মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
৯২. ‘উরওয়া থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
«أن قريشا أهمهم شأن المرأة المخزومية التي سرقت , فقالوا : ومن يكلم فيها رسول الله صلى الله عليه و سلم ؟ فقالوا : ومن يجترئ عليه إلا أسامة ابن زيد حب رسول الله صلى الله عليه و سلم , فكلمه أسامة , فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : « أتشفع في حد من حدود الله » . ثم قام فاختطب ثم قال : « إنما أهلك الذين قبلكم أنهم كانوا إذا سرق فيهم الشريف تركوه , وإذا سرق فيهم الضعيف أقاموا عليه الحد , وايم الله ! لو أن فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها» .
“মাখযোমী গোত্রের একজন মহিলা চুরি করলে (তার প্রতি হদ প্রয়োগের ব্যাপারে) কুরাইশগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। তাঁরা বলল, কে এই ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কথা বলতে (সুপারিশ করতে) পারে? তখন তাঁরা বললেন, এ ব্যাপারে উসামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ব্যতীত আর কারও সাহস নেই। তিনি হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তিনি এ ব্যাপারে কথোপকথন করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হদ্দের (শাস্তির) ব্যাপারে সুপারিশ করতে চাও? অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন: ‘হে লোকসকল! নিশ্চয় তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণ ধ্বংস হয়েছে এই কারণে যে, তাদের মধ্যে যখন কোনো সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যদি কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তবে তারা তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত, তবে নিশ্চয় আমি তার হাত কেটে দিতাম।” [সহীহ বুখারী (৬/৫১৩); সহীহ মুসলিম (৩/১৩১৫)।]
৯৩. ইয়াহইয়া ইবন রাশেদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’র অপেক্ষায় বসেছিলাম, অতঃপর তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসলেন এবং বসলেন, তারপর বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
“যে ব্যক্তির সুপারিশ আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত হদ্দ বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর বিরোধিতা করে, আর যে ব্যক্তি জেনে বুঝে বাতিলের পক্ষে বিতর্ক করে, সে আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে থাকবে, যতক্ষণ না সে তা থেকে বিরত থাকে, আর যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ব্যাপারে এমন কথা বলে যা তার মধ্যে নেই, সেই ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংসের কাদা-পানিতে বসবাস করাবেন, যতক্ষণ না সে তার বলা কথা প্রত্যাহার করবে।” [আবূ দাউদ (৪/২৩); আহমদ (২/৭০); হাকেম (২/২৭); বায়হাকী (৮/২৩২); হাকেম বলেন, সনদটি বিশুদ্ধ এবং তাকে ইমাম যাহাবী স্বীকৃতি দিয়েছেন; তার সমর্থনে ইমাম আহমদের মতে আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র বর্ণিত হাদীস রয়েছে (২/৮২)। সুতরাং হাদীসটি সহীহ।]
৯৪. হিশাম ইবন ‘উরওয়া থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
«شفع الزبير في سارق , فقيل : حتى يبلغه الإمام , فقال : إذا بلغ الإمام فلعن الله الشافع والمشفع كما قال رسول الله صلى الله عليه و سلم» .
“যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু চোরের ব্যাপারে সুপারিশ করলেন, তখন তাঁকে বলা হলো, সুপারিশ করতে পারবে বিষয়টি ইমামের নিকট পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত। অতঃপর তিনি বললেন: যখন ইমামের নিকট (বিষয়টি) পৌঁছাবে, তখন (সুপারিশ করলে) আল্লাহ তা‘আলা সুপারিশকারী ও যার জন্য সুপারিশ করা হয় উভয়ের প্রতি লা‘নত (অভিশাপ বর্ষণ) করেন, যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।” [দারাকুতনী (৩/২০৫); হাইছামী, আল-মাজমা‘ (৬/২৫৯); তাবারানী, ‘আল-কাবীর’ ও ‘আল-আওসাত’ এবং তাতে আবূ গুযাইয়া নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যাকে আবূ হাতেম ও অন্যান্যরা দুর্বল বলেছেন, আর হাকেম তাকে সিকা বা নির্ভরযোগ্য বলেছেন, হাযেমী রহ. বলেছেন: হাদীসটির সমর্থনে ইমাম মালেক রহ.-এর ‘মুয়াত্তা’র মধ্যে হাদীস রয়েছে (৩/৪৯); আর বায়হাকী রহ.-এর নিকট তার সনদে কোনো সমস্যা নেই; আর দারাকুতনী’র মতে, এই হাদীসটির সমর্থনে আর একটি হাদীস সাফওয়ান ইবন উমাইয়া থেকে বর্ণিত আছে (৩/২০৪)।]
৯৫. ‘উরওয়া ইবন যোবায়ের থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা যুবায়ের ইবনুল ‘আওয়াম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
«اشفعوا في الحدود ما لم تبلغ السلطان فإذا بلغت السلطان فلا تشفعوا» .
“তোমরা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তির ব্যাপারে ততক্ষণ পর্যন্ত সুপারিশ কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না বিষয়টি বিচারক বা শাসকের দরবারে না পৌঁছায়। সুতরাং যখন বিষয়টি শাসক বা বিচারকের দরবারে পৌঁছাবে, তখন তোমরা আর সেই ব্যাপারে সুপারিশ করবে না। [বায়হাকী (৮/৩৩৩), আর তার সনদের বর্ণনাকারীগণ সকলেই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/27
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।