hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত শাফা‘আত এবং শাফা‘আতকারী

লেখকঃ শাইখ ইবরাহীম ইবন আবদিল্লাহ আল-হাযেমী

১৭
মুমিনগণ কর্তৃক শাফা‘আত প্রসঙ্গে
৪৫. আবূ সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إن من أمتي من يشفع للفئام , ومنهم من يشفع للقبيلة , ومنهم من يشفع للعصبة , ومنهم من يشفع للرجل حتى يدخلوا الجنة » .

“আমার উম্মতের মধ্যে কেউ কেউ একদল লোকের জন্য সুপারিশ করবে; আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ এক গোত্রের জন্য সুপারিশ করবে, আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ সগোত্রীয় লোকদের জন্য সুপারিশ করবে; আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে, শেষ পর্যন্ত তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।” [তিরমিযী (৪/৪৬); আহমদ (৩/২০ এবং ৬৩); আর হাদীসটি অন্য হাদীসের সমর্থনের কারণে হাসান।]

৪৬. আবদুল্লাহ ইবন কায়েস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হারেস ইবন আকইয়াশ রহ.–কে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যে, আবূ বারযা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«ان من أمتي لمن يشفع لأكثر من ربيعة ومضر , وان من أمتي لمن يعظم للنار حتى يكون ركنا من أركانها » .

“নিশ্চয় আমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছে, যে ব্যক্তি ‘রবী‘আ’ ও ‘মুদার’ গোত্রের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোকের জন্য সুপারিশ করবে, আর আমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছে, যে জাহান্নামে এত বড় হবে যে, শেষ পর্যন্ত সে তার একটি বিশাল অংশ দখল করে থাকবে।” [আহমদ (৪/২১২) (তবে হাদীসের সনদ দুর্বল, যদিও এর প্রথম অংশের জন্য আরও শাহেদ পাওয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয় অংশ দুর্বল। [সম্পাদক])]

৪৭. আবদুল্লাহ ইবন কায়েস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হারেস ইবন আকইয়াশ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবূ বারযা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’র নিকট কোনো এক রাতে উপস্থিত ছিলাম, সেই রাতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«ما من مسلمين يموت لهما أربعة أفراط الا ادخلهما الله الجنة بفضل رحمته » . قالوا يا رسول الله : وثلاثة ؟ قال : « وثلاثة » قالوا : واثنان ؟ « وان من أمتي لمن يدخل الجنة بشفاعته مثل مضر » قال : واثنان , قال : « وان من أمتي لمن يعظم للنار حتى يكون أحد زواياها » .

“যে দুই মুসলিমেরই [উদ্দেশ্য, মুসলিম স্বামী-স্ত্রী। [সম্পাদক]] চারটি সন্তান মারা যাবে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দয়ার বরকতে তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহ রাসূল! তিনজন মারা গেলে? তিনি বললেন: তিনজন মারা গেলেও (তিনি তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন); সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহ রাসূল! দুইজন মারা গেলে? আর আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যার সুপারিশের দ্বারা ‘মুদার’ গোত্রের সমপরিমাণ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বললেন: দুইজন মারা গেলেও (তিনি তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন); তিনি বলেন: আর আমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছে, যে জাহান্নামের এত বড় ও প্রকাণ্ড হবে, শেষ পর্যন্ত সে সেটার একটি কোণ পূর্ণ করে রাখবে”। [আহমদ (৫/৩১২); ইবন খুযাইমা, পৃ. ৩১৩; ইবন মাজাহ (২/১৪৪৬); তাবারানী, আল-কাবীর (৩/৩০১); হাকেম (১/৭১); তিনি (হাকেম) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবীও একই কথা বলেছেন; আর হাফেজ ইবন হাজার ‘আল-ইসাবা’ গ্রন্থে হারেস ইবন আকইয়াশের জীবনী’তে বলেছেন: তার সনদ বিশুদ্ধ।]

৪৮. আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:

«ليدخلن الجنة بشفاعة رجل ليس بنبي مثل الحيين أو مثل أحد الحيين ربيعة ومضر , فقال رجل : يا رسول الله أو ما ربيعة من مضر ؟ فقال : «إنما أقول ما أقول» .

“নবী নয় এমন এক ব্যক্তির সুপারিশে ‘রবী‘য়া’ ও ‘মুদার’ গোত্রের সমপরিমাণ অথবা কোনো এক গোত্রের সামান সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে; অতঃপর জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল: হে আল্লাহর রাসূল! ‘রবী‘য়া’ গোত্র কি ‘মুদার’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত নয় [আসলে রবী‘আ কখনও মুদার গোত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ, তারা দু’জন নাযার ইবন মা‘আদ ইবন আদনান এর ছেলে। দু’ ছেলে থেকে দু’টি গোত্রের উৎপত্তি হয়েছে। তাই এ প্রশ্ন বাহুল্য। এ জন্যই কোনো কোনো বর্ণনাকারী এ শেষাংশটুকু বর্ণনা করেন নি। [সম্পাদক]]? জবাবে তিনি বললেন: আমি যা বলার তা বলেছি”। [আহমদ (৫/২৫৬); ইবন খুযাইমা, পৃ. ৩১৩; তাবারানী (৮/১৬৯); আর হাদীসটি হাসান পর্যায়ের, যেমনটি হাফেয ইরাকী বলেছেন, ফয়যুল কাদির (৪/১৩০)। (তবে হাদীসের শেষাংশ দুর্বল। [সম্পাদক])]

৪৯. আবদুল্লাহ ইবন শাকিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি ‘ইলিয়া’ নামক স্থানে একদল লোকের নিকট বসলাম, আর আমি হলাম তাদের চতুর্থ ব্যক্তি, সুতরাং তাদের মধ্যকার একজন বলল, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«ليدخلن الجنة بشفاعة رجل من أمتي أكثر من بني تميم , قلنا : سواك يا رسول الله؟ قال : سواي» .

“আমার উম্মতের এক ব্যক্তির সুপারিশে বনী তামীম গোত্রের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে; আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ছাড়াই? তিনি বললেন: আমি ছাড়াই।” [আহমদ (৩/৪৬৯) এবং (৫/৩৬৬); তিরমিযী; ইবন মাজাহ (২/১৪৪৪); দারেমী (২/৩২৮); হাকেম হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন (১/৭০); হাদীসটি ইমাম মুসলিমের শর্তের আলোকে গ্রহণযোগ্য। (হাদীসে বর্ণিত, আমি ছাড়াই এর অর্থ হচ্ছে, সে ব্যক্তিটি আমি নই, আমার উম্মতের একজন লোক। [সম্পাদক])]

৫০. যিয়াদ ইবন ‘আলাকা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি জারির ইবন আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে মুগীরা ইবন শো‘বা’র মৃত্যুর দিন (মিম্বরে) দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে শুনেছি, ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বলেন:

«عليكم باتقاء الله عز و جل والوقار والسكينة حتى يأتيكم أمير , فإنما يأتيكم الآن , ثم قال : اشفعوا لأميركم فإنه كان يحب العفو , وقال : أما بعد فإني أتيت رسول الله صلى الله عليه و سلم فقلت : أبايعك على الإسلام فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم واشترط على النصح لكل مسلم , فبايعته على هذا , ورب هذا المسجد انى لكم لناصح جميعا , ثم استغفر ونزل» .

“তোমরা আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে সদা সচেতন থাক এবং নতুন কোনো আমীর না আসা পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখ; এখনই তোমাদের আমীর আসবেন। এরপর তিনি (জারীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তোমাদের আমীরের জন্য সুপারিশ কর (ক্ষমা প্রার্থনা কর)। কারণ, তিনি ক্ষমা করাকে ভালোবাসতেন। তারপর বললেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললাম: আমি আপনার কাছে ইসলামের বায়‘আত গ্রহণ করতে চাই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন... এবং তিনি (অন্যান্য বিষয়ের সাথে) আমার ওপর শর্ত আরোপ করলেন: আর সকল মুসলিমের কল্যাণ কামনা করবে; অতঃপর আমি তাঁর কাছে এই শর্তের ওপর বায়‘আত গ্রহণ করলাম। এই মাসজিদের রবের কসম! আমি তোমাদের সকলের কল্যাণকামী; অতঃপর তিনি (আল্লাহর কাছে) মাগফিরাত কামনা করলেন এবং (মিম্বর থেকে) নেমে গেলেন।” [আহমদ (৪/৩৫৭); হাদীসটির সনদ বিশুদ্ধ।]

হাদিসের বর্ণনাকারীগণ বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ণনাকারী; তার মূলবিষয়টি সহীহাইন তথা বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে; তবে বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে রয়েছে তিনি বলেন: استعفوا لأميركم অর্থাৎ তোমরা আমীরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর এটা তাঁর কথা: «فإنه كان يحب العفو» (কারণ, তিনি ক্ষমা করাকে ভালোবাসতেন) এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কেননা জাযা বা জওয়াবটি আমলের শ্রেণিভুক্ত। হাফেয ইবন হাজার (আল-ফাতহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১২৯) বলেন: তাঁর কথা: «استعفوا لأميركم» (তোমরা আমীরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর), আর অধিকাংশ বর্ণনার মধ্যে অনুরূপ রয়েছে, আর ইবন ‘আসাকীরের বর্ণনার মধ্যে রয়েছে: «استغفروا» (তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর), আর এটাই ‘আল-মুসতাখরাজ’-এর মধ্যে ইসমা‘ঈলীর বর্ণনা।

৫১. আবূ সা‘ঈদ আল-আনমারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إن ربي وعدني أن يدخل الجنة من أمتي سبعين ألفا بغير حساب , ويشفع كل ألف لسبعين ألفا , ثم يحثي ربي ثلاث حثيات بكفيه » . كذا قال قيس : فقلت لأبي سعيد : أنت سمعت هذا من رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال : نعم , بأذني ووعاه قلبي , قال أبو سعيد : قال يعني رسول الله صلى الله عليه وسلم : «وذلك إن شاء الله يستوعب مهاجري أمتي ويوفي الله عز وجل بقيته من أعرابنا» .

“নিশ্চয় আমার রব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার উম্মত বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর প্রতি হাজার উম্মত সুপারিশ করবে আরও সত্তর হাজার উম্মতের জন্য; অতঃপর আমার প্রতিপালক তাঁর দুই হাতের তালু দ্বারা তিন অঞ্জলি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কায়েস অনুরূপ বলেছেন; অতঃপর আমি আবূ সা‘ঈদকে বললাম: আপনি কি এই হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? জবাবে সে বলল: হ্যাঁ, আমি আমার নিজ কানে শুনেছি এবং আমার অন্তর তা সংরক্ষণ করেছে; আবূ সা‘ঈদ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আর এটা আল্লাহ চায় তো তিনি আমার উম্মতের (সকল) মুহাজিরকে শামিল করবেন এবং আল্লাহ তার বাকিটা পূর্ণ করবেন আমাদের বেদুঈনদের মধ্য থেকে।” [ইবন আবি ‘আসেম, ‘আস-সুন্নাহ’ (২/৩৮৫); তাবারানী; আবূ আহমদ হাকেম; আর হাফেয ইবন হাজার ‘আল-ইসাবা’ গ্রন্থের মধ্যে হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন।]

(আবূ সা‘ঈদ বলেন: অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তার হিসাব হলো এবং তা চল্লিশ কোটি নব্বই হাজারে পৌঁছালো)।

৫২. ইবন মুহাইরিয থেকে বর্ণিত, তিনি সুনাবিহী রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ‘উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি (সুনাবিহী রহ.) বলেন:

«دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِى الْمَوْتِ فَبَكَيْتُ فَقَالَ : مَهْلاً لِمَ تَبْكِى ؟ فَوَاللَّهِ لَئِنِ اسْتُشْهِدْتُ لأَشْهَدَنَّ لَكَ , وَلَئِنْ شُفِّعْتُ لأَشْفَعَنَّ لَكَ , وَلَئِنِ اسْتَطَعْتُ لأَنْفَعَنَّكَ , ثُمَّ قَالَ : وَاللَّهِ مَا مِنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ فِيهِ خَيْرٌ إِلاَّ حَدَّثْتُكُمُوهُ إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا , وَسَوْفَ أُحَدِّثُكُمُوهُ الْيَوْمَ وَقَدْ أُحِيطَ بِنَفْسِى , سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : « مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ » .

“আমি উবাদার কাছে গেলাম, তখন তিনি মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, আমি কেঁদে ফেললাম। তিনি আমাকে বললেন, চুপ থাক, কাঁদছ কেন? আল্লাহর শপথ! যদি আমাকে সাক্ষী বানানো হয়, তাহলে আমি তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দেব; যদি আমাকে সুপারিশকারী বানানো হয়, তাহলে অবশ্যই আমি তোমার জন্য সুপারিশ করব এবং যদি আমার সাধ্য থাকে, তবে আমি তোমার উপকার করব। তারপর উবাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহ শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত একটি ছাড়া সব হাদীসই তোমাদেরকে শুনিয়েছি, যাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। তোমাদের কাছে সে হাদীসটি আজ বর্ণনা করছি, কেননা আজ আমি মৃত্যুর দুয়ারে উপস্থিত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ‘যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সেই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।” [সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: যে ব্যক্তি ঈমানসহ তার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ ব্যতীত আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম হয়ে যাবে ( باب مَنْ لَقِىَ اللَّهَ بِالإِيمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكٍّ فِيهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَحَرُمَ عَلَى النَّارِ ), হাদীস নং ১৫১; তিরমিযী (৪/১৩২); আহমদ (৬/৩১৮)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন