মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রশ্নঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) কি সর্বক্ষমতা সম্পন্ন এবং যা ইচ্ছে তা করতে পারেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/234/12
উত্তর : খাটি তৌহিদপন্থী মুসলমানদের বিশ্বাস এই যে, সর্বক্ষমতা সম্পন্ন সত্তা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। তিনিই মাত্র যা ইচ্ছে তা করতে পারেন। এ গুণে কোন নবী, অলী, জীন ও ফেরেশতা গুণান্বিত হতে পারে না। মোটকথা কোন সৃষ্ট জীব উল্লিখিত গুণের অধিকারী হতে পারে না। যদি কোন ব্যক্তি নবী (সাঃ)-কে এ বিশেষণে বিশেষিত করে, তবে নিঃসন্দেহে সে পৌত্তলিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এতক্ষণে প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে প্রমাণ স্বরূপ পেশ করা হাদীসের অনুবাদ হৃদয়ঙ্গম করে দলিল গ্রহণ পদ্ধতিকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে অধ্যয়ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
(আরবী)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেনঃ একদা জনাবে রসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের সামনে ভাষণ প্রদাণ করে বলেন, “হে লোক সকল! তোমাদের প্রতি হাজ্জ ফরজ করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা হাজ্জ পালন কর।” জনৈক ব্যক্তি একে একে তিনবার রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে বললঃ হে আল্লাহর রসূল! কি প্রতি বছর কি হাজ্জব্রত পালন করা ফরজ? উত্তরে তিনি (সাঃ) এরশাদ করলেনঃ আমি যদি হাঁ বলতাম, তাহলে প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন করা ওয়াজিব হয়ে যেতো এবং তাহলে তোমরা তা পালন করতে সক্ষম হতে না।” (মুসলিম)।
এ হাদীসে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে যে, তোমাদের প্রতি হাজ্জব্রত পালন করাকে ফরজ করা হয়েছে। স্মরণ রাখবেন! একবার হাজ্জব্রত পালন করলেই এ আদেশ যথাযথভাবে পালন করা হবে।
কিন্তু বড় আশ্চর্যের বিষয়! প্রতিপক্ষের জনৈক মৌলবী সাহেব উল্লিখিত হাদীসটিকে কেন্দ্র করে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেনঃ রসূল (সাঃ) প্রতি বছর হাজ্জ ফরজ করার অধিকারী ছিলেন। সুতরাং তিনি নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী, সর্বক্ষমতা সম্পন্ন। তিনি যা ইচ্ছে তা করতে পারেন! বিপদ আপদের ত্রাণকর্তা, চিন্তা দূরকারী, খাদ্যদাতা, সন্তান দানকারী, হাজত নায়াজ পূর্ণকারী ইত্যাদি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ প্রতিপক্ষের প্রমাণ গ্রহণ পদ্ধতি অধ্যয়ন করেছেন।
কাহাঁকা হঁটা, কাহাঁকা রোড়া
ভাণমতিতে খাম্বা জোড়া।
কোথায় প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন হবার কথা! আর কোথায় রসূল (সাঃ) সর্বক্ষমতা সম্পন্ন, সদা সর্বাস্থানে বিদ্যমান ও বিরাজমান। অন্য কথায় রসূল (সাঃ) সদা সকলের সামনে হাজের ও নাজের? আবার কোথায় তিনি আপদ বিপদের ত্রাণকর্তা, খাদ্যদাতা, সন্তানদাতা? হাজ্জের সাথে এ বিষয়গুলো কোন যোগসূত্র আছে বলে কোন বিবেক সম্পন্ন লোক মনে করতে পারে না। কিন্তু বিদআতী মৌলবী জোর করেই রসূল (সাঃ)-কে উল্লিখিত গুণে গুণান্বিত করতে চায়। প্রমাণহীন কোন কথা বললেই, তা দলিলরূপে পরিগণিত হয় না। বিস্তারিতভাবে জবাব প্রদানের প্রাক্কালে স্ব-কপোল কল্পিত মর্যাদা দানকারী মৌলবী সাহেবদের খেদমতে আরজ এই যে, জনসাধারণকে ফাঁকি দিবেন না। এহেন জঘন্য প্রতারণা করে আপনাদের লাভ কি? আল্লাহর কাছে জবাব দেবেন কি? সুতরাং বুঝে সুঝে কথা বলবেন বটে, প্রমাণহীন কোন কথা বলবেন না। কেননা এরূপ কথা বললে শিক্ষিত জনসাধারণের কাছে হাস্যাস্পদ হতে হবে এবং আল্লাহর প্রতি ও নবীর প্রতি চরম অবমাননার দায়ে জ্বলন্ত হুতাশনে প্রবেশ করতে হবে।
মুসলিম পাঠকবৃন্দের অবগতির জন্য উক্ত বিষয়টিকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার প্রয়োজনবোধ করছি। নবী করীম (সাঃ) আল্লাহ প্রদত্ত দীন ইসলামের প্রবর্তক ছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রচারকর্তা ছিলেন। তিনি দীন ইসলামের নিয়ম-কানুনগুলোকে আল্লাহর আদেশ ব্যতীত বলতেন না এবং বলতেও পারতেন না।
আল্লাহ বলেন :
(আরবী)
“অবস্থা এই যে, তিনি নিজের খেয়ালখুশী মত কোন কথা বলেন না। (তার) উক্তিগুলো অহী বৈ আর কিছুই নয়-যা তাঁর প্রতি প্রেরণ করা হয়।” সূরানাজম ৩-৪) এ আয়াতের তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বল আলামীন মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট যা অহী করেন, কেবলমাত্র তিনি সে কথা বলেন, অন্য কোন কথা বলেন না। স্মরণ রাখবেন! আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতাআলা এ কথা বলেছেন, নবুওতের প্রসঙ্গে রিসালাতের কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্বন্ধে। মুহাম্মাদ (সাঃ) আপনার শিক্ষা ও আদর্শের মধ্য দিয়ে মানব সমাজের চিরন্তন সাথী, বিভ্রান্তদের শাশ্বত দিশারী এবং লক্ষ ভ্রষ্টদের জন্য অমর আদর্শ ছিলেন।
উক্ত আয়াত দ্বারা এরও প্রমাণিত হচ্ছে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কথাই অহী। আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ পাবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কোন কিছুই বলেন না। যখন তিনি অহী বহির্ভূত কোন কিছুই বলেন না ও বলতেও পারেন না, তখন কি করে তাকে সর্বক্ষমতা সম্পন্ন বলা যাবে? এবং কেমনই বা প্রমাণ হবে যে, রসূল (সাঃ) যা ইচ্ছে, তা করতে পারেন? উল্লিখিত হাদীসে রসূল (সাঃ) প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন করা অবশ্য অবশ্য প্রতিপালনীয় নয় বলে মন্তব্য ও মতামত ব্যক্ত করেছেন। সূরা নাজমের ৩-৪ আয়াতকে সামনে রেখে বিষয়টিকে হৃদয়ঙ্গম করুন।
রসূল (সাঃ) জীবনে একবার হাজ্জব্রত পালনের স্বপক্ষে রায় প্রদান করেছেন। কারণ, তার কাছে প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন করার কোন নির্দেশ আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি। উপরন্তু তিনি আপনার খেয়াল খুশী অনুসারে কিছুই বলতেন না। প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন করা ফরজ কিনা-সম্বন্ধে তিনি জিজ্ঞাসিত হলে, তিনি বলেছেন : “আমি একবার হা বললেই হাজ্জব্রত পালন করা প্রতি বছরের জন্য ফরজ হয়ে যেত।” অর্থাৎ আমি যদি আল্লাহর আদেশে হাঁ বলতাম, তাহলে প্রতি বছর হাজ্জব্রত পালন করা ফরজ হয়ে যেত। কেননা রসূল (সাঃ)-এর হাঁ বাচক শব্দ
অহী। তিনি হাঁ বাচক শব্দ অহী প্রাপ্তির পরই বলতেন। যেহেতু হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) অহী মারফত হাঁ বাচক জবাব প্রদানের আদেশ প্রাপ্ত হননি, সেহেতু তিনি হাঁ শব্দও বলেননি এবং প্রতি বছর হাজ্জ পালন করাও ফরজ হয়নি। এবারে সুধী পাঠকবৃন্দের কাছে আরজ এই যে, কোন্ প্রমাণের বলে মুহাম্মাদ (সাঃ) সর্বক্ষমতা সম্পন্ন? হাজ্জ সংক্রান্ত হাদীস দ্বারা রসূল (সাঃ)-এর সর্বক্ষমতা সম্পন্ন হবার কথা তো প্রমাণিত হয় না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/234/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।