hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে গায়েব

লেখকঃ অধ্যাপক আবদুন নূর সালাফী (রহ.)

অন্যান্য নবীগণও গায়েব জানতেন না
ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর কাছে মেহমানরূপে কয়েকজন ফেরেশতার আগমন ঘটেছিল। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তাদের সামনে খাদ্য সামগ্রী রেখে খাবারের জন্য মেহমানদেরকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আগন্তুকগণ কিছুতেই খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ না করায় ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ভীত সন্ত্রস্ত হয়েছিলেন। আগত মেহমানগণ বলেনঃ “আমরা আল্লাহর বার্তাবাহক ফেরেশতা।” একথা শ্রবণের পর ইবরাহীমের ভীতি দূর হয়।

যদি কোন নবী গায়েব জানতেন, তাহলে তিনি গায়েবী ইলমের দ্বারা পূর্বেই অবহিত হয়ে যেতেন; তাদের সামনে খাবার সামগ্রী রেখে অনুরোধ উপরোধ কিছুই করতেন না। কুরআন মাজীদে এ কথা স্পষ্টাক্ষরে উল্লেখ করেছি। আমরা সে সব সন্তান দান অধ্যায়ে উদ্ধৃতি সহ উল্লেখ আছে। সেখানে পড়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এবারে আর দু'একজন নবীর ঘটনা শুনুন।

লুত আলাইহিস সালাম-এর জাতিকে ধ্বংস করার জন্য কয়েকজন ফেরেশতা সুন্দর বালকের আকৃতি ধারণ করে এসেছিলেন। লুত আলাইহিস সালাম তাদেরকে মানব সন্তান মনে করে স্বজাতীয় গুণ্ডাপাণ্ডা লোকদের হাত রেখে রক্ষা করার জন্য তাদেরকে স্বগৃহে লুকিয়ে রাখেন-যাতে আগত মেহমানগণ অপমানিত না হন। মূসা আলাইহিস সালাম তার অগ্রজ হারুন আলাইহিস সালাম-কে স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি বানিয়ে তুর পাহাড়ে গমন করেন।

সে সময় ইয়াহুদী সম্প্রদায় হারুনের আদেশ লঙ্ঘন করে গাভী পূজা আরম্ভ করে। তিনি তুর পাহাড় থেকে ফিরে এসে স্বজাতির অবস্থা অবলোকন করেই স্থলাভিষিক্ত খলীফাকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাঁর মাথা ও দাড়ি ধরে অপমান করেন। পক্ষান্তরে হারুন আলাইহিস সালাম বিনয়াবনত হয়ে সমস্ত ঘটনা ব্যক্ত করেন। কুরআন মাজীদে নবীগণের ঘটনাসমূহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে। যদ্বারা প্রকাশ্য দিবালোকের ন্যায়

একথা প্রমাণিত হয় যে, নবীগণ গায়েব জানতেন না। ফিকাহ শাস্ত্র বিশারদ পণ্ডিতগণ ফতওয়া প্রদান করেছেন যে, নবীগণ গায়েব জানতেন বলে যারা বিশ্বাস করবে, তারা কাফের। (১) মোল্লা আলী (২) কাজি খান। হযরতুল আল্লামা সানাউল্লাহ মরহুম স্বীয় পুস্তক আহলে হাদীসকা মযহাব’ ১০ পৃষ্ঠায় মোল্লা কারীর একটি ফতওয়া উল্লেখ করেছেনঃ

(আরবী)

তুমি সঠিকভাবে জেনে রাখ যে, নবীগণ গায়েব জানতেন না, কিন্তু মহান আল্লাহ তাদেরকে যতটুকু শিক্ষা দিয়েছেন, ততটুকু। হানাফী বিদ্বানগণ সরাসরি ঐ ব্যক্তির কাফের হওয়ার ফতওয়া প্রদান করেছেন, যে মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে ‘গায়েব জান্তা বলে বিশ্বাস করে। এরূপ আকীদা আল্লাহর কালামের সাথে সংঘাত ঘটায়। আল্লাহ বলেছেনঃ “নভোমণ্ডলে ভূমণ্ডলে আল্লাহ ছাড়া কেউই গায়েব জানে না।

অনুরূপভাবে ফিকাহ শাস্ত্রের বিখ্যাত পুস্তক কাজি খানের বরাতে মাওলানা মরহুম সানাউল্লাহ সাহেব আর একটি ফতওয়া উল্লেখ করেছেন।

(আরবী)

“বিনা সাক্ষীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার সময় যে ব্যক্তি বলবে যে, আল্লাহ এবং তদীয় রসূলকে সাক্ষী করলাম সে কাফের হয়ে যাবে।” তার কথায় পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে গায়েব জান্তা বলে বিশ্বাস করে। অথচ নবী (সাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় গায়েব জানতেন না-মৃত্যুর পরে কি করে গায়েব জানা সম্ভব।” (আহলে হাদীসকা মযহাব ১১পৃঃ)

যেমন বিনা সাক্ষীতে বিবাহকারী আল্লাহর সাথে রসূলুল্লাহকে সাক্ষী করার দরুন কাফের হয়ে যায়, ঠিক তেমনি যদি কোন ব্যক্তি ফেরেশতা অথবা মৃত পীরকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করে তবে সেও কাফের হয়ে যাবে।

‘ইলমে গায়েব সম্বন্ধে আলোচনা করে আমরা প্রমাণ করেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন নবী, অলী, জীন, ফেরেশতা গায়েব জানেন না। এতদসত্ত্বেও অনেক বিদআতী কুরআন মাজীদের কোন আয়াতের একাংশ উল্লেখ করে অথবা সন্দেহযুক্ত ভাষায় অনুবাদ করে রসূলুল্লাহ (সাঃ) গায়েব জান্তা বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। আল্লাহ চাহে আমরা আয়াত ও পূর্ণ হাদীসকে উদ্ধৃত করে তাদের অপচেষ্টার অসারতা প্রমাণ করব ইনশাআল্লাহ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন