মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
* নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কার জন্য সর্বপ্রথম সুপারিশ করবেন, তা বর্ণনায় কোনো সহীহ হাদীস বর্ণিত নেই; তবে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বর্ণিত হাদীসটি মউদু‘ তথা বানোয়াট, তার শব্দ হলো, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أول من أشفع له يوم القيامة من أمتي أهل بيتي ثم الأقرب فالأقرب من قريش ثم الأنصار ثم من آمن بي واتبعني من أهل اليمن ثم من سائر العرب ثم الأعاجم ومن أشفع له أولا أفضل» .
“কিয়ামতের দিনে আমার উম্মতের মধ্যে সর্বপ্রথম আমি যার জন্য সুপারিশ করব, তারা হলো আমার পরিবার-পরিজন, অতঃপর কুরাইশ বংশের পরপর নিকটাত্মীয়গণ, অতঃপর আনসারগণ, অতঃপর ইয়ামানের অধিবাসীগণের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমাকে অনুসরণ করেছে, অতঃপর সকল আরববাসীর মধ্য থেকে (যে ব্যক্তি আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমাকে অনুসরণ করেছে), অতঃপর অনারবগণ, আর সর্বপ্রথম আমি যার জন্য সুপারিশ করব, সে উত্তম। -হাদীসটি আল-খতীব বর্ণনা করেছেন, মুদিহু আওহামিল জাম‘য়ি ওয়াত তাফরীক [ موضح أوهام الجمع والتفريق (২/৪৮)], আর তাতে হাফস ইবন সুলাইমান নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন, তার ব্যাপারে ইমাম আহমদ ও নাসায়ী রহ. বলেছেন: সে ‘মাতরুক’ (পরিত্যাজ্য) আর ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে ‘আল-মাউযু‘আত’ ( الموضوعات ) এর মধ্যে (৩/২৫০) উল্লেখ করেছেন এবং তাকে সুয়ুতী (মাউযু বলে) ‘আল-লা‘লী ( اللألي ) এর মধ্যে (২/৪৫০) স্বীকৃতি দিয়েছেন।
* আর অপর এক বর্ণনায় এসেছে:
«أول من أشفع له أهل المدينة وأهل مكة وأهل الطائف»
“আমি প্রথম যার জন্য সুপারিশ করব, তারা হলো মদীনাবাসী, মক্কাবাসী ও তায়েফবাসী। হাদীসটি ইমাম বুখারী রহ. বর্ণনা করেছেন, আত-তারীখ [ التاريخ (৫/৪০৪)] গ্রন্থে। এই হাদীসটি এমন, যা দুর্বল ও অপরিচিত বর্ণনাকারীদের দ্বারা বর্ণিত হাদীসসমূহের অন্তর্ভুক্ত, আর এই জন্য হাফেয হাইছামী রহ. বলেন: হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এবং তাতে একদল আছেন, যাদেরকে আমি চিনি না।
* বর্ণিত আছে:
«من سقى الناس شربة من ماء , أو قضى حاجة للناس , فإنهم يشفعون له» .
“যে ব্যক্তি মানুষকে পানি পান করাবে অথবা মানুষের কোনো প্রয়োজন পূরণ করবে, তারা তার জন্য সুপারিশ করবে। -হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইবন আবিদ দুনিয়া, ‘কাদাউল হাওয়ায়েয’ ( قضاء الحوائج ), পৃ. ৯৯; কিন্তু হাদীসটি দুর্বল। কেননা তার সনদে ইয়াযীদ আর-রাকাশী নামে একজন বর্ণনাকারী আছে, যে দুর্বল। বরং ইমাম নাসায়ী বলেছেন: (সে কঠোরভাবে সমালোচিত) পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য।
* বর্ণিত আছে: ওসমান ইবন ‘আফফান রহ. রবী‘আ ও ‘মুদার’ গোত্রের সমপরিমাণ লোকের ব্যাপারে সুপারিশ করবেন, কিন্তু হাদীসটি হাসান আল-বসরীর মুরসাল বর্ণনাসমূহের একটি; বর্ণিত আছে: তিনি ওয়াইস আল-কারনী... দেখুন: আমাদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ইমাম আলকারী’র ‘কিতাবুল মা‘দান আল-মা‘দানী ফী ফদলে ওয়াইস আল-কারনী’ ( كتاب المعدن المعدني في أويس القرني )
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হাজ্জ পালনকারী অবস্থায় বের হবে, আল্লাহ তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, আর সে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করবে, যে তার জন্য দো‘আ করবে।” -হাদীসটি আবূ না‘ঈম ‘আল-হিলয়া’ ( الحلية ) গ্রন্থে (৭/২৩৫) বর্ণনা করেছেন এবং তার সনদে ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া আত-তায়মী নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছে, যে বানিয়ে বানিয়ে হাদীস বর্ণনা করত।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«ما من معمر يعمر في الإسلام ... فإذا بلغ التسعين غفر الله له ما تقدم من ذنبه وما تأخر , وسمي أسير الله في أرضه وشفع لأهل بيته» .
“যে কোনো বয়স্ক ব্যক্তি, যে ইসলামের মধ্যে থেকে দীর্ঘজীবী হয়... সুতরাং যখন সে নব্বই বছর বয়সে উপনীত হবে, তখন আল্লাহ তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, আর আল্লাহর যমীনে সে ‘আল্লাহর বন্দী’ নামে খ্যাতি লাভ করবে এবং সে তার পরিবার-পরিজনের জন্য সুপারিশ করবে।”
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আহমদ (৩/২১৭); ইবন হিব্বান, আদ-দু‘আফা ( الضعفاء ), ৩/১৩২, তার সনদে ইউসূফ ইবন আবি বুরদা নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছে: কোনোভাবেই সে গ্রহণযোগ্য নয়। দেখুন: ইবনুল জাওযী, ‘আল-মাউযু‘আত’ ( الموضوعات ) [১/১৭৯-১৮১]।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«إن من فتح عسقلان يبعث الله منها خمسين ألف شهيد يشفع الرجل منهم في مثل ربيعة و مضر» .
“যে ব্যক্তি ‘আসকালান জয় করবে, আল্লাহ তা‘আলা সেখান থেকে পঞ্চাশ হাজার শহীদ প্রেরণ করবেন, তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি ‘রবী‘য়া’ ও ‘মুদার’ গোত্রের সমপরিমাণ লোকের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।”
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইবন হিব্বান, আদ-দু‘আফা ( الضعفاء ), ৩/১৩২, তার সনদে হামযা ইবন হামযা নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছে, যার হাদীস পরিত্যাক্ত, এক পয়সার সমানও নয়!
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয় যে, ‘সিলা’ নামের এক ব্যক্তির সুপারিশে এই পরিমাণ এই পরিমাণ লোক জানাতে প্রবেশ করবে। — হাদীসটি আবূ না‘ঈম ‘আল-হিলয়া’ ( الحلية ) গ্রন্থে (২/২৪১) বর্ণনা করেছেন, কিন্তু হাদীসটি ‘মু‘দাল’।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«أنا شفيع لكلّ رجلين اتّخيا في الله من مبعثي إلى يوم القيامة» .
“আমি এমন প্রত্যেক দুই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করব, যারা আল্লাহর উদ্দেশ্য একে অপরের ভাই হয়েছে। আমার রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হতে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত”। -হাদীসটি আবূ না‘ঈম ‘আল-হিলয়া’ ( الحلية ) গ্রন্থে (১/৩৬৭) বর্ণনা করেছেন, তার সনদে ‘আমর ইবন খালেদ আল-কুফী নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যে মুহাদ্দিসদের নিকট মিথ্যাবাদী বলে পরিচিত।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«من أحيا بين الصلاتين غفر له , و شفع له ملكا» .
“যে ব্যক্তি দুই সালাতের মধ্যস্থিত সময় জীবিত রাখবে (ইবাদতের মাধ্যমে), তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং তার জন্য তার ফিরিশতাদ্বয় সুপারিশ করবে।” -হাদীসটি আবূ না‘ঈম ‘আখবারু আসবাহান’ ( أخبار أصبهان ) গ্রন্থে (২/৩৪৫) বর্ণনা করেছেন, তার সনদে সাফাদী ইবন সিনান নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যে কোনো কিছুই (বর্ণনাকারীই) নয়, যেমনটি ইয়াহইয়া ইবন মু‘ঈন বলেছেন।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«ثلاثة أنا شفيع لهم يوم القيامة : الضارب بسيفه أمام ذريتي، والقاضي لهم حوائجهم عندما اضطروا إليه، والمحبّ لهم بقلبه ولسانه» .
কিয়ামতের দিনে আমি তিন ব্যক্তির জন্য সুপারিশকারী হব: তারা হলো: (১) আমার বংশধরের সামনে (তাদেরকে রক্ষার উদ্দেশ্য) নিজ তরবারী নিয়ে অবস্থানকারী ব্যক্তি। (২) তাদের প্রয়োজনসমূহ পূরণকারী ব্যক্তি, যখন তারা তার নিকট বাধ্য হয়। (৩) অন্তর দিয়ে ও মুখের ভাষায় তাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী ব্যক্তি। শাওকানী এই হাদীসটিকে ‘আল-ফাওয়ায়েদুল মাজমু‘আ’ ( الفوائد المجوعة ) গ্রন্থে ‘মাউযু’ (বানোয়াট) বলেছেন, পৃ. ৩৯৭।
* হাদীসসমষ্টি:
«من حفظ على أمتي أربعين حديثا في السنة كنت له شفيعا يوم القيامة» .
“যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য সুন্নাহ প্রসঙ্গে চল্লিশটি হাদীস মুখস্থ করবে, তাহলে কিয়ামতের দিনে আমি তার জন্য সুপারিশকারী হব।
এই হাদীসটি বহু সনদে বর্ণিত হয়েছে, যার মধ্যে কোনোটিই শুদ্ধ নয় [দেখুন: জামে‘উ বয়ানিল ‘ইলম ওয়া ফাদলুহু ( جامع بيان العلم وفضله ), পৃ. ৫২; কাযী ‘আইয়ায, আল-আলমা‘উ ( الألماع ), পৃ. ২৩; ইরাকীর তাখরীজসহ ‘ইহইয়াউ ‘উলুমিদ দীন ( إحياء علوم الدين ) [১/১৫]; ইবনুল জাওযী, আল-‘ইলালুল মুতানাহিয়্যা [ العلل المتناهية ] (১/১১১)।]।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«من غش العرب لم يدخل في شفاعتي ولم تنله مودتي»
“যে ব্যক্তি আরবদেরকে প্রতারিত করে, সেই ব্যক্তি আমার শাফা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং সে আমার ভালোবাসা লাভ করবে না।” -ইমাম তিরমিযী (৫/৩৮১) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তার সনদে হুসাইন ইবন উমার আল-আহমাসী নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর ইবন তাইমিয়্যা রহ. বলেন: হাদীস বিশারদগণের নিকট এটা হাদীস নয় এবং তার মধ্যে অপরিচিত বর্ণনা হওয়ার দিকটি সুস্পষ্ট, আমি বলি: হ্যাঁ, আল্লাহর কসম!
* মাওকুফ হিসেবে সহীহ:
«من كذب بالشفاعة فليس له فيها نصيب» .
“যে ব্যক্তি শাফা‘আতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, সেই ব্যক্তির জন্য তাতে কোনো অংশ নেই।”
সুতরাং এসব মূর্খদের সাবধান হওয়া উচিত, যারা শাফা‘আতের হাদীসসমূহকে ‘আহাদ’ হাদীস বলে দলীল দিয়ে অস্বীকার করে; যেভাবে আমি তা দেখেছি..., বিষয়টি আসলে অনুরূপ নয়, আর তাদের দলীলসমূহ দুর্বল হওয়ার কারণে তা আলোচনার যোগ্যতা রাখে না। আর যাদের অন্তরে অন্ধত্ব রয়েছে তাদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
* এই হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত নয় যে, তিনি বলেছেন:
«يشفع يوم القيامة ثلاثة : الأنبياء , ثم العلماء , ثم الشهداء» .
“কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর মানুষ সুপারিশ করবেন: নবীগণ, অতঃপর আলেমগণ, অতঃপর শহীদগণ।”
হাদিসটি আল-আজুররী ‘আশ-শরী‘য়াহ’ ( الشريعة ) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, পৃ. ৩৫০; ইবন আবদিল বার বর্ণনা করেছেন ‘জামে‘উ বয়ানিল ‘ইলম ওয়া ফাদলুহু’ ( جامع بيان العلم و فضله ) নামক গ্রন্থে, আর তাদের পূর্বে বর্ণনা করেছেন ইমাম ইবন মাজাহ তাঁর ‘আস-সুনান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন (২/১৪৪৩) হাদীসটি খুবই দুর্বল। কেননা তার সনদে ‘আল্লাক ইবন আবি মুসলিম নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। আর আছে ‘আনবাসা ইবন আবদির রহমান নামে এক বর্ণনাকারী, যার ব্যাপারে ইমাম যাহাবী (আল-মিযান গ্রন্থে) ও বুখারী রহ. বলেন: মুহাদ্দিসগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, আর আবূ হাতেম বলেন: সে বানিয়ে বানিয়ে হাদীস বর্ণনা করত।
* এই হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«يبعث الله العالم والعابد ، فيقال للعابد : ادخل الجنة ويقال للعالم : اشفع للناس كما أحسنت أدبهم» .
“আল্লাহ আলেম ও ইবাদতকারী ব্যক্তিকে পুনরুত্থিত করবেন। অতঃপর ‘আবেদ তথা ইবাদতকারী ব্যক্তিকে বলা হবে: তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর, আর আলেমকে বলা হবে: তুমি মানুষের জন্য সুপারিশ কর, যেমনিভাবে তুমি তাদের আদব-কায়দাকে সুন্দর করেছ।” -হাদীসটি ইবন আবদিল বার ‘জামে‘উ বয়ানিল ‘ইলম ওয়া ফাদলিহী’ ( جامع بيان العلم و فضله ) নামক গ্রন্থের (১/২৭) মধ্যে বর্ণনা করেছেন। আর হাদীসটি নিম্নোক্ত দুর্বল বর্ণনাকারীদের ধারাবাকিতায় বর্ণিত:
১. শুবল ইবনুল ‘আলা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসসমূহ সঠিক নয়। [দেখুন: হাফেয ইবন হাজার ‘আসকালানী, ‘লিসানুল মীযান’ ( لسان الميزان )।]
“যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে, সেই ব্যক্তিকে তার পরিবার-পরিজন থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।” এই হাদীসটি খুবই দুর্বল। [তার সনদে মুগীরা ইবন কায়েস নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছে, যার ব্যাপারে আবূ হাতেম বলেন, সে মুনকার হাদীস বর্ণনাকারী। আর তার সনদে ইয়াহইয়া আল-কাদাহ নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছে, যার অনেকগুলো মুনকার হাদীস রয়েছে।] আর এই হাদীসটি আল-আযরাকী ‘আখবারু মক্কা’ ( أخبار مكة ) নামক গ্রন্থে (২/৪) বর্ণনা করেছেন।
* হাদীসটি বিশুদ্ধ নয়:
«إذا كان عشية عرفة ... و إني قد شفعت محسنهم في مسيئه » .
“যখন আরাফার দিনের সন্ধ্যা হবে... আর আমি তাদের সৎকর্মশীলদেরকে তাদের গুনাহগারদের ব্যাপারে সুপারিশকারী হিসেবে গ্রহণ করে নেব বরং হাদীসটি মউযু‘ (বানোয়াট); হাদীসটি আবূ না‘ঈম ‘আখবারু আসবাহান’ ( أخبار أصبهان ) গ্রন্থে (১/৪১৮) বর্ণনা করেছেন।
এর কারণ হলো, তার সনদে ইসহাক ইবন বিশর আল-কামেলী নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যে মিথ্যাবাদী, যেমনটি ‘আল-মীযান’ নামক গ্রন্থে রয়েছে। [দেখুন: ইবনুল জাওযী, ‘আল-মাউযু‘আত’ ( الموضوعات ) [২/২১৬]।]
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার জন্য নিবেদিত, যিনি গ্রন্থটি লিপিবদ্ধ করাটাকে সহজ করে দিয়েছেন, তাঁর জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক প্রশংসা।
وسبحانك اللهم و بحمدك نشهد أن لا إله إلا أنت نستغفرك و نتوب إليك .
(হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র, আপনার জন্য প্রশংসা, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই, আমরা আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমরা আপনার নিকট তাওবা করি)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/303/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।