মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“কিন্তু যারা নিজদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে কক্ষসমূহ যার উপর নির্মিত আছে আরো কক্ষ। তার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত। এটি আল্লাহর ওয়াদা; আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।” [সূরা আয্-যুমার: ২০]
ইবন কাসীর রহ. বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৌভাগ্যবান বান্দাহদের জন্য জান্নাতে কক্ষ তৈরি করে রেখেছেন। এগুলো উঁচু উঁচু অট্টালিকা যার কক্ষের উপরে কক্ষ নির্মিত হবে, তলার উপরে তলা থাকবে অর্থাৎ তা বহুতল ভবন হবে, এর নিচ দিয়ে ঝর্ণা বয়ে যাবে এবং এগুলো চমৎকার কারুকার্য খচিত হবে। [তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৫০।]
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে একটি প্রাসাদ রয়েছে যার ভিতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভিতর পরিদৃষ্ট হবে। তখন জনৈক বেদুঈন উঠে দাঁড়ালেন, বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ এটি কার হবে? তিনি বললেন, এটি হবে তার যিনি ভাল কথা বলে, অন্যকে আহার করায়, সর্বদা রোযা রাখে এবং যখন রাতে সব মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন সে উঠে সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায় করে।” [তিরমিযী: হাদীস নং ১৯৮৪।]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, “আমি নিদ্রিত ছিলাম। দেখলাম আমি জান্নাতে অবস্থিত। হঠাৎ দেখলাম এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে অযু করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ প্রাসাদটি কার? তারা উত্তরে বললেন, উমরের। তখন তাঁর (উমরের) আত্মমর্যাদাবোধের কথা আমার স্মরণ হল। আমি পেছনের দিকে ফিরে চলে আসলাম। এ কথা শুনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার সম্মুখে কি আমার মর্যাদাবোধ থাকতে পারে?” [বুখারী, হাদীস নং ৩২৪২।]
জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। আমি আমাকে একটি স্বর্ণের প্রাসাদের নিকট দেখতে পেলাম। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কার? তারা বলল, কুরাইশের জনৈক ব্যক্তির। হে ইবনুল খাত্তাব! এ প্রাসাদে ঢুকতে আমাকে কিছুই বাধা দিচ্ছিল না। কেবল তোমার আত্মমর্যাদাবোধ, যা আমার জানা ছিল। উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপরেও কি আমি আত্মমর্যাদাবোধ প্রদর্শন করব?” [বুখারী, হাদীস নং ৭০২৪।]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, জিবরীল আলাইহিস সালাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে হাযির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ যে খাদীজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা একটি পাত্র হাতে নিয়ে আসছেন। ঐ পাত্রে তরকারী, অথবা খাবার দ্রব্য অথবা পানীয় ছিল। যখন তিনি পৌছে যাবেন তখন তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকেও সালাম জানাবেন আর তাঁকে জান্নাতের এমন একটি সুরম্য প্রাসারেদ সু-সংবাদ দিবেন যার ভিতরদেশ ফাঁকা-মুতি দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। সেখানে থাকবে না কোন প্রকার হট্টগোল; না কোন প্রকার ক্লেশ ও ক্লান্তি। [বুখারী, হাদীস নং ৩৮২০।]
مِنْ قَصَبٍ অর্থাৎ রাজকীয় প্রাসাদের ন্যায় মণিমুক্তার তৈরি প্রশস্ত ভবন। কারো মতে, মণি মুক্তা, হীরা ও ইয়াকুত পাথর খচিত প্রাসাদ। [ফাতহুল বারী: ৭/১৩৮।]
“তিনি বরকতময়, যিনি ইচ্ছা করলে তোমার জন্য করে দিতে পারেন তার চেয়ে উত্তম বস্তু অনেক বাগান, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হয় এবং তিনি তোমাকে প্রাসাদসমূহ দিতে পারেন।” [সূরা : আল-ফুরকান: ১০]
আব্দুল্লাহ ইবনে কাইস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(জান্নাতে) দুটি উদ্যান থাকবে। এই দুটির সকল পাত্র এবং এর অভ্যন্তরের সকল বস্তু রূপার তৈরি হবে। এবং (জান্নাতে) আরো দুটি উদ্যান থাকবে। এই দুটির সকল পাত্র এবং এর অভ্যন্তরের সকল বস্তু সোনার তৈরি হবে। জান্নাতে-আদনের মধ্যে জান্নাতবাসীরা তাদের রবকে দেখবে। জান্নাতবাসী এবং তাদের রবের এই দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার উপর জড়ানো তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পর্দা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।” [বুখারী, হাদীস নং ৪৮৭৯।]
আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মণি-মুক্তার তাঁবু হবে। ঊর্ধাকাশের দিকে এর দৈর্ঘ্য হবে ষাট মাইল। [মুসলিম, হাদীস নং ২৮৩৮।]
দু’রেওয়ায়েতের মধ্যে জান্নাতের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নিয়ে ভিন্ন বর্ণনা থাকতে কোনো অসুবিধে নেই। জান্নাতের যমিনের পরিমাপে এর দৈর্ঘ্য ষাট মাইল আর ঊর্ধাকাশের দিকে এর উচ্চতা ষাট মাইল। অতএব, এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই। [শরহে ইমাম নাওয়াওয়ী: ১৭/১৭৫।]
عن عثمان بن عفان ، عن النبي قال : " مَنْ بَنَى مَسْجِدًا - قَالَ بُكَيْرٌ : حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ : يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ - بَنَى اللَّهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الجَنَّةِ "
‘উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে, বুকাইর (রহ.) বলেন: আমার মনে হয় রাবী ‘আসিম’ (রহ) তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরী করবেন।” [বুখারী, হাদীস নং ৪৫০, মুসলিম, হাদীস নং ৫৩৩।]
يقول الله لمن حَمِدَ واسترجع عند موت ولده : ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الجَنَّةِ، وَسَمُّوهُ بَيْتَ الحَمْدِ "
“যে ব্যক্তি সন্তান মারা গেলে আল্লাহর প্রশংসা ও ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়ে আল্লাহ তা‘আলা তার সম্পর্কে বলেছেন, “আমার এই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর ‘‘বায়তুল হামদ’ বা প্রশংসালয়।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১০২১।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনা উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “যে কোন মুসলিম বান্দা দৈনিক ফরয ব্যতীত বার রাক‘আত সালাত আল্লাহর উদ্দেশ্যে আদায় করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করবেন অথবা বলেছেন, জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর তৈরী করা হবে।” [মুসলিম, হাদীস নং ৭২৮।]
ইমাম তিরমিযী রহ. বলেছেন, এগুলো হলো দৈনিক ধারাবাহিক বারো রাক‘আত সুন্নত সালাত।
“হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত এবং চিরস্থায়ী জান্নাতসমূহে উত্তম আবাসগুলোতেও (প্রবেশ করবেন)। এটাই মহাসাফল্য।” [সূরা : আস্-সাফ: ১০-১২]
وفي حديث أبي هريرة الطويل عندما اشتكوا قلوبهم إذا فارقوا النبي ، وفيه أنهم سألوا رسول الله عن بناء الجنة، فقال عليه الصلاة والسلام : لَبِنَةٌ مِنْ فِضَّةٍ وَلَبِنَةٌ مِنْ ذَهَبٍ، وَمِلَاطُهَا الْمِسْكُ الْأَذْفَرُ، وَحَصْبَاؤُهَا اللُّؤْلُؤُ وَاليَاقُوتُ، وَتُرْبَتُهَا الزَّعْفَرَانُ مَنْ دَخَلَهَا يَنْعَمُ وَلَا يَبْأَسُ، وَيَخْلُدُ وَلَا يَمُوتُ، لَا تَبْلَى ثِيَابُهُمْ، وَلَا يَفْنَى شَبَابُهُمْ»
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসে সাহাবীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবার থেকে দূরে গেলে তাদের মনের অবস্থার পরিবর্তনের কথা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অভিযোগ করলেন। এতে রয়েছে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জান্নাতের নির্মাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের একটি ইট হল রূপার আর একটি হল সোনার। এর গাঁথুনী হল সুগন্ধময় মিশকের। এর নুড়িগুলো হল মাতির ও ইয়াকুতের, মাটি হল যাফরানের। যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে সে নিয়ামত ও সুখ ভোগ করবে, কষ্ট পাবে না কখনও। সদাসর্বদা থকবে, মৃত্যু হবে না কখনও। তাদের পরিচ্ছদ কখনও পুরাতন হবে না, আর তাদের যৌবন কখনও শেষ হবে না।”
এরপর তিনি বললেন: “তিন ব্যক্তি এমন যে তাদের দু’আ কখনও প্রত্যাখ্যান করা হয় না; ন্যায়পরায়ণ শাসনকর্তা, সাওম পালনকারী যখন সে ইফতার করে এবং মজলুমের দু’আ যা মেঘের উপরও তুলে নেওয়া হয় এবং আসমানের সব দরজা এর জন্য খুলে দেওয়া হয়, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলেন: আমার ইজ্জতের কসম, কিছুকাল পরে হলেও অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করব।” [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫২৬, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৮০৪৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/305/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।