hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’য় বর্ণিত শাফা‘আত এবং শাফা‘আতকারী

লেখকঃ শাইখ ইবরাহীম ইবন আবদিল্লাহ আল-হাযেমী

শাফা‘আত সংক্রান্ত ইতিবাচক ও নেতিবাচক আয়াতসমূহে সামঞ্জস্য বিধান
উপরোক্ত ইতিবাচক ও নেতিবাচক শাফা‘আতে সামঞ্জস্য বিধান এভাবে সম্ভব যে, যেসব আয়াতে শাফা‘আত নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা দ্বারা ঐ শাফা‘আতটিকে অগ্রহণযোগ্য বা নেতিবাচক সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট চাওয়া হয়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعٗاۖ ﴾ [ الزمر : ٤٤ ]

“বলুন, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহরই মালিকানাধীন’।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৪৪]

আর ইতিবাচক শাফা‘আত কতগুলো শর্তসাপেক্ষে গ্রহণ করা হবে:

১. শাফা‘আত করার ব্যাপারে শাফা‘আতকারী ক্ষমতাবান হওয়া, যেমন আল্লাহ তা‘আলা ঐ সুপারিশকারীর ব্যাপারে বলেন, যার কাছে সুপারিশ কামনা করা হয়, অথচ সে সুপারিশ করতে অক্ষম:

﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ قُلۡ أَتُنَبِّ‍ُٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ١٨ ﴾ [ يونس : ١٨ ]

“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছে, যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, ‘এগুলো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী।’ বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আসমানসমূহ ও যমীনের এমন কিছুর সংবাদ দিবে, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র’ এবং তারা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَلَا يَمۡلِكُ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ مِن دُونِهِ ٱلشَّفَٰعَةَ إِلَّا مَن شَهِدَ بِٱلۡحَقِّ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٨٦﴾ [ الزخرف : ٨٦ ]

আর তিনি ছাড়া তারা যাদেরকে ডাকে, তারা সুপারিশের মালিক হবে না, তবে তারা ছাড়া, যারা জেনে-শুনে সত্য সাক্ষ্য দেয়।” [সূরা যুখরুফ, আয়াত: ৮৬] সুতরাং এ থেকে জানা গেল যে, মৃতদের কাছে শাফা‘আত বা সুপারিশ কামনা করার অর্থই হচ্ছে, এমন ব্যক্তির নিকট সুপারিশ চাওয়া, যে তার মালিক নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمۡلِكُونَ مِن قِطۡمِيرٍ ١٣ إِن تَدۡعُوهُمۡ لَا يَسۡمَعُواْ دُعَآءَكُمۡ وَلَوۡ سَمِعُواْ مَا ٱسۡتَجَابُواْ لَكُمۡۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يَكۡفُرُونَ بِشِرۡكِكُمۡۚ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثۡلُ خَبِيرٖ ١٤﴾ [ فاطر : ١٣، ١٤ ]

“আর তোমরা তাঁর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা তো খেজুর আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না এবং শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দিবে না। আর তোমরা তাদেরকে যে শরীক করেছ, তা তারা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে। সর্বজ্ঞ আল্লাহর মত কেউই আপনাকে অবহিত করতে পারে না।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৩, ১৪] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿قُلِ ٱدۡعُواْ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَمۡلِكُونَ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَمَا لَهُمۡ فِيهِمَا مِن شِرۡكٖ وَمَا لَهُۥ مِنۡهُم مِّن ظَهِيرٖ ٢٢ وَلَا تَنفَعُ ٱلشَّفَٰعَةُ عِندَهُۥٓ إِلَّا لِمَنۡ أَذِنَ لَهُ﴾ [ سبا : ٢٢، ٢٣ ]

“বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ্ মনে করতে তাদেরকে ডাক। তারা আসমানসমূহে অণু পরিমাণ কিছুরও মালিক নয়, যমীনেও নয়। আর এ দু’টিতে তাদের কোনো অংশও নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ তাঁর সহায়কও নয়।’ আর আল্লাহ্ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ছাড়া তাঁর কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না।” [সূরা সাবা, আয়াত: ২২, ২৩]

২. যার জন্য সুপারিশ করা হবে, সে ব্যক্তি মুসলিম হওয়া; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿مَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ حَمِيمٖ وَلَا شَفِيعٖ يُطَاعُ ١٨ ﴾ [ غافر : ١٨ ]

“যালিমদের জন্য কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু নেই এবং এমন কোনো সুপারিশকারীও নেই, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।” [সূরা গাফের, আয়াত: ১৮] এখানে ‘যালিমগণ’ দ্বারা কাফিরদেরকে বুঝানো হয়েছে; তার দলীল হল, শাফা‘আতের ক্ষেত্রে মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদীসসমূহ, যা ‘আহলুল কাবায়ের’ তথা কবীরা গুনাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য সাব্যস্ত। অচিরেই যথাস্থানে তার বিবরণ আসবে ইনশাআল্লাহ। আর হাফেয বায়হাকী রহ. তার ‘আশ-শো‘য়াব’ ( الشعب ) গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের ২০৫ পৃষ্ঠায় বলেন: এখানে ‘যালিমগণ’ হলো ‘কাফিরগণ’, আর এর প্রমাণ হলো আয়াতের সূচনা হয়েছে কাফিরদের আলোচনা প্রসঙ্গে।

আর হাফেয ইবন কাসীর রহ. আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: অর্থাৎ যারা নিজেদের ওপর যুলুম করেছে শির্ক করার মাধ্যমে, তাদের জন্য তাদের মধ্য থেকে কোনো নিকটতম ব্যক্তি থাকবে না, যে তাদের উপকার করবে এবং এমন কোনো সুপারিশকারীও থাকবে না, যে তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করবে; বরং তাদের সাথে সকল প্রকার কল্যাণের মাধ্যম বা উপায়সমূহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আর মুশরিকদের মধ্য থেকে আবূ তালিবকে আলাদা (ব্যতিক্রম) বিষয় হিসেবে ধর্তব্য করা হয়। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য সুপারিশ করবেন, শেষ পর্যন্ত সে জাহান্নামের উপরিভাগে তথা পায়ের গ্রন্থি পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে থাকবে; অচিরেই যথাস্থানে হাদীসসমূহে তার বিবরণ আসবে ইনশাআল্লাহ।

৩. সুপারিশকারীর জন্য অনুমতি প্রদান; যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ﴾ [ البقرة : ٢٥٥ ]

“কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫]

৪. যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার প্রতি সন্তুষ্টি বা সম্মতি থাকা; যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَكَم مِّن مَّلَكٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ لَا تُغۡنِي شَفَٰعَتُهُمۡ شَيۡ‍ًٔا إِلَّا مِنۢ بَعۡدِ أَن يَأۡذَنَ ٱللَّهُ لِمَن يَشَآءُ وَيَرۡضَىٰٓ ٢٦﴾ [ النجم : ٢٦ ]

“আর আসমানসমূহে বহু ফিরিশ্তা রয়েছে; তাদের সুপারিশ কিছুমাত্র ফলপ্রসূ হবে না, তবে আল্লাহর অনুমতির পর; যার জন্য তিনি ইচ্ছে করেন ও যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ২৬] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَلَا يَشۡفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ٱرۡتَضَىٰ﴾ [ الانبياء : ٢٨ ]

“আর তারা সুপারিশ করে শুধু তাদের জন্যই, যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৮]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন