hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে গায়েব

লেখকঃ অধ্যাপক আবদুন নূর সালাফী (রহ.)

১৬
মুহাম্মাদ (সাঃ) কি মানুষ নবী ছিলেন, না নূরনবী ছিলেন?
মুহাম্মাদ (সাঃ) মানুষ নবী ছিলেন। নিম্নবর্ণিত কুরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে এ দাবীর সমর্থন পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন?

(আরবী)

বলে দাওঃ “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের অনুরূপ একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু নই, আমার প্রতি অহী করা হয়।” (সূরা কাহাফ ১১০)।

আলোচ্য আয়াতের মুহাম্মাদ (সাঃ) উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন ও আমি মানুষ, তোমাদের মতোই মানুষ। তবে পার্থক্য এই যে, আমার কাছে অহী আসে। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আকরাম খা লিখেছেন : “মানুষের জন্য এসেছেন মানুষ মোস্তফা, মাটির মানুষ মোস্তফা, মানুষের সব দুঃখ দরদের সঙ্গী মোস্তফা, সব অভাব অনুভবে সমভাগী মোস্তফা। তিনি দেবতা নন, ফেরেশতা নন, অবতার নন-তিনি হচ্ছেন আমেনা মায়ের ইয়াতিম পুত্র মোস্তফা, আব্দুল মুত্তালিবের কাঙ্গাল পৌত্র মোস্তফা, কোরেশের রাখাল বালক মোস্তফা।” তফসিরুল কুরআন, ৩য় খণ্ড, ৫৯৮ পৃঃ)

প্রথম প্রমাণঃ

মুহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ) অন্যান্য মানুষেরই মত আদম সন্তান ছিলেন। মানুষ যেমন পানাহার করে, তেমনি মুহাম্মাদ (সাঃ)-ও পানাহার করতেন। অন্যান্য মানুষের যেমন সন্তানাদি ছিল, তেমনি রসূলেরও সন্তানাদি ছিল, স্ত্রীও ছিল। মানুষের মত ভুল-ভ্রান্তি রসূলের হতো। তিনি বলেছেন :

(আরবী)

“আমি মানুষ, তোমাদের মতোই ভুলে যাই। ভুলে গেলে অবশ্যই স্মরণ করিয়ে দেবে।”

দ্বিতীয় প্রমাণঃ

অন্যান্য মানুষের মত রসূলেরও বংশ তালিকা ছিল। মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ, মাতার নাম আমেনা, দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব। এ কথা সকলেই জানে। রসূল যে মানুষ নবী ছিলেন, কোরেশ বংশে জন্মগ্রহণ তার বিরাট প্রমাণ।

তৃতীয় প্রমাণঃ

মুহাম্মাদ (সাঃ) অন্যান্য মানুষেরই মতো পানাহার করতেন। হযরতু পানাহার করতেন এজন্যেই কাফের সংঘ বলত

(আরবী)

“মুহাম্মাদ কেমন রসূল যে, খাদ্য ভক্ষণ করে?” এ কথাটি মক্কাবাসী পৌত্তলিকদের। এ প্রশ্নের উত্তর দানকালে আল্লাহ রসূলের খাদ্য গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেছেন যে, যত রসূল পাঠিয়েছি, তাদের সকলে খাদ্য ভক্ষণকারী ছিলেন।

আল্লাহ বলেন :

(আরবী)

“আমরা যত রসূল পাঠিয়েছি, তারা সকলেই খাদ্য ভক্ষণ করতেন। আমরা তাদের এমন দেহ গঠন করিনি যে, তারা খাদ্য গ্রহণ করবে না এবং চিরস্থায়ী বসবাস করবে।”

অর্থাৎ মানুষের গঠন প্রণালী অনুযায়ী বিনা আহারে বাঁচতেও পারবে না এবং মানুষ হিসেবে তাদের কেউই চিরস্থায়ী বসবাসও করতে পারে না। ঈসা আলাইহিস সালাম এবং তার মাতা খাদ্য গ্রহণ করতেন। এজন্যে তারা আল্লাহর অবতারও হতে পারেননি বা পরমেশ্বর ইত্যাদি কিছুই হতে পারেননি।

আল্লাহ বলেন :

(আরবী)

“বিবি মারইয়ামের পুত্র মাসীহ রসূল বৈ আর কিছুই ছিলেন না। তার পূর্বে বহু রসূল অতীত হয়ে গেছেন, আর তাঁর মাতা সত্যভাষীণী। তারা উভয়ই খাদ্য ভক্ষণ করতেন।” (সূরা আল-মায়িদা ৭৫)

যেহেতু সমস্ত নবী খাদ্য ভক্ষণ করতেন, সেহেতু মুহাম্মাদ (সাঃ)-ও একজন খাদ্য ভক্ষণকারী রসূল ছিলেন। এটা তার মানুষ হবার প্রধান প্রমাণ।

চতুর্থ প্রমাণঃ

রসূল অন্যান্য নবীগণের মতোই পরলোক গমন করেছেন। এরশাদ হচ্ছে?

(আরবী)

“নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যু বরণ করবে এবং তারা সকলে মৃত্যু বরণ করবে।” সূরা যুমার ৩০) নবী (সাঃ) অতি মানব বা পরমেশ্বর আল্লাহ হলে পরলোক গমন করতেন না। মুহাম্মাদ (সাঃ) মানুষ নবী ছিলেন, তাই তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ছিল। পক্ষান্তরে আল্লাহ হচ্ছেন চিরঞ্জীব, যার মৃত্যু নেই।

আল্লাহ বলেনঃ

“আর হে মুহাম্মাদ! তুমি এমন চিরঞ্জীব সত্তার প্রতি আস্থা স্থাপন কর, যার মৃত্যু নেই। সুতরাং মৃত্যু বরণ করা মানুষ হবারই প্রমাণ।

উল্লিখিত প্রমাণাদি দ্বারা এ কথা দিবালোকের মতো প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) একজন মানুষ রসূল ছিলেন। অন্যান্য মানুষেরই মতো তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ছিল। অন্যান্য মানুষের মতো তিনিও পানাহার করতেন এবং সকলের মতো তিনিও পরলোক গমন করেছেন। এ সবই হচ্ছে মানুষ নবী হবার প্রমাণ। পক্ষান্তরে তিনি পরমেশ্বর হলে বা আল্লাহর অবতার হলে বা অতি মানব হলে বা নূর নবী হলে উল্লিখিত কোন বৈশিষ্ট্যই তাঁর থাকত না।

আল্লাহ রাব্বল আলামীন কুরআনে রসূলকে সম্বোধন করে বলেছেন :

(আরবী)

“হে মুহাম্মাদ! বলে দাও, আমি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, আলোচ্য আয়াতটি (সূরা কাহাফের শেষের আয়াত) আল্লাহর কালাম হিসেবে চির সত্য। মিথ্যার লেশ মাত্র এতে নেই। এক্ষণে বলুন? আল্লাহ বলেন, মুহাম্মাদ মানুষের মতোই একজন মানুষ নবী ছিলেন। এ কথার অর্থ হচ্ছে এই যে, নবী (সাঃ) নূর নবী বা অবতার বা পরমেশ্বর ইত্যাদি কিছুই ছিলেন না।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এবারে বলুন তো, আল্লাহ সত্যবাদী, না যারা নিজ নিজ কল্পনানুযায়ী রসূলের মর্যাদা বৃদ্ধি করণার্থে উপাধি দানকারী তারা সত্যবাদী? আমরা আশা করি আপনারা প্রত্যেকেই আল্লাহর কালামকে সত্য বলে মনে করবেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন