মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একত্ববাদীদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার জন্য সুপারিশ প্রসঙ্গে
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/16
একত্ববাদে বিশ্বাসীগণের জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে প্রমাণকারী হাদীসসমূহ ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের, আর এই ব্যাপারে প্রমাণকারী হাদীসসমূহের কিছু কিছু পূর্বে আলোচিত হয়েছে; যেমন- আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীস, (এই বইয়ে) হাদীস নং ২ ও ৩; আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীস, ক্রমিক নং- ৫, আর এই ব্যাপারে প্রমাণ পেশ করে নিম্নে বর্ণিত হাদীসসমূহ:
৩৯. যুহুরী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট সা‘ঈদ ইবনুল মুসায়্যিব ও ‘আতা ইবন ইয়াযিদ আল-লাইসী রহ. হাদীস বর্ণনা বর্ণনা করেছেন; তাদের নিকট আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেছেন যে, সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? জবাবে তিনি বলেন:
«هل تمارون في القمر ليلة بدر ليس دونه حجاب ؟ . قالوا لا يا رسول الله , قال : فهل تمارون في الشمس ليس دونها سحاب ؟ . قالوا لا , قال : فإنكم ترونه كذلك , يحشر الناس يوم القيامة فيقول : من كان يعبد شيئا فليتبع , فمنهم من يتبع الشمس , ومنهم من يتبع القمر , ومنهم من يتبع الطواغيت , وتبقى هذه الأمة فيها منافقوها , فيأتهم الله فيقول : أنا ربكم , فيقولون : هذا مكاننا حتى يأتينا ربنا , فإذا جاء ربنا عرفناه , فيأتيهم الله فيقول : أنا ربكم , فيقولون : أنت ربنا , فيدعوهم , فيضرب الصراط بين ظهراني جهنم , فأكون أول من يجوز من الرسل بأمته ولا يتكلم يومئذ أحد إلا الرسل , وكلام الرسل يومئذ : اللهم سلم سلم , وفي جهنم كلاليب مثل شوك السعدان , هل رأيتم شوك السعدان ؟ . قالوا : نعم , قال : فإنها مثل شوك السعدان , غير أنه لا يعلم قدرعظمها إلا الله , تخطف الناس بأعمالهم فمنهم من يوبق بعمله , ومنهم من يخردل ثم ينجو , حتى إذا أراد الله رحمة من أراد من أهل النار أمر الله الملائكة أن يخرجوا من كان يعبد الله فيخرجونهم ويعرفونهم بآثار السجود , وحرم الله على النار أن تأكل أثر السجود , فيخرجون من النار , فكل ابن أدم تأكله النار إلا أثر السجود , فيخرجون من النار قد امتحشوا , فيصب عليهم ماء الحياة فينبتون كما تنبت الحبة في حميل السيل , ثم يفرغ الله من القضاء بين العباد , ويبقى رجل بين الجنة والنار وهو آخر أهل النار دخولا الجنة مقبل بوجهه قبل النار , فيقول : يا رب اصرف وجهي عن النار , قد قشبني ريحها وأحرقني ذكاؤها , فيقول : هل عسيت إن فعل ذلك بك أن تسأل غير ذلك ؟ فيقول : لا وعزتك , فيعطي الله ما يشاء من عهد وميثاق , فيصرف الله وجهه عن النار .
فإذا أقبل به على الجنة رأى بهجتها سكت ما شاء الله أن يسكت , ثم قال : يا رب قدمني عند باب الجنة , فيقول الله له : أليس قد أعطيت العهود والميثاق أن لا تسأل غير الذي كنت سألت ؟ فيقول : يا رب لا أكون أشقى خلقك , فيقول فما عسيت إن أعطيت ذلك أن لا تسأل غيره ؟ فيقول : لا وعزتك لا أسأل غير ذلك , فيعطي ربه ما شاء من عهد وميثاق فيقدمه إلى باب الجنة , فإذا بلغ بابها فرأى زهرتها وما فيها من النضرة والسرور , فيسكت ما شاء الله أن يسكت , فيقول : يارب أدخلني الجنة , فيقول الله : ويحك يا بن آدم ما أغدرك أليس قد أعطيت العهد والميثاق أن لا تسأل غير الذي أعطيت ؟ فيقول : يا رب لا تجعلني أشقى خلقك , فيضحك الله عز و جل منه , ثم يأذن له في دخول الجنة , فيقول : تمن , فيتمنى , حتى إذا انقطعت أمنيته , قال الله عز و جل : من كذا وكذا أقبل , يذكره ربه حتى إذا انتهت به الأماني , قال الله تعالى : لك ذلك ومثله معه» .
قال أبو سعيد الخدري لأبي هريرة رضي الله عنهما : إن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : « قال الله : لك ذلك وعشرة أمثاله » . قال أبو هريرة : لم أحفظ من رسول الله صلى الله عليه و سلم إلا قوله : «لك ذلك ومثله معه » . قال أبو سعيد إني سمعته يقول : « ذلك لك وعشرة أمثاله » .
“মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ কর? তাঁরা বললেন, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখার ব্যাপারে কি তোমাদের কোনো সন্দেহ আছে? সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন: নিঃসন্দেহে তোমরাও আল্লাহকে অনুরূপভাবে দেখতে পাবে। কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে সমবেত করা হবে। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: যে যার উপাসনা করত, সে যেন তার অনুসরণ করে; তাই তাদের কেউ সূর্যের অনুসরণ করবে, কেউ চন্দ্রের অনুসরণ করবে, কেউ তাগুতের অনুসরণ করবে। আর অবশিষ্ট থাকবে শুধু এ উম্মাহ, তবে তাদের সাথে মুনাফিকরাও থাকবে। তাদের মাঝে এ সময় আল্লাহ তা‘আলা শুভাগমন করবেন এবং বলবেন: আমি তোমাদের রব। তখন তারা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের রবের শুভাগমন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব। আর তাঁর যখন শুভাগমন হবে, তখন আমরা অবশ্যই তাঁকে চিনতে পারব। তখন তাদের মাঝে মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ আগমন করবেন এবং বলবেন: আমি তোমাদের রব। তারা বলবে, হ্যাঁ, আপনিই আমাদের রব। আল্লাহ তা‘আলা তাদের ডাকবেন। আর জাহান্নামের ওপর একটি সেতুপথ (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে। রাসূলগণের মধ্যে আমিই সবার আগে আমার উম্মত নিয়ে এ পথ অতিক্রম করব। সেদিন রাসূলগণ ব্যতীত আর কেউ কথা বলবে না। আর রাসূলগণের কথা হবে: ‘ اللهم سلم سلم ’ (আল্লাহুম্মা সাল্লিম সাল্লিম), অর্থাৎ হে আল্লাহ! রক্ষা করুন, রক্ষা করুন। আর জাহান্নামে বাঁকা লোহার বহু শলাকা থাকবে; সেগুলো হবে সা‘দান কাঁটার মত। তোমরা কি সা‘দান কাঁটা দেখেছ? তারা বলল, হ্যাঁ, দেখেছি। তিনি বললেন, সেগুলো দেখতে সা‘দান [সা‘দান চতুর্পাশ্বে কাঁটা বিশিষ্ট এক প্রকার গাছ, মরু অঞ্চলে জন্মে, যার কাঁটাগুলো বাঁকা হয়ে থাকে। এগুলো উটের খাদ্য।] কাঁটার মতই। তবে সেগুলো কত বড় হবে তা একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। সে কাঁটা লোকের আমল অনুযায়ী তাদের তড়িৎ গতিতে ধরবে। তাদের কিছু লোক ধ্বংস হবে আমলের কারণে। আর কারোর পায়ে জখম হবে, কিছু লোক কাঁটায় আক্রান্ত হবে, তারপর নাজাত পেয়ে যাবে। জাহান্নামীদের থেকে যাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা রহমত করতে ইচ্ছা করবেন, তাদের ব্যাপারে ফিরিশতাগণকে নির্দেশ দিবেন যে, যারা আল্লাহর ইবাদত করত, তাদের যেন জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হয়। ফিরিশতাগণ তাদের বের করে আনবেন এবং সাজদাহর চিহ্ন দেখে তাঁরা তাদের চিনতে পারবেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের জন্য সাজদাহ’র চিহ্নগুলো মিটিয়ে দেওয়া হারাম করে দিয়েছেন। ফলে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। কাজেই সাজদাহর চিহ্ন ছাড়া আগুন বনী আদমের সব কিছুই গ্রাস করে ফেলবে। অবশেষে, তাদেরকে অঙ্গারে পরিণত অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তাদের ওপর ‘আবে-হায়াত’ ঢেলে দেওয়া হবে, ফলে তারা স্রোতে বাহিত ফেনার ওপর গজিয়ে উঠা উদ্ভিদের মত সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে। এরপর আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের বিচার কাজ সমাপ্ত করবেন। কিন্তু একজন লোক জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে থেকে যাবে। তার মুখমণ্ডল তখনও জাহান্নামের দিকে ফিরানো থাকবে। জাহান্নামবাসীদের মধ্যে জান্নাতে প্রবেশকারী সেই শেষ ব্যক্তি। সে তখন নিবেদন করবে, হে আমার রব! জাহান্নাম থেকে আমার চেহারা ফিরিয়ে দিন, এর দূষিত হাওয়া আমাকে বিষিয়ে তুলছে, এর লেলিহান শিখা আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তোমার নিবেদন গ্রহণ করা হলে, তুমি এ ছাড়া আর কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, না, আপনার ইজ্জতের শপথ! সে তার ইচ্ছামত আল্লাহ তা‘আলাকে অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি দিবে। কাজেই আল্লাহ তা‘আলা তার চেহারাকে জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দিবেন। এরপর সে যখন জান্নাতের দিকে মুখ ফিরাবে, তখন সে জান্নাতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা সে চুপ করে থাকবে। তারপর সে বলবে, হে আমার রব! আপনি জান্নাতের দরজার কাছে পৌঁছিয়ে দিন। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন, তুমি পূর্বে যা চেয়েছিলে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না বলে তুমি কি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দাও নি? তখন সে বলবে, হে আমার রব! তোমার সৃষ্টির সবচেয়ে হতভাগ্য ব্যক্তি আমি হতে চাই না। আল্লাহ তাৎক্ষণিক বলবেন, তোমার এটি পুরণ করা হলে তুমি এ ছাড়া কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, না, আপনার ইজ্জতের কসম! এছাড়া আর কিছুই চাইব না। এ ব্যাপারে সে তার ইচ্ছানুযায়ী অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি দিবে। সে যখন জান্নাতের দরজায় পৌঁছবে, তখন জান্নাতের অনাবিল সৌন্দর্য্য ও তার অভ্যন্তরীণ সুখ শান্তি ও আনন্দঘন পরিবেশ দেখতে পাবে। যতক্ষণ আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করবেন, সে চুপ করে থাকবে। এরপর সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দাও! তখন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ বলবেন: হে আদম সন্তান, কি আশ্চর্য! তুমি কত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী! তুমি কি আমার সঙ্গে অঙ্গিকার কর নি এবং প্রতিশ্রুতি দাওনি যে, তোমাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া আর কিছু চাইবে না? তখন সে বলবে, হে আমার রব! আপনার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে হতভাগ্য আমাকে করবেন না। এতে আল্লাহ হেসে দিবেন। এরপর তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিবেন এবং বলবেন, চাও। তখন সে চাইবে, এমনকি তার চাওয়ার আকাঙ্খা ফুরিয়ে যাবে। তখন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ বলবেন: এটা চাও, ওটা চাও। এভাবে তার রব তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে থাকবেন। অবশেষে যখন তার আকাঙ্খা শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: এ সবই তোমার, এর সাথে আরও সমপরিমাণ (তোমাকে দেওয়া হলো)।
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: এ সবই তোমার, তার সাথে আরও দশগুণ (তোমাকে দেওয়া হল] আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুধু এ কথাটি স্মরণ রেখেছি যে, এ সবই তোমার এবং তারা সাথে সমপরিমাণ। আবূ সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, এসব তোমার এবং এর সাথে আরও দশগুণ।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সালাতের বিবরণ ( كتاب صفة الصلاة ), পরিচ্ছেদ: সাজদার ফযীলত ( باب فضل السجود ), হাদীস নং ৭৭৩।]
৪০. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? তখন তিনি বলেন:
«هل تضارون في رؤية الشمس والقمر إذا كانت ضحوا ؟ . قلنا : لا , قال : « فإنكم لا تضارون في رؤية ربكم يومئذ إلا كما تضارون في رؤيتهما » . ثم قال : « ينادي مناد ليذهب كل قوم إلى ما كانوا يعبدون , فيذهب أصحاب الصليب مع صليبهم , وأصحاب الأوثان مع أوثانهم , وأصحاب كل آلهة مع آلهتهم حتى يبقى من كان يعبد الله من بر أو فاجر , وغبرات من أهل الكتاب , ثم يؤتى بجهنم تعرض كأنها سراب , فيقال لليهود : ما كنتم تعبدون ؟ قالوا : كنا نعبد عزير ابن الله , فيقال : كذبتم , لم يكن لله صاحبة ولا ولد , فما تريدون ؟ قالوا : نريد أن تسقينا , فيقال : اشربوا , فيتساقطون في جهنم , ثم يقال للنصارى : ما كنتم تعبدون ؟ فيقولون : كنا نعبد المسيح ابن الله , فيقال : كذبتم , لم يكن لله صاحبة ولا ولد , فما تريدون ؟ فيقولون : نريد أن تسقينا , فيقال : اشربوا , فيتساقطون حتى يبقى من كان يعبد الله من بر أو فاجر , فيقال لهم : ما يحبسكم وقد ذهب الناس ؟ فيقولون : فارقناهم ونحن أحوج منا إليه اليوم , وإنا سمعنا مناديا ينادي ليلحق كل قوم بما كانوا يعبدون , وإنما ننتظر ربنا , قال : فيأتيهم الجبار في صورة غير صورته التي رأوه فيها أول مرة , فيقول : أنا ربكم , فيقولون : أنت ربنا فلا يكلمه إلا الأنبياء , فيقول : هل بينكم وبينه آية تعرفونه ؟ فيقولون : الساق , فيكشف عن ساقه , فيسجد له كل مؤمن , ويبقى من كان يسجد لله رياء وسمعة , فيذهب كيما يسجد فيعود ظهره طبقا واحدا , ثم يؤتى بالجسر فيجعل بين ظهري جهنم » . قلنا : يا رسول الله وما الجسر ؟ قال : « مدحضة مزلة عليه خطاطيف وكلاليب وحسكة مفلطحة لها شوكة عقيفة تكون بنجد يقال لها : السعدان , المؤمن عليها كالطرف وكالبرق وكالريح وكأجاويد الخيل والركاب فناج مسلم , وناج مخدوش , ومكدوس في نار جهنم , حتى يمر آخرهم يسحب سحبا , فما أنتم بأشد لي مناشدة في الحق قد تبين لكم من المؤمن يومئذ للجبار , وإذا رأوا أنهم قد نجوا في إخوانهم يقولون : ربنا إخواننا كانوا يصلون معنا ويصومون معنا , ويعملون معنا , فيقول الله تعالى : اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال دينار من إيمان فأخرجوه , ويحرم الله صورهم على النار , فيأتونهم وبعضهم قد غاب في النار إلى قدمه , وإلى أنصاف ساقيه , فيخرجون من عرفوا , ثم يعودون فيقول : اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال نصف دينار فأخرجوه فيخرجون من عرفوا , ثم يعودون فيقول اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال ذرة من إيمان فأخرجوه فيخرجون من عرفوا » . قال أبو سعيد فإن لم تصدقوني فاقرؤوا : ﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا﴾ [ النساء : ٤٠ ].
« فيشفع النبيون والملائكة والمؤمنون , فيقول الجبار : بقيت شفاعتي فيقبض قبضة من النار فيخرج أقواما قد امتحشوا , فليقون في نهر بأفواه الجنة , يقال له : ماء الحياة , فينبتون في حافتيه كما تنبت الحبة في حميل السيل , قد رأيتموها إلى جانب الصخرة , و إلى جانب الشجرة , فما كان إلى الشمس منها كان أخضر , وما كان منها إلى الظل كان أبيض , فيخرجون كأنهم اللؤلؤ فيجعل في رقابهم الخواتيم , فيدخلون الجنة , فيقول أهل الجنة : هؤلاء عتقاء الرحمن , أدخلهم الجنة بغير عمل عملوه , ولا خير قدموه , فيقال لهم : لكم ما رأيتم ومثله معه» .
“মেঘমুক্ত আকাশে তোমরা সূর্য ও চন্দ্র দেখতে কোনো বাধাপ্রাপ্ত হও কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন: সেদিন তোমরাও তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে বাধাপ্রাপ্ত হবে না এতটুকু ব্যতীত, যতটুকু সূর্য ও চন্দ্র দেখার সময় পেয়ে থাক। সেদিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন, যারা যে জিনিসের ইবাদত করতে, তারা সে জিনিসের কাছে গমন কর। এরপর যারা ক্রুশধারী ছিল, তারা যাবে তাদের ক্রুশের কাছে। মূর্তিপুজারীরা যাবে তাদের মূর্তির সাথে। সকলেই তাদের উপাস্যের সাথে যাবে। অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতকারীরা; নেককার ও গুনাহগার সবাই এবং আহলে কিতাবের কিছু সংখ্যক লোকও থাকবে। অতঃপর জাহান্নামকে আনা হবে। সেটি তখন মরীচিকার মত থাকবে। ইয়াহূদীদেরকে সম্বোধন করে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা কিসের ইবাদত করতে? উত্তরে তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র ‘উযায়ের আলাইহিস সালামের ইবাদত করতাম। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলছ কারণ, আল্লাহর কোনো স্ত্রীও নেই এবং নেই তাঁর কোনো সন্তান। এখন তোমরা কি চাও? তারা বলবে, আমরা চাই, আপনি আমাদেরকে পানি পান করান। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা পানি পান কর। এরপর তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে। তারপর নাসারাদেরকে হবে, তোমরা কিসের ইবাদত করতে? উত্তরে তারা বলে উঠবে, আমরা আল্লাহর পুত্র ‘মসীহের ইবাদত করতাম। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলছ। কারণ, আল্লাহর কোনো স্ত্রীও ছিল না, সন্তানও ছিল না। এখন তোমরা কি চাও? তারা বলবে, আমাদের ইচ্ছা আপানি আমাদেরকে পানি পান করতে দিন। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা পানি পান কর। এরপর তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে। পরিশেষে অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতকারীগণ; তাদের নেককার ও গুনাহগার সবাই। তাদেরকে লক্ষ্য করে বলা হবে, কোনো জিনিস তোমাদেরকে আটকে রেখেছে? অথচ অন্যরা তো চলে গিয়েছে। তারা বলবে, আমরা তো সেদিন তাদের থেকে পৃথক ছিলাম, যেদিন আজকের অপেক্ষা বেশি প্রয়োজন ছিল। আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঘোষণাটি দিতে শুনেছি যে, যারা যাদের ইবাদত করত, তারা যেন তাদের সাথে যায়। আমরা প্রতীক্ষা করছি আমাদের প্রতিপালকের জন্য। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাদের কাছে আগমন করবেন। এবার তিনি সে আকৃতিতে আগমন করবেন না, যে আকৃতিতে তাঁকে প্রথমবার ঈমানদারগণ দেখেছিলেন এসে তিনি ঘোষণা দিবেন -আমি তোমাদের প্রতিপালক, সবাই তখন বলে উঠবে, আপনিই আমাদের প্রতিপালক। আর সেদিন নবীগণ ছাড়া তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলতে পারবে না। আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমাদের এবং তাঁর মাঝখানে পরিচায়ক কোনো আলামত আছে কি? তারা বলবেন, ‘পায়ের নলা’। তখন পায়ের নলা খুলে দেওয়া হবে। তা দেখে ঈমানদারগণ সবাই সাজদায় পতিত হবে। বাকি থাকবে তারা, যারা লোক দেখানো এবং লোক শুনানো সাজদাহ করেছিল। তবে তারা সাজদাহর মনোবৃত্তি নিয়ে সাজদাহ করার জন্য যাবে, কিন্তু তাদের মেরুদণ্ড একটি তক্তার ন্যায় শক্ত হয়ে যাবে। এমন সময় পুল (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে জাহান্নামের ওপর। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে পুলটি কি ধরনের হবে? তিনি বলরেন: দুর্গম পিচ্ছিল জায়গা হবে। এর ওপর আংটা ও হুক থাকবে, যা শক্ত ও চওড়া কাঁটা বিশিষ্ট হবে, যা নাজদ দেশের সা‘দান বৃক্ষের কাঁটার মত হবে। সে পুলের ওপর দিয়ে ঈমানদারগণের কেউ অতিক্রম করবে চোখের পলকের মতো, কেউ বিজলীর মতো, কেউ বা বাতাসের মতো, আবার কেউ দ্রুতগামী ঘোড়া ও সাওয়ারের মতো। তবে মুক্তিপ্রাপ্তগণ কেউ নিরাপদে চলে আসবে, আবার কেউ জাহান্নামের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে। একেবারে শেষে পার হবে যে ব্যক্তিটি, সে হেঁচড়িয়ে কোনো রকমে পার হয়ে আসবে। এখন তোমরা হকের ব্যাপারে আমার অপেক্ষা বেশি কঠোর নও; মহাপরক্রমশালী আল্লাহর সমীপে মুমিনদের অবস্থাটি তোমাদের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে। যখন তারা (মুমিনগণ) দেখবে যে, তাদের ভাইদের মধ্যে তারা মুক্তি পেয়ে গেছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের সেসব ভাই কোথায়, যারা আমাদের সাথে সালাত আদায় করত, সাওম (রোযা) পালন করত এবং আমাদের সাথে ভালো কাজ করত? তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস; আল্লাহ তা‘আলা তাদের চেহারাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। এদের কারও কারও দু‘পা ও দু‘পায়ের নলার অধিক পর্যন্ত জাহান্নামের মধ্যে হারিয়ে যাবে। তারা যাদেরকে চিনতে পারবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারপর এরা আবার প্রত্যাবর্তন করবে। আল্লাহ আবার তাদেরকে বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অর্ধ দিনার পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারা গিয়ে তাদেরকেই বের করে নিয়ে আসবে, যাদেরকে তারা চিনতে পারবে। তারপর এরা আবার প্রত্যাবর্তন করবে। আল্লাহ আবার তাদেরকে বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, তোমরা যদি আমাকে বিশ্বাস না কর, তাহলে আল্লাহর এই বাণীটি পড়: আল্লাহ অণু পরিমাণও যুলুম করেন না এবং অণু পরিমাণ পুণ্য কাজ হলেও আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করেন।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪০]
তারপর নবীসাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ফিরিশতা ও মুমিনগণ সুপারিশ করবেন। তখন মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলবেন, এখন একমাত্র আমার শাফা‘আতই বাকি রয়েছে। তিনি জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কাওম (সম্প্রদায়)-কে বের করবেন, যারা জ্বলে পুরে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর তাদেরকে জান্নাতের সামনে অবস্থিত ‘হায়াত’ নামক নহরে ঢালা হবে। তারা সে নহরের দু’পার্শ্বে এমনভাবে উদ্ভূত হবে, যেমন পাথর এবং গাছের কিনারে বহন করে আনা আবর্জনায় বীজ থেকে তৃণ উদ্ভূত হয়। তন্মধ্যে সূর্যের আলোর অংশের গাছগুলো সাধারণত সবুজ হয়, ছায়ার অংশেরগুলো সাদা হয়। তারা সেখান থেকে মুক্তার দানার মত বের হবে। তাদের গর্দানে মোহর লাগানো হবে। জান্নাতে যখন তারা প্রবেশ করবে, তখন অপরাপর জান্নাতবাসীরা বলবেন, এরা হলেন রহমান কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কোনো ভালো আমল কিংবা কল্যাণমূলক কাজ ছাড়া জান্নাতে দাখিল করেছেন। তখন তাদেরকে ঘোষণা দেওয়া হবে: তোমরা যা দেখেছ, সবই তো তোমাদের, এর সাথে আরও সমপরিমাণ দেওয়া হলো তোমাদেরকে।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: আল্লাহর একত্ববাদ ( كتاب التوحيد ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “সেদিন কোনো কোনো মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।” باب قول الله تعالى ﴿ وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاضِرَةٌ ٢٢ إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٞ ٢٣﴾ [ القيامة : ٢٢، ٢٣ ] , হাদীস নং ৭০০১।]
৪১. আবূ সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“জাহান্নামীদের মধ্যে যারা প্রকৃতপক্ষে জাহান্নামী, তাদের মৃত্যুও ঘটবে না এবং তারা পুনর্জীবিতও হবে না। তবে তন্মধ্যে তোমাদের এমন কতিপয় লোকও থাকবে, যারা গুনাহের দায়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এরপর আল্লাহ তা‘আলা (তাদের ওপর পতিত আযাবের নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে) তাদেরকে কিছুকাল নির্জীব করে রেখে দিবেন। অবশেষে তারা পুড়ে সম্পূর্ণ অঙ্গার হয়ে যাবে। এ সময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফা‘আতের অনুমতি হবে। তখন এদেরকে দলে দলে নিয়ে আসা হবে এবং জান্নাতের নহরগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পরে বলা হবে, হে জান্নাতীরা তোমরা এদের গায়ে পানি ঢেলে দাও! ফলে স্রোতবাহিত পলিতে গজিয়ে ওঠা শস্যদানার মতো তারা সজিব হয়ে উঠবে। উপস্থিতদের মধ্যে একজন বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন এককালে গাঁয়ে অবস্থান করেছিলেন।” [সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: শাফা‘আত ও তাওহীদবাদীদের জাহান্নাম থেকে উদ্ধার লাভের প্রমাণ ( باب إِثْبَاتِ الشَّفَاعَةِ وَإِخْرَاجِ الْمُوَحِّدِينَ مِنَ النَّارِ ), হাদীস নং ৪৭৭।]
৪২. জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إذا ميز أهل الجنة وأهل النار , فدخل أهل الجنة الجنة , وأهل النار النار , قامت الرسل فشفعوا , فيقول : انطلقوا أو اذهبوا فمن عرفتم فأخرجوه فيخرجونهم قد امتحشوا فيلقونهم في نهر أو على نهر , يقال له : الحياة , قال : فتسقط محاشهم على حافة النهر , ويخرجون بيضا مثل الثعارير , ثم يشفعون فيقول : اذهبوا أو انطلقوا فمن وجدتم في قلبه مثقال قيراط من إيمان فأخرجوهم , قال فيخرجون بشرا ثم يشفعون فيقول اذهبوا أو انطلقوا فمن وجدتم في قلبه مثقال حبة من خردلة من إيمان فأخرجوه , ثم يقول الله عز و جل : أنا الآن أخرج بعلمي ورحمتي , قال : فيخرج أضعاف ما أخرجوا وأضعافه , فيكتب في رقابهم عتقاء الله عز و جل ثم يدخلون الجنة فيسمون فيها الجهنميين » .
“যখন জান্নাতবাসীগণ ও জাহান্নামবাসীগণ পৃথক হয়ে যাবে, তখন জান্নাতবাসীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামবাসীগণ জাহান্নামে প্রবেশ করবে, আর রাসূলগণ দাঁড়িয়ে যাবে এবং সুপারিশ করবে; অতঃপর তিনি বলবেন: তোমরা যাও, অতঃপর তোমরা যাকে চিনতে পার, তাকে বের করে নিয়ে আস; অতঃপর তাঁরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে এমতাবস্থায় যে, তারা পুড়ে গেছে; অতঃপর তাঁরা তাদেরকে ঝর্ণা বা নদীতে নিক্ষেপ করবে, যাকে ‘আবে হায়াত’ বলা হয়; তিনি বলেন: নদীর কিনারে তাদের (দেহের) ভস্মীভূত বস্তু পতিত হবে এবং তারা রসুনের মত সাদা হয়ে বের হয়ে আসবে; অতঃপর তাঁরা আবার সুপারিশ করবে, তারপর তিনি বলবেন: তোমরা যাও, তারপর তোমরা যার অন্তরে এক কিরাত [কিরাত ( قيراط ) হলো ওজনবিশেষ, কোন বস্তুর এক-চব্বিশাংশ, কারো মতে দিরহামের এক-দ্বাদশাংশ, এক-দশমাংশ দিনারের অর্ধেক, আঙুলের প্রশস্ততা পরিমাণ। -আরবী-বংলা অভিধান, ২য় খণ্ড, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।] পরিমাণ ঈমান পাও, তাদেরকে বের করে নিয়ে আস; তিনি বলেন: অতঃপর তাঁরা কিছু লোককে বের করে আনবে; অতঃপর তাঁরা আবার সুপারিশ করবে, তারপর তিনি বলবেন: তোমরা যাও, তারপর তোমরা যার অন্তরের মধ্যে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান পাও, তাদেরকে বের করে নিয়ে আস। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: এখন আমি আমার ইলম (জ্ঞান) ও রহমতের দ্বারা বের করে আনব, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: অতঃপর তিনি তাঁরা যা বের করে আনবে, তার কয়েকগুণ পরিমাণ বের করে নিয়ে আসবেন; অতঃপর তাদের ঘাড়ে লিখে দেওয়া হবে ‘আল্লাহ তা‘আলার আযাদকৃত’; অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে; তারপর তাতে তাদেরকে ‘জাহান্নামী’ বলে আখ্যায়িত করা হবে।” [আহমদ (৩/৩২৫); এটি হাসান হাদীস।]
* ‘ইমরান ইবন হোসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“একদল লোককে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফা‘আতে (সুপারিশে) জাহান্নাম থেকে বের করা হবে, অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তাদেরকে জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করা হবে।” [সহীহ বুখারী, রিকাক (কোমল) অধ্যায় ( كتاب الرقاق ), পরিচ্ছেদ: জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা ( باب صفة الجنة والنار ), হাদীস নং ৬১৯৮।]
৪৩. হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«يخرج الله قوما منتنين قد محشتهم النار بشفاعة الشافعين فيدخلهم الجنة فيسمون الجهنميون قال حجاج : الجهنميين » .
“আল্লাহ তা‘আলা আগুনে পোড়ানো দুর্গন্ধপূর্ণ একদল মানুষকে সুপারিশকারীগণের সুপারিশের কারণে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন, তারপর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; ফলে তাদেরকে ‘জাহান্নামী’ বলে আখ্যায়িত করা হবে; বর্ণনাকারী হাজ্জাজ الجهنميون এর পরিবর্তে الجهنميين বলেছেন”। [আহমদ (৫/৪০২); ইবন খুযাইমা, পৃ. ২৭৫; তার সনদটি সহীহ; হাইছামী ও ইবন হাজার তাকে বিশুদ্ধ বলেছেন।]
৪৪. হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন:
«يقول إبراهيم يوم القيامة : يا رباه فيقول الرب جل وعلا : يا لبيكاه فيقول إبراهيم : يا رب حرقت بني فيقول : أخرجوا من النار من كان في قلبه ذرة أو شعيرة من إيمان » .
“ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কিয়ামতের দিনে বলবেন: হে রব! অতঃপর মহান রব বলবেন: হে আমি হাযির; তারপর ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বলবেন: হে আমার রব! আপনি আমার সন্তানদেরকে আগুনে পোড়াচ্ছেন; তারপর তিনি বলবেন: যার অন্তরে অণু অথবা যবের দানা পরিমাণ ঈমান রয়েছে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস।” [ইবন হিব্বান, ‘আস-সহীহ, পৃ. ৬৪৫; তার সনদটি সহীহ।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।