উপকৃত হওয়ার বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। সাথে সাথে শয়তানের দলের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। রহমানের দলের সাথে যে পরিমাণ দূরত্ব সৃষ্টি হবে, আনুপাতিক হারে শয়তানের দলের সাথে সে পরিমাণ ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পাবে। [(আল- জাওয়াব আল কাফী : পৃ. ৪৯)]

পরিণতিতে অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে, আল্লাহর বিরুদ্ধে শয়তানের দলেরই একজন হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন :

أُولَئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُونَ ﴿المجادلة :১৯﴾

তারা হচ্ছে শয়তানের দল। শুনে রাখ। শয়তানের দলই হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। [(সূরা মুজাদালাহ:১৯)]

সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন: যে ব্যক্তি পূর্ণ নিয়মানুবর্তিতার সাথে সালাত আদায় করবে এ সালাত তার জন্য কেয়ামতের দিন নূর ও দলীল হয়ে আর্ভিভূত হবে। আর যে একে সংরক্ষণ করবে না এটি তার জন্য কেয়ামতের দিন নূর-দলীল ও মুক্তি হবে না।্র

من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة ، ومن لم يحافظ عليها لم تكن له نورا ، ولا برهانا ، ولا نجاة ، وكان يوم القيامة مع قارون ، وفرعون ، وهامان ، وأبي بن خلف الجمحي গ্ধ

এবং কিয়ামত দিবসে উঠবে কারূন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন খালফ এর সঙ্গী হয়ে’। [(বায়হাকী: ২৬৯৭)]

কতিপয় ইসলামি চিন্তাবিদ হাদীসটির বিশেষণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত থেকে নির্লিপ্ত থাকবে সম্পদ অর্জনের কারণে তার হাশর হবে কারূনের সঙ্গে, আর রাজত্বের কারণে যে নির্লিপ্ত থাকবে তার হাশর হবে ফিরআউনের সঙ্গে, মন্ত্রীত্বের কারণে হলে হাশর হবে হামানের সঙ্গে, এবং যে নির্লিপ্ত থাকবে ব্যবসার কারণ দেখিয়ে তার হাশর হবে মক্কার কাফির ব্যবসায়ী উবাই বিন খালফের সঙ্গে। [আসসালাতু ওয়া হুকমু তারিকিহা, পৃ২২।]

সুতরাং ওই ব্যক্তির চেয়ে ত্রুটিপূর্ণ বিবেক আর কার? যে, আল্লাহর পুরস্কারপ্রাপ্ত বান্দাগণ অর্থাৎ - নবী, সিদ্দীক, শহীদ, সৎকর্মশীলদের সঙ্গ বাদ দিয়েছে, সেসব ব্যক্তির সঙ্গের বিনিময়ে যাদের উপর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং প্রস্ত্তত করেছেন তাদের জন্য জাহান্নাম। আর তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।

বন্ধু! পাপ কাজ করার পূর্বে একটু চিন্তা করুন, আপনি কে? আপনি তো সকলের মাবুদ সৃষ্টিকূলের রবের নাফরমানি করছেন। আপনি কে? একটু চিন্তা করুন, আপনি তো বড় দুর্বল, অসহায়। নিজের কোন উপকার কিংবা ক্ষতি করার আপনি মালিক নন। গুনাহ করার পূর্বে স্মরণ করুন, আপনার উপর আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতের কথা। যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন শূন্য হতে, রোগ থেকে সুস্থতা দান করেছেন, আর ভরে দিয়েছেন আপনাকে তার নিয়ামতরাজি দ্ধারা। হে আল্লাহর বান্দা, আপনি এ অনুগ্রহকে কিভাবে অস্বীকার করছেন? কিভাবে অনুগ্রহের বিনিময়ে দিচ্ছেন অকৃজ্ঞতা? ওহে, মনে রাখুন, আপনি আল্লাহর নাফরমানি করছেন তাঁর রাজত্বের ভিতর, তাঁর যমীনের উপর, তাঁর আকাশের নিচে। আপনি কি রাজি হবেন? আপনার ঘরে, আপনার রাজ্যে, আপনার প্রভাবাধীন জায়গায় কেউ আপনার নাফরমানি করুক? সাবধান ! আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা, গুনাহ মার্জনাকারী এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, তওবা কবুলকারী, অপরাধকারীদের উপর থেকে তাঁর বাহিনীকে হঠানো সম্ভব নয়। তিনি মর্যাদাহানী মনে করেন যদি তাঁর অলঙঘণীয় বিধান লঙ্ঘিত হয়। পূর্বেকার জাতি গোষ্ঠী তো এ কারণেই ধ্বংস হয়েছে যে, তারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তার নিদর্শনসমূহ ধ্বংস করেছিল, গুনাহ করে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিল। হে বেখবর! ওহে নাফরমান! আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এক মহান উদ্দেশ্যে, এক গুরু দায়িত্ব দিয়ে; নিরর্থক নয়, অকারণেও নয়।

‘তোমরা কি ধারণা করেছ তোমাদেরকে নিরর্থক সৃষ্টি করেছি, এবং তোমরা আমার কাছে প্রত্যাবর্তণ করবে না?’

আল্লাহ আপনাকে সময় দিয়েছেন, সুযোগ দিয়েছেন যাতে নেক আমলের মাধ্যমে পাথেয় সংগ্রহ করতে পারেন; এবং আপনি স্মরণ করুন আল্লাহর দেয়া সুযোগ ও অবকাশকে। আল্লাহ তা‘আলা অবকাশ দেন তবে একেবারে ছেড়ে দেননা। অতএব সাবধান! জেনে রাখুন! আল্লাহ নিযুক্ত করেছেন আপনার উপর ‘সম্মানিত ফেরেস্তা’ আপনি তাদের না দেখলেও তারা আপনাকে ঠিকেই দেখছে। তারা অবগত হন আপনি যা বলেন ও করেন। কিয়ামত দিবসে তারা আপনার বিপক্ষে স্বাক্ষ্য দিবে। এসব সাক্ষ্য থেকে পালানোর জায়গা আছে কি? সন্দেহ নেই আমরা প্রত্যেকেই গুনাহগার, পাপাচারী আমরা সবাই অপরাধী। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

كُلُّ بَنِيْ آدَمَ خَطّاءٌ، وَخَيْرُ الْخَطّائِيْنَ التَّوابُوْنَ .

‘প্রত্যেক আদম সন্তান অপরাধী আর এর মাঝে উত্তম যারা তাওবা করে’। [তিরমিজি, ইবনে মাজাহ]

গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আগে স্মরণ করুন আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে দেখছেন, আপনার সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি সর্বজ্ঞাত, মহাবিজ্ঞ, সর্বশ্রোতা এবং সর্বদ্রষ্টা। কুরআনে এসেছে-

يَعْلَمُ مَاتُسِرُّوْنَ وَمَا تُعْلِنُوْنَ .

‘তিনি জানেন যা তোমরা গোপনে কর, আর যা তোমরা প্রকাশ্যে কর। [তাগাবুন : ৪]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন