hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত শাফা‘আত এবং শাফা‘আতকারী

লেখকঃ শাইখ ইবরাহীম ইবন আবদিল্লাহ আল-হাযেমী

১৮
ইমাম ইবরাহীম আল-হারবী’র বিস্ময়কর কাহিনী
মুহাম্মাদ ইবন খালফ ওকী বলেন: ইবরাহীম আল-হারবী’র এক ছেলে ছিল, আর তার বয়স ছিল এগার বছর, সে আল-কুরআন হিফয (মুখস্থ) করেছে এবং তিনি তাকে ইলমুল ফিকহের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি (মুহাম্মাদ ইবন খালফ) বলেন: সে (ছেলেটি) মারা গেল, তারপর আমি তাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য আসলাম, তিনি বলেন: তারপর তিনি (ইবরাহীম আল-হারবী) আমাকে বললেন: আমি আমার এই ছেলের মৃত্যু কামনা করেছিলাম, তিনি বললেন: আমি বললাম: হে আবূ ইসহাক (ইসহাকের পিতা) ! আপনি দুনিয়া শ্রেষ্ঠ আলেম, আপনি একটি সম্ভ্রান্ত উচ্চ বংশীয় শিশুর ব্যাপারে এই কথা বলছেন, অথচ আপনি তাকে হাদীস ও ফিকহ শিক্ষা দিয়েছেন!! তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, মনে হচ্ছে যেন কিয়ামত শুরু হয়ে গেছে এবং কতগুলো শিশু, যাদের হাতে মূল্যবান পাত্র, তাতে রয়েছে পানি, যা তারা মানুষকে পান করাচ্ছে, আর দিনটি মনে হচ্ছিল প্রচণ্ড গরমের দিন; অতঃপর আমি তাদের একজনকে বললাম, এই পানি থেকে আমাকে পান করাও; তিনি বলেন: তখন সে আমার দিকে তাকাল এবং বলল: আপনি আমার পিতা নন; তখন আমি বললাম: তোমরা কারা? তখন সে বলল: আমরা ঐসব শিশু, যারা দুনিয়ার বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছি এবং আমাদের পিতাদেরকে পিছনে রেখে এসেছি, আমরা তাদেরকে সাদর সম্ভাষণ জানাবো, তারপর তাদেরকে পানি পান করাব। তিনি বলেন: এ জন্যই আমি তার মৃত্যু কামনা করেছি। (ত্ববাকাতে হানাবেলা, ১/৮৯, ৯০) [এটি একটি ব্যক্তিগত ইজতেহাদ। এর উপর ভিত্তি করে যেন কেউ তার সন্তানদের মৃত্যু কামনা না করে। কারণ, সন্তানরা আল্লাহর নে‘আমত। তারা কোন অবস্থায় বেশি কাজে আসবে সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। হয়ত: এমন হবে যে, সে সন্তান বড় হয়ে জগদ্বিখ্যাত আলেম হবে ও ভালো কাজ করবে এবং তার পিতা-মাতা তার কর্মকাণ্ডকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবরে বসে পেতে থাকবে। [সম্পাদক]]

৫৩. সাবেত আল-বুনানী থেকে বর্ণিত, তিনি আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إن الرجل يشفع للرجلين وللثلاثة , والرجل للرجل» .

“নিশ্চয় এক ব্যক্তি দুই ব্যক্তি ও তিন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে, আর সুপারিশ করতে পারবে এক ব্যক্তি কমপক্ষে এক ব্যক্তির জন্য।” [ইবন খুযাইমা, পৃ. ৩১৫; তার সনদ সহীহ।]

৫৪. নিমরান ইবন ‘উতবা আয-যিমারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:

«دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ الدَّرْدَاءِ وَنَحْنُ أَيْتَامٌ فَقَالَتْ : أَبْشِرُوا فَإِنِّى سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « يُشَفَّعُ الشَّهِيدُ فِى سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ » .

“আমরা ইয়াতীম অবস্থায় উম্মু দারদার নিকট হাযির হলাম, তখন তিনি বললেন: তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কারণ, আমি আবূ দারদাকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: শহীদ ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের মধ্য থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।” [আবূ দাউদ (৩/৩৪); ইবন হিব্বান, পৃ. ৩৮৮; বায়হাকী (৯/১৬৪); আলবানী তার ‘সহীহ আল-জামে’ ( صحيح الجامع ) –এর মধ্যে হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন, হাদীস নং ৪৯৭৯]

৫৫. মিকদাম ইবন মা‘দিইয়াকরাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« للشهيد عند الله ست خصال : يغفر له في أول دفعة , ويرى مقعده من الجنة , ويجار من عذاب القبر , ويأمن من الفزع الأكبر , ويوضع على رأسه تاج الوقار , الياقوتة منها خير من الدنيا وما فيها , ويزوج اثنتين وسبعين زوجة من الحور العين , ويشفع في سبعين من أقاربه » .

“আল্লাহর নিকট ছয়টি শহীদের বৈশিষ্ট্য রয়েছে: প্রথমেই থাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; সে (দুনিয়াতেই) তার জান্নাতের আসনটি দেখতে পাবে; তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে; মহাভীতি [‘মহাভীতি’ বলে শিঙ্গার ফুঁৎকার বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]] থেকে নিরাপদে থাকবে; তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পরানো হবে, যার একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম; তাকে ডাগর চক্ষুবিশিষ্টা হূরদের মধ্য থেকে বাহাত্তর জন স্ত্রী প্রদান করা হবে এবং সে তার নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।” [তিরমিযী (৩/১০৬); ইবন মাযাহ (২/৯৩৫); আহমদ (৩/১৩১); আল-আজরী ফী আশ-শরী‘য়ত ( الاجري في الشريعة ), পৃ. ৩৪৯; আর হাদীসটি হাসান।]

৫৬. আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

«كنت جالسا مع النبي صلى الله عليه وسلم , فذكر الحديث في فضل الحج و فيه : «إن الله يقول لهم عند وقوفهم بعرفة : أفيضوا عبادي مغفورا لكم , ولمن شفعتم» .

“আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বসা ছিলাম; তারপর তিনি হাজ্জের ফযিলত প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাতে ছিল: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আরাফাতের ময়দানে তাদের অবস্থানের সময় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলবেন: আমার বান্দাদেরকে ক্ষমাকৃত অবস্থায় আরাফাত থেকে নিয়ে যাও, আর তাদের জন্যও যাদের জন্য তোমরা সুপারিশ করবে।” [আল-বাযার, কাশফুল আসতার (২/৮); হাইছামী, আল-মাজমা (৪/২৭৫); আল-বাযার বর্ণনা করেন যে, হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সকলেই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন