hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা

লেখকঃ ড. সাঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী

তৃতীয় পরিচ্ছেদ: জান্নাত ও জাহান্নামের নামসমূহ প্রথমত: জান্নাতের নামসমূহ:
১- জান্নাত: এটি এমন আবাসের একটি ব্যাপক নাম [যে আবাস আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দাহদের জন্য তৈরি করে রেখেছেন] যাতে রয়েছে অফুরন্ত ও অসংখ্য নেয়ামত, অনাবিল আনন্দ ও প্রশান্তি, অন্তহীন খুশি, আনন্দ ও চিরস্থায়ী শান্তি। শব্দটি সতর ও তাগতীয়া থেকে নির্গত যার অর্থ ঢেকে রাখা, আচ্ছাদিত করে রাখা। এজন্যই মায়ের পেটের ভ্রূণকে জানীন বলে। জান্নাতের আরেক অর্থ বাগান। কারণ, তার অভ্যন্তর গাছ গাছালী দ্বারা আবৃত বা গোপন থাকে। আর এ শব্দটি শুধু মাত্র যেখানে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের গাছ থাকে সে বাগানের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। [‘হাদিয়ুল আরোয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ’ লেখক: ইবনুল কাইয়েম রহ., পৃ: ১১১।]

নানা প্রজাতির গাছপালা ও খেজুরের বাগানকে জান্নাত বলে। এর বহু বচন হলো জিনান। জান্নাত হলো প্রত্যেক সে বাগান যা গাছপালায় জমিনকে আচ্ছাদিত করে রাখে। [লিসানুল আরব: ১৩/৯৯, মুফরাদাতুল কুরআন: পৃষ্ঠা: ২০৪, মিসবাহুল মুনীর: ১/১১২।]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ لَقَدۡ كَانَ لِسَبَإٖ فِي مَسۡكَنِهِمۡ ءَايَةٞۖ جَنَّتَانِ عَن يَمِينٖ وَشِمَالٖۖ ١٥ ﴾ [ سبا : ١٥ ]

“নিশ্চয় সাবা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল একটি নিদর্শন : দু’টি উদ্যান, একটি ডানে ও অপরটি বামে।” [সূরা সাবা’: ১৫]

হাদীকা শব্দটি হাদায়িক শব্দের এক বচন। এর অর্থ: বিভিন্ন গাছপালা ও খেজুর গাছ বিশিষ্ট বাগান। এটা বাগান। হাদীকাকে এ নামকরণ করা হয় চোখের তারার সাথে সাদৃশ্য ও এতে পানি পৌঁছার কারণে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ إِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ مَفَازًا ٣١ حَدَآئِقَ وَأَعۡنَٰبٗا ٣٢ ﴾ [ النبا : ٣١، ٣٢ ]

“নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। উদ্যানসমূহ ও আঙ্গুরসমূহ।” [সূরা আন-নাবা’: ৩১-৩২]

আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে জান্নাত শব্দটি এক বচনে ৬৬ বার বলেছেন, আর বহু বচনে ৬৯ বার বলেছেন। [মু ‘জামুল মুফাহরিস লি আলফাযিল কুরআন: ৮০-৮২।]

২-দারুস-সালাম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿لَهُمۡ دَارُ ٱلسَّلَٰمِ عِندَ رَبِّهِمۡۖ ١٢٧ ﴾ [ الانعام : ١٢٧ ]

“তাদের জন্য তাদের রবের নিকট রয়েছে দারুস-সালাম তথা শান্তির আবাস” [সূরা আল-আন‘আম: ১২৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَىٰ دَارِ ٱلسَّلَٰمِ ٢٥﴾ [ يونس : ٢٥ ]

“আর আল্লাহ দারুস-সালাম তথা শান্তির আবাসের দিকে আহ্বান করেন।” [সূরা ইউনুস: ২৫]

সব বিপদআপদ ও বালামুসিবত থেকে এটা নিরাপদ আবাস। [হাদিউল আরো য়াহ, লেখক ইবনুল কাইয়েম, পৃষ্ঠা: ১১১।]

৩-দারুল-খুলদ: এ নামে নামকরণ করার কারণ হচ্ছে জান্নাতীরা কখনোই তা হতে বের হবে না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿عَطَآءً غَيۡرَ مَجۡذُوذٖ ١٠٨﴾ [ هود : ١٠٨ ]

‘অব্যাহত প্রতিদানস্বরুপ’। [সূরা হুদ: ১০৮]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ ٱدۡخُلُوهَا بِسَلَٰمٖۖ ذَٰلِكَ يَوۡمُ ٱلۡخُلُودِ ٣٤ ﴾ [ق: ٣٤ ]

