মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন। তোমরা আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে”। [সূরা : আল-ফাতহ: ২৭] ......আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
আপনি অবগত আছেন যে, নবীদের স্বপ্ন সত্য। খন্দকের যুদ্ধে মুসলমানগণ কঠিন মুসিবাতের সম্মুখীন হওয়ার পরে এটা ছিল তাদের জন্য সুসংবাদ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে এ সংবাদ দেন এবং উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওয়ানার আহ্বান করেন। হ্যাঁ, তিনি উমরাহ পালনকারী হিসেবে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানার ইচ্ছা করলেন এবং রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন ঘোষণাকারী এ ঘোষণা দেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবেকীন মুহাজির ও আনসারদেরকে সাথে নিয়ে রওয়ানা করলেন। তাদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশত।
বেদুইনরা অংশগ্রহণ করলেন না। আর মুনাফিকদের থেকে একজন ব্যতীত কেউ অংশগ্রহণ করে নি।
এ ঘটনার হিকমত সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করুন।
সত্যনিষ্ঠ কাফেলা মক্কার পানে চলল। ‘আল-বাইদা’ নামক স্থান তাদের তাকবীর ও তাহলীলে প্রকম্পিত হচ্ছিল। সেখানে তারা কুরাইশ কর্তৃক মক্কায় প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হন। হুদাইবিয়ায় সাহাবীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেন। সত্যনিষ্ঠ কাফেলা মুহাজির ও আনসারগণ রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ধৈর্যধারণ ও উমরা না করে মদীনায় ফিরে না যাওয়ার বাই‘আত গ্রহণ করেন। এটাকে ‘বাই‘আতে রিদওয়ান’ বলা হয়।
মক্কার প্রতি তাদের ভালবাসা ও টান বর্ণনাতীত, সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে তাদের সুসংবাদ ছিল কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসা, তাঁর অনুসরণ, অনুকরণ, দুনিয়াবিমূখ ও আল্লাহর কাছে প্রতিদান তালাশ ছিল তাদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাদের সম্পর্কে আয়াত নাযিল করে সম্মানিত করেছেন।
সম্মানিত পাঠক:
আপনি সূরা আল-ফাতহ অর্থসহকারে চিন্তা গবেষণার সাথে তিলাওয়াত করুন। আল্লাহ বলেছেন,
“নিশ্চয় আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দিয়েছি; যেন আল্লাহ তোমার পূর্বের ও পরের পাপ ক্ষমা করেন, তোমার উপর তাঁর নিআমত পূর্ণ করেন আর তোমাকে সরল পথের হিদায়াত দেন। এবং তোমাকে প্রবল সাহায্য দান করেন”। [সূরা : আল-ফাতহ: ১-৩]
এখানে মহান আল্লাহ তাঁর হাবীব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অনুগ্রহ, অতঃপর সাহাবীদের উপর আল্লাহর দয়া ও তাদের উপর আল্লাহর যে প্রশান্তি নাযিল হয়েছে এবং যা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে সেসব কথা উল্লেখ করেছেন।
অতঃপর আল্লাহ বাই‘আতে রিদওয়ানের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ বলেছেন,
“অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে”। [সূরা : আল-ফাতহ: ১৮]
মানুষকে যতই বালাগাত ও ফাসাহাত (বাগ্মিতা ও বিশুদ্ধতা) দান করা হোক তারা আল্লাহর বর্ণিত এ রকম প্রশংসা করতে পারবে না।
হ্যাঁ, রাব্বুল আলামীন সে সব মু’মিনদের উপর রহমত করেছেন, মানবজাতির সর্দার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তাদের মধ্যে যা ঘটেছে সে ব্যাপারে অহী নাযিল করেছেন। তিনি খুবই সূক্ষ্মভাবে তাদের গুণকীর্তন করেছেন এবং রহস্য গোপন রেখেছেন। তিনি বলেছেন, مَا فِي قُلُوبِهِمۡ অর্থাৎ তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন।
সাহাবীগণ সততা ও একনিষ্ঠতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে খুবই তৎপর ছিলেন। ফলে তারা বিশাল সাফল্য লাভ করেছেন। প্রত্যেকেই গাছের নিচে বাই‘আত গ্রহণ করেছিলেন। প্রত্যেকেই জানত তারা আল্লাহর এ সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত এবং সবাই আল্লাহ প্রদত্ত সম্মান, সৌভাগ্য, আখেরাতে মহাসফলতা ও দুনিয়াতে গনীমত লাভ করেছেন।
এ আয়াত নিয়ে চিন্তা করুন। আমাকে এবার বলুন একজন বিবেকবান লোক কিভাবে তাদের (সাহাবীদের) সম্পর্কে সমালোচনা করে? বা তারা কিভাবে বলে যে, আল্লাহ তা ‘আলা তাদের উপর সন্তুষ্টির পর অসন্তুষ্ট হয়েছেন! হায়! সুবহানআল্লাহ!
আমি আলোচনা দীর্ঘ করব না। এ সব অপব্যাখ্যার জবাবে আমি কুরআনের শুধু একটি আয়াত উল্লেখ করব। আপনি এ আয়াতের অর্থ নিয়ে ভাবুন। এটা একেবারেই স্পষ্ট এবং এতে মু’মিনের অন্তরের রোগের মুক্তি রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের অপবাদকারীগণ রূঢ় এবং ভাবনাহীন, এমনকি তারা এ আয়াতের উত্তর দিতেও অক্ষম বা অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তারা হীনতার পরিচয় দেয়, বস্তুত তারা দুর্বল। কিন্তু লৌকিকতা, বিতর্ক, প্রবৃত্তি ইত্যাদি মানুষকে সত্য অনুসরণে বাধা দেয়।
“আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাতসমূহ, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহাসাফল্য”। [আত্-তাওবা: ১০০]
এ আয়াতে ও আল্লাহর নিন্মোক্ত বাণী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন:
وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلۡأَوَّلُونَ “যারা প্রথম অগ্রগামী” এসব লোক কাদের থেকে? এর পরেই আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেছেন, مِنَ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ “মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে” ।
হ্যাঁ, যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হিজরত করেছেন এবং যারা তাকে সাহায্য করেছেন তারাই কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী সাবেকীন বা অগ্রগামী। সুতরাং এতে কোন ধরনের তা’বীল বা অপব্যাখ্যা করার সম্ভাবনা নেই, তবে আপনি তৃতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحۡسَٰنٖ “এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে”। সুতরাং সাহাবীরা হলেন ইমাম, যাদেরকে অনুসরণ করা হয় এবং আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। [যারা তাদেরকে সুন্দরভাবে অনুসরণ করেছে এর দলিল হলো আল্লাহর বাণী: ﴿ وَٱلَّذِينَ جَآءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠ ﴾ [ الحشر : ١٠ ] “যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু”। [সূরা : আল্-হাশর: ১০]। সুতরাং আপনার দায়িত্ব হলো তাদের জন্য দু‘আ করা। সাহাবীদের কথা ও কাজ দলিল কিনা সেটা উসুলে ফিকহের মাস’য়ালা। এখানে এটা আলোচনার স্থান নয়।]
আপনি এ আয়াতের গুরুত্ব ও সুসংবাগুলো নিয়ে ভাবনা করুন।
এখানে رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُ , وَرَضُواْ عَنۡهُ َ এবং وَأَعَدّ অতীতকালের সিগাহ ব্যবহার করা হয়েছে। অতঃপর বলা হয়েছে لَهُمۡ মালিকানা অর্থে এবং خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ দ্বারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করা বুঝানো হয়েছে।
আয়াতে বেদুঈন ও মুনাফিকদের সম্পর্কে যা উল্লেখ আছে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। হ্যাঁ, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে, এ বিশ্বাস করে যে এটা আল্লাহর বাণী এবং আরবী ভাষা বুঝে, সে কখনো সাহাবীদের সম্মান ও মর্যাদাকে অস্বীকার করতে পারবে না।
প্রিয় পাঠক:
আমাকে নিন্মোক্ত আয়াত নিয়ে আলোচনা একটু দীর্ঘ করতে সুযোগ দিন। আল্লাহ বলেছেন,
“মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন”। [সূরা : আল-ফাতহ: ২৯]
হ্যাঁ, সাহাবীদের বর্ণনা, তাদের প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্যাবলী, ও তাদেরকে পার্থক্যকারী গুণাবলির কথা তাওরাত ও ইঞ্জিলে উল্লেখ আছে।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন ইমামুল মুরসালীন। তাঁর সাহাবীরা ছিলেন সর্বোত্তম সাথী, وَٱلَّذِينَ مَعَهُ “আর যারা তাঁর সাথে আছে”। বিপদে আপদে তারা প্রকৃত বন্ধু, ভাই ও ঘনিষ্ঠজন। ٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ কাফিরদের উপর কঠোর। আর পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীদের উপর দয়াবান। رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ “নিজেদের মধ্যে সদয়”। সীরাত সম্পর্কে অধ্যয়নকারী দেখতে পাবে সাহাবীদের মধ্যে ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কোন পর্যায় ছিল। দয়াশীলতার বাস্তব প্রয়োগ সর্বোচ্চ পর্যায় ছিল। যেমন: নিজের উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া। যেমন আল্লাহর বাণী:
“তারা পরস্পরে বন্ধু”। এটা মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদের গুণাবলি। তাই কুরআনে তাদের যে সব গুণ এসেছে সেগুলো আমাদের গ্রহণ করা ফরয। তাদের সম্পর্কে কুরআনে এসেছে, رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ “পরস্পরের প্রতি সদয়”। তাদের মাঝে উদারতা ও ভালবাসা হলো মূল, কেননা এগুণের কথা স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলাই বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আমাদেরকে এটাকেই গ্রহণ করতে হবে এবং ইতিহাসবিদগণ যেসব কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এ মাস’য়ালাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস’য়ালা। আমাদের সামনে আয়াতে মুহকাম রয়েছে, আর এর বিপরীতে এমন কিছু রিওয়ায়েত যার সনদ সম্পর্কে আল্লাহই ভাল জানেন এবং এর মতন কুরআনের সাথে বিরোধপূর্ণ। সুতরাং এ আয়াত ও আপনার ধারণা সম্পর্কে চিন্তা করুন। আপনার ধারণা কি কুরআনের মোতাবেক? নাকি আপনি ঐতিহাসিক কিচ্ছা কাহিনীর দ্বারা প্রভাবিত?
সাহাবীরা ইবাদতগুজার ছিলেন। আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেছেন, تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا “তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে”। এ বর্ণনায় তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো হয়েছে। এতে ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা তথা রুকু ও সিজদার কথা উল্লেখ করে একথাই বুঝানো হয়েছে যে, এটাই তাদের সার্বক্ষণিক অবস্থা। কেননা তাদের অন্তরে রুকু সিজদার ভালবাসা স্থায়ীভাবে স্থাপিত এবং তাদের অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত।
তাদের অবস্থা এমন যে, সর্বক্ষণ তারা মসজিদে রুকু ও সাজদাহ অবস্থায় কাটায়। এর দলিল হলো আল্লাহ তাদের অন্তরের প্রশংসা ও নিয়্যাতের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে বলেছেন, ا يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ “তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে”। এটা তাদের অনুভূতি, প্রবৃত্তি ও চাহিদা। তাদের সর্বক্ষণের কাজই হলো আল্লাহর দয়া ও সন্তুষ্ট অন্বেষণ করা।
তাই দুনিয়ার কোন লোভ লালসা তাদের অন্তরে ছিল না। এ সব চাহিদা তাদের জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে, তাই তাদের মধ্যে কোন অহংকার, লৌকিকতা ও হিংসা বিদ্বেষ ছিল না; বরং নম্রতা, খুশু’, খুদু’ ও ঈমানের দীপ্তময় আলোই ছিল তাদের আলামত। এখানে আয়াতের উদ্দেশ্য এটা নয় যে, তাদের কপালে সিজদার চিহ্ন বিদ্যমান থাকবে। তবে কারো তবে এরূপ হওয়া নিষেধ নয়। [তাফসীরে ইবন জারীর ও অন্যান্য তাফসীরে দেখুন।] তাওরাতে ইয়াহুদীদের কাছে তাদের গুণাবলি সম্পর্কে চিন্তা করুন। এগুণাবলির পাশাপাশি ইঞ্জিলে উল্লেখিত নাসারাদের কাছে তাদের গুণাবলি নিয়ে ভাবুন। তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। আয়াতে চাষ ও চাষী সম্পর্কে চিন্তা করুন। চাষী কে? তাদের অবস্থা এরকম: “যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন”। আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও উত্তম পরিণামের কথা জোর দিয়ে বলেছেন,
“সুতরাং মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাক”। [সূরা : আল-হাজ্জ: ৩০]
এ সব কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করুন। তাওরাত ও ইঞ্জিলে তাদের উদাহরণ হলো: তারা পরস্পরে উদার। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের প্রকৃত অবস্থা বর্ণনায় আল্লাহ তা‘আলা জোর দিয়ে অনেক বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর তরফ থেকে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় নি‘আমত হলো:
“আর তোমরা জেনে রাখ যে, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল রয়েছেন”। [আল-হুজুরাত: ৭]
এ সূরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের সম্মান সম্পর্কে অনেক আলোচনা রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/426/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।