hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে গায়েব

লেখকঃ অধ্যাপক আবদুন নূর সালাফী (রহ.)

মুহম্মাদ (সাঃ) অদৃশ্য বিদিত নন
আল্লাহর কালাম থেকে প্রমাণিত হল, নবী গায়েব জান্তা নন। তিনি অতি মানব ফেরেশতাও নন। কে বলে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জান্তা? কুরআন মাজীদের নানা স্থানে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বারা ঘোষণা করানো হয়েছে?

(আরবী)

“আমি যদি গায়েব জানতাম, তাহলে কল্যাণ সঞ্চয় করে নিতাম এবং অমঙ্গল আমাকে স্পর্শ করত না।”

এর অর্থ হচ্ছে- যেহেতু আমি গায়েব জানি না, সেহেতু অধিক কল্যাণ সঞ্চয় করতে পারিনি, ফলে অমঙ্গল আমাকে স্পর্শ করেছে।

মক্কা বিজয়ের পর বিদায় হজ্জে রসূল (সাঃ) ঘোষণা করেছেন?

(আরবী)

যদি আমি মদিনা থেকে উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বের হবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত জানতে পারতাম যা আমি মক্কায় উপনীত হয়ে জানতে পারলাম, তাহলে কুরবানীর পশু আমার সাথে আনতাম না। (বুখারী)

উল্লিখিত আয়াতসমূহ ও বুখারী শরীফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানতেন না। যদি তিনি অদৃশ্য বিদিত হতেন, তাহলে তিনি আপনার জন্যে অনেক কল্যাণ সঞ্চয় করতেন এবং কোন অমঙ্গল তাঁকে স্পর্শ করতে পারত না। কিন্তু অমঙ্গল তাঁকে স্পর্শ করেছে, লৌহ শিরস্ত্রাণের লৌহ শলাকা তাঁর মস্তকে প্রবেশ করেছে, উহুদ সমরে তার দাঁত ভেঙ্গে গেছে। শত্রুর আঘাতে তিনি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন। তিনি বিষ মিশ্রিত গোশত ভক্ষণ করেছে। রসূল (সাঃ) গায়েব জানলে এসব বিপদ তাকে স্পর্শ করতে পারত না। বিপদ আসার প্রাক্কালেই তিনি সজাগ হতেন। ফলে তিনি কেবলমাত্র কল্যাণই সঞ্চয়। করতেন।

এতদভিন্ন রসূল (সাঃ)-এর দৈনন্দিন জীবনে এরূপ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, যদ্বারা প্রমাণিত হয় তিনি ‘ইলমে গায়েব জানতেন না। উদাহরণ স্বরূপ রসূল (সাঃ)-এর বিবি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা-এর একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। কোন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার সময় পথিমধ্যে রসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং মুসলিম বাহিনী রাত্রি যাপন করতেন। সেখানে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা এবং ফিরে এসে তিনি দেখতে পান যে, তাঁর গলায় হার নেই-যে হারটি তিনি তার বড় বোন আসমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা-এর কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। হারের অন্বেষণে তিনি পুনরায় ফিরে যান। কিন্তু উষ্ট্র চালক মনে করেন যে, আয়িশা হাওদার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু তিনি অল্প বয়স্কা ও ওজনে হালকা রমনী ছিলেন, কাজে হাওদা উটের পৃষ্ঠে উত্তোলন করার সময় চালক টের পাননি।

পক্ষান্তরে রসুলুল্লাহ (সাঃ)-ও মনে করেছেন যে, তার বিবি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হাওদায় অবস্থান করছেন। নবী (সাঃ) সৈন্য বাহিনীকে যাত্রা করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ কারণেই ভ্রমবশতঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা-কে পিছনে রেখে রসূল (সাঃ) মদীনার পথে যাত্রা করেন। সৈন্য বাহিনীর পিছনে আগত সাহাবীর উষ্ট্রে আরোহন করে হযরত আয়িশা মদিনায় পৌছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহ বিন উবাই মুনাফিক কয়েকজন সাদাসিধে সহচরের মাধ্যমে আয়িশার বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা তহমত আরোপ করে। এ কারণে মুহাম্মাদ (সাঃ) দীর্ঘ ৩০ দিন যাবৎ চিন্তিত অবস্থায় কালাতিপাত করেন। এমনকি বিবি আয়িশার অসুখ হওয়া সত্ত্বেও রসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রশান্তি মনে কোন কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। এ দিনগুলোতে তিনি বিবি সাহেবার সম্পর্কে অন্যের সাথে শলা-পরামর্শও করেছেন। তিনি যাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন তন্মধ্যে আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাঁকে পরিত্যাগ করারও পরামর্শ

দিয়েছিলেন। এমনকি বিবি আয়িশা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পিতা আবু বকরের গৃহে গমন করেন। দীর্ঘ ১৫ দিন পর রসূলুল্লাহ (সাঃ) বিবি আয়িশার সাথে কথোপকথন করেছেন, তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন।

এমতাবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে সূরা নূরের কয়েকটা আয়াত অবতীর্ণ হলো। অহী অবতরণের পর রসূলুল্লাহ (সাঃ) অবগত হলেন যে, বিবি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ। রসূলুল্লাহ (সাঃ) গায়েব জানতেন না গতিকেই দীর্ঘ ১৫ দিন যাবৎ তার মানসিক কষ্ট হয়েছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন