hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে গায়েব

লেখকঃ অধ্যাপক আবদুন নূর সালাফী (রহ.)

১১
স্ব-কপোল কল্পিত মর্যাদা প্রদান
বিদআতী পীর ফকীরের দল ছিনা জোরী করে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে এমন কত স্ব-কপোল কল্পিত বিশেষণে বিশেষিত করে থাকে, যে বিশেষণগুলো কেবল এবং একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। তাদের স্ব-কপোল কল্পিত মর্যাদা প্রদানের ফলে স্রষ্টা ও সৃষ্ট জীবের মধ্যে কোন ব্যবধান থাকে না, কোন প্রভেদ থাকে না। এরা অতিরিক্ত জ্ঞান বাচক নাম রসূল (সাঃ)-এর নামের সাথে যোগ করে মনে করে থাকে যে, এতে নবী (সাঃ)-এর সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। এরা এও মনে করে থাকে যে, এর দ্বারা রসূল (সাঃ) আনন্দিত হবেন এবং পরকালে এদের জন্য শাফাআত করবেন।

এরা এতটুকু বিবেচনা করে দেখার মত অবকাশও পায় না যে, সৃষ্ট জীবের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে মর্যাদা প্রদান করার কোন ক্ষমতাই তাদের নেই। এরা কি রসূল (সাঃ)-এর মর্যাদা প্রদানকারী সংস্থা না এরা স্ব-কপোল কল্পিত সম্মান ও প্রতিপত্তি প্রদানের অধিকারী? কুরআন মাজীদ অধ্যয়ন করে জানতে পাচ্ছি যে, মর্যাদা দানকারী সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধিকারী সত্ত্বা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে আল্লাহ রাব্দুল আলামীন যে সমস্ত গুণে গুণান্বিত করেছেন, তিনি সে সমস্ত গুণের অধিকারী বটে। কোন উম্মতই রসূল (সাঃ)-কে এমন কোন অতিরিক্ত গুণে গুনান্বিত করতে পারে না, যদ্বারা স্রষ্টার ও সৃষ্ট জীবের মধ্যকার ব্যবধান উঠে যায়। কেননা উঁচু মর্যাদা দানকারী সত্ত্বা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। এ দাবীর সমর্থনে কুরআন মাজীদের একটি আয়াত তুলে ধরছি। আল্লাহ বলেনঃ

(আরবী)

“আরশের অধিপতি সত্তাই উঁচু মর্যাদাসমূহ দানকারী, নিজ আদেশ বলে জিবরাঈলকে পাঠিয়ে আপনার দাসদের মধ্য থেকে যার প্রতি ইচ্ছা অহী নাযিল করেন তিনি।” (সূরা মুমিন ১৫)।

এ আয়াতের দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, মর্যাদার মহান সত্তাই উঁচু মর্যাদা দানকারী, তিনি বান্দাদের মধ্যে যাকে নবুওত দান করতে ইচ্ছে করেন তাঁর কাছে জিবরাঈলকে পাঠিয়ে দেন। নবুওত দানের মাধ্যমে মর্যাদা দানকারী সত্তা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তিনি সকল দাসদের মর্যাদা দান করে থাকেন। পক্ষান্তরে সমস্ত সৃষ্টজীব তার দাস। দাস হয়ে অন্য দাসকে মর্যাদা দান করতে পারে না। স্মরণ রাখবেন! মহান আল্লাহ রাব্বল আলামীনই মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে নবুওত ও রিসালাত দান করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। সে আল্লাহই রসূল (সাঃ)-কে নবীগণের শেষ, নিখিল ধরণীর রহমত, পাপীদের সুপারিশকারী, রসূলগণের সম্রাট, বিগত ও আগত সবার চেয়ে সম্মানী ও আদম সন্তানাদির সরদার-উচ্চ মর্যাদাসমূহ দান করেছেন।

বড় পরিতাপের বিষয়! অনেক বিদআতী বলে থাকে যে, “আমরা রসূলের মর্যাদা বৃদ্ধি করে থাকি-রসূল (সাঃ) যা ইচ্ছে তা করতে পারেন, সদাসর্বক্ষণে উপস্থিত তিনি, অদৃশ্য বিদিত তিনি, খাদ্য বণ্টনকারী তিনি, ভাল ও মন্দের অধিকারী তিনি, মানুষ নবী ছিলেন না তিনি, বরং তিনি ছিলেন নূরের তৈরী নূর নবী।”

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! বিদআতীদের স্ব-কপোল কল্পিত মর্যাদাসমূহ রসূলকে দান করার কথা অধ্যয়ন করে অবগত হয়েছেন যে, এরা এ গুণগুলো রসূল (সাঃ)-কে প্রদান করে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে থাকে বলে মনে করে। একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন। আল্লাহ কেবল আপনার জন্য উল্লিখিত গুণগুলো নির্ধারণ করেছেন। এক্ষণে সে গুণগুলোকে মুহম্মাদ (সাঃ)-কে প্রদান করার অর্থ হচ্ছে, রসূল (সাঃ)-কে আল্লাহর সমতুল্য করা। আর আল্লাহর স্বীয় গুণগুলোকে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে দান করলে রসূল (সাঃ)-এর মর্যাদা তো কোন ক্রমেই বৃদ্ধি হবে না-বরং তা হবে স্পষ্ট শির্ক। সুতরাং আল্লাহর এক একাধিক গুণকে অন্যের প্রতি আরোপ করা চলবে না।

এবারে আসুন আমরা প্রতিপক্ষের দলিল প্রমাণাদি নিয়ে আলোচনা করি। এ প্রসঙ্গে প্রথমে তৌহীদপন্থী মুসলমানদের আকীদা ও বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে প্রতিপক্ষের দলিল গ্রহণ পদ্ধতি উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন