মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“যখন তোমরা মুয়াজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে, তখন তোমরা সে যা বলে তাই বলবে। তারপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ করবে। কারণ, যে আমার ওপর একবার দুরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত নাযিল করেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসীলার দো‘আ করবে। ওসীলা হলো হল জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কোনো এক বান্দাকে দেওয়া হবে। আমি আশা করি যে, আমিই হব সেই বান্দা। যে আমার জন্য ওসীলার দো‘আ করবে, তার জন্য আমার শাফা‘আত হালাল হয়ে যাবে।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সালাত ( كتاب الصلاة ), পরিচ্ছেদ: আযানের জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলা মুস্তাহাব; এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরূদ পাঠ করা এবং তাঁর জন্য ওসীলা’র দো‘য়া করা ( باباسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّى عَلَى النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ ), হাদীস নং ৮৭৫।]
«سلوا الله لي الوسيلة فإنه لم يسألها لي عبد في الدنيا إلا كنت له شهيدا أو شفيعا يوم القيامة » .
“তোমরা আমার জন্য আল্লাহর নিকট ওসীলার প্রার্থনা কর। কারণ, যে বান্দাই দুনিয়াতে আমার জন্য তা প্রার্থনা করবে, কিয়ামতের দিনে আমি তার জন্য সাক্ষী অথবা সুপারিশকারী হব।” [তাবারানী; আর ইসমাঈল কাযী তার ‘ফাদলুস সালাত ‘আলান নাবিয়্যে সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ ( فضل الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم ) –এর মধ্যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, পৃ. ৫০ এবং তার সনদটি হাসান, আর তার সমর্থনে অন্য বর্ণনাও রয়েছে।]
«من صلى على محمد وقال اللهم أنزله المقعد المقرب عندك يوم القيامة وجبت له شفاعتى» .
“যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের ওপর দুরূদ পাঠ করবে এবং বলবে: হে আল্লাহ! আপনি তাঁকে কিয়ামতের দিনে আপনার নিকটবর্তী আসনে অবতরণ করুন, তার জন্য আমার শাফা‘আত বা সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।” [ইসমাঈল কাযী তার ‘ফাদলুস সালাত ‘আলান নাবিয়্যে সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ ( فضل الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم ) –এর মধ্যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, পৃ. ৫৩; তাবারানী, আল-কাবীর (৫/১৪); আহমদ (৪/১০৭); মুনযেরী তার ‘আত-তারগীব’ গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন (২/৫০৫): হাইছামী, আল-মাজমা‘ [ المجمع ] (১/১৬৩)। (তবে সঠিক কথা হচ্ছে, হাদীসটি দুর্বল। শাইখুল আলবানী এবং শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত্ব উভয়েই হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। [সম্পাদক])]
৭৮. আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«من صلى علي حين يصبح عشرًا , وحين يمسى عشرًا , أدركته شفاعتى يوم القيامة» .
“যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় আমার ওপর দশবার দুরূদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনে আমার শাফা‘আত লাভ করবে।” [তাবারানী, আল-মু‘জাম আল-কাবীর [ المعجم الكبير ] (৫/১৪); আবূ ‘আসেম আস-সুন্নাহ্। শাইখ আলবানী তার ‘সহীহ আল-জামে’ ( صحيح الجامع ) –এর মধ্যে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, হাদীস নং ৬২৩৩]
৭৯. জাবির ইবন আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«من قال حين يسمع النداء : اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلاة القائمة , آت محمد الوسيلة والفضيلة , وابعثه مقاما محمودا الذي وعدته , حلت له شفاعتي يوم القيامة» .
“যে ব্যক্তি আযান শুনে দো‘আ করবে: ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের প্রভূ, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান কর ওসীলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে ‘মাকামে মাহমুদ’ তথা প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন’— কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফা‘আত হালাল হবে।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: আযান ( كتاب الأذان ), পরিচ্ছেদ: আযানের সময়কালীন দো‘আ ( باب الدعاء عند النداء ), হাদীস নং ৫৮৯।]
৮০. তারেক ইবন শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«ما من مسلم يقول إذا سمع النداء , فيكبر المنادى فيكبر , ثم يشهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله فيشهد على ذلك , ثم يقول : اللهم أعط محمدا الوسيلة , واجعل فى الأعلين درجته , وفى المصطفين محبته , وفى المقربين ذكره , إلا وجبت له شفاعتى يوم القيامة» .
“যে মুসলিম ব্যক্তি বলবে যখন সে আযান শুনে- মুয়াজ্জিন যখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে, তখন সে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে; অতঃপর সে (মুয়াজ্জিন) যখন সাক্ষ্য দেয় যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, তখন সে এই ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে; অতঃপর সে বলবে: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওসীলা দান কর, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর মর্যাদাকে শামিল কর, মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর মহব্বত সৃষ্টি করে দাও এবং নৈকট্যবান বান্দাদের মধ্যে তাঁর আলোচনার ব্যবস্থা করে দাও- তখন সেই ব্যক্তির জন্য কিয়ামতের দিনে আমার শাফা‘আত জরুরী হয়ে যায়।” [ত্বাহাবী, ‘শরহু মা‘আনীল আসার [ شرح معاني الآثار ] (১/১৪৫); তাবারানী, আল-কাবীর [ الكبير ] (১০/১৬); হাইছামী বলেন, হাদীসের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য; আর ইবনুস সুন্নী’র ‘আমালুল ইয়াওমে ওয়াল লাইলাহ্ গ্রন্থে এর সমর্থনে আরও একটি বর্ণনা রয়েছে, পৃ. ৪৭ এবং ৫৮।]
দৃষ্টি আকর্ষণ:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত ও তা তাঁর শাফা‘আত লাভের অন্যতম উপায় বলে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহের মধ্য থেকে কোনো কিছুই প্রমাণিত নয়; অচিরেই আমি তন্মধ্য থেকে কিছু বিষয় ও তথ্যসূত্র সংক্ষিপ্তভাবে পেশ করছি।
১. উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«من زار قبري أو قال من زارني كنت له شفيعا أو شهيدا ومن مات في احد الحرمين بعثه الله في الامنين يوم القيامة » .
যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করবে অথবা তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে যিয়ারত করবে, আমি তার জন্য সুপারিশকারী অথবা সাক্ষী হব, আর যে ব্যক্তি হারামাইন তথা মক্কা ও মদীনার কোনো একটিতে মারা যাবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিনে নিরাপদ ব্যক্তিদের মাঝে তার পুনরুত্থান ঘটাবেন।” (বায়হাকী, ৫/২৪৫) আর তিনি বলেন: এই হাদীসের সনদ অজ্ঞাত; দেখুন: ইবন আবদিল হাদী, ‘আস-সারেমুল মুনাক্কী ফির রাদ্দি ‘আলাস্ সাবাকী’ ( الصارم المنكي في الرد على السبكي )
২. ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«من زار قبري وجبت له شفاعتي» .
“যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করবে, তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে।”[হাদীসটি দারাকুতনী (২/২৭৮) ও বায়হাকী রহ. বর্ণনা করেন] আর বায়হাকী রহ. বলেন: এই হাদীসটি ‘মুনকার’। আর এই অর্থে সেখানে অনেক ‘মাওযু’ (বানোয়াট) ও দুর্বল হাদীস বর্ণিত আছে।
তবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাসজিদ যিয়ারত করা, তাতে সালাত আদায় করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাম পেশ করা অতি ফযিলতের কাজ, যা আল্লাহর জান্নাত ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের দিকে নিয়ে যায়। আর আল্লাহই হলেন সাহায্য প্রার্থনার স্থল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।