“তোমরা তাতে শান্তির সাথে প্রবেশ কর। এটাই স্থায়িত্বের দিন।” [সূরা ক্বাফ: ৩৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ إِنَّ هَٰذَا لَرِزۡقُنَا مَا لَهُۥ مِن نَّفَادٍ ٥٤﴾ [ص: ٥٤ ]

“নিশ্চয় এটি আমার দেয়া রিযিক, যা নি:শেষ হওয়ার নয়।” [সূরা ছোয়াদ: ৫৪]

৪- দারুল মুকামাহ: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ ٱلَّذِيٓ أَحَلَّنَا دَارَ ٱلۡمُقَامَةِ مِن فَضۡلِهِۦ لَا يَمَسُّنَا فِيهَا نَصَبٞ وَلَا يَمَسُّنَا فِيهَا لُغُوبٞ ٣٥ ﴾ [ فاطر : ٣٥ ]

“যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী নিবাসে স্থান দিয়েছেন, যেখানে কোন কষ্ট আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং যেখানে কোন ক্লান্তিও আমাদেরকে স্পর্শ করে না।” [সূরা ফাতির: ৩৫]

৫- জান্নাতুল মা’ওয়া: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿عِندَهَا جَنَّةُ ٱلۡمَأۡوَىٰٓ ١٥﴾ [ النجم : ١٥ ]

“যার কাছে জান্নাতুল মা’ওয়া অবস্থিত।” [সূরা আন-নাজম: ১৫]

৬- জান্নাতু আদন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿جَنَّٰتِ عَدۡنٍ ٱلَّتِي وَعَدَ ٱلرَّحۡمَٰنُ عِبَادَهُۥ بِٱلۡغَيۡبِۚ ٦١﴾ [ مريم : ٦١ ] .

“তা চিরস্থায়ী জান্নাত, যার ওয়াদা পরম করুণাময় তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন গায়েবের সাথে।” [সূরা মারইয়াম: ৬১]

৭- আল-ফিরদাউস: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡوَٰرِثُونَ ١٠ ٱلَّذِينَ يَرِثُونَ ٱلۡفِرۡدَوۡسَ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ١١ ﴾ [ المؤمنون : ١٠، ١١ ]

“তারাই হবে ওয়ারিস। যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।” [সূরা আল-মু’মিনূন: ১০-১১]

ফিরদাউস: এমন এক বাগান যাতে এমন সব কিছু পাওয়া যায় যা বিভিন্ন বাগানে পাওয়া যায়। [ফাতহুল বারী: ৬/১৩, ক্বামুসূল মুহীত: পৃষ্ঠা ৭২৫।]

৮- জান্নাতুন-নাঈম: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمۡ جَنَّٰتُ ٱلنَّعِيمِ ٨﴾ [ لقمان : ٨ ]

“নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতুন-নাঈম তথা নিআমতপূর্ণ জান্নাত।” [সূরা লুকমান: ৮]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ إِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمۡ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ ٣٤ ﴾ [ القلم : ٣٤ ]

“নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিআমতপূর্ণ জান্নাত।” [সূরা আল-কামাল: ৩৪]

৯- আল মাকামুল আমীন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٖ ٥١﴾ [ الدخان : ٥١ ]

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে।” [সূরা আদ-দুখান: ৫১]

মাকাম শব্দের অর্থ: অবস্থানের জায়গা। আর আল-আমীন অর্থ সব ধরনের দোষ-ত্রুটি ও বিপদ-আপদ হতে নিরাপদ হওয়া। এটি ঐ জান্নাতকে বলা হয়, যে জান্নাত সব ধরনের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোকে অন্তর্ভূক্ত করে। [হাদিয়ুল আরো য়াহ, পৃ: ১১৬।]

১০- মাক’আদু সিদকীন: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَنَهَرٖ ٥٤ فِي مَقۡعَدِ صِدۡقٍ عِندَ مَلِيكٖ مُّقۡتَدِرِۢ ٥٥ ﴾ [ القمر : ٥٤، ٥٥ ]

“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে। যথাযোগ্য আসনে, সর্বশক্তিমান মহা অধিপতির নিকটে।” [সূরা আল-কামার: ৫৪-৫৫]

এ জান্নাতকে এ নামে নামকরণ করার কারণ হলো, এ জান্নাতে যত সুন্দর সুন্দর আসন ও বসার স্থান চাওয়া হয়, সবই পাওয়া যায়। যেমন বলা হয় ‘সত্যিকার ভালবাসা’ যখন তার মধ্যে সত্যিকার ও পরিপূর্ণরূপে ভালবাসা পাওয়া যায়। [হাদিয়ুল আরো য়াহ, পৃ: ১১৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন