hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য

লেখকঃ শাইখ সালেহ ইবন আবদিল্লাহ আদ-দারওয়ীশ

১৮
তাবুকের যুদ্ধ
আল্লাহ তা‘আলা তাবুকের যুদ্ধের আগে ও পরের ঘটনা সম্পর্কে সূরা তাওবা নাযিল করেন। এটি রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিলকৃত শেষ সূরার মধ্যে একটি সূরা। এতে রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কর্তৃক পরিশোধিত সমাজ ব্যবস্থার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

এ সূরার গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি মক্কা বিজয়ের পরে নাযিল হয়েছে এবং এতে মুসলিম সমাজের রূপরেখা রয়েছে। আর এটাই এ সূরা সম্পর্কে গবেষণার প্রধান কারণ। এটাই মূল আলোচ্য বিষয়। এ সূরার আয়াতগুলো তিলাওয়াতের সময় আপনার উচিত এ বিষয়টি খেয়াল রাখা। আপনি দেখবেন এতে মুনাফিকদের অবস্থা বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। এতে তাদের চরিত্রের অবস্থা, দোষত্রুটি, মদিনাবাসীদের মাঝে নিফাকির অনুপ্রবেশ, তাদের রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যুদ্ধ যাওয়া থেকে বিরত থাকা, এমনকি তারা জিহাদের ব্যয়ভার বহনেও অংশগ্রহণ করেনি; বরং দানশীল মু’মিনদেরকে দান করা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করেছিল, তারা দাবী করত তারাই সংশোধনকারী, কথায় কথায় হলফ করত, সামান্য সন্দেহ সংশয় হলেই জিহাদ থেকে বিরত থাকত এবং পরবর্তীতে ওজর পেশ করত। এ ছিল মুনাফিকদের সাধারণ চরিত্র। এবার দেখুন তাদের মধ্যে কি সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন জান্নাতী রয়েছেন? নাকি অগ্রবর্তী সাহাবীদের মধ্যেই সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন জান্নাতী রয়েছেন?

প্রিয় পাঠক:

মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে ভাবুন, অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলা অগ্রগামী প্রথমদিকের মুহাজির ও আনসার সাহাবীদের সম্পর্কে যেসব গুণাবলি বর্ণনা করেছেন সে সম্পর্কে ভাবুন। আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন সে ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট ও খুশি হওয়া উচিত। উক্ত সূরাতে বেদুইনদের সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তবে তারা সবাই একই ধরনের নয়। যেমন আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেছেন,

﴿ وَمِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مَن يَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ مَغۡرَمٗا وَيَتَرَبَّصُ بِكُمُ ٱلدَّوَآئِرَۚ عَلَيۡهِمۡ دَآئِرَةُ ٱلسَّوۡءِۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٩٨ ﴾ [ التوبة : ٩٨ ]

“আর বেদুঈনদের কেউ কেউ যা (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে, তা জরিমানা গণ্য করে এবং তোমাদের দুর্বিপাকের প্রতীক্ষায় থাকে। দুর্বিপাক তাদের উপরই এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী”। [আত্-তাওবা: ৯৮]

এরা হলেন বেদুইনদের এক প্রকার যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে বসবাস করেছেন। তদের মধ্যে আবার অন্য এক জাতি ছিলেন, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন,

﴿ وَمِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مَن يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ قُرُبَٰتٍ عِندَ ٱللَّهِ وَصَلَوَٰتِ ٱلرَّسُولِۚ أَلَآ إِنَّهَا قُرۡبَةٞ لَّهُمۡۚ سَيُدۡخِلُهُمُ ٱللَّهُ فِي رَحۡمَتِهِۦٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٩٩ ﴾ [ التوبة : ٩٩ ]

“আর বেদুঈনদের কেউ কেউ আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে এবং যা ব্যয় করে তাকে আল্লাহর নিকট নৈকট্য ও রাসূলের দো‘আর উপায় হিসেবে গণ্য করে। জেনে রাখ, নিশ্চয় তা তাদের জন্য নৈকট্যের মাধ্যম। অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমতে প্রবেশ করাবেন। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [আত্-তাওবা: ৯৯]

যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যুদ্ধ শরীক না হয়ে বিরত থেকেছেন এবং যারা ভালকাজে নিজেকে ব্যপৃত রেখেছেন তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। এতে সে সমাজের বাস্তব অবস্থা ফুটে উঠেছে। কুরআনের যেখানেই মুহাজির ও আনসারদের আলোচনা এসেছে সেখানেই তাদের সম্পর্কে ভাল বলা হয়েছে। কুরআনের সবখানেই সাহাবীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। এভাবেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য ও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নিন্মোক্ত আয়াত পড়ুন ও ভাবুন:

﴿ لَّقَد تَّابَ ٱللَّهُ عَلَى ٱلنَّبِيِّ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ ٱلۡعُسۡرَةِ مِنۢ بَعۡدِ مَا كَادَ يَزِيغُ قُلُوبُ فَرِيقٖ مِّنۡهُمۡ ثُمَّ تَابَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّهُۥ بِهِمۡ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١١٧ ﴾ [ التوبة : ١١٧ ]

“অবশ্যই আল্লাহ নবী, মুহাজির ও আনসারদের তাওবা কবুল করলেন, যারা তার অনুসরণ করেছে সংকটপূর্ণ মুহূর্তে। তাদের মধ্যে এক দলের হৃদয় সত্যচ্যূত হওয়ার উপক্রম হবার পর। তারপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু”। [আত্-তাওবা: ১১৭]

এটা সব মুহাজির ও আনসারদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। আয়াতের শুরুতে তাদের তাওবা সম্পর্কে ভাবুন। অতঃপর আয়াতের মধ্যবর্তীতে তাওবা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা নিয়ে ভাবুন। এরপরে আয়াতের শেষে বলা হয়েছে

إِنَّهُۥ بِهِمۡ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ

“নিশ্চয় তিনি তাদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু”।

মহান আল্লাহ রহমতের দ্বারা যাদের দায় দায়িত্ব নিয়েছেন, মাওলা তাদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু তাদের ব্যাপারে আপনার ধারণা কি? হ্যাঁ, এর পূর্ববর্তী আয়াতে সাবেকীন আওয়ালীন মুহাজির ও আনসারদের বৈশিষ্ট্য, যারা তাদেরকে একনিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করেন তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু ফায়েদা আছে যা ইতিপূর্বে ইশারা করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো: সাবেকীন বা অগ্রগামী সাহাবী কারা? যারাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দু’কিবলার দিকে ফিরে সালাত আদায় করেছেন তারাই সাবেকীন সাহাবী। কারো মতে, যারা বৃক্ষের নিচে আল্লাহর রাসূলের হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছেন তারাই সাবেকীন সাহাবী।

যাই হোক সাহাবীরা অনেক স্তরের, সব স্তরের লোকদের আলাদা আলাদা মর্যাদা। সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাবান সাহাবী হলেন সাবেকীন বা অগ্রগামী সাহাবীগণ। তারা হলেন বদর, অহুদ, খন্দক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও বাই‘আতে রিদওয়ানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বাই‘আত গ্রহণকারীগণ।

তাদের কেউ যদি নিফাকী করত –আল্লাহ তাদেরকে এ থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদের সকলের উপর তিনি রাজি খুশি- তবে তার বর্ণনা আসত। সুবহানআল্লাহ। তাদের মধ্য থেকে তিনজন জিহাদ থেকে বিরত থেকেছে তাদের বর্ণনা ও তাদের শাস্তির বিধান নাযিল হয়েছে। এমনিভাবে দূর্বল সাহাবীরা যারা অর্থাভবে জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি তাদের সম্পর্কেও বর্ণনা এসেছে। আর যাদের অন্তরে নিফাক ছিল তাদের সম্পর্কে আল্লাহ নিরব ছিলেন। তাদের অন্তরে ছিল নিফাকির রোগ। সূরা তাওবা তিলাওয়াতকারী নিশ্চিতভাবে দেখতে পাবে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমাজে কেউ দোষত্রুটি বা ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করে গোপন থাকতে পারত না। তাদের বাস্তব অবস্থা এ সূরাতে আলোচনা করা হয়েছে। কেনই বা হবে না, এ সূরার নামই সূরা আল-ফাদিহাহ বা সূরা আল-কাশিফা বা স্পষ্টকারী সূরা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন