hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে গায়েব

লেখকঃ অধ্যাপক আবদুন নূর সালাফী (রহ.)

১৯
এর উত্তর এই যে
উক্ত প্রার্থনায় রসূল যে নূরের প্রার্থনা করেছেন, আল্লাহ তা'আলা তা সমস্ত মুসলমানকে দান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ

(আরবী)

“এবং তোমাদের জন্য এমন এক নূর সৃষ্টি করে দিবেন, যার সাহায্যে তোমরা সত্য পথ চিনে চলতে পারবে এবং তোমাদিগকে ক্ষমা করবেন।” (সূরা হাদীদ ২৮)

যখন আল্লাহ মুসলমানদিগকে নির্দিষ্টভাবে প্রথম শ্রেণীর মুমিন বান্দাদেরকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নূর প্রদান করেছেন, তখন কি সমস্ত মুসলমান নূরের মিশ্রিত হয়ে আল্লাহ হয়ে গেছেন? “নাউযুবিল্লাহ” এ কথা তো কেউই বলে না। এক বিশেষ নূরের জন্য প্রার্থনা করেছেন এজন্যে তিনি মানুষের বন্ধন ভেদ করে আল্লাহর নূরে মিশে গেছেন অথবা তিনি স্বয়ং আল্লাহ হয়ে গেছেন? এর যৌক্তিকতা কোথায়? মুসলমানদের প্রতি নূর প্রদান করা সত্ত্বেও তারা মানুষই ছিলেন আর ভবিষ্যতেও মানুষই থাকবেন। অনুরূপভাবে রসূলকে নূর প্রদান করা সত্ত্বেও তিনি মানুষ নবী ছিলেন-নূর নবী ছিলেন না। কুরআন মাজীদ অবতরণ আরম্ভ হলে রসূলের নবুওত জীবনের সূচনা হয়। কুরআন অবতরণের জন্য আল্লাহ তাআলা যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা লক্ষণীয়ঃ

(আরবী)

“যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য যিনি নিজ বান্দার (মুহাম্মাদের) প্রতি এই কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে বক্রতার লেশমাত্রও থাকতে দেননি।” (সূরা কাহাফ ১)

নবুওতের সূচনায় আল্লাহ রসূলকে দাস বা বান্দা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। নবী জীবনের প্রারম্ভে তিনি মানুষ ছিলেন, নূর ছিলেন না। রসূলের চাচা ও স্ত্রীর পরলোক গমনের পর এবং তিনি তায়েফ নগরী থেকে ফিরে আসার পর নবুওতের দশম সনে শবে মিরাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই রাত্রিতে রসূল যেভাবে আল্লাহর সন্নিধানে পৌছে নৈকট্য লাভ করেছেন, তা অন্যান্য নৈকট্যের তুলনায় নিঃসন্দেহে উৎকৃষ্ট ছিল। এবারে শুনুন আল্লাহ এ সময়েও রসূলকে কি উপাধি দান করেছেন?

(আরবী)

“মহা মহিম তিনি, যিনি নিজ বান্দা (মুহাম্মাদকে) এক রাত্রি যোগে পর্যটন করালেন কাবা মসজিদ হতে দূরবর্তী (বায়তুল মুকাদ্দাস) মসজিদ পর্যন্ত।”

এখানেও রসূলকে ‘আব্দ' বলা হয়েছে। এই রাত্রিতে রসূল আল্লাহ রাব্দুল আলামীনের অতীব নিকটবর্তী হয়েছিলেন। এতদসত্ত্বেও রসূলকে ‘আব্দিহি’ বা নিজ ‘বান্দা’ ছাড়া অন্য কোন শব্দ প্রয়োগ করা হয়নি। কারণ মানুষের জন্য ‘আব্দ’ উপাদির চেয়ে কোন বড় উপাধি নেই।

এই আলোচনায় আমরা দেখলাম যে, নবুওত জীবনের সূচনায়ও রসূল মানুষ নবী ছিলেন এবং নবুওত জীবনের দশম সনেও রসূল মানুষ নবী ছিলেন। আমাদের দাবী যে রসূল জীবনের শেষ পর্যন্ত মানুষই ছিলেন। এর ব্যতিক্রম ঘটলে নিশ্চয় আল্লাহ কুরআনের উল্লেখ পূর্বক জ্ঞাত করাতেন। রসূল কবে নূর নবী হলেন? তা আমাদের জানা নেই। কুরআন ও সুন্নাহতে রসূলকে কোথায়ও নূর নবী বলা হয়নি বরং তিনি যে অতি মানব বা ফেরেশতা ছিলেন না তার প্রমাণ কুরআনে বিদ্যমান।

আল্লাহ রসূলকে নির্দেশ প্রদান করে বলেন যে, তুমি ঘোষণা করঃ

“আমি তোমাদিগকে বলছি না যে, আমি অতি মানুষ নূরের তৈরী ফেরেশতা হয়ে গেছি।” বরং আমি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন