মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পূর্বে কতগুলো হাদীসের উদ্ধৃতি অতিবাহিত হয়েছে, যেগুলো কবীরা গুনাহে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য শাফা‘আতের প্রমাণ বহন করে। যেমন, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস, আরা তা হলো দ্বিতীয় হাদীস:
« يخرج من النار مَنْ قَالَ : لَا إِلَه إِلَّا اللَّه ... إلى آخره » .
“যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই) বলবে, সে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে।”
অনুরূপভাবে তৃতীয় হাদীস, আর ইবন ‘আসেম ‘আস-সুন্নাহ’ নামক গ্রন্হে (২/৩৯৯) বলেন, আর ঐসব খবর বা হাদীসসমূহ, যা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছি শাফা‘আত ও তাঁকে সুপারিশকারী বানানো প্রসঙ্গে, তার দ্বারা আল্লাহ তাঁকে মর্যাদা দান করেছেন। আর তিনি যেসব ক্ষেত্রে সুপারিশ করবেন, সে ব্যাপারে অনেক হাদীস রয়েছে, যা প্রকৃত জ্ঞানকে আবশ্যক করে। আর মুতাওয়াতির পর্যায়ের জ্ঞানকে আবশ্যক করে, এমন খবর বা হাদীস অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির।
আল্লাহ আমাদেরকে এবং তাঁর ওপর ঈমানদার শাফা‘আতের আশাকারী প্রত্যেক মুমিনকে সে শাফা‘আত নসীব করুন।
২৩. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বলা হল: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কিয়ামতের দিন কোনো ব্যক্তি আপনার শাফা‘আতের দ্বারা সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান হবে? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“হে আবূ হুরায়রা! আমি ধারণা করেছিলাম, এ বিষয়ে তোমার আগে আমাকে আর কেউ প্রশ্ন করবে না। কারণ, আমি দেখেছি হাদীসের প্রতি তোমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। কিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আত লাভে সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান হবে সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি একান্ত আন্তরিকতার সাথে বলে: لَا إِلَه إِلَّا اللَّه (আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই); তাকে আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব; অতঃপর আমি যাব এবং যার অন্তরের মধ্যে এই পরিমাণ (ঈমান) পাব, তাকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হিসাব নেওয়ার কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন এবং আমার বাকি উম্মতকে জাহান্নামবাসীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন; অতঃপর জাহান্নামবাসীগণ বলবে: তোমরা যে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতে এবং তার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করতে না, তা তোমাদের কোনো উপকারে আসল না; তখন পরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমার ইজ্জতের কসম! অবশ্যই আমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করব। অতঃপর তিনি তাদের নিকট ফরমান পাঠাবেন, তারপর তার বের হয়ে আসবে এমতাবস্থায় যে, তারা পুড়ে গেছে। অতঃপর তারা জীবন নদীতে প্রবেশ করবে, তারপর তারা তাতে সজীব হয়ে উঠবে, যেমনিভাবে স্রোতের পলিতে শস্য অঙ্কুরিত হয় এবং তাদের কপালে লিখে দেওয়া হবে: ‘এরা পরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত।” [আহমদ (৩/১৪৪ এবং ২৪৭) এবং তার বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারী; দারেমী (১/২৭–২৮)]
«لكل نبي دعوة مستجابة يدعو بها وأريد أن أختبئ دعوتي شفاعة لأمتي في الآخرة» .
“প্রত্যেক নবীর এমন একটি মাকবুল দো‘আ রয়েছে, যার দ্বারা তিনি দো‘আ করে থাকেন। আর আমার ইচ্ছা, আমি আমার সে দো‘আর অধিকার আখিরাতে আমার উম্মতের শাফা‘আতের জন্য মুলতবী রাখি।” [সহীহ বুখারী, দো‘য়া অধ্যায় ( كتاب الدعوات ), পরিচ্ছেদ: প্রত্যেক নবীর একটি মাকবুল দো‘আ রয়েছে ( باب لكل نبي دعوة مستجابة ), হাদীস নং ৫৯৪৫।]
২৫. আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«خيرت بين الشفاعة وبين أن يدخل نصف أمتي الجنة , فاخترت الشفاعة لأنها أعم وأكفى , أترونها للمتقين؟ لا ولكنها للمذنبين الخطائين المتلوثين» .
শাফা‘আত এবং আমার অর্ধেক উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করা -এই দু’টির মধ্যে কোনো একটিকে গ্রহণ করার ব্যাপারে আমাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, অতঃপর আমি শাফা‘আতের বিষয়টিকে পছন্দ করেছি। কারণ, তা অনেক ব্যাপক ও পর্যাপ্ত। তোমরা কি তা মুত্তাকীদের জন্য মনে করেছ? না, বরং তা গুনাহগার অপরাধী পঙ্কিলদের জন্য।” [ইবন মাজাহ (২/১৪৪১); আল-বূসীরী ‘আয-যাওয়ায়েদ’ গ্রন্থে বলেন, তার সনদ সহীহ এবং বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।]
২৬. আবূ বুরদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
«ان النبي صلى الله عليه و سلم كان يحرسه أصحابه , فقمت ذات ليلة فلم أره في منامه فأخذني ما قدم وما حدث فذهبت أنظر فإذا أنا بمعاذ قد لقي الذي لقيت فسمعنا صوتا مثل هزيز الرحا فوقفا على مكانهما فجاء النبي صلى الله عليه وسلم من قبل الصوت , فقال : « هل تدرون أين كنت؟ وفيم كنت؟ أتاني آت من ربي عز و جل فخيرني بين ان يدخل نصف أمتي الجنة وبين الشفاعة , فاخترت الشفاعة» فقالا : يا رسول الله ! ادع الله عز و جل أن يجعلنا في شفاعتك , فقال : «أنتم ومن مات لا يشرك بالله شيئا في شفاعتي» .
“নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর সাহাবীগণ পাহারা দিত, কোনো এক রাতে আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম, তারপর আমি তাঁকে তাঁর ঘুমানোর জায়গায় দেখতে পেলাম না, অতঃপর হাঁটাহাঁটি ও কথাবর্তার আওয়াজ শুনতে পেলাম, তারপর আমি বিষয়টি দেখতে গেলাম, হঠাৎ আমার সাথে মু‘আযের দেখা হয়ে গেল; অতঃপর আমরা জাঁতাকলের কড় কড় শব্দের ন্যায় শব্দ শুনতে পেলাম; অতঃপর তারা তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেল। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আওয়াজের দিক থেকে আসলেন এবং বললেন: তোমরা কি জান যে, আমি কোথায় ছিলাম এবং কাদের মধ্যে ছিলাম? আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমার নিকট এক আগন্তুত আসল, অতঃপর শাফা‘আত এবং আমার অর্ধেক উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করা -এই দু’টির মধ্যে কোনো একটিকে গ্রহণ করার ব্যাপারে আমাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, অতঃপর আমি শাফা‘আতের বিষয়টিকে পছন্দ করেছি। অতঃপর তারা উভয়ে বলল: হে আল্লাহ রাসূল! আপনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট দো‘আ করেন, তিনি যাতে আমাদেরকে আপনার শাফা‘আতের মধ্যে গণ্য করেন, তখন তিনি বলেন: তোমরা এবং যারা আল্লাহর সাথে শির্ক না করে মারা যাবে, তারা আমার শাফা‘আতের আওতায় থাকবে।” [আহমদ (৪/৪০৪); তাবারানী, আস-সাগীর (২/৮); তার সনদ সহীহ; ইমাম আহমদের নিকট এই হাদীসের সমর্থনে ‘আওফ ইবন মালিক থেকে হাদীস বর্ণিত আছে (৬/২৮)।]
২৭. আবূ বুরদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أعطيت خمسا بعثت إلى الأحمر والأسود , وجعلت لي الأرض طهورا ومسجدا , وأحلت لي الغنائم ولم تحل لمن كان قبلي , ونصرت بالرعب شهرا , وأعطيت الشفاعة وليس من نبي الا وقد سأل شفاعة وإني أخبأت شفاعتي ثم جعلتها لمن مات من أمتي لم يشرك بالله شيئا» .
“আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে: (১) আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের (সকল মানুষের) নিকট। (২) আমার জন্য যমীনকে পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। (৩) আর আমার জন্য গনীমতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার আগে আর কারও জন্য হালাল করা হয় নি। (৪) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, এক মাসের দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয় (৫) আর আমাকে শাফা‘আতের অধিকার দেওয়া হয়েছে; প্রত্যেক নবীই শাফা‘আতের অধিকার চেয়েছেন, আর আমি আমার শাফা‘আতের আবেদনকে বিলম্বিত করেছি, অতঃপর আমি তা কাজে লাগাব আমার উম্মতের মধ্য থেকে ঐ ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করে নি।” [আহমদ (৪/৪১৬); আর তিনি বুখারী ও মুসলিমের শর্তের ভিত্তিতে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।]
২৮. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أعطيت خمسًا لم يعطها نبى قبلى بعثت إلى الأحمر والأسود , وإنما كان النبى يبعث إلى قومه , ونصرت بالرعب مسيرة شهر , وأطعمت المغنم ولم يطعمه أحد كان قبلى , وجعلت لى الأرض طهورًا ومسجدًا , وليس من نبى إلا وقد أعطى دعوة فتعجلها وإنى أخرت دعوتى شفاعتى لأمتى وهى بالغة إن شاء الله من مات لا يشرك بالله شيئًا» .
“আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কোনো নবীকে দেওয়া হয় নি: (১) আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের (সকল মানুষের) নিকট, আর অপাপর নবীদেরকে প্ররেণ করা হয়েছে তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট। (২) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, এক মাসের দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয়। (৩) আমি গনিমতের সম্পদ ভোগ করি, যা আমার পূর্বে কেউ ভোগ করত না। (৪) আমার জন্য যমীনকে পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। (৫) যে নবীকেই একটি বিশেষ দো‘আর সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তিনি তা তাৎক্ষণিকভাবে দাবি করেছেন, কিন্তু আমি আমার শাফা‘আতের আবেদন বা দো‘আটিকে আমার উম্মতের জন্য বিলম্বিত করেছি, আর আল্লাহ চায় তো তা ঐ ব্যক্তির নিকট পৌঁছাবে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করে মারা গেছে।” [তাবারানী, আল-আওসাত, তার সনদ হাসান পর্যায়ের; দেখুন: ‘মাজামা‘উয যাওয়ায়েদ’ [ مجمع الزوائد ] (৮/২৬৯)]
২৯. আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«شفاعتي لأهل الكبائر من أمتي» .
“আমার উম্মতের মধ্যে কবীরা গুনাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য আমার শাফা‘আত তথা সুপারিশ প্রয়োগ করা হবে।” [তিরমিযী (৪/১৪৫); ইবন খুযাইমা তাকে সহীহ বলেছেন, পৃ. ২৭০; ইবন হিব্বান, পৃ. ৬৪৫; ইবন আবি ‘আসেম, ‘আস-সুন্নাহ’ (২/৩৯৯); হাকেম তাকে সহীহ বলেছেন (১/২৯); ইবন কাছীর তার তাফসীরে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন (১/৪৮৭); ইমাম বায়হাকী হাদীসটি গ্রহণ করেছেন।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